Can't find our books? Click here!
কেন গাণিতিকভাবেই ঈশ্বরের অস্তিত্ব অসম্ভব?

কেন গাণিতিকভাবেই ঈশ্বরের অস্তিত্ব অসম্ভব?

প্রথম লজিক: মহাবিশ্ব একটি গাণিতিক বস্তু। এটি গাণিতিক নিয়ম দ্বারা পরিচালিত। এটাকে গণিতের মাধ্যমে আলোচনা ও বোঝা যায়। যদি ঈশ্বর থেকে থাকে, তবে তিনি অবশ্যই একটি গাণিতিক বস্তু। যাইহোক, এখানে একটি কন্ট্রাডিকশন আছে। কারণ ঈশ্বর একটি ব্যক্তিগত সত্তা। আর কোনো ব্যক্তিগত সত্তা গাণিতিক বস্তু হতে পারে না। কল্পনা করুন, আপনার একটি গাণিতিক সমীকরণ আছে। মনে করুন, ২+২=৪। এ ইকুয়েশন একটি গাণিতিক বিষয়। এটি গণিতের নিয়ম ও আইন মেনে চলে। এটি সুনির্দিষ্ট ও বস্তুগত। এখন এই গাণিতিক ধারণাকে ঈশ্বরের সাথে তুলনা করার চেষ্টা করুন। ঈশ্বর একটি পারসোনাল সত্তা, যার চেতনা, আবেগ ও সিদ্ধান্ত নেয়ার ক্ষমতা আছে। এ সকল গুণাবলী সাবজেক্টিভ, এখানে গণিতের মতো বস্তুগত কোনো প্রকৃতি নেই। আমরা ঈশ্বরকে গাণিতিক ইকুয়েশন দিয়ে আলোচনা করতে পারব না অথবা আমরা পারসোনাল ঈশ্বরকে গাণিতিক ফর্মুলায় সংক্ষেপ করতে পারব না। আসুন এই কন্ট্রাডিকশন প্রদর্শন করি। এখন মনে করুন, ঈশ্বর একটি গাণিতিক বস্তু। আমরা ঈশ্বরকে গাণিতিক সমীকরণের মাধ্যমে প্রকাশ করতে পারি যেমন G = (2 + 2) / 4। যাইহোক, এ সমীকরণের মধ্যে গভীরতা ও জটিলতার অভাব আছে। এটি চেতনা, আবেগ ও ব্যক্তিগত সম্পর্কের সমৃদ্ধ দিক তুলে ধরতে পারে না, যা ঈশ্বরের ধারণার সাথে সম্পর্কযুক্ত। সংক্ষেপে, এ কন্ট্রাডিকশন তৈরি হয় কারণ গণিত হলো সুনির্দিষ্ট ও বস্তুগত, যেখানে ঈশ্বরের প্রকৃতি ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতা ও গুণাবলীর সাথে সম্পৃক্ত, যা গাণিতিক সমীকরণের মাধ্যমে সম্পূর্ণ ক্যাপচার করা যায় না।

দ্বিতীয় লজিক: গাণিতিক আইন অপরিহার্য। এগুলো কোনোকিছুর ওপর নির্ভরশীল নয়। যার অর্থ হলো, এগুলো ঈশ্বর দ্বারা সৃষ্টিও নয়। ঈশ্বর যদি গাণিতিক আইন তৈরি করে, তবে গণিত অবশ্যই ঈশ্বরের ওপর নির্ভরশীল। কিন্তু  এটি সত্য নয়। গাণিতিক আইন অনিবার্য। অনিবার্যতা বলতে বোঝায় গাণিতিক সত্য সম্ভাব্য সকল বিশ্ব ও মহাবিশ্বে সমান। যেমন ২+২=৪। এটি এক্সটারনাল কোনো ফ্যাক্টরের ওপর নির্ভরশীল নয়। আমরা এক্ষেত্রে আরও মজার উদাহরণ দিতে পারি। আর তা হলো প্রাইম নাম্বারের ধারণা। প্রাইম নাম্বারের কথা চিন্তা করুন। প্রাইম নাম্বার হলো এমন একটি সংখ্যা, যেটাকে কেবল দুটি সংখ্যা দিয়ে ভাগ করা যায়। আর তা হলো ১ এবং সে সংখ্যাটি নিজে। উদাহরণস্বরূপ, ২, ৩, ৫, ৭ এবং ১১ হলো প্রাইম নাম্বার। এখন এ বিবৃতিটি গ্রহণ করুন, প্রাইম নাম্বার অসীম। এ বিবৃতি সম্ভাব্য সকল মহাবিশ্ব অথবা বাস্তবতার জন্যই সমান। এর অর্থ হলো, আপনি অনন্তকাল পর্যন্ত গণনা করলেও, আপনি কোনো না কোনো নতুন প্রাইম নাম্বার পাবেন। আপনি যদি আমাদের দৈর্ঘ, প্রস্থ, উচ্চতা ও সময়ের চারমাত্রিক সীমারেখা অতিক্রম করে উচ্চমাত্রিক কোনো মহাবিশ্বেও প্রবেশ করেন, প্রাইম নাম্বার কখনোই পরিবর্তিত হবে না। প্রাইম নাম্বার মাল্টিভার্সাল। আপনি যদি মহাবিশ্বের অন্য কোনো গ্রহ অথবা অন্য কোনো মহাবিশ্বে বাংলা অথবা ইংরেজী ভাষায় কোনো মেসেজ প্রেরণ করেন, তারা সেটা বুঝবে না, কিন্তু  আপনি প্রাইম নাম্বার প্রেরণ করেন, তারা বুঝবে কারণ প্রাইম নাম্বার সকল মহাবিশ্বের মৌলিক ভাষা। এখন মনে করুন, ঈশ্বর গণিতের আইন তৈরি করেছেন। এর মানে দাঁড়ায় গণিতের আইন ঈশ্বরের অস্তিত্ব ও সিদ্ধান্তের ওপর নির্ভরশীল। যাইহোক, গণিতের আইন অপরিহার্যভাবে এই ধারণার সাথে কন্ট্রাডিক্ট করে। যদি গণিতের আইন ঈশ্বরের ওপর নির্ভরশীল হয়, এগুলো তার হুইম অথবা পছন্দের ওপর নির্ভর করে, আর তাই ভিন্ন ভিন্ন জগতে গণিত ভিন্ন হওয়া উচিত ছিল। কিন্তু  গাণিতিক সত্যের অনিবার্যতা আমাদের নির্দেশ করছে, এটি যেকোনো প্রকার বহিরাগত প্রভাব থেকে মুক্ত, যার মধ্যে ডিভাইন ঈশ্বরের কর্মকাণ্ডও জড়িত। গাণিতিক আইন যেমন যোগ, বিয়োগ, গুণ, ভাগ এবং সো অন__ গণিতের একদম সহজাত বৈশিষ্ট্য।

