জিনপুলে ফোর্স-ফিল্ডের কাজ ; আমাদের জিনপুলে ফোর্স ফিল্ড কিভাবে কাজ করে?
পদার্থের তিনটি সাধারণ অবস্থাকে বোঝাতে আমরা কঠিন, তরল বা গ্যাস এই নামগুলো ব্যবহার করি। আর পৃথিবীর সকল পদার্থই পরমাণু দ্বারা গঠিত। আমরা যখন কোনো পদার্থকে সম্ভাব্য সবচেয়ে ক্ষুদ্রতম অংশে কাটার চেষ্টা করব, তখন আমাদের সেই পদার্থের পরমাণুতে এসে থামতে হবে। আর পরমাণু এতটাই ক্ষুদ্র যে, পরমাণুটিকে আরো ক্ষুদ্রতম অংশে কাটার চেষ্ট করলে তখন আমরা আর সেই পদার্থের নির্দিষ্ট মৌলও খুঁজে পাবো না।
পরমাণু তৈরি হয় নিউক্লিয়াস এবং ক্ষুদ্র ইলেকট্রন কণা দিয়ে। এই ইলেকট্রন কণাগুলো নিউক্লিয়াসের চারপাশে খুবই দ্রুত ঘুরতে থাকে। একটি নিউক্লিয়াসের সঙ্গে এর নিকটবর্তী আরেকটি নিউক্লিয়াসের মধ্যে পাওয়া যায় সুবিশাল শূন্যস্থানের অস্তিত্ব। একটি নিউক্লিয়াসকে যদি ফুটবলের সঙ্গে তুলনা করা হয়, তাহলে তার চারপাশে বেশ কয়েক কিলোমিটার দূরত্ব বজায় রেখে ঘুরছে মাছির থেকেও ক্ষুদ্র ইলেকট্রনগুলো। আবার সেই এক ফুটবল থেকে আরেক ফুটবলের দুরত্ব হবে প্রায় ১৫ কিলোমিটার। আর বিস্ময়করভাবেই পাথরের মতো কঠিন পদার্থও আসলে এমন বিশাল শূন্যস্থানসহ সজ্জিত। আর এটি সত্য সকল লোহা, সীসা, কঠিনতম কাঠ কিংবা আমাদের ক্ষেত্রেও, তরল এমনকি বায়বীয় পদার্থের ক্ষেত্রেও।
কিন্তু কোনো দেয়াল কিংবা আমি যদিও বিশাল শূন্যস্থানসহ সজ্জিত, তবুও আমাদের দেহের শূন্যস্থান চাইলেই একটা দেয়ালের শূন্যস্থানের ভিতর দিয়ে হাঁটতে পারি না, এর ভিতর দিয়ে দেখতে পারি না। কোনো পাথর কিংবা দেয়াল ধরলে আমরা শক্ত অনুভব করি। এটা বুঝতে হলে আমাদের অনুধাবন করতে হবে একটা পদার্থে নিউক্লিয়াস আর ইলেকট্রন ছাড়াও আরও বেশি কিছু রয়েছে। আর সেটা হচ্ছে ফোর্স-ফিল্ড। এই রহস্যময় শক্তিই ভিন্ন ভিন্ন উপায়ে পদার্থের নিউক্লিয়াস এবং ইলেকট্রনগুলোকে যেভাবে নিজেদের থেকে দূরে রাখছে এবং শূন্যস্থানের মতো ভ্রম তৈরি করছে, ঠিক অপরদিকে নিউক্লিয়াসগুলোকে তার প্রতিবেশী আরেকটি নিউক্লিয়াসের সঙ্গে নির্দিষ্ট দূরত্বে সংযুক্তও রাখছে। পদার্থের ক্ষেত্রবিশেষে এই শক্তির প্রয়োগ বিভিন্নরকম। দেয়ালের মতো কঠিন পদার্থে এই শক্তি যেভাবে কাজ করছে, সেটাই আমাদের শরীর এবং দেয়ালকে একটা নির্দিষ্ট সীমায় আটকে দিচ্ছে, বাধা দিচ্ছে, তখন দেয়ালে আঘাত করলে আমরা ব্যাথা পাচ্ছি। তরল পদার্থ ও গ্যাসের মধ্যে পরমাণুর গঠনও একই রকম, তবে এখানে ফোর্স-ফিল্ড পরমাণুগুলোকে শিথিলভাবে ধরে রাখে।
কঠিন পদার্থের মধ্যে এই ফোর্স-ফিল্ড, পরমাণুগুলোকে ধরে রাখতে একটা নির্দিষ্ট মাত্রায় কাজ করে। আর আমাদের জিনপুলের মধ্যে কঠিন পদার্থের তুলনায় এই শক্তি কাজ করে আরও কিছুটা শিথিলভাবে। আমাদের জিনগুলো তৈরি হয়েছিল তরল কুণ্ডলীর মতো আদিম সুপ থেকে, আর তরল মানেই সেখানে ফোর্স-ফিল্ড-এর শক্তি কাজ করবে শিথিলতার সঙ্গে। তরল পদার্থের ন্যায় আমাদের জিনগুলোও একটার উপর থেকে আরেকটা পিছলে গড়িয়ে যেতে পারে।
জিনপুলে ফোর্স-ফিল্ডের কাজ ছাড়াও আমাদের প্রাসঙ্গিক আর্টিকেলগুলিঃ
জিনপুলে ফোর্স-ফিল্ডের কাজ ; তথ্যসূত্র:
-
Magic of the Reality
-
The physics of the Stolidity
-
Materialism; what is there between atom and Molecules.
1 মন্তব্য
অসাধারণ লিখেছেন!যদি মহাবিশ্বের প্রতিটি পরমাণু শূন্যস্থান দিয়েই গঠিত হয় তবে শূন্যস্থানের ভেতর শূন্যস্থান সুইপ করার কথা ছিলো কিন্তু সেটি ঘটছেনা৷তার কারণ অদেখা ও অস্পৃশ্য কোনো ফোর্স আমাদের কাছে জগতকে সলিড ও পুরুত্বসম্পন্ন করে তুলেছে…!