Can't find our books? Click here!
মিচিও কাকু ও পোনামাছ

মিচিও কাকু ও পোনামাছ

আমি জানতে চাই ঈশ্বর কিভাবে জগতকে তৈরি করেছেন। ঈশ্বরের ব্যাপারে আমার কোন কিউরিসিটি নেই। আমি তার চিন্তা সম্পর্কে জানতে চাই, বিস্তারিত বিবরণ। ___আইনস্টাইন

মাঝেমাঝে মিচিও কাকু একটি জাপানিজ চা বাগানে বেড়াতে যেতেন যেটি সানফ্রান্সিসকোতে অবস্থিত। কখনো কখনো তিনি একটি জলাশয়ের নিকট গিয়ে দাঁড়িয়েও থাকতেন। জলাশয়টিতে উজ্জ্বল রঙিন একুরিয়ামের ছোট মাছগুলি সুইম করতো আর পানির উপরের সম্পূর্ণ স্তর ছিল শাপলা আবৃত। উপরের পৃথিবী, গ্যালাক্সি ও মহাকাশ সকলকিছু থেকে তারা ছিল বিচ্ছিন্ন। আর ঠিক সে সময় তিনি কল্পনার সমূদ্রে ডুবে যেতেন। পোনামাছগুলো তাদের চারপাশের জগত সম্পর্কে কি ভাবে? তারা হয়তো বিশ্বাস করে তাদের সম্পূর্ণ জগত অস্পষ্ট পানি ও শাপলা দিয়ে আবৃত। তারা অধিকাংশ সময় পানির তলদেশে বাস করে, তারা একেবারেই জানেনা তাদের উপরে বসে আছে একটি এলিয়েন ইউনিভার্স। আমাদের জগতের প্রকৃতি কেমন তা ছিল ওদের কাছে সম্পূর্ণ অজানা।

Pin on Science
মিচিও কাকুর ছেলেবেলা

ছোট্ট কাকু ভীতসন্ত্রস্ত হয়েছিলেন এই ভেবে যে, আমি শুধুমাত্র ক্ষুদ্র রঙিন মাছগুলো থেকে মাত্র কয়েক ইঞ্চি দূরে কিন্তু তাদের আর আমার মাঝে কাজ করছে বিশাল এক ফাটল। আমি ও ওরা দুটি আলাদা মহাবিশ্বে বাস করছি কিন্তু কেউই কারো জগতে প্রবেশ করছিনা, আমরা শুধু একটি সুক্ষ্ম পর্দা দ্বারা পৃথক, আর সেটি ছিল পানির পৃষ্ঠ। পোনাদেরও বিজ্ঞানী ছিল। একবার একজন বিজ্ঞানী তাদের কাছে প্যারালাল ওয়ার্ল্ডের সম্ভাবনার কথা প্রস্তাব করলেন। এ কথা শুনেই, মাছদের প্রথাগত বিজ্ঞানীরা তাকে ঠাট্রা বিদ্রুপ করতে শুরু করলো। তারা বিশ্বাস করতে চাইছিলোনা যে, যে জগতকে তাদের স্কিনের স্নায়ুতন্ত্র স্পর্শ করতে পারেনা অথবা যা রেটিনায় প্রবেশ করে না, সে জগত অস্তিত্বশীল হতে পারে! তাদের চিন্তা ছিল এমন যে, জগতের অস্তিত্বের জন্য চোখ আর চামড়া প্রয়োজন । তাদের কাছে জলাশয়ই ছিল সবকিছু।পানিহীন কোন অদেখা জগত তাদের কাছে কোনো সায়েন্টিফিক সেন্স তৈরি করতোনা। [ আরো দেখুন-প্যারালাল ওয়ার্ল্ড- মিচিও কাকু ]