তৃতীয় লজিক: গণিতের আইন শাশ্বত। এর অর্থ হলো এগুলো শুরু বা শেষ হয়নি। আর তাই যোগ, বিয়োগ, গুণ ও ভাগ কোনো ঈশ্বরের মাধ্যমে শুরু হয়নি। এগুলো সময়ের সীমারেখা অতিক্রম করে আছে। যদি ঈশ্বর গণিত সৃষ্টি করে, তবে এর দ্বারা বোঝানো হয়, তিনি এটা প্রথমে কোনো একটি বিন্দু থেকে শুরু করেছেন। কিন্তু  এটি গণিতের শাশ্বত প্রকৃতির সাথে কন্ট্রাডিক্ট করে। গণিতের এই শাশ্বত প্রকৃতি আমাদের বলছে, এ সকল আইন কোনো সুনির্দিষ্ট সত্তার ওপর নির্ভরশীল নয়, তার পরিবর্তে এগুলো টাইমলেস নীতি যা আমরা আমাদের পর্যবেক্ষণ ও যুক্তির মাধ্যমে উদ্ভাবন করি।

চতুর্থ লজিক: গণিতের আইন সর্বজনীন। এগুলো মহাবিশ্বের সবকিছুর ওপর প্রয়োগ করা যায়। এখান থেকে আমরা বুঝতে পারি, গণিত ঈশ্বরের সৃষ্টি নয়। ঈশ্বর যদি গণিতের নিয়ম সৃষ্টি করত, তবে এগুলো সে সকল বস্তুর ওপর অ্যাপ্লাই করা যেত, যেগুলো ঈশ্বর সৃষ্টি করেছেন। কিন্তু  গণিতের আইন সবকিছুর ওপর প্রয়োগ করা সম্ভব, যা কিছু ঈশ্বর সৃষ্টি করেনি তার ওপরও। এটি অনেকটা ইউনিভার্স্যাল রুলস বুকের মতো, যা মহাবিশ্বের সকল কিছুর ওপর প্রয়োগ করা যায়। এগুলো আমাদের যে কোনো প্যাটার্ন, শেপ ও রিলেশনশিপ যৌক্তিকভাবে বুঝতে সহযোগিতা করে। উদাহরণস্বরূপ, সংখ্যা গণনার কথাই চিন্তা করুন। আপনি আপেল গণনা করুন, নক্ষত্র গণনা করুন, নিজের  হাতের আঙুল গণনা করুন, গণিতের নিয়ম একই থাকবে। আমরা যা কিছু গণনা করছি তা “কে অথবা কী” তৈরি করেছে তার ওপর নির্ভর করছে না। এ নিয়মগুলো সংগতিপূর্ণ থাকে এবং এখানে কোনো সুনির্দিষ্ট ঈশ্বরের অস্তিত্ব প্রয়োজন  হয় না। এগুলো মহাবিশ্বের ফ্যাব্রিকেরই একটি অংশ, এটি আমাদের চারপাশের বিশ্ব সম্পর্কে সেন্স তৈরি করতে সহযোগিতা করে। আর তাই কোনো ব্যাপারই নয়, কি অথবা কে মহাবিশ্বকে তৈরি করেছে, গাণিতিক নিয়ম আমাদের মহাবিশ্বের শৃঙ্খলা ও কাঠামো বুঝতে সহযোগিতা করে। [i]

