নজরুল ঐ মহাকাশে মহাশূন্যে বিস্ফোরিত এক সুপারনোভা। তিনি ছিলেন এলিয়েন। সৃষ্টি করেছেন অজস্র মানুষের মস্তিষ্কের চিন্তা আর নিউরাল স্ট্রাকচার। স্থান করে নিয়েছেন ফিজিক্সের সূত্রের মতো নিষ্কাম ও নিরপেক্ষ মিলিয়ন মানুষের অসাম্প্রদায়িক মনে, ওদের নিউরনে। তিনি আছেন বাংলার মানুষের মহাজাগতিক বোধে।
হ্যাঁ ! আমি তাঁর কথাই বলছি। বাংলাদেশের জাতীয় কবি এবং অবিভক্ত বাংলার সাহিত্য, সমাজ ও সংস্কৃতি ক্ষেত্রের অন্যতম শ্রেষ্ঠ ব্যক্তিত্ব, অগ্রণী বাঙালি কবি, অন্যতম সাহিত্যিক, দেশপ্রেমী, সঙ্গীতজ্ঞ, সঙ্গীতস্রষ্টা, দার্শনিক এবং বাংলা কাব্যে অগ্রগামী ভূমিকার প্রগতিশীল প্রণোদনার জন্য সর্বাধিক পরিচিত কবি কাজী নজরুল ইসলাম (১৮৯৯-১৯৭৬) ছিলেন বহুমুখী প্রতিভার বিচিত্র প্রকাশ। তাঁর কবিতা ও গান ভারতবর্ষে সমভাবে সমাদৃত। তাঁর কবিতায় বিদ্রোহী দৃষ্টিভঙ্গির কারণে তাঁকে ‘বিদ্রোহী কবি’ নামে আখ্যায়িত করা হয়। তাঁর কবিতার মূল বিষয়বস্তু ছিল মানুষের ওপর মানুষের অত্যাচার এবং সামাজিক অনাচার ও শোষণের বিরুদ্ধে সোচ্চার প্রতিবাদ। তার কবিতায় যেভাবে অন্যায়, অত্যাচার, নিপিড়নের বিপক্ষে প্রতিবাদ পাওয়া যায় ঠিক তেমনি আমরা দেখতে পাই অখন্ড ও শাশ্বত সত্যের সাথে একাত্মতা। কোয়ান্টাম পার্টিকেল গুলো যেমন একইসাথে ও একইসময় মাল্টিপল এনার্জি স্টেটে বাউন্স করে, শ্রডিঙ্গারের কেট যেমন একইসাথে জীবিত ও মৃত মাল্টিপল প্যারালাল ইউনিভার্সে। ঠিক তেমনি কাজী নজরুল ইসলামও তার বিদ্রোহী কবিতার কোয়ান্টাম ফ্ল্যাকচুয়েশনে অজস্র সংখ্যক প্যারালাল ওয়ার্ল্ড তৈরি করেছেন। এক একটি জগতে কবির এক একটি রুপ, ভিন্ন ভিন্ন চিন্তা ও ইচ্ছা।
“আমি চিরদূর্দম, দুর্বিনীত, নৃশংস,
মহা- প্রলয়ের আমি নটরাজ, আমি সাইক্লোন, আমি ধ্বংস!
আমি মহাভয়, আমি অভিশাপ পৃথ্বীর,
আমি দুর্বার,
আমি ভেঙে করি সব চুরমার!
আমি অনিয়ম উচ্ছৃঙ্খল,
আমি দ’লে যাই যত বন্ধন, যত নিয়ম কানুন শৃঙ্খল!
আমি মানি না কো কোন আইন,
আমি ভরা-তরী করি ভরা-ডুবি, আমি টর্পেডো, আমি ভীম ভাসমান মাইন!”