আকাশে বিদুৎ চমকায়! প্রচন্ড জোরে বর্জ্রপাত হয়। ছোট্ট কাকু বৃষ্টির কবলে পড়ে, ফিট ফিট করে তাকিয়ে দেখে, পানির পৃষ্ঠে সৃষ্টি হয়েছে বিক্ষোভ, আকাশ থেকে যেনো ফোটায় ফোটায় পরমাণু বোমা শাঁ শাঁ করে এসে পতিত হয় ওয়াটার সারফেজে আর বিস্ফোরিত হয়ে তৈরি করে বিপুল তরঙ্গ। তরঙ্গের প্রবল ধাক্কায় শাপলাগুলো দিগ্বিদিক ছুটে বেড়াতে থাকে পাগলের মতো। কাকু বাতাস ও বৃষ্টি থেকে আশ্রয় গ্রহণ করে আবার ভাবতে থাকে। কেমন ফিল করছে পোনামাছরা? তাদের কাছে হয়তো মনে হচ্ছে, শাপলাগুলো তাদের ঘিরে আবর্তিত হচ্ছে, কোনোকিছুর ধাক্কা ছাড়াই। আসলে তারা যে পানিতে বাস করে , সে পানিকেই তারা দেখেনা ঠিক যেমনি আমরা স্পেস ও বাতাসকে দেখিনা। তারা হয়তো বিভ্রান্ত হয় এই ভেবে যে, শাপলাগুলো তাদের চারপাশে ঘুরছে। যাইহোক। একজন বুদ্ধিমান পোনা বিজ্ঞানী চালাকি করে এটাকে “ফোর্স” বলে চিহ্নিত করে । আসলে তারা তাদের অজ্ঞতাকেই অন্তরাল করেছিল। তারা অদেখা সারফেসের পানির তরঙ্গকে অনুধাবন করতে তো পারেই’ নি বরং তারা প্রচার করতে শুরু করে, শাপলাগুলো কোনোকিছুর স্পর্শ ছাড়াই রহস্যজনক একটি সত্ত্বার উপস্থিতিতিতে মুভ করে, তারা যেটিকে তারা নাম প্রদান করেছিল ফোর্স।

এবার ছোট্ট কাকু ভাবলো, আমি যদি ওদের একজন বিজ্ঞানীকে পানি থেকে উপরে তুলে নেই তবে তারা কী ভাববে? হয়তো সে খুব অস্থিরভাবে লাফালাফি করবে। আর এদিকে জলাশয়ের ভেতরের বিজ্ঞানীরা এক মহা দ্বন্ধে পড়ে যাবে। তারা দেখবে, তাদের বিজ্ঞানী সহসাই অদৃশ্য হয়ে গেছে, মহাবিশ্বে কোন চিহ্ন না রেখেই। তারা সমস্ত জলাশয় সার্চ করবে কিন্তু কোথাও কোন বিন্দুতে কোন চিহ্ন নেই। কোনপ্রকার প্রমাণ না রেখেই সে হারিয়ে গেছে। তারপর যখনই তাকে পূনরায় পানিতে রাখা হবে, মাছ বিজ্ঞানীদের কাছে মনে হবে সে সহসা শূন্য থেকেই দৃশ্যমান হয়েছে। আর ঠিক তখন থেকে তাদের জগতে এটি অতিমানবিক ঘটনা বা মিরাকল হিসেবে পরিচিতি পাবে।

কিডন্যাপ হওয়া বিজ্ঞানী কোনোপ্রকার সতর্কতা ছাড়াই বলতে শুরু করবে , আমাকে কোন এক রহস্যজনক সত্ত্বা এ মহাবিশ্ব থেকে উত্তোলন করেছিলেন এবং এমন একটা জগতে নিয়ে ফেলে দিয়েছিলেন যে জগতটি চোখ জলসে দেয়ার মত উজ্জ্বল আলো দ্বারা আবৃত, সেখানে প্রতিটি বস্তুর অদ্ভুত সব গঠন যা আমি আগে কখনো দেখিনি। তাদেরকে দেখে একটুও মাছের মত মনে হয়নি। আমি খুবই হতবাক হয়েছিলাম , সে জগতের কোন সত্ত্বারই কোন পাখা নেই কিন্তু তবুও তারা মুভ করে আর এরকম বিস্ময়কর একটা প্রাণী আমাকে বন্দী করে রেখেছিল অচেনা মহাবিশ্বে । আমি হতবাক হয়ে দেখেছি, আমাদের বিশ্বের সুত্র সে জগতে কাজ করছেনা আর। কিন্তু আকস্মিক আমি দেখি, আমি এখানে, আগের জায়গায়। হাসি, ঠাট্টা আর বিদ্রুপ ছাড়া তার ভাগ্যে আর কিছু জুটলো না। সবাই তার এই অর্থহীন কথাবার্তাকে প্রত্যাখ্যান করে দিল সাইকোপ্যাথ অথবা উন্মাদ বলে!