পঞ্চম লজিক: গণিতের আইন পর্যবেক্ষণের পূর্বেই অস্তিত্বশীল। গাণিতিক নিয়ম পর্যবেক্ষণ করার কোনো প্রয়োজন হয় না। এগুলোকে পূর্ব থেকেই জানা যায়, কোনোপ্রকার পরীক্ষামূলক প্রমাণেরও প্রয়োজন হয় না। এর অর্থ হলো এগুলো ঈশ্বরের সৃষ্টি নয়। যদি ঐশ্বর গাণিতিক নিয়ম তৈরি করত, তবে এখানে পরীক্ষামূলক প্রমাণের প্রয়োজন ছিল। কিন্তু  ঘটনা মূলত সেটা নয়। গণিতের নিয়ম পর্যবেক্ষণ থেকে স্বাধীন। আপনি এক্ষেত্রে প্রতিসাম্যতার কথাই চিন্তা করুন। গণিতে প্রতিসাম্যতা বলতে আমরা বুঝি কোনো বস্তুর সজ্জার প্যাটার্ন বা ধরন। প্রতিসাম্যতার একটি উদাহরণ হলো, একটি পরিপূর্ণ বৃত্তের প্রতিসাম্যতা। এটি রোটেশনাল সিমেট্রি প্রদর্শন করে, আপনি একটি বৃত্তকে যেভাবেই আবর্তন করেন না কেন, এটি গোলই থাকবে, এটাকে দেখতে ভিন্ন রকম মনে হবে না। এখন মনে করুন, মহাবিশ্বের কোনো পর্যবেক্ষকই নেই। একটি বৃত্ত গোল অথবা লম্বা সেটা পর্যবেক্ষণ করার কেউই নেই। কেউ দেখছে না বলে, বৃত্তটি ত্রিভুজ হয়ে যাবে? এর অর্থ হলো মহাবিশ্বের কোনো কনসাসনেস না থাকলেও গাণিতিক প্রতিসাম্যতা উপস্থিত। প্রতিসাম্যতা আমাদের পর্যবেক্ষণ ও বোঝার ক্ষমতার ওপর নির্ভরশীল নয়। এটি মহাবিশ্বের মৌলিক দিক, যা যুক্তি ও গাণিতিক নীতিমালার মাধ্যমে বোঝা যায়। আমরা এটা সম্পর্কে সচেতন হই অথবা না হই, প্রতিসাম্যতা একটি সময়হীন ও বিশ্বজনীন ধারণা যা কোনো পর্যবেক্ষকের ওপর নির্ভর করে না। এটা ঠিক যে হায়ার ডায়মেনশনে স্থান-কালের বক্রতার উপস্থিতিতে একটি বৃত্তের কাঠামোগত পরিবর্তন হবে, কিন্তু  বৃত্তের অন্তর্নিহিত গাণিতিক নীতি ও সংজ্ঞা একই থেকে যাবে। মনে করুন, উচ্চমাত্রার উপস্থিতি একটি বৃত্তের কাঠামো পরিবর্তন করে দিয়েছে, কিন্তু  তারপরও এটি এমন অনেক বিন্দু দিয়ে তৈরি হবে, তারা কেন্দ্র থেকে সমান দূরত্বে অবস্থিত।

ষষ্ঠ লজিক: ফিজিক্সের আইন কনসিস্টেন্স বা সংগতিপূর্ণ। তারা একে অন্যের সাথে কন্ট্রাডিক্ট করে না। এর অর্থ হলো এগুলো ঈশ্বরের সৃষ্টি নয়। যদি ঈশ্বর তাদের সৃষ্টি করে,  তবে তারা একে অন্যের সাথে কন্ট্রাডিক্ট করত। কল্পনা করুন, আপনার একটি পাজল আছে, যেখানে প্রতিটি খণ্ড একে অন্যের সাথে সংযুক্ত। প্রতিটি খন্ড গাণিতিক নিয়ম ও ধারণার প্রতিনিধিত্ব করছে। এখন যদি, এ খণ্ডগুলো ভিন্ন ভিন্ন ব্যক্তির তৈরি হয়, তাদের মধ্যে দ্বান্ধিক সম্পর্ক দেখা যেত। আর এতে করে তাদের পরস্পর সমন্বয় করা সম্ভব ছিল না। এ পাজলটি বিশৃঙ্খল এবং অসম্ভব হয়ে উঠত। যাইহোক, যখন গণিতের প্রশ্ন আসে, একটি খণ্ড অন্যটির সাথে ফিট হয়ে যায়, তারা সুসংগঠিত ও সমন্বিত একটি পাজল তৈরি করে। গাণিতিক আইন একে অন্যের সাথে কন্ট্রাডিক্ট করে না। তারা একে অন্যের সাথে যথাযথভাবে ইন্টারলক করা, যা একটি সংগতিপূর্ণ ও আন্তসম্পর্কযুক্ত পদ্ধতি প্রকাশ করে। উদাহরণস্বরূপ, যোগ ও বিয়োগের সম্পর্কের কথা চিন্তা করুন। যোগ আমাদের বলে, কীভাবে সংখ্যাকে সমন্বিত করতে হবে, যেখানে বিয়োগ আমাদের বলে কীভাবে এ প্রক্রিয়াকে রিভার্স করতে হবে। এ দুটি প্রক্রিয়া একে অন্যের সাথে সহজাতভাবে সংযুক্ত ও সংগতিপূর্ণ। আপনি যদি ২+৩ যুক্ত করেন, আপনি ৫ পাবেন, আপনি যদি ৩ থেকে ৫ বিয়োগ করেন আপনি আবার অরিজিনিয়াল নাম্বার ২ ফিরে পাবেন। যোগ ও বিয়োগ একে অন্যের সাথে কোনোপ্রকার কন্ট্রাডিকশন ছাড়াই অবস্থান করে, এটি আমাদের বিশ্বাসযোগ্য গাণিতিক গণনা প্রদান করে। গাণিতিক নিয়মের সংগতি আমাদের মহাবিশ্বে অন্তর্নিহিত শৃঙ্খলা ও সামঞ্জস্যের কথা বলে। যদি এ আইন ঈশ্বর তৈরি করত, আমরা আশা করতে পারতাম যে, এগুলো বুদ্ধিমত্তা ও নমনীয়তা প্রতিফলিত করছে। কিন্তু  সত্য হলো যে গাণিতিক নিয়ম এই ধরনের সংগতি প্রদর্শন করছে, তার অন্তর্নিহিত প্রকৃতির কারণে কোনোপ্রকার স্বর্গীয় ঈশ্বরের ওপর নির্ভর করার কারণে নয়।