যেনো তিনি সবকিছু, তিনি উইগনার ফ্রেন্ড, তার চেতনার ভেতর দিয়েই সমস্ত মহাবিশ্ব অস্তিত্বশীল, গ্রহ, নক্ষত্র অথবা ছায়াপথ কোনোকিছুই তার পর্যবেক্ষণের অতীতে নেই।
” আমি উন্মন মন উদাসীর,
আমি বিধবার বুকে ক্রন্দন-শ্বাস, হা হুতাশ আমি হুতাশীর।
আমি বন্চিত ব্যথা পথবাসী চির গৃহহারা যত পথিকের,
আমি অবমানিতের মরম বেদনা, বিষ – জ্বালা, প্রিয় লাঞ্ছিত বুকে গতি ফের
আমি অভিমানী চির ক্ষুব্ধ হিয়ার কাতরতা, ব্যথা সুনিবিড়
চিত চুম্বন-চোর কম্পন আমি থর-থর-থর প্রথম প্রকাশ কুমারীর!
আমি গোপন-প্রিয়ার চকিত চাহনি, ছল-ক’রে দেখা অনুখন,
আমি চপল মেয়ের ভালোবাসা, তা’র কাঁকন-চুড়ির কন-কন!
আমি চির-শিশু, চির-কিশোর,
আমি যৌবন-ভীতু পল্লীবালার আঁচড় কাঁচলি নিচোর!
আমি উত্তর-বায়ু মলয়-অনিল উদাস পূরবী হাওয়া,
আমি পথিক-কবির গভীর রাগিণী, বেণু-বীণে গান গাওয়া।
আমি আকুল নিদাঘ-তিয়াসা, আমি রৌদ্র-রুদ্র রবি
আমি মরু-নির্ঝর ঝর ঝর, আমি শ্যামলিমা ছায়া-ছবি!
আমি তুরীয়ানন্দে ছুটে চলি, এ কি উন্মাদ আমি উন্মাদ!
আমি সহসা আমারে চিনেছি, আমার খুলিয়া গিয়াছে সব বাঁধ!”
এভাবেই কবি স্থান ও কালের ভৌতিক সীমারেখা অতিক্রম করে ছড়িয়ে গিয়েছেন বিশ্বের প্রতিটি আনবিক কণায়, প্রতিটি মনে, প্রতিটি নিউরন আর অনুভূতিতে। তিনি গেয়েছেন সাম্যবাদের গান, যার দৃষ্টিতে নভমন্ডল ও ভূমন্ডল এক ও অভিন্ন। যার দৃষ্টিতে আমি আর তুমি ভ্রম। যে নিজেকে অসীমের একটি অংশ হিসেবে আর নিজেকে সসীম মনে করতে পারেননি তার কলম কিভাবে বিশ্বাসঘাতকতা করতে পারে বিশ্বমানবতার সাথে? তিনি বিদ্রোহী আর্তনাদে গেয়ে উঠেন-
“তব মসজিদ মন্দিরে প্রভু নাই মানুষের দাবী।
মোল্লা-পুরুত লাগায়েছে তার সকল দুয়ারে চাবি।
কোথা চেঙ্গিস, গজনীমাসুদ, কোথায় কালা-পাহাড়?
