ইউনিভার্সিটি অব নিউ ম্যাক্সিকো, ইউ এস এ’র জেফরি মিলার মনে করেন মহাবিশ্বে যদি এক্সট্রা টেরিস্টিয়াল কোন ইন্টিলিজেন্সের অস্তিত্ব থেকে থাকে তবে তারা সেপিওসেক্সচুয়াল ।সাম্প্রতিক সেপিওসেক্সচুয়ালিটি একটি বহুল আলোচিত টপিক। হেট্রোসেকচুয়াল , হোমোসেক্সচুয়াল, ডেমিসেক্সচুয়াল,অ্যাসেক্সচুয়াল এমন অজস্র সেক্সচুয়াল আচরণের মধ্যে সেপিওসেক্সচুলিটি খুবই ইন্টারেস্টিং। সেপিওসেক্সচুয়ালিটি মানে হলো Sex for Intellectual! কিন্তু আমরা সেলফিশ জিন থিয়োরি থেকে জানি, আমাদের জিনের উদ্দেশ্য অধিক সংখ্যক জেনেটিক্যাল কপি তৈরি ও তার রক্ষণাবেক্ষণ। আমাদের জিনের কাছে ইন্টেলেকচুয়ালিটির কোনো মিনিং নেই আর তাই আমাদের ইন্টেলেকচুয়ালিটির প্রতি সেক্স ফিল করার কোনো প্রশ্নই আসেনা, তার কাছে গুরুত্বপূর্ণ বায়োলজিক্যাল সেক্স। এ দৃষ্টিকোণ থেকে চিন্তা করলে সেপিওসেক্সচুয়ালিটির কনসেপ্টটি সম্পূর্ণ ডিভাঙ্ক হয়ে যায়!
কিন্তু বিবর্তনে “ফিটনেস ইন্ডিকেটর” বলতে একটি ব্যাপার আছে! আমাদের পূর্বপুরুষরা যদি কোনো অস্বাস্থ্যকর নারীর সাথে সেক্স করতো তবে তার কাছ থেকে যে সন্তান জন্মগ্রহণ করতো তার Chance of Survival ছিলো সীমিত। আর এ জন্যে প্রাণীদের স্বাস্থ্যকর মেট নির্বাচন করার জন্যে “ফিটনেস ইন্ডিকেটর” এর প্রয়োজনীয়তা দেখা যায় যার মাধ্যমে তারা Law of Conservation অনুসারে অপেক্ষাকৃত কম সময় ও শক্তি খরচ করে খুব সহজে তাদের যোগ্যতম সঙ্গীকে নির্বাচন করতে পারে যার ভেতর সন্তান উৎপাদন করার সম্ভাবনা সর্বাধিক আর এ জন্যই বিবর্তন প্রজাতির মাঝে ফিটনেস ইন্ডিকেটর Evolve করে।

ফিটনেস ইন্ডিকেটর হলো এমন এক ধরণের সিগনাল যার মাধ্যমে নারী পুরুষকে তার জেনেটিক্যাল অবস্থা জানায় (Vice Versus ), আর পুরুষের মস্তিষ্কে তার জেনেটিক্যাল শিক্ষা অনুযায়ী সাব-কনসাসলি সেটা রিয়েলাইজ করতে পারে এবং তার প্রতি আকৃষ্ট হয়।