সপ্তম লজিক: আইন বস্তুগত। এটি ব্যক্তিগত ও আপেক্ষিক নয়। এর অর্থ হলো এগুলো ঈশ্বরের সৃষ্টি নয়। যদি ঈশ্বর গণিতের আইন তৈরি করে থাকে, এগুলো ব্যক্তিগত অথবা আপেক্ষিক হতে পারে। কিন্তু  এটি সত্য নয়। গণিতের আইন বস্তুগত। একটি উপায়ে আপনি এ বিষয়টি বুঝতে পারবেন, সংস্কৃতি ও বিশ্বাস নির্বিশেষে গণিতের আইন সবার জন্য সমান। উদাহরণস্বরূপ, ২+২=৪ এ সত্য হিন্দু, মুসলিম, বৌদ্ধ অথবা খ্রিষ্ঠান কারও ব্যক্তিগত বিশ্বাস ও মতামতের ওপর নির্ভর করে না। এগুলো বাস্তবতার ওপর নির্ভরশীল। আর একটি উপায়ে আমরা গণিতের বস্তুনিষ্ঠতা বুঝতে পারি, এ ধারণাটি বিবেচনা করার মাধ্যমে যে এগুলো বিশ্বের প্রেডিকশন তৈরির জন্য ব্যবহার করা যায়। উদাহরণস্বরূপ, আমরা ম্যাথম্যাটিক্সের আইন ব্যবহার করতে পারি, কোনো একটি গ্রহের কক্ষপথ অথবা তরঙ্গের আচরণ প্রেডিক্ট করার জন্য। এর কারণ হলো গণিতের আইন কেবল মহাবিশ্বের বর্ণনা নয়। এগুলো মহাবিশ্ব পরিচালনাকারী নিয়ম। গণিতের আইন বস্তুগত এ ধারণাটির গুরুত্বপূর্ণ কিছু তাৎপর্য আছে। প্রথমত, গণিত ঈশ্বরের তৈরি নয়। যদি এগুলো ঈশ্বরের তৈরি হতো, তাহলেই এগুলো ব্যক্তিগত ও আপেক্ষিক হতো। দ্বিতীয়ত, এর অর্থ হলো গণিত মানুষের আবিষ্কার নয়। এগুলো আমাদের অস্তিত্ব নিরপেক্ষভাবে অস্তিত্বশীল। এর কারণ হলো এগুলো আমাদের বিশ্বাস ও মতামতের ওপর গঠিত নয়। এগুলো বাস্তবতার ওপর নির্মিত। তৃতীয়ত, গণিতের আইন আমাদের চারপাশের বিশ্বকে বোঝার জন্য ব্যবহার করা যায়। আমরা এগুলো ব্যবহার করতে পারি বিশ্ব সম্পর্কে পূর্বাভাস ও নতুন প্রযুক্তি উন্নয়নের জন্য। এর একটি চিন্তা উস্কানীমূলক উদাহরণ হলো, আমরা যে গাণিতিক সমীকরণ বিশাল জগতে প্রয়োগ করি, একই গাণিতিক নিয়ম আমরা অতি-ক্ষুদ্র জগতেও ব্যবহার করতে পারি। এক্ষেত্রে আমরা দুটি বস্তুর ভেতর মাধ্যাকর্ষ বলের সমীকরণের কথা বলতে পারি: F = G × (m1 ×  m2) / r^2। এই সমীকরণ আপনি পৃথিবী ও চন্দ্রের মধ্যকার মাধ্যাকর্ষ বল বের করার জন্য ব্যবহার করতে পারবেন, আবার আপনি দুটি পরমাণুর মধ্যকার মাধ্যাকর্ষ বল বের করার জন্যও একই সমীকরণ ব্যবহার করতে পারবেন। আর একটি গুরুত্বপূর্ণ ব্যপার হলো গণিত স্থান ও কাল দ্বারা প্রভাবিত হয় না। যে গাণিতিক নিয়ম অতীতের জন্য সত্য, একই গাণিতিক নিয়ম ভবিষ্যতের জন্যও সত্য। এর অর্থ হলো গণিতের নিয়ম আমাদের সাম্প্রতিক মহাবিশ্বের কোনো প্রোডাক্ট নয়। এটি তার থেকেও মৌলিক।

অষ্টম লজিক: গাণিতিক আইন সরল। একটি গাণিতিক সমীকরণের নমনীয়তা ও সরলতার কথাই চিন্তা করুন। এ সমীকরণ সরল একটি কবিতার মতো, যা মহাবিশ্বের সত্যকে সংক্ষিপ্ত ও সুন্দরভাবে ধারণ করে। উদাহরণস্বরূপ, আপনি আইনস্টাইনের বিখ্যাত সমীকরণ E=mc² এর কথা চিন্তা করুন। এটি শক্তি (E), ভর (m) ও আলোর গতির (c) সাথে সম্পর্ক স্থাপন করে। এই পাঁচটি চরিত্রের ভেতর এটি বস্তু ও শক্তির গভীর সংযোগ প্রকাশ করে এবং উন্মোচন করে মহাবিশ্বের গোপন রহস্য। আমরা যদি কল্পনা করি ঈশ্বর গণিতের আইন তৈরি করেছে, আমরা প্রত্যাশা করতে পারি যে, তারা জটিল ও কুণ্ডলিত হবে, যা ঈশ্বরের মনের অন্তহীন জটিলতা প্রতিফলিত করবে। কিন্তু  আমরা যখন গাণিতিক বাস্তবতায় প্রবেশ করি, আমরা একটি ভয়ানক বৈপরিত্য দেখতে পাই। গাণিতিক নিয়ম অসীম জটিল হওয়ার পরিবর্তে, বিস্ময়কর সরলতা প্রদর্শন করে।