ভেঙ্গে ফেল ঐ ভজনালয়ের যত তালা দেওয়া দ্বার।”
বিশ্বমানবতার শিক্ষাদানের জন্য তিনি গেয়েছেন :
“মসজিদ এই, মন্দির এই, গির্জা এই হৃদয়,
এইখানে ব’সে ঈসা মুসা পেল সত্যের পরিচয়।
এই রণ-ভূমে বাঁশীর কিশোর গাহিলেন মহা-গীতা,
এই মাঠে হ’ল মেষের রাখাল নবীরা খোদার মিতা।
এই হৃদয়ের ধ্যান-গুহা-মাঝে বসিয়া শাক্য মুনি,
ত্যজিল রাজ্য মানবের মহাবেদনার ডাক শুনি।
এই কন্দরে আরব-দুলাল শুনিতেন আহ্বান,
এইখানে বসি গাহিলেন তিনি কোরানের সাম-গান।
মিথ্যা শুনিনি ভাই, এই হৃদয়ের চেয়ে বড় কোনো মন্দির-কাবা নাই।”
প্রতিটি মানুষ ফিজিক্সের সূত্রের তৈরি, সবার শরীরে মহাবিশ্বের অণু, পরমাণু, আমাদের সবার নিউরনে একই মহাবিশ্ব ইলেক্ট্রিক্যাল পালস আকারে প্রকাশিত। আমরা প্রাকৃতিকভাবেই এক। মানুষের মাঝে কোনো ধর্ম, বর্ণ অথবা সংস্কৃতি পার্থক্য তৈরি করতে পারেনা। তার এ আদর্শিক চেতনা প্রথার সাথে ছিলো সংঘর্ষিক, প্রথাগত মস্তিষ্কগুলো নজরুলের অসাম্প্রদায়িক মনস্তত্ব সহ্য করতে পারেনি, দাউ দাউ করে জ্বলে উঠেছিলো। নজরুল নির্ভয়ে, এক অতি মানবিক সাহসিকতায় গেয়ে উঠেন:
“কাটায়ে উঠেছি ধর্ম-আফিম-নেশা,
ধ্বংস করেছি ধর্ম যাজকী পেশা।
ভাঙ্গি মন্দির, ভাঙ্গি মসজিদ
ভাঙ্গিয়া গির্জা গাহি সঙ্গীত―
এক মানবের একই রক্ত মেশা
কে শুনিবে আর ভজনালয়ের হ্রেষা।”
আমরা সক্রেটিস বা প্লেটোকে দেখিনি। এদেশে জন্মায়নি আইনস্টাইন অথবা নিউটন কিন্তু তবুও আমরা গর্বের সাথে বলতে পারি নজরুল ছিলো সময়ের অনেক উর্ধ্বে, তিনি কালজয়ী, যুগান্তকারী। তার চিন্তাচেতনা যুগকে অতিক্রম করে স্পর্শ করেছে মানব কল্পনার চুড়ান্ত পর্যায়কে। আজও এদেশের মানুষ সক্রেটিস থেকে বহুযুগ পূর্বের অন্ধকার ও কুয়াচ্ছন্ন যুগে বাস করে। মিলিয়ন মিলিয়ন বছর পূর্বে বিবর্তন আমাদের যে স্নায়ুতন্ত্র গঠন করে দিয়েছিলো, আমরা সেই আদিম অনুভূতি থেকে এখনো বের হতে পারিনি।
আমরা বিজ্ঞানপ্রযুক্তিতে উন্নতি লাভ করলেও মনস্তাত্ত্বিকভাবে এখনো আদিম শিকারী সংগ্রাহকই রয়ে গেছি। মানবীয় সীমাবদ্ধতাকে অতিক্রম করে যে কজন মানুষ বিশ্বমানবতার জন্য নিজেকে বিলিয়ে দিয়েছিলেন তার মধ্যে নজরুল একজন। যার ইচ্ছা ছিলো দূর্বার, স্বপ্ন ছিলো দুরন্ত, যার কল্পনাশক্তি ছিলো দুর্দান্ত। তিনি মানুষের ক্ষমতায় বিশ্বাসী ছিলেন, তিনি বিশ্বাস করতেন মানুষ চাইলে মহাকাশকেও পরমাণুর মতো ক্ষুদ্র করে ফেলতে পারে! তাইতো তিনি বলেছিলেন- বিশ্বটাকে দেখবো আমি আপন হাতের মুঠোয় পুরে!
