পোস্ট বায়োলজিক্যাল মাইন্ড
Mind Beyond Matter
Part-2
Connectom Project অমরত্বের একটি প্রকৃয়া যেখানে মানুষের মস্তিষ্কের প্রতিটি নিউরাল কানেকশনকে ডুপ্লিকেট করা যায়।এটি হলো লেজার স্ক্যানিং লাইট মাইক্রোস্কোপি এবং সেমি-অটোমেটেট ইলেক্ট্রোড মাইক্রোস্কোপির একটি নতুন ফর্ম যেটির মাধ্যমে মানুষের মস্তিষ্কের নিউরাল ম্যাপিং তৈরি করা যাবে যাকে বলে কানেক্টম।২০০৪ সালে হার্বাড ইউনিভার্সিটি মানুষের মস্তিষ্কের নিউরাল সার্কিটকে বুঝার জন্যে সেন্টার ফর ব্রেন সায়েন্স বা CBC প্রতিষ্ঠা করেন।কিন্ত বর্তমানে এখনো কানেক্টম প্রসেসকে পুরোপুরিভাবে ব্যাবহার করা যায়না।যদি কোনোদিন কানেক্টম প্রজেক্ট ১০০ ভাগ কাজ করতে সক্ষম হয় তবে মানুষের মস্তিষ্কের প্রতিটি নিউরনকে ট্রানজিস্টরের মাধ্যমে ডুপ্লিকেট করে তার চেতনাকে দেহের বাহিরে অমর করে রাখা যাবে।কানেক্টম প্রজেক্টের ডঃ শেবাস্তিয়ান নোট করেছেন, কিছু লোক $100,000 বা তার চাইতেও বেশি অর্থ বিনিয়োগ করছেন মৃত্যুর পর তাদের ব্রেনকে লিকুয়িড নাইট্রোজেনে ফ্রোজেন করে রাখার জন্যে।অনেকে প্রশ্ন করতে পারেন, কানেক্টম প্রজেক্টের সাথে ব্রেনকে ফ্রিজে রাখার সম্পর্ক কী?উত্তর সহয, ভবিষ্যতে কানেক্টম প্রজেক্ট যদি ব্রেনকে কপি করার ক্ষমতা অর্জন করে তবে যেনো তাদের মস্তিষ্কে পূণরায় চেতনা ফিরিয়ে আনা হয়।মাছ এবং ব্যাঙেরা শীতকালে বরফের মধ্যে হিমায়িত হয়ে যায় কিন্তু গ্রীষকালে দেখা যায় যে তারা আবার পূর্বের অবস্থায় ফিরে এসেছে।কারণ তাদের রক্ত সতেজ থাকে।তারা মূলত তাদের রক্তকে বরফে পরিণত হতে দেয়না।এ জন্যে তারা রক্তের মধ্যে গ্লুকোজের মাধ্যমে Antifreezes ব্যাবহার করে।ঠিক একই প্রকৃয়াটি মানুষের মস্তিষ্ক সংরক্ষণেও ব্যাবহার করা যায়।এ কানেক্টম প্রকৃয়ায় একজন ডাক্তার আপনার মস্তিষ্কের প্রতিটি নিউরনকে ডুপ্লিকেট করবে এবং হার্ডডিস্কে সংরক্ষণ করবে।শুধু তাই নয়, নিউরাল ম্যাপিংকে কম্পিউটার দ্বারা সিমুলেট করে রোগ প্রতিরোধের উপায় বের করা যাবে যা মৃত্যুকে জয় করতে সাহায্য করবে। অন্যদিকে Dr. Raykurzweil তো মনেই করেন একদিন মানুষের চেতনাকে কম্পিউটার থেকে আপলোড করা যাবে!( পোস্ট বায়োলজিক্যাল মাইন্ড, এটি ছাড়াও আরো পড়ুন, MRI প্রযুক্তি