নবম লজিক: গাণিতিক নিয়মগুলো চারুত্বসম্পন্ন ও সুন্দর কারণ সেগুলো সরল ও সংক্ষিপ্ত। এগুলো কিছু সরল সমীকরণের মাধ্যমে প্রকাশ করা যায়, আর এগুলো বিস্তৃত মাত্রার প্রপঞ্চ ব্যাখ্যা করার জন্য ব্যবহার করা যায়। উদাহরণস্বরূপ, গাণিতিক আইন ব্যবহার করা যায় গ্রহের গতি, আলোর আচরণ ও পরমাণুর কাঠামো বোঝার জন্য। যদি ঈশ্বর পদার্থবিদ্যার আইন সৃষ্টি করে, তবে এগুলো কুশ্রী ও আনাড়ি হতো। এর কারণ হলো ঈশ্বর একটি পরিপূর্ণ সত্তা এবং পরিপূর্ণ সত্তা এমন কোনো বস্তু তৈরি করতে পারে না, যা বিশ্রি অথবা আনাড়ি হবে। আমরা দেখেছি গাণিতিক নিয়ম সরল ও সংক্ষিপ্ত। এটি আমাদের কাছে প্রমাণ করে, গণিত ঈশ্বরের সৃষ্টি নয়। সম্ভবত, গণিত নির্গত হয়েছিল স্বয়ং মহাবিশ্বের প্রকৃতি থেকে। মহাবিশ্ব একটি জটিল ও সুশৃঙ্খল স্থান, আর গণিতের আইন সে জটিলতা ও শৃঙ্খলা প্রকাশ করে। এখানে আমরা গাণিতিক নিয়মের চারুত্বের একটি উদাহরণ দিচ্ছি।  ফিবোনাচি সিকোয়েন্স হলো এমন একটি সিকোয়েন্স যেখানে প্রতিটি সংখ্যা পূর্ববর্তী দুটি সংখ্যার যোগফল। এ সিকোয়েন্স শুরু হয় ০ এবং ১ থেকে এবং তারপর এটি ১, ২, ৩, ৫, ৮, ১৩, ২১, ৩৪, ৫৫, ৮৯ এবং সো অন চলতে থাকে। ফিবোনাচি সিকোয়েন্স প্রকৃতির অসংখ্য স্থানে পাওয়া যায়, ফুলের পাপড়ি থেকে, ঝিনুকের স্পাইরাল এবং গাছের শাখা। ফিবোনাচি সিকোয়েন্স গোল্ডেন রেশিওর সাথে জড়িত, যেটি প্রকৃতিতে পাওয়া একটি স্পেশাল নাম্বার। গোল্ডেন রেশিও আনুমানিক ১.৬১৮ এর সমান। ফিবোনাচি ও গোল্ডেন রেশিও উভয়ই গাণিতিক আইনের নমনীয়তার উদাহরণ। এগুলো সরল ও সংক্ষিপ্ত। এটি আমাদের নির্দেশ করে যে, গণিতের আইন যাদৃচ্ছিক কোনো বাস্তবতা নয়, বরং এগুলো প্রকৃতির অন্তর্নিহিত শৃঙ্খলার প্রকাশ। [ii] 

শূন্য ও অসীম কী ঈশ্বরের অস্তিত্বের প্রমাণ?

কল্পনা করুন, একটি শূন্য বাক্সের কথা, যেখানে কোনো বস্তুরই অস্তিত্ব নেই। এটি শূন্যের ধারণার প্রতিনিধিত্ব করে__ এমন একটি দশা যেটি নাথিং অথবা অ্যাবসেন্স। এবার আমাদের মহাবিশ্বের কথা চিন্তা করুন, যেখানে আমরা বাস করি, যেটি জীবন ও বিস্ময়ে পরিপূর্ণ। কীভাবে এত বিশাল ও জটিল কোনোকিছু শূন্য থেকে অস্তিত্বশীল হতে পারে? কিছু কিছু মানুষ এটাকে স্বর্গীয় ঈশ্বরের প্রমাণ হিসেবে চিন্তা করে_ এমন একটি ক্ষমতা যেটি সবকিছু শূন্য থেকে তৈরি করেছে।

এখন আসুন আমরা অসীমের দিকে চোখ রাখি। এটি হলো সীমাহীন এবং অসীম। আপনি রাতের আকাশের কথাই চিন্তা করুন। এখানে অসীম নক্ষত্র, যারা সর্বত্র বিস্তারিত। আপনি সময়ের বিশালত্বের কথাই চিন্তা করুন। মহাবিশ্বের ইতিহাস ও অজানা ভবিষ্যৎ। আমাদের সসীম মন অসীমের ধারণা পরিপূর্ণভাবে বুঝতে সংগ্রাম করছে। কিছু কিছু মানুষ দাবি করেন, আমাদের ভৌত বাস্তবতার ঊর্ধ্বে এমন কিছু আছে যা আমরা কল্পনাও করতে পারি না__ এটি একটি স্থানকালাতীত ক্ষমতা অথবা শাশ্বত বল যা আমাদের মহাবিশ্বকে পরিচালনা করে।