প্রশ্ন হলো, আমরাও কী সেই পোনামাছদের মত? যারা সন্তুষ্টির সাথে জলাশয়ে সুইম করছি? আমরাও খুব আত্মবিশ্বাসের সাথে সেই জলাশয়ে জীবন যাপন করছি যেটি আমরা দেখি ও স্পর্শ করতে পারি? তাদের মতোই আমাদের জগতও পরিচিত ও দৃশ্যমান? আমরা দূর্ণীতিবাজের মতো এটা শিকার করতে অস্বীকৃতি প্রকাশ করছি যে, আমাদের জানাশোনার অতীতে প্যারালাল ইউনিভার্স অস্তিত্বশীল? যেটি আমাদের বোধগম্যতার উর্ধ্বে। যদি আমাদের বিজ্ঞানীরা ফোর্সের মত কোন একটি কনসেপ্ট আবিষ্কার করে। এর একমাত্র কারণ হল আমরা আসলে পোনামাছদের মতো অদৃশ্য ভাইব্রেশন দেখিনা যা এম্পটিস্পেসকে পরিপূর্ণ করে রেখেছে। কিছু বিজ্ঞানী হায়ার ডায়মেনশনের নামও উল্লেখ করতে প্রস্তুত নয় কারণ তারা এটিকে প্রচলিত উপায়ে পরিমাপ করতে জানেনা।দারিদ্র‍্যতার কারণে কাকুর বাবা মা তাকে নিয়ে খুবই ভীতসন্ত্রস্ত ছিলেন। যে ছেলে আইনস্টাইনের অসমাপ্ত পেপার, নিয়ে কৌতুহলি! সে ছেলেটিই নাকি অর্থের অভাবে পড়াশুনা করতে পারবেনা। কী অদ্ভুত নিয়তি! কিন্তু ছেলেবেলায় তিনি কয়েকটি সায়েন্স প্রজেক্টে পুরস্কার পেয়েছিলেন যা এটমিক সায়েন্টিস্ট এডওয়ার্ড টেলারের দৃষ্টি আকৃষ্ট করে।

তার স্ত্রী দয়াপরবশত তাকে হার্ভার্ডে ৪- বছরের স্কলারশিপের ব্যবস্থা করে দেন। কাকু একসময় বুঝতে পারেন , আইনস্টাইনের মৃত্যুর পর ছেলেবেলায় তার শিক্ষকবৃন্দ যে অসম্পূর্ণ পেপারটি নিয়ে দুঃখ্য প্রকাশ করেছিলেন সেটির সাথে টি-গার্ডেনের সেই পোনা মাছদের একটা সম্পর্ক আছে! কিন্তু খুবই দুঃখ্যজনকভাবে প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা অর্জন করতে এসে তিনি দেখেন, হায়ার ডায়মেনশন নিয়ে তার আগ্রহ ক্রমাগত মৃত্যুবরণ করতে থাকে। সকল বিজ্ঞানী ফান্ডামেন্টাল ফোর্সগুলোকে আলাদা আলাদা ভাবে উচ্চতর গণিতের মাধ্যমে স্টাডি করছে। একবার তিনি তার ইনস্ট্রাক্টরের জন্য ইলেক্ট্রো-ডায়নামিক্সের একটি সমস্যা সমাধান করতে গিয়ে তাকে প্রশ্ন করেছিলেন, এ সলিউশনটা কেমন হবে যদি স্পেস হায়ার ডায়মেনশনে বক্র হতো?

তিনি কাকুর দিকে অদ্ভুত চোখে তাকিয়ে থাকেন। যেনো তিনি কিছুটা চিড়গ্রস্ত। একটা সময় অন্যান্য ছাত্রদের মতো তিনিও তার ছেলেবেলার হায়ার ডায়মেনশনের সেই ধারণাটিকে এক পাশে রেখে দুঃখিত মনে পড়াশুনা করতে বাধ্য হন। তিনি বলেন, আমাকে বলা হয়েছিল, হাইপারস্পেস সিরিয়াস স্টাডির জন্য ভালো কোন সাবজেক্ট নয়। তিনি পদার্থবিজ্ঞানীদের এ সম্পর্কহীন পদক্ষেপ দেখে কখনোই সন্তুষ্ট হতে পারেননি। মাঝেমাঝে তার চিন্তা টাইম ট্রাভেল করে সেই চা বাগানের পোনা মাছদের কাছে চলে যেতো।

