Can't find our books? Click here!

মৃত্যুর অনুভূতি আসলে কেমন?

মৃত্যুপথযাত্রী ব্যক্তিদের মৃত্যু পূর্বকালীন স্বপ্ন (Pre-death Dream) এতটাই তীব্র হয় যে, মৃত্যু তাদেরকে বারবার জাগ্রত করে তোলে এবং মৃত্যুর অভিজ্ঞতা অনেক সময় জাগ্রত অবস্থার বাস্তবতার( Waking Reality) মতো..

আমার চোখের রেটিনায় ভেতর মৃত্যুবরণ করেছে তিন তিনজন মানুষ কিন্তু আমি যতটা না তাদের মৃত্যুতে শোকাহত হয়েছি তার চেয়েও বেশি বিস্মিত। আমার কৌতুহল জেগেছিল তাদের মস্তিষ্কের নিউরোলজিক্যাল পরিস্থিতি জানতে। তারা ঠিক কি ভেবেছিল? তারা কি জানত যে তারা একটু পরই অচেতন হয়ে যাবে? তারা কি ভিন্নমাত্রিক কোনো বাস্তবতার অভিজ্ঞতা লাভ করেছিল? তাদের কি খুবই যন্ত্রণা হয়েছিল? মৃত্যু কেন যন্ত্রণাদায়ক? ভয়ের জন্য নাকি অতীতের স্মৃতির কারণে? নাকি শারীরিক যন্ত্রণা ছাড়াও আমাদের পঞ্চ ইন্দ্রীয় এ জগতের ভালোবাসা ত্যাগ করতে পারে না?

শেষ দুটি প্রশ্ন গুরুত্বপূর্ণ। অন্তত বিবর্তনীয় দৃষ্টিকোণ থেকে। আমরা জানি বয়সের একটি প্রান্তে অধিকাংশ মানুষ আলঝেইমার রোগে আক্রান্ত হয়। এদের স্মৃতিশক্তি ধীরে ধীরে হ্রাস পেতে থাকে। প্রথমে, শর্ট-টার্ম মেমরি যেমন- ব্রেকফাস্টে কী খেয়েছে তা ভুলে যাওয়া অথবা কারও সাথে কোনো একটি কনভারসন পুনরাবৃত্তি করা। একটা পর্যায়ে এ রোগ যখন বৃদ্ধি পায় ব্যক্তি তার দীর্ঘকালীন স্মৃতিশক্তির উপর তার এক্সেস হারিয়ে ফেলে যাকে বলে এমনেসিয়া।

প্রশ্ন হলো অতীতের স্মৃতির ব্যাথা থেকে মুক্ত করে একজন মানুষকে মৃত্যুর উপযোগী করে প্রস্তুত করার একটি নিউরাল প্রসেস নয়তো এটি? ক্রোমোজম ২১,১৪ এবং ১ এর কিছু জিনের মিউটেশনের ফলে এবনরমাল প্রোটিন গঠিত হয়। ক্রোমোজোম ২১ এর মিউটেশনের ফলে অস্বাভাবিক আমালয়েড প্রিকার্সর প্রোটিন তৈরি হয় আর আমাদের পরিচিত আলঝেইমার ঠিক এ জন্যই হয়ে থাকে। প্রতিটি মানুষের APOP gene এর দুটি কপি থাকে। যে সকল ব্যক্তিদের E2/E2 রয়েছে তাদের আলঝেইমারের ঝুঁকি কম এবং যে সকল ব্যক্তিদের E4/E4 রয়েছে তাদের আলঝেইমারের ঝুঁকি বেশি। যাদের পরিবারের সদস্যরা আলঝেইমার আক্রান্ত হয় তাদের নিজেদেরও আলঝেইমার আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা আছে। অনেকেই প্রশ্ন করতে পারেন , আলঝেইমার আমাদের পূর্বসুরিদেরকে মৃত্যুকে সহজভাবে মেনে নিয়ে পরিবারের তরুণ সদস্যদের জিনকে ভবিষ্যত প্রজন্মে হস্তান্তর করার বিবর্তনীয় চাপ থেকে তৈরি নয় তো?