ক্রিয়েশনিস্টদের যুক্তি ছিল, আমরা শূন্য ও অসীমকে কল্পনা করতে পারি না আর এটি আমাদের কাছে ইঙ্গিত করে যে, মহাবিশ্বে এমন কোনো রিয়েল্ম আছে যা আমাদের জ্ঞানের পক্ষে চিন্তা করা অসম্ভব।

  • শূন্য দিয়ে ভাগ: পাটিগণিতে যে কোনো সংখ্যাকে আমরা যদি শূন্য দিয়ে ভাগ করি, তবে আমরা অসংজ্ঞায়িত একটি ফলাফল পাই আর সেটা হলো অসীম। উদাহরণস্বরূপ ১÷০= ∞
  • ক্যালকুলাসের লিমিট: মনে করুন, আপনার একটি ফাংশন আছে। যেটি একটি মেশিনের মতো। এটি একটি সংখ্যাকে ইনপুট হিসেবে গ্রহণ করে এবং আপনাকে আউটপুট হিসেবে অন্য কোনো সংখ্যা দেয়। মনে করুন, এ মেশিনটির নাম হলো f(x)। এখন কল্পনা করুন, আপনি এ মেশিনে খুবই বিশাল একটি সংখ্যা রাখলেন। নাম্বার যত বড় হবে, মেশিনটির আউটপুট ততই শূন্যের কাছাকাছি যাবে, কিন্তু  এটি কখনো শূন্য হবে না। এটাকে বলে ক্যালকুলাসের লিমিট। আমরা যখন বলি, “কী ঘটবে যদি আপনি মেশিনে সবচেয়ে বড় একটি সংখ্যা রাখেন? তার আউটপুট প্রকৃতপক্ষে কীসের কাছাকাছি হবে? এক্ষেত্রে আমরা যত বড় সংখ্যা রাখি না কেন, আমরা শূন্যের কাছাকাছি যাব, কিন্তু  শূন্য পাব না। এর অর্থ হলো, এ ফাংশনের লিমিট হলো, আমরা যদি এখানে আউটপুট শূন্য পেতে চাই, তবে আমাদের এমন একটি সংখ্যা ইনপুট করতে হবে যেটি সত্যি বিশাল। মনে করুন, আমাদের একটি ফাংশন আছে 1/x। x যত বড় হবে তার আউটপুট ততই ক্ষুদ্র হবে। এর কারণ হলো x এর মান হর বা ডিনোমিনেটরের ভেতর সবসময় বৃদ্ধি পায়। আমরা যদি ১ কে আরও বড় সংখ্যা দিয়ে ভাগ করি, এটি আমাদের ক্ষুদ্রতর ফলাফল দেবে। উদাহরণস্বরুপ: আমরা যদি ১ কে ২ দিয়ে ভাগ করি আমরা ০.৫ পাব। আমরা যদি ১ কে  ১০ দিয়ে ভাগ করি মরা ০.১ পাব, যা আরও ক্ষুদ্র । তাই x এর মান যত বেশি হবে ১ এবং x কে ভাগ করলে ততই ক্ষুদ্রতম সংখ্যা পাওয়া যাবে।  
  • যদি x হয় 1, তাহলে 1/x হবে 1/1 = 1।
  • যদি x হয় 10, তাহলে 1/x হবে 1/10 = 0.1, যেটি এক এর চেয়ে ছোট 1।
  • যদি x হয় 100, তাহলে1/x হবে 1/100 = 0.01, যেটি আরও ক্ষুদ্র।

অতএব আমরা x এর জন্য যত বড় মান নির্বাচন করব, 1/x এর ফলাফল ততই ছোট হবে। আর এজন্যই আমরা বলতে পারি x যত বড় হবে, 1/x ততই ক্ষুদ্র হবে। যদি 1/x এর ইনপুট x অসীমের দিকে যায়, তবে 1/x আউটপুট শূন্যের কাছাকাছি যাবে, কিন্তু  শূন্য হবে না। এর অর্থ আমরা এই মেশিনে অসীম কোনো সংখ্যা কোনোদিন ইনপুট করতে পারব না এবং আউটপুটও কোনোদিন শূন্য হবে না। শূন্য ও অসীম অনির্ধারিত।

  • পাই এর মান: মনে করুন, আপনার কাছে একটি গোলাকার পিজ্জা আছে। আপনি জানতে চান, পিজ্জার ভূপৃষ্ঠের ওপর দিয়ে এক প্রান্ত থেকে অন্য প্রান্তে যেতে কতক্ষণ সময় লাগবে। এটা পরিমাপ করার জন্য আপনি পিজ্জার এক পাশ থেকে অন্য পাশের দূরত্ব নির্ণয় করলেন, এটাকে বলে ডায়ামিটার বা ব্যাস। তারপর আপনি পিজ্জার চারপাশে এক প্রান্ত থেকে একটি দূরত্ব পরিমাপ করলেন যেটাকে বলে পরিধি। এ পিজ্জাটি কোনো ব্যাপারই নয়, যত বড় হোক। আপনি যদি পরিধিকে, ডায়ামিটার দ্বারা ভাগ করেন, তার মান একই হবে আর তা হলো পাই, এটাকে গ্রীক লেটার π দিয়ে ডিফাইন করা হয়। পাই-এর সবচেয়ে মজার ব্যাপার হলো এটি কখনো শেষ হয় না আর এটি তার কোনো ডিজিট রিপিটও করে না। এটি অসীম ডেসিমাল প্লেস পর্যন্ত চলতে থাকে। এটি অনেকটা অশেষ গল্পের মতো। [iii]
  • হার্মোনিক সিরিজ: হার্মোনিক সিরিজ হলো ধনাত্মক পূর্ণসংখ্যার পারস্পরিক সমষ্টি। এটি অসীম পর্যন্ত চলতে থাকে, যার কোনো সীমা নেই: H = 1 + 1/2 + 1/3 + 1/4 + …
  • ফ্যাক্টোরিয়াল ফাংশন: ফ্যাক্টরিয়াল ফাংশনে এক সিরিজ সংখ্যাকে গুণ করা হয়। আমরা এক্ষেত্রে একটি সংখ্যা নিতে পারি যেমন: ৫! ৫ কে গণনা করার জন্য, আমরা ৫ থেকে শুরু করতে পারি এবং এটাকে তার পূর্বের ধনাত্মক পূর্ণসংখ্যা দিয়ে গুণ করতে পারি যেমন ৫× ৪× ৩ × ২ × ১। প্রতিবার যখন আমরা গুণ করব আমরা আরও বড় সংখ্যা পাব। এক্ষেত্রে আমরা দেখতে পাচ্ছি:
  • ৫ × ৪ = ২০
  • ২০ × ৩ = ৬০
  • ৬০ × ২ = ১২০
  • ১২০ × ১ = ১২০

