মুসলিমদের কি মানবাধিকার আছে? যৌক্তিকভাবে বলতে গেলে মুসলিমদের হিউম্যান রাইট নেই। কারণ মানবাধিকার মানুষের জন্য, মুসলিমরা অমানুষ। এমনকি একজন মুসলিম শিশুও মানুষ নয় কারণ জন্মের সময় সে মানুষ হিসেবে জন্মায় না, জন্মের সময় সে মুসলিম শিশু হিসেবে জন্মায়। আর তাই আপনি যদি একজন মুসলিম শিশুকে হত্যা করেন, তবে আপনি মানুষ নয়, একজন মুসলিমকে হত্যা করেছেন!! একজন মুসলিমের প্রথম পরিচয় হোমোস্যাপিয়েন্স নয়, মুসলিম। এমনকি সে এটাও স্বীকার করে না যে সে বিবর্তন প্রক্রিয়ায় তৈরি হয়েছে। সে বিশ্বাস করে না, তার ডিএনএর ৮৪% জিনের সাথে কুকুরের মিল, ৮০% গরুর, ৯৮.৮% শিম্পাঞ্জি ও গরিলার, ৬০% কলা এবং ৫৫% ভাতের। সে পৃথিবীর সাথে তার কোনো রিলেশন স্বীকার করে না, সে মনে করে তাকে আল্লাহ নিজ হাতে তৈরি করেছে, সে এলিয়েন!! মুসলিমরা মানুষ নয়, তারা এলিয়েন। তারা পৃথিবীর অবৈধ অনুপ্রবেশকারী। এজন্য তারা হিন্দু, বোদ্ধ, খ্রিষ্ঠান অথবা ইহুদিদের নিজেদের শত্রু মনে করে। তাদের চোখে নাস্তিক, আজ্ঞেয়বাদী, বস্তুবাদী, বিজ্ঞানী, দার্শনিক, ধর্মনিরপেক্ষ, নারীবাদী, ও আধ্যাত্মবাদী সবাই তাদের শত্রু। একজন মুসলিম ইসলাম ধর্ম গ্রহণের পর থেকেই মানবতাবিরোধী হয়ে যায় কারণ ইসলাম ধর্ম অন্যান্য ধর্ম ও সাংস্কৃতিক ব্যাকগ্রাউন্ডের মানুষকে কাফের, মুশরিক শয়তান ও অমানুষ হিসেবে ট্রিট করে। সুযোগ পেলে তাদের ধর্মান্তরিত ও হত্যা করার চেষ্টা করে। ইসলাম একটি অমানবিক ও ফ্যাসিস্টিক ধর্ম। আপনি মুসলিম, মানে আপনি একজন স্ব-স্বীকৃত অমানুষ। কোনো মানুষ মুসলিম হতে পারে না। কোরআনে সুরা তওবা, সুরা আনফাল ও সুরা বাকারায় পুনরাবৃত্তিমূলকভাবে অধার্মিক, নাস্তিক ও বিধর্মীদের হত্যা করতে বলা হয়েছে। মুসলিমরা বিশ্বাস করে, তাদের ধর্ম একমাত্র সত্য ধর্ম, আর এটা জোরপূর্বক অন্যদের উপর চাপিয়ে দিতে হবে। তারা মুসলিম ব্যতিত অন্য কোনো ধর্মের মানুষের জীবনের মূল্য স্বীকার করে না। ইহুদি, খ্রিষ্ঠান ও হিন্দুদের সামনে মুসলিমদের হত্যা করা ছাড়া আর কোনো অপশন নেই। আপনার কোরআন যেখানে সুস্পষ্টভাবে আমাকে হত্যার আদেশ দিয়েছে, সেখানে আমি আপনাকে হত্যা না করে কীভাবে সার্ভাইভ করব? আপনি এলিয়েন বলে আপনার জীবনের মূল্য আছে আর আমি পৃথিবীর স্থানীয় জীব বলে আমার জীবনের কোনো মূল্য নেই? আপনি মুসলিম বলে আপনার জীবন মূল্যবান, আর আমার জীবন মূল্যহীন? পৃথিবীর কোনো মানবাধিকার সংস্থা যদি মুসলিমদের পক্ষে দাঁড়ায়, তবে তারা যৌক্তিকভাবে মানবাধিকারের নীতিমালা লঙ্ঘন করে কারণ তারা এমন কারও জীবন রক্ষা করতে চায়, যারা পৃথিবীর সকল মানুষকেই হত্যা ও ধর্মান্তরিত করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। পৃথিবীর কোনো মানবাধিকার সংস্থা যদি মুসলিমদের