দ্বিতীয়ত, আমরা যখন শব্দ, গন্ধ, দৃশ্য ও স্বাদের উপলব্ধি হারিয়ে ফেলি আমাদের ভেতর জীবনের প্রতি মোহ ও আগ্রহ হারিয়ে যায়। আমাদের পঞ্চ ইন্দ্রীয় দূর্বল হয়ে গেলে এ জগতের প্রতি আমাদের আর কোনো দূর্বলতা কাজ করার কথা না। একদিকে স্মৃতিশক্তির দূর্বলতা আর অন্যদিকে ইন্দ্রীয়ের দূর্বলতা দুটোই যদি বৃদ্ধি পায় আপনি আপনার অতীতের মেমরি পুনরূদ্ধার করতে পারবেন না। এটি হয়তো আপনার মধ্যে জীবনের প্রতি আকাঙ্খা আরো দূর্বল করে দেবে, আপনি বেঁচে থাকার জন্য প্রয়োজনীয় স্টিমুলেশন পাবেন না! আমরা জানি ব্যাথা সৃষ্টির সাথে মেমরি ও ফিজিক্যাল স্টিমুলেশনের একটি সম্পর্ক আছে। মৃত্যুকে যদি এ দুটির অনপুস্থিতি শান্তিময় করতে পারে তবে নিশ্চয় মৃত্যুর পূর্বে আমাদের পঞ্চ ইন্দ্রীয়গুলো দূর্বল হয়ে যাওয়ার কথা, তাই নয়?

আসলে মৃত্যু কেমন? কেমন মৃত্যুবোধ? শেষ নিঃশ্বাসের দু-সপ্তাহ পূর্ব থেকে ব্যক্তি দূর্বল হয়ে ওঠে, সে অসুস্থ্য ও বারবার অচেতন হয়ে যায়। আমরা মৃত্যুকে শুধুমাত্র আমাদের পরিবার, আমাদের বন্ধুবান্ধব অথবা মেডিক্যাল প্রসেশনালদের দৃষ্টিকোণ থেকে ব্যখ্যা করতে পারি কিন্তু আমরা সরাসরি বলতে পারি না মৃত্যুর ফিলটা কেমন।

স্টানফোর্ড ইউনিভার্সিটির প্যালিয়েটিভ কেয়ারের স্পেশালিস্ট জেমস হেলেনব্যাক মাঝেমাঝে মৃত্যুকে ব্লাকহোলের সাথে তুলনা করেন, তিনি বলেন, আমরা ব্লাকহোলের শুধু ইফেক্টই বুঝতে পারি কিন্তু এর ভেতর কি হচ্ছে তা দেখা খুবই কঠিন । কোনো এক শক্তিশালী গ্রেভেটি তাদের কাছে টেনে নিতে থাকে এবং একজন যখন ঘটনা দিগন্তে চলে যায় তখন সেখানে আর ফিজিক্সের আইন কাজ করে না।

যদিও মৃত্যুর ফিজিক্যাল এক্সপেরিয়েন্স নিয়ে ব্যাপক গবেষণা হচ্ছে কিন্তু শেষ কয়েকদিন ও মুহূর্ত এখনো রহস্যজনক। মেডিসিন সবে মাত্র ঘটনা দিগন্ত অতিক্রম করার চেষ্টা করছে। একশ বছর পূর্ব পর্যন্ত অধিকাংশ মানুষ খুব দ্রুত মৃত্যুবরণ করত। কিন্তু আধুনিক মেডিসিন মৌলিকভাবে এ বিষয়টি পরিবর্তন করে দিয়েছে যে একজন ব্যক্তি ঠিক কতদিন বেঁচে থাকবে। আমেরিকার অসংখ্য মানুষ যাদের চিকিৎসা সেবার সু্যোগ আছে তারা দীর্ঘস্থায়ী অসুখ যেমন টার্মিনাল ক্যান্সার অথবা ডায়বেটিস অথবা ডিমেনশিয়ার মারা যাচ্ছেন কোনোপ্রকার দূর্ঘটনার পরিবর্তে। মৃত্যুর পূর্বে মানুষের মধ্যে যে বিষয়টা সবচেয়ে বেশি দেখা যায় তা হলো “Pre-Death Dream”। মানুষ এ সময় এতবেশি স্বপ্ন দেখে যে, তাদের জাগ্রত অবস্থাও স্বপ্ন হয়ে যায়। Palliative Care Perspective– এর হেলেনব্যাক বলেন, যে সকল মানুষ ধীরে ধীরে মৃত্যুবরণ করে শেষ সপ্তাহে তাদের মধ্যে দ্রুত কিছু পরিবর্তন ঘটে। এ ধরণের দশা স্থানান্তরকে বলা হয় ” Active Dying”! এ সময় হেলেনব্যাক বলেন, একজন ব্যক্তি তার পঞ্চ ইন্দ্রীয়ের বোধ হারাতে থাকে এবং নির্দিষ্ট কিছু মাত্রায় তাদের আকাঙ্খা হারিয়ে যায়। প্রথমে তাদের ক্ষুধা এবং তারপর তৃষ্ণা। পরবর্তীতে তাদের ভাষা এবং দৃষ্টিশক্তি হারিয়ে যায়। অবশেষে তাদের শ্রবণ ও সেন্স অব টাচ হারায়। মৃত্যু যন্ত্রণাদায়ক কিনা অথবা এটা কতটা যন্ত্রণাদায়ক সেটি এখনো বৈচিত্র্যময়।