আজ সমস্ত পৃথিবীকে ইন্টারনেট আমাদের হাতের মুঠোয় এনে দিয়েছে, আমরা এখন মঙ্গলে পার্সিভারেন্স পাঠাই, মঙ্গলের মহাকাশও আজ আমাদের রোবটের দখলে, একদিন সম্পূর্ণ গ্যালাক্সি আমাদের হবে। স্পেস হয়ে উঠবো খুবই ক্ষুদ্র ও সংকীর্ণ! কোয়ান্টাম কম্পিউটার শুধু মহাবিশ্ব কেন, প্যারালাল ইউনিভার্সগুলোকে এনে দেবে মানব সভ্যতার হাতের মুঠোয়! আমরা একসময় আর শুধু এ গ্যালাক্সির ভেতর সীমাবদ্ধ থাকবোনা! আমরা সমস্ত সীমা ভেঙে ফেলবো! আজ নিকোলিসের মতো বিজ্ঞানীরা BMI প্রযুক্তির মাধ্যমে হিউম্যান ব্রেনকে ইন্টারনেটের সাথে কানেক্ট করার চেষ্টা করছে। একদিন ন্যানোচিপের মাধ্যমে আমাদের ব্রেন সরাসরি এক্সটারনাল মহাবিশ্বকে কন্ট্রোল করবে! এ জগত আক্ষরিক অর্থেই হয়ে উঠবে আমাদের নিয়ন্ত্রনাধীন।
আর এ জন্যই হয়তো কবি মহাকাশকেও তুচ্ছ তাচ্ছিল্য করেছেন! তুচ্ছ তাচ্ছিল্য করেছেন সকল ঈশ্বরকে! তার কাছে সমস্ত জগত একটি থার্মোনিউক্লিউয়ার ছাইও না। তাইতো তিনি গেয়েছেন:
“বল বীর –
বল উন্নত মম শির!
শির নেহারি’ আমারি নতশির ওই শিখর হিমাদ্রির!
বল বীর –
বল মহাবিশ্বের মহাকাশ ফাড়ি’
চন্দ্র সূর্য গ্রহ তারা ছাড়ি’
ভূলোক দ্যুলোক গোলক ভেদিয়া
খোদার আসন ‘আরশ’ ছেদিয়া,
উঠিয়াছি চির-বিস্ময় আমি বিশ্ববিধাতৃর!
মম ললাটে রুদ্র ভগবান জ্বলে রাজ-রাজটীকা দীপ্ত জয়শ্রীর!”
তিনি বুঝতে পেরেছিলেন, স্থান ও কাল কোনটাই পরম নয়! চাইলে স্পেসকে অতিক্রম করা যায়! আমরা টাইম মেশিন দিয়ে এক সময় সময়ের ভেতর চলাচল করবো। খোদার আসন আরশ ছেদ করে চির বিস্ময়রুপে অনন্ত জগতে জাগ্রত হয়ে উঠবো! আজ বিজ্ঞান আমাদের বলছে, মহাবিশ্বের ধবংসের পূর্বে সিভিলাইজেশন -১০ তাদের নিজেদেরকে শক্তির তৈরি বিশুদ্ধ চেতনায় পরিণত করবে, মহাবিশ্ব যখন পরম শীতল হয়ে যাবে, এবসলিউট শূন্য তাপমাত্রার ভেতরও সেই বিশুদ্ধ চেতনা ট্রিলিয়ন ট্রিলিয়ন বছর সময় খরচ করে চিন্তা করবে, তদের একটি চিন্তা থেকে আর একটি চিন্তার দূরত্ব হবে এতটাই বিশাল। আমরা জানি যে, কোয়ান্টাম ফ্লাকচুয়েশন অনুসারে জগতে কোনো ঘটনা ঘটার সম্ভাবনা শূন্য নয় কিন্তু এ জন্য হয়তো আমাদেরকে মহাবিশ্বের বয়স থেকেও বেশি সময় অপেক্ষা করতে হবে। কিন্তু সে শক্তির তৈরি চেতনা যারা ট্রিলিয়ন বছর সার্ভাইভ করছে, তাদের জন্য এ সময় কিছুই নয়। আর এ জন্য তাদের সামনেই কোয়ান্টাম ফ্লাকচুয়েশন ঘটবে, শিশু মহাবিশ্বের জন্ম হবে, ওয়ার্মহোলের মুখ খুলে যাবে আর এভাবে তারা হাইপারস্পেস ছিদ্র করে ঢুকে পড়বে অন্য আর একটি মহাবিশ্বে! মিচিও কাকুর মতো বিজ্ঞানীরা আজ রুপকার্থে বলছে, হাইপারস্পেস হলো ঈশ্বরের মন! আক্ষরিক অর্থে নজরুল ঈশ্বরের মনের ভেতর দিয়ে মাল্টিভার্সে পালিয়ে যেতে চেয়েছেন!