পক্ষে দাঁড়ায় তবে সে নিজেই অমানবিক, ভীতু অথবা উন্মাদ। সে মারের ভয়ে বাধ্য হয়েছে মুসলিমদের পক্ষে দাঁড়াতে, এটা তার পলিটিক্যাল কারেক্টনেস, ফ্রি উইল নয়। কোরআন এমন একটি প্যারাসাইটিক গ্রন্থ যা মুসলিমদের গণশত্রুতে পরিণত করেছে, সারাবিশ্বের ৭৫-৭৬% অমুসলিমের বিপক্ষে ২৫% অসহায় ও নির্বোধ মুসলিমকে প্রতিদ্বন্ধী ও শত্রু হিসেবে দাঁড় করিয়ে দিয়েছে। মুসলিমদের সবচেয়ে বড় শত্রু ঈহুদি বা খ্রিষ্ঠান নয়, মুসলিমদের সবচেয়ে বড় শত্রু কোরআন, হাদিস ও মোহাম্মদ। তারা কোরআনকে অন্ধভাবে মানতে গিয়ে সমগ্র বিশ্বের মানুষের কাছে অমানুষ, হিংস্র, স্বার্থপর, একরোখা, অমানবিক, ফ্যাসিস্ট, সোশিওপ্যাথ ও সাইকোপ্যাথে পরিণত হয়েছে। মুসলিমদের সাথে মোহাম্মদ (স) কত কোটি বছরের শত্রুতা আমি জানি না। যদি তা নাই হবে, তবে, কেন তিনি ১৫০০ পূর্ব থেকে মুসলিমদের বিশ্বের মানুষের কাছে খুনি, সন্ত্রাসী ও জঙ্গী হিসেবে উপস্থাপনের জন্য ষড়যন্ত্র করে যাচ্ছেন? তিনি কি চান না, মুসলিমরা বিজ্ঞান, প্রযুক্তি, দর্শন, মানবতাবাদ, মুক্তচিন্তা ও নৈতিকতা নিয়ে মানুষের মতো সার্ভাইভ করুক? তিনি কেন মুসলিমদের পৃথিবী বিদ্বেষী ও অস্তিত্ববিরোধী করে গড়ে তুলেলন? কেন তিনি মুসলিমদের উশৃঙ্খল একটি ভাইরাসের হোস্টে পরিণত করলেন? মুসলিমরা এত ট্যালেন্ট, তারা পৃথিবীর কত বড় বড় বিজ্ঞানীর ভুল ধরে কিন্তু তারা নিজের নবীর ভুল বা পাগলামিগুলো কেন দেখতে পায় না? এখান থেকে প্রমাণ হয় ইসলাম একটি মানসিক রোগ, এটি কোনো ধর্ম নয়, এটি মানুষকে মুক্তচিন্তা করতে দেয় না। নেমাটোমর্ফ হেয়ারওয়ার্ম নামক একটি প্যারাসাইট আছে, এটি সংক্রমিত হলে ঘাস ফড়িং নিজের ইচ্ছায় সুইসাইড করে। মুসলিমরাও মোহাম্মদের তৈরি এক একটি সুইসাইড বোমা। ১৫০০ বছর পূর্বে আরবের মানুষের সাথে মোহাম্মদের জটিল কোনো মানসিক ক্রায়সিস ছিল। মোহাম্মদ মনে হয়, মুসলিমদের মাধ্যমে তার মনের গভীর কোনো ক্ষোভ বা ট্রমা প্রকাশ করছেন! মুসলিমদের সাইকোলজি এমন, আমাদের পিটিয়ে মেরে ফেলা উচিত ঈহুদি ও খ্রিষ্ঠানদের। কারণ নয়তো কোনো না কোনোদিন ঠিকই আমরা ওদের পিটিয়ে মারব। কারণ মুসলিমদের ডিজাইন করা হয়েছে বিধর্মীদের আক্রমণের জন্য, হত্যা করার জন্য। জলাতঙ্ক আক্রান্ত কুকুরের প্রতি আপনি যতই মানবতা প্রদর্শন করেন, সে আপনাকে কামড়াবেই। মুসলিমদের হাত থেকে বাঁচার একটাই অপশন ইসলাম ধর্ম গ্রহণ ও বিধর্মীদের হত্যার প্রস্তুতি! মানে আপনি ইসলাম গ্রহণ করলেও যে ওরা আপনাকে শান্তিতে বাঁচতে দেবে তা নয়, আপনাকে যুদ্ধের জন্য প্রশিক্ষণ দেবে। অর্থাৎ হয়তো তুমি মরবে অথবা ওদের মারবে! মুসলিমদের বাঁচিয়ে রেখেছে পরীমনি ও শাকিব খানের মতো সো-কলড মুসলিমরা। একজন হার্ডকোর মুসলিমের পক্ষে পৃথিবীতে সার্ভাইভ করা অসম্ভব!