যেমন-ময়ুর তার লম্বা লেজের মাধ্যমে তার সঙ্গীর কাছে ফিটনেসের সিগনাল প্রেরণ করে। ফিটনেস সিগনাল গেম থিওরেটিক সিগনালিং প্রিন্সিপ্যালের উপর নির্ভরশীল। ফিটনেস ইন্ডিকেটরকে হতে হবে বড়, জটিল, ব্যায়বহুল ও সুনির্দিষ্ট যা দূর্বল বা ফেইক অর্গানিজমের বিবর্তনকে অবজ্ঞা করে। বিভিন্ন প্রকারের ফিটনেস ইন্ডিকেটরের মধ্যে রয়েছে শিকারীদের ভয় দেখানো, প্রতিযোগীদের প্রতিহত করা এবং আন্তরিক প্যারেন্টাল ক্যায়ার ইত্যাদি। কিন্তু ফিটনেস ইন্ডিকেটরের মধ্যে সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য যেটা বিকশিত হয়েছে সেটি সেক্সচুয়াল সিলেকশনকে প্রভাবিত করে। একজন সঙ্গী অন্য আর একজনের সবচেয়ে Informative Fitness Indicator দেখেই তার প্রতি আকর্ষণ প্রকাশ করে যার মাধ্যমে সে বুঝতে পারে ঐ সঙ্গীর সন্তান জন্মদান ও লালন পালনের ক্যাপাসিটি সার্বাধিক।(ব্যাপারটি সাব-কনসাসলি ঘটে যার কারণ আমরা বুঝতে পারিনা, যেটাকে আমরা অযৌক্তিক প্রেম বলি)।
বিস্তারিত জানুন-স্পার্মওয়্যার এন্ড অর্গাজম
সেক্সচুয়ালি সিলেক্টেড ফিটনেস ইন্ডিকেটরের মধ্যে কিছু আছে অর্নামেন্টস বা অলঙ্কার। কিছুকিছু মাছ তাদের শরীর থেকে আলট্রাভায়োলেট রশ্নি প্রতিফলিত করতে পারে যা দেখে তার সঙ্গী আকৃষ্ট হয়। বায়োলজিক্যাল অর্নামেন্টস ছাড়াও এমন কিছু সাইকোলজিক্যাল অর্নামেন্টস আছে যার মাধ্যমে মেন্টাল ফিটনেসের সিগনাল সেন্ড করা হয়। যেমন- পাখিরা শিশ দিয়ে তার সঙ্গীদের আকৃষ্ট করে এবং মানুষ মিউজিকের মাধ্যমে।

আমাদের পূর্বপুরুষরা মেন্টাল ফিটনেসের সিগনাল সেন্ড করার জন্যে ইন্টিলিজেন্ট, ল্যাঙ্গুয়েজ, ক্রিয়েটিভিটি এবং হিউমারকে ব্যবহার করতো। ময়ুর তার লম্বা পেখমের মাধ্যমে, নারীরা তাদের ভরাট নিতম্ব বা HR এর মাধ্যমে যেমন তাদের বায়োলজিক্যাল ফিটনেসের সিগনাল সেন্ড করতো ঠিক একইভাবে সেক্সচুয়াল সিলেকশনে সাইকোলজিক্যাল ফিটনেসের প্রতিনিধিত্ব করতো আর্ট,মিউজিক, ইন্টিলিজেন্স,ক্রিয়েটিভিটি এবং সেন্স অব হিউমার ইত্যাদি।

কারন একজন ইন্টেলেকচুয়াল পারসনের পক্ষেই কেবল সম্ভব তার তার ফিউচার জেনেরেশনকে সঠিক ভাবে রক্ষণাবেক্ষণ করা! ঠিক এ জন্যেই হয়তো বিবর্তন আমাদের মাঝে ইন্টেলেকচুয়ালিটির প্রতি একপ্রকার সাবকনসাস সেক্স তৈরি করে রেখেছে! যেটাকে তথাকথিত সেপিওসেক্সচুয়ালিটি বলা হয়! সেপিওসেক্সচুয়ালরা ইন্টিলিজেন্ট ডিজাইনের উপর ভিত্তি করে আকৃষ্ট হয় যা তাদের মস্তিষ্কে ডোপামিন, সেরেটোনিন এবং নরপিনপেরিন হরমোন তৈরি করে যেটাকে আমরা প্রেম বলি!