একজন মানুষ কতটা মাতাল হলে, কতটা মহাবৈশ্বিক হলে, কতটা সাইকোপ্যাথ, কতটা প্রেমিক আর বিদ্রোহী হলে তার কল্পনার শক্তি দিয়ে সব সংস্কার ভেঙে চুরমার করে ফেলতে পারে, অনন্ত জগত সৃষ্টি করে, সে জগতের ভেতরকার সম্ভাবনাগুলোর ভেতর দিয়ে অন্যায়, অত্যাচার, অনাচার ও অসাম্যের বিপক্ষে এক অমানবিক গর্জন তুলতে পারে অগ্নিবীণা তারই পরিচয়! তার সে’ ই বিখ্যাত চিঠি যা তিনি নার্গিসকে উদ্দেশ্য করে লিখেছিলেন তা যে কোনো অনুভূতিপ্রবণ মানুষকেই নাড়া দেয়ঃ
“তোমার উপর আমি কোনো ‘জিঘাংসা’ পোষণ করিনা –এ আমি সকল অন্তর দিয়ে বলছি। আমার অন্তর্যামী জানেন তোমার জন্য আমার হৃদয়ে কি গভীর ক্ষত, কি আসীম বেদনা! কিন্তু সে বেদনার আগুনে আমিই পুড়েছি, তা দিয়ে তোমায় কোনোদিন দগ্ধ করতে চাইনি। তুমি এই আগুনের পরশমানিক না দিলে আমি ‘অগ্নিবীণা’ বাজাতে পারতাম না। আমি ধুমকেতুর বিস্ময় নিয়ে উদিত হতে পারতাম না।”
এ মহান কবি জন্মগ্রহণ করেছিলেন ২৫ মে ১৮৯৯ সালে। যিনি আমাদের শুনিয়েছেন অনন্ত অসীমের গান, শিখিয়েছেন সাম্য ও একতা! প্রদান করেছেন কল্পনার এক বিপুল শক্তি। হ্যালিক্স ইউনিভার্সিটির পক্ষ থেকে এ মহান কবির জন্য সশ্রদ্ধ নমস্কার। পরিশেষে আবার পুনরাবৃত্তি করছি শত বছর অতীতের বাণী;
“তোমাতে রয়েছে সকল কেতাব সকল কালের জ্ঞান,
সকল শাস্র খুঁজে পাবে সখা, খুলে দেখ নিজ প্রাণ!
তোমাতে রয়েছে সকল ধর্ম, সকল যুগাবতার,
তোমার হৃদয় বিশ্ব-দেউল সকল দেবতার।
কেন খুঁজে ফের’ দেবতা ঠাকুর মৃত পুঁথি -কঙ্কালে?
হাসিছেন তিনি অমৃত-হিয়ার নিভৃত অন্তরালে!
যেখানে আসিয়া এক হয়ে গেছে সব বাধা-ব্যবধান
যেখানে মিশছে হিন্দু-বৌদ্ধ-মুস্লিম-ক্রীশ্চান।”
আরো দেখুন-
রবীন্দ্র-বিদূষণ ও কিছু ফ্যালাসির বিশ্লেষণ
রবীন্দ্র-বিদূষণ ও ফ্যালাসি, পর্ব-২