কিছুকিছু পরিস্থিতি আছে যেখানে যন্ত্রণা অপরিহার্য। আর কিছু কিছু পেশেন্ট, এত এতটাই বৃদ্ধ হয়ে যায় যে তারা অদৃশ্য হয়ে যায়, তাদের কোনো চাপ নেই। রোগের সাথে সম্পৃক্ত যন্ত্রণার মানে এই নয় যে আপনার মৃত্যু কষ্টদায়ক হবে। কিছুকিছু মানুষ যারা ক্যান্সারে ভোগে তাদের মৃত্যুর সময় পেইন মেডিকেশন ব্যবহার করে তাদের ঠান্ডা রাখা যায়। কিছু মানুষ এতটাই দূর্বল হয়ে যায় যে তার কাঁশতে অথবা গিলতে পারে না। কেউ কেউ গলার পেছনে শব্দ করতে থাকে। এ ধরণের শব্দ খুবই বিরক্তিকর, শুনলে মনে হয় ঐ ব্যক্তি খুবই যন্ত্রণায় আছে। কিন্তু মৃত ব্যক্তির কাছে এটি যন্ত্রণাদায়ক মনে হয় না _যতদূর সম্ভব ডাক্তার জানেন।

চিকিৎসা বিজ্ঞানীরা এটাকে “Death Rattle” বলে জানেন ___যা সম্ভবত আপনাকে আঘাত করে না। আল্টিমেটলি, অধিকাংশ মানুষ তাদের সচেতনতা ও কনসাসনেস শেষ কয়েক ঘন্টা ও কয়েকদিনের মধ্যে হারিয়ে ফেলে। আমাদের পক্ষে এটা জানা অত্যন্ত কঠিন ঐ মুহূর্তে কোনো যন্ত্রণা অনুভব করে কিনা। আমরা সাধারণত বিশ্বাস করি মস্তিষ্ক যদি ক্যামাটোস সিচুয়েশনে চলে যায় তবে আপনার মধ্যে কোনো প্রতিক্রিয়া অথবা সংবেদন কাজ করবে না__আপনার চারপাশকে অনুভব করার ক্ষমতা ক্রমাগত হ্রাস পেতে থাকবে। ডেভিড হুই যিনি একজন অঙ্কোলজিস্ট এবং পেলিয়াটিভ কেয়ার স্পেশালিস্ট তিনি বলেন, আপনি কি ঘটছে বা ঘটছে না সে ব্যাপারে সচেতন থাকতেও পারেন আবার নাও পারেন। একটা সময় ব্যক্তির চেতনা ডুবে যেতে থাকে। সে সময় সে কি চিন্তা করে? সে কি ঘুমায় না জেগে থাকে, নাকি সুপারন্যাচারাল কোনোকিছু উপলব্ধি করে? তার মন আসলে কোথায় চলে যায়? কি চিন্তা কাজ করে সেখানে এ বিষয়টি আমার জানতে ইচ্ছে করে।

UCLA ব্রেইন ইনজুরি রিসার্স সেন্টারের ডিরেক্টর ডেভিড হোভডা বলেন, একজন মৃত্যুপথযাত্রী ব্যক্তির মস্তিষ্ক সে কাজই করে যা তার শরীর করে থাকে, তার মস্তিষ্কের সে অংশ গুলো ধীরে ধীরে ডি-একটিভেট হয়ে যায় যেগুলো টিকে থাকার জন্য সে মুহূর্তে অপেক্ষাকৃত কম গুরুত্বপূর্ণ। তিনি এ ব্যাপারটিকে বয়স বৃদ্ধির প্রক্রিয়ার সাথে তুলনা করেছেন। বয়স বাড়ার সাথে সাথে আমাদের মস্তিষ্কের কোন কোন অংশগুলো আগে থেকেই ডেমেজ হয়ে যায়? মানুষের এমন একটা প্রবণতা দেখা যায় তারা ধীরে ধীরে তাদের জটিল ও এক্সিকিউটিভ পরিকল্পনা করার ক্ষমতা হারিয়ে ফেলে, তাদের মোটর স্কিল হারিয়ে যায়।

“ঢেউ গুলো আরও উচ্চ থেকে উচ্চতর হয় আর তা ব্যক্তিকে মহাসমুদ্রে নিয়ে যায়”!