আমরা আজ ম্যাক্সওয়েলের ইলেক্ট্রিসিটি ও ম্যাগনেটিজমের ইকুয়েশন সম্পর্কে খুব ভালো করেই জানি, এটা বিস্ময়করভাবে খুব দারুণ কাজ করে কিন্তু এ ইকুয়েশনটি আসলে যাদৃচ্ছিক মনে হয়েছিল তার নিকট। তিনি বলেন, আমি মনে করি পদার্থ বিজ্ঞানীরা এটিকে “ফোর্স” বলেছেন কারণ তারা আসলে তাদের অজ্ঞতাকে আড়াল করেছেন কারণ তারা জানেনা যে বস্তু কিভাবে মুভ করে স্পর্শ ছাড়াই। তিনি তার গবেষণায় একটি বিতর্কের দেখা পান, কিভাবে আলো শূন্যস্থানে ট্রাভেল করে। নক্ষত্র থেকে ট্রিলিয়ন ট্রিলিয়ন মাইল দূরত্ব অতিক্রম করে কিভাবে তাদের পক্ষে সম্ভব কোন শ্রম ছাড়াই মহাবিশ্বের এক প্রান্ত থেকে অন্য প্রান্তে চলে যাওয়া।

পরীক্ষার মাধ্যমে দেখা যায় যে, আলো একটি তরঙ্গ। আলো যদি ওয়েভ বা তরঙ্গই হবে তবে কী তরঙ্গায়িত হচ্ছে? শব্দ তরঙ্গের জন্য “বাতাস” প্রয়োজন। পানির তরঙ্গের জন্য “পানি” প্রয়োজন, কিন্তু যদি শূন্যস্থানে তরঙ্গায়িত হওয়ার জন্য কোনোকিছুই না থেকে থাকে, If there is nothing to Wave? কিভাবে আলোকে আমরা তরঙ্গ বলছি? আর আলো যদি তরঙ্গ নাই হয় তবে কিভাবে এটি এত বিলিয়ন আলোকবর্ষ পাড়ি দিচ্ছে? কোনোকিছুই ভাইব্রেট করছেনা তবুও ভাইব্রেশন তৈরি হচ্ছে এটা আসলে একটা প্যারাডক্স। এবার পদার্থ বিজ্ঞানীরা দাবি করলেন ইথারের অস্তিত্বের কথা! বলা হলো, শব্দ যেমন বাতাসে কম্পন তৈরি করে ঠিক তেমনি আলোক তরঙ্গও ইথারের কম্পনে তৈরি হয়। এই ইথারই সমস্ত মহাশূন্যকে দখল করে রেখেছে। কিন্তু এবার বিজ্ঞানীরা একদম পরিস্কারভাবে প্রমাণ করে দেখালেন যে ইথার বলতে আসলে কোনোকিছুর অস্তিত্ব নেই। আলোকে একটি বিকল্প তত্ত্বের মাধ্যমে ব্যাখ্যা করা যায় যে তত্ত্বটির সাথে মিচিও কাকু অনেকটা এক্সিডেন্সিয়ালি ধাক্কা খেয়েছিলেন। এই প্রথম তিনি কালুজা ক্লেইন থিওরির সাথে পরিচয় লাভ করেন। আসলে এ তত্ত্বটিকে প্রথমে সবাই জংলী কিছু জল্পনা কল্পনা মনে করেছিল । আর এ জন্য এটি গ্র‍্যাজুয়েট স্কুল গুলোতে শিক্ষা দেয়া হয়নি । যার জন্য তরুণ পদার্থ বিজ্ঞানীরা তাদের ক্যাজুয়াল রিডিং থেকে এটাকে বাদ দিয়ে রাখতো। এ অল্টারনেটিভ তত্ত্বই আলোর সরল একটা এক্সপ্লেইনেশন প্রদান করে।

আর সে সিম্পল ব্যাখ্যাটা ছিল, আলো আসলে ফিফথ ডায়মেনশনের ভাইব্রেশন যেটিকে রহস্যবাদীরা এক সময় ফোরথ ডায়মেনশন বলে জানতো। যদি আলো শূন্যস্থানে ভ্রমণ করে তাহলে হয়তো শূন্যস্থান নিজেই কম্পন করছে কারণ আমরা আমাদের এই ফোর্থ ডায়মেনশনাল স্পেসে যে এম্পটিনেস দেখছি এটি আসলে ফিফথ ডায়মেনশনে অস্তিত্বশীল। আমরা যখনই ফিফথ ডায়মেনশনকে যোগ করি, তখনই বিস্ময়কর ও অত্যন্ত সরল একটি উপায়ে লাইট ও গ্র‍্যাভিটিকে একীভূত করতে পারি।