এবং সবশেষে আমরা যে সংখ্যাটি পেয়েছি সেটি হলো ১২০। তার মানে আমরা একটি সীমানার মধ্যে আটকে আছি। এটাকে আমরা ৬, ৭, ৮ এভাবে নিরবচ্ছিন্নভাবে পুনরাবৃত্তি করতে পারব। যেমন ৬ এর ওপর প্রয়োগ করলে আমরা ৬ এর মধ্যে ৭২০ পাব। কিন্তু  আমরা কখনোই অসীমে উপনীত হতে পারব না। আমরা যখন ফ্যাক্টোরিয়াল নাম্বারের কথা বলি, আমরা সে সংখ্যা থেকে শুরু করি এবং আমরা তার নিচের সকল পজেটিভ সংখ্যা দিয়ে তাকে গুণ করি যতক্ষণ না আমরা ১ এ উপনীত হই। কিন্তু  যখন আমরা ০ ফ্যাক্টোরিয়াল প্রসঙ্গে আসি, আমরা শূন্যের নিচে কোনো ধনাত্মক পূর্ণসংখা পাই না। আর তাই আমাদের কাছে গুণ করার জন্য কোনো সংখ্যা নেই। এ বিশেষ কেসটি মোকাবিলা করার জন্য আমরা ০ কে ১ হিসেবে ডিফাইন করি। এটি একটি নিয়ম, যেটি গণিতবিদরা সংগতিপূর্ণ উপায়ে গণনা করার জন্য প্রতিষ্ঠিত করেছেন এবং নিশ্চিত করেছেন, সুনির্দিষ্ট গাণিতিক বৈশিষ্ট্য সত্য ধারণ করে। আর তাই 0 ফ্র্যাক্টোরিয়ালের গণনার পদ্ধতি স্ট্রেইটফরোয়ার্ড: 0 = 1। এবং আমরা উত্তর পাই ১২০। আর এজন্য ফ্যাক্টোরিয়াল ধনাত্মক পূর্ণসংখ্যাকে n দ্বারা চিহ্নিত করা হয়, ধনাত্মক পূর্ণসংখ্যা 1 থেকে n। এখানে শূন্য ও অসীম দুটোই অসংজ্ঞায়িত।

  • জেনো প্যারাডক্স: একটি নদীকে যদি আপনি অসীম বিন্দুতে ভাগ করেন এবং এক বিন্দু থেকে অন্য বিন্দুতে পথ চলতে চলতে শেষ বিন্দুতে প্রবেশ করতে চান, আপনি কখনো নদী পার হতে পারবেন না। এখানেও অসীম অসংজ্ঞায়িত।
  • ক্যান্টর ডায়োগনাল আর্গুমেন্ট: জর্জ ক্যান্টর দেখেছিলেন প্রাকৃতিক সংখ্যার চেয়ে অসীম সংখ্যক বেশি পরিমাণে বাস্তব সংখ্যা আছে। এটি আমাদের কাছে গণনাতীত সংখ্যক অসীমের কথা বলে। এটা বোঝার জন্য, আমাদের ন্যাচারাল নাম্বারের (১, ২, ৩ এবং সো অন) সেটের সাথে রিয়েল নাম্বার তুলনা করতে হবে (যেটি পূর্ণসংখ্যা ও দশমিক স্থানের সংখ্যার সমন্বয়)। মনে কর, আমরা সকল বাস্তব সংখ্যার একটি তালিকা তৈরি করতে চাই, যেটি দেখতে এরকম:

০.২৩৭৯৪৮৫৬২…

৩.১৪১৫৯২৬৫৩…

-২.৭১৮২৮১৮২৮…

১.৬১৮০৩৩৯৮৮…

-০.৫৭৭২১৫৬৬৪…

এখন আমরা কোণাকুণিভাবে প্রতিটি বাস্তব সংখ্যা থেকে একটি ডিজিট নেব ও সেটাকে পরিবর্তন করে দেব। উদাহরণস্বরূপ, আমরা প্রথম সারিতে ছিল ০.২৩৭৯৪৮৫৬২…  এখান থেকে থেকে ০ ডিজিট নিলাম আর সেটাকে পরিবর্তন করে দিলাম, মনে করুন ১। দ্বিতীয় সারি ৩.১৪১৫৯২৬৫৩… থেকে আমরা ১ নামক ডিজিটটি নিলাম এবং সেটাকে পরিবর্তন করে দিলাম মনে করুন ২। আমরা এ প্রসেস অক্ষুন্ন রাখলাম। আমরা কোণাকুণিভাবে ডিজিট সংস্করণ করার পর একটি নতুন নাম্বার পেয়েছি, মনে করুন সেটা হলো r। আমাদের উদাহরণে,  মনে করুন r= 0.12120….। এখন এখানে একটি মজার ব্যাপার আছে। আমরা দেখতে পাচ্ছি যে r হলো একটি বাস্তব সংখ্যা। এটি আমাদের মূল লিস্টের সকল সংখ্যা থেকে ভিন্ন। কেন? কারণ আমরা প্রতিটি লিস্টের অন্তত একটি ডিজিট চেঞ্জ করেছি। এটি আমাদের কাছে প্রমাণ করে যে, কোনো ব্যাপারই নয়, আমরা বাস্তব সংখ্যার কত বিরাট তালিকা তৈরি করছি, এখানে সবসময় এমন কোনো বাস্তব সংখ্যা থেকে যায় যা আমাদের তালিকায় নেই। এভাবে, আমরা অসীম সংখ্যক অসীমের মুখোমুখি হই।

  • সেট থিওরির অসীম: এ বিষয়টি বোঝার জন্য দুটি সেটের কথা চিন্তা করুন: ন্যাচারাল নাম্বার ( ১, ২, ৩, ৪ এবং সো আন) এবং রিয়েল নাম্বারের ( যার মধ্যে আছে π এবং  √2 এর মতো বিষয়) কথা চিন্তা করুন। এ দুটোই অসীম, কিন্তু  এখানে ভিন্ন ভিন্ন আকারের অসীম আছে। প্রাকৃতিক সংখ্যার সেট গণনাযোগ্যভাবে অসীম। এর অর্থ হলো সেটের দুটি উপাদানের মধ্যে one-to-one সম্পর্ক তৈরি করতে পারব। উদাহরণস্বরূপ, আমরা প্রথম ১ কে প্রাকৃতিক সংখ্যার সাথে, ২ কে দ্বিতীয় প্রাকৃতিক সংখ্যার সাথে জোড় গঠন করতে পারব এবং সো অন। যদিও এই সেট অসীম, কিন্তু  আমরা এর উপাদানগুলো কাউন্ট করতে পারব।  আর অন্যদিকে আমরা কিছুক্ষণ পূর্বেই দেখেছি, বাস্তব সংখ্যা গণনাতীতভাবে অসীম। ক্যান্টর প্রমাণ করেছিলেন প্রাকৃতিক সংখ্যা ও বাস্তব সংখ্যার মধ্যে one-to-one সম্পর্ক তৈরি করার কোনো উপায় নেই। এর অর্থ হলো, আপনি যে পদ্ধতিতে প্রাকৃতিক সংখ্যা গণনা করেন, একই পদ্ধতিতে আপনি বাস্তব সংখ্যা গণনা করতে পারবেন না। বাস্তব সংখ্যার কার্ডিনালিটি অথবা আকার অসীম। এখান থেকে প্রমাণিত হয় যে, সুনির্দিষ্ট কোনো অসীমের অস্তিত্ব নেই, অসীম গাণিতিকভাবে অসংজ্ঞায়িত।
  • অসীম সিরিজ: অসীম সিরিজ হলো অসীম সংখ্যক সিকোয়েন্সের যোগফল। অসীম সিরিজ খুবই কঠিন ও জটিল। আমরা কেবল জিওমেট্রিক সিরিজের একটি সহজ উদাহরণ দিয়ে বিষয়টি বোঝানোর চেষ্টা করব। জিওমেট্রিক সিরিজ হলো এমন একটি সিরিজ যেখানে প্রতিটি পদ পূর্ববর্তী পদ দ্বারা গুণ করা হয়। উদাহরণস্বরূপ, ১ + ১/২ + ১/৪ + ১/৮ + …। এ সিরিজে আমরা ১ থেকে শুরু করেছিলাম। এখন আমরা প্রতিটি পরবর্তী পদ অর্জন করব পূর্ববর্তী পদকে ২ দিয়ে ভাগ করে। তাই আমরা প্রথমে ১ নেব আর তারপর এটাকে ২ দিয়ে ভাগ করব এবং পাব ১/২, আমরা ১/২ কে ২ দিয়ে ভাগ করব এবং  পাব ১/৪ এবং সো অন। এখানে মজার ব্যাপার হলো, আমরা যতই পদ যোগ করি না কেন, এ সিরিজের যোগফল সুনির্দিষ্ট মানের কাছাকাছি যাবে। এক্ষেত্রে কোনো ব্যাপারই নয়, আমরা কত বেশি টার্ম যোগ করেছি, এ সিরিজের যোগফল কখনো ২ কে অতিক্রম করবে না, এটি ২ থেকে ছোট হবে। আমরা যতই টার্ম যোগ করি, তারা ক্ষুদ্র থেকে ক্ষুদ্র হতে থাকবে, কিন্তু  কখনোই শূন্যতে পৌঁছাতে পারবে না। এর অর্থ হলো শূন্য অনির্ধারিত ও অনির্নেয়। এটি আমাদের ধরাছোঁয়ার অনেক ঊর্ধ্বে অবস্থান করে।

শূন্য (০) ও অসীমের (∞) ধারণা ব্যবহার করে অনেকে দাবি করেন, এগুলো ঈশ্বরের অস্তিত্বের প্রমাণ। কারণ আমাদের মহাবিশ্বে ০ এবং ∞ মানুষের বোধের ঊর্ধ্বে অবস্থান করে। আর এটাকে একটি উচ্চতর ঈশ্বর বা ক্ষমতার প্রমাণ হিসেবে দেখা