সেপিওসেক্সচুয়াল সিলেক্টেড মেন্টাল ফিটনেস ইন্ডিকেটরকে আমাদের কাছে ডি এন এ-বেসড টেরিস্টিয়াল বায়োলজির মতো মনে হতে পারে। প্রতিটি জেনেটিক ট্রান্সমিশন সিস্টেমে রেপ্লিকেশন ফেডাল্টি এবং র্যান্ডম মিউটেশনের মধ্যে ব্যালান্স করা হয়। কমপ্লেক্স অর্গানিজমের ক্ষেত্রে এটা নির্ভর করে বিশাল মাপের জেনেটিক্যাল ইনফরমেশনের উপর, অধিকাংশ মিউটেশন ঘটে নিউট্রাল অথবা ক্ষতিকর তাদের আবাস্থল ,শারীরিক অবস্থা, জেনেটিক ইনফ্রাস্ট্রাকচার এবং ফেনোটাইপিক ফর্ম নির্বিশেষে। অন্য আর একজন ব্যাক্তির মাঝে যদি রেগুলার জিন মিক্সিং সম্ভব না হয় তবে তারা বংশানুক্রমে মিউটেশনাল মেল্ট ডাউনের শিকার হয়, যেটাকে অ্যানথ্রোপিক ক্যাটাস্ট্রপি বলে এবং তারা খুব শীঘ্রই বিলুপ্ত হয়ে যায়। এরর মিউটশনকে আদর্শ প্রদান ও সেক্সচুয়াল সমন্বয়ের মাধ্যমে প্রতিটি ব্যক্তির মধ্যে জেনেটিক্যাল ভেরিয়েশন তৈরি হয়। নির্দিষ্ট সেক্সচুয়াল প্রতিলিপি এবং জেনেটিক ভেরিয়েশনের কারণে জীব পুরস্কার পায় বিশেষ ফিটনেস ইন্ডিকেটরের প্রতি মনযোগী হওয়ার মাধ্যমে। আর এ জন্যে ফিটনেস ইন্ডিকেটরকেও আরো বড়, জটিল,সুস্পষ্ট ও আকর্ষণীয় হতে হয়।
জ্ঞান ও কমিউনিকেশনের ক্ষমতা বিশেষভাবে ইনফরমেটিভ ফিটনেস ইন্ডিকেটর তৈরি করে যাদের আভ্যন্তরীণ কম্পিউটেশনাল সিস্টেম জটিল, সুনির্দিষ্ট। অতএব এটা বিশেষভাবে ক্ষতিকর মিউটেশনের জন্যে অরক্ষিত, এটি বিশেষভাবে ফিটনেসের ব্যাপারে ইনফরমেটিভ এবং এতে করে তারা একে অপরের কাছে সিগনাল পাঠাতে পারে যা এভোল্যুশনালি তাদের ইন্টেলেকচুয়ালিটি বৃদ্ধি করে। অতএব আমরা প্রত্যাশা করতেই পারি এক্সট্রা-টেরিস্টিয়াল ইন্টিলিজেন্টরা এমন একটি লাইফ ফর্ম থেকে এসেছে যারা সেক্সচুয়ালি বংশবৃদ্ধি করে, যারা তাদের সঙ্গীর ব্যাপারে খুঁতখুঁতে এবং তারা তাদের মেন্টাল ফিটনেস সেপিওসেক্সচুয়াল এলিয়েন ইন্ডিকেটরের প্রতি আকৃষ্ট!!
এর মানে হলো যারা তাদের সঙ্গীর সাইকোলোজির প্রতিও সচেতন তারাই এ গ্রহে আরও উন্নত বুদ্ধিমত্তা বা এক্সট্রা টেরিস্টিয়াল ব্রেন জন্ম দেবে…
সেপিও সেক্সুয়াল এলিয়েন; তথ্যসূত্র:
আমাদের প্রাসঙ্গিক পোস্টগুলো পড়ুন–