মিচিও কাকু এবার আবার তার ছেলেবেলার টি-গার্ডেনে ফিরে যায়, এবং তিনি অনুধাবন করেন, এটা হলো সেই গাণিতিক তত্ত্ব যেটা তিনি সেই ছেলেবেলা থেকে অনুসন্ধান করছিলেন। যাই হোক, কালুজা ক্লেইনের তত্ত্বের মধ্যে কিছু ত্রুটি ছিল। এবং বিভিন্ন কারণে এটি ছিল অত্যন্ত কঠিন। বিগত শতাব্দীতে এসবকিছু পরিবর্তন হয়ে যায়। আরো উন্নত ভার্সনের নতুন তত্ত্ব গঠিত হয়, সুপারগ্র‍্যাভিটি তত্ত্বের মতোই এবং যেটাকে বিশেষভাবে সুপারস্ট্রিং তত্ব বলে, যেটি অবশেষে এ তত্ত্বের জটিলতা দূর করে। সহসা হায়ার ডায়মেনশনের তত্ত্ব বিশ্বের রিসার্চ ল্যাবরেটরি গুলোতে চ্যাম্পিয়নশিপ অর্জন করতে থাকে । এখন অজস্র নেতৃত্বস্থানীয় বিজ্ঞানী বিশ্বাস করেন যে, আমাদের ফোর্থ ডায়মেনশনাল মহাবিশ্বের উর্ধ্বেও মাত্রা আছে। এই ধারণা ক্রমবর্ধমান সায়েন্টিফিক ইনভেস্টিগেশনের একটি ফোকাল পয়েন্টে পরিণত হয়। প্রকৃতপক্ষে কিছু বিজ্ঞানী মনে করেন হায়ার ডায়মেনশন আসলে একটি বোধগম্য তত্ত্ব গঠনের উদ্দেশ্যে প্রতারণামূলক পদক্ষেপ__যেটিকে হাইপারস্পেস বলা হয়। যদি এ তত্ত্ব সত্য প্রমাণিত হয়, তবে ভবিষ্যতের ইতিহাস আবার নতুন করে লিখতে হবে, এটি বিশ শতকের সেরা একটি উপলব্ধি যা প্রকৃতির গভীর রহস্য উন্মোচন করে এবং হতে পারে সৃষ্টির মূল প্রকৃতি। এই সেমিনাল কনসেপ্ট সায়েন্টিফিক গবেষণায় ঝড় তোলে। বিশ্বের বিভিন্ন রিসার্চ ল্যাবরেটরি থেকে হাজার হাজার পেপার স্তুপিকৃত হতে থাকে যেগুলো হাইপারস্পেসের প্রোপার্টি উন্মোচনের জন্য নিয়োজিত। নিউক্লিয়ার ফিজিক্স ও ফিজিক্স ল্যাটার নামক দুটি নেতৃত্বস্থানীয় জার্নাল এ তত্ত্বের বিশ্লেষণমূলক পেপারের মহাপ্লাবনে ভেসে যায়। হায়ার ডায়মেনশনের প্রভাব এক্সপ্লোর করার জন্য ২০০ ইন্যারন্যাশনাল ফিজিক্স কনফারেন্স আয়োজন করা হয়। কিন্তু আমাদের মহাবিশ্ব হায়ার ডায়মেনশনে অস্তিত্বশীল এটি এক্সপেরিমেন্টালি সত্যায়িত করা আমাদের পক্ষে এখনো সম্ভব হয়ে উঠেনি। যাই হোক, হায়ার ডায়মেনশন আজ বিজ্ঞানের একটি বৈধ শাখা। প্রিন্সটনের ইনস্টিটিউট অব এডভান্স স্টাডি যেখানে আইনস্টাইন তার জীবনের শেষের সময়গুলো অতিবাহিত করেছিলেন, তা আজ হায়ার ডায়মেনশনের গবেষণার একটি একটিভ সেন্টার। নোবেল পুরস্কার বিজয়ী স্টিফেন ওয়েইনবার্গ বলেছেন, theoretical Physics Seems to be Becoming More and More Science Fiction!

তথ্যসুত্রঃ

Hyperspace: A Scientific Odyssey Through Parallel Universe

https://www.amazon.com/Hyperspace-Scientific-Parallel-Universes-Dimension/dp/0385477058.

মিচিও কাকু ও পোনামাছ মিচিও কাকু ও পোনামাছ মিচিও কাকু ও পোনামাছ মিচিও কাকু ও পোনামাছ মিচিও কাকু ও পোনামাছ