মস্তিষ্ক যেহেতু পরিবর্তন হতে থাকে, মস্তিষ্কের বিভিন্ন অংশ এক্সাইটেড হয়। এমন একটি অংশের নাম হলো ভিজুয়াল সিস্টেম। আর এজন্য লোকজন তাদের চারপাশে আলো দেখতে থাকে। আমাদের সাম্প্রতিক গবেষণা বলছে যে কিছু মানুষের মধ্যে আকস্মিক সেন্স শার্প হয়ে যাওয়া মৃত্যুর সময় একজন ব্যক্তির মস্তিষ্কের প্রতিক্রিয়ার সাথে মিলে যায়। ইউনিভার্সিটি অব মিশিগানের নিউরোসায়েন্টিস্ট জিমো বোরজিগিন এ বিষয়টি দেখে ভীতসন্ত্রস্ত হয়ে ওঠেন তিনি যখন একটি এক্সপেরিমেন্টে প্রাণীদের মস্তিষ্কে অদ্ভুত কিছু পর্যবেক্ষণ করেনঃ মৃত্যুর কিছুক্ষণ পূর্বে তাদের মস্তিষ্কের নিউরোকেমিক্যাল ফুলে ওঠে। যদিও বিজ্ঞানীরা জানতেন মৃত্যুর পরও ব্যক্তির মস্তিষ্কের নিউরন নিরবিচ্ছিন্নভাবে উদ্দীপিত হতে থাকে কিন্তু এটা ছিল ভিন্ন।

নিউরনগুলো নতুন রাসায়নিক পদার্থ নিঃসরণ করছিল প্রচুর পরিমাণে। Borjigin বলেন, কার্ডিয়াক অ্যারেস্টে আক্রান্ত সার্ভাইভররা অচেতন অবস্থায় দারুণ সব অভিজ্ঞতা লাভ করেন। তারা তাদের চারপাশে আলো দেখেন এবং তারপর তারা এটাকে ” Realer than real” মনে করেন। তিনি অনুভব করতে পারেন যে, মস্তিষ্কের এ আকস্মিক নিউরোকেমিক্যালের নিঃসরণ এ ধরণের উপলব্ধিকে ব্যাখ্যা করতে পারে। বর্জিগিন ও তার দল একটি এক্সপেরিমেন্ট পরিচালনা করেন। তারা আটটি ইঁদুরকে এনিসথেসিয়াড বা অচেতন করেছিলেন, আর তারপর তাদের হৃদপিণ্ড বন্ধ করে দেন। আকস্মিক তাদের মস্তিষ্কের ভিন্ন ভিন্ন সব এলাকা সিনক্রোনাইজড হয়ে যায়। ইঁদুরের মস্তিষ্ক ভিন্ন ভিন্ন ফ্রিকোয়েন্সীতে উচ্চ ক্ষমতা প্রদর্শন করে, যেটাকে কো-হারেন্স বলা হয়__ মস্তিষ্কের বিভিন্ন অংশের ইলেক্ট্রিক্যাল অ্যাকটিভিটি একসাথে কাজ করতে থাকে।

আপনি যদি কোনোদিকে মনোযোগ আরোপ করেন, কোনো কাজ করেন, কোনো একটি শব্দের অর্থ উদগাটন করার চেষ্টা করেন অথবা কারো চেহারা মনে করার চেষ্টা করেন __আপনি যখন উচ্চমাত্রিক জ্ঞানীয় কার্যক্রম পরিচালনা করেন এ বৈশিষ্ট্য জাগ্রত হয়। এ প্যারামিটার গুলো একজন জাগ্রত ব্যক্তির কনশাসনেসকে পরিমাপ করার একটি প্যারামিটার। অতএব আমরা চিন্তা করতে পারি আপনি যদি সতর্ক ও সচেতন হয়ে উঠেন একই প্যাটার্ন মৃত্যু পথযাত্রী একজন ব্যক্তির মস্তিষ্কের ভেতরও কাজ করে। প্রকৃতপক্ষে, এটাই হলো মূল কেইস। আমার দাদার মৃত্যুর সময় দেখেছি, তার চেতনা কোথাও যেনো ভেসে বেড়াচ্ছে, বাতাসে তার আঙুল উত্তোলন করছেন, তিনি অদৃশ্য কোনো বস্তু ধরার চেষ্টা করছেন। এ ধরণের অর্ধ-ঘুম ও অর্ধ-জাগ্রত অবস্থা মৃত্যু পথযাত্রী ব্যক্তিদের মধ্যে অত্যন্ত সাধারণ। নিউইয়র্কে ৮৮ জনের উপর পরিচালিত একটি স্টাডিতে দেখা যায় তাদের মধ্যে অন্তত একটি স্বপ্ন অথবা ভিশন ছিলো। তাদের স্বপ্নগুলো সাধারণ স্বপ্ন থেকে পৃথক হয়। একটি ব্যাপার হলো তাদের স্বপ্নগুলো অনেক বেশি পরিস্কার এবং বাস্তব। মৃত্যুপথযাত্রী ব্যক্তিদের মৃত্যু পূর্বকালীন স্বপ্ন (Pre-death Dream) এতটাই তীব্র হয় যে, মৃত্যু তাদেরকে বারবার জাগ্রত করে তোলে এবং মৃত্যুর অভিজ্ঞতা অনেক সময় জাগ্রত অবস্থার বাস্তবতার( Waking Reality) মতো; এ গবেষণাপত্রটি Journal of Palliative Medicine এ প্রকাশিত হয়েছিল বলে আটলান্টিকে জানা যায়।

I Died:' Women Share What Their Near-Death Experiences Were Like - YouTube

৭২% মানুষ স্বপ্ন দেখেছে তারা সে সকল ব্যক্তিদের সাথে রিইউনাইটেড হয়েছে যারা ইতোমধ্যে মারা গেছে। ৫৯ শতাংশ মানুষ স্বপ্ন দেখেছে তারা কোথাও ভ্রমণের জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছে। ২০ শতাংশ ব্যক্তি অতীতের মিনিংপুল কোনো স্বপ্ন দেখেছে। অধিকাংশ ব্যক্তির স্বপ্নই ছিল কম্ফোর্টেবল ও ইতিবাচক। গবেষকরা বলছেন, স্বপ্ন অনেক সময় মৃত্যু ভয়ও দূর করে দেয়। মৃত্যুর পূর্বের এ প্রভাবশালী স্বপ্নগুলো আপনার সেন্স অব পারসোনাল মিনিং বাড়িয়ে দেয় যা পরবর্তী সময়ে আবেগীয় তাৎপর্য প্রদান করে। একজন পেশেন্ট তার মৃত্যুর শেষ ঘন্টায় এসে খাওয়া ও পান করা বন্ধ করে দেয় আর তারপরই তারা তাদের দৃষ্টিশক্তি হারিয়ে ফেলে। অধিকাংশ মৃত্যুপথযাত্রী ব্যক্তি তাদের চোখ বন্ধ করে রাখে এবং মনে হয় যেন তারা মরে যাচ্ছে। আমরা শুধুমাত্র কি ঘটছে তা অনুমানই করতে পারি। কিন্তু কিছু বিশেষজ্ঞ এটাকে কোমা বা স্টেট অব আনকনসাসনেস মনে করেন না যেমনটি বিভিন্ন ফ্যামিলি ও ক্লিনিক চিন্তা করে, এটা অনেকটা স্বপ্নের মতো। যে মুহূর্তে এটি ঘটে তখন ব্যক্তি ড্রিম স্টেটে থাকে। এমনকি ব্যক্তি যে কখন মারা যায় সেটাই নির্ধারণ করা যায় না। এরপর ব্যক্তির মধ্যে ড্রামাটিক মুভমেন্ট দেখা যায় যা দেখে মনে হয় সে সবাইকে ত্যাগ করছে। সে তার চোখ খুলতে পারেনা এবং সহসা স্থির হয়ে যায়। সে কিছুটা জোরে নি:শ্বাস নেয় ও মারা যায়। অন্তত আমার দাদার ক্ষেত্রে তাই ঘটেছিল। হেলেনব্যাক বলেন, এটি অনেকটা ঝড় আসার মত। তরঙ্গ ছুটে আসতে থাকে কিন্তু আপনি বলতে পারবেন না এ তরঙ্গ কখন ছুটে আসবে। ওয়েভ উচ্চ থেকে উচ্চমাত্রিক হয়ে উঠে এবং অবশেষে তারা ব্যক্তিকে সমুদ্রে নিয়ে যায়।

সেলফিশ জিন ও মৃত্যু

ইম্মর্টালিটি এন্ড গ্যালাক্টিক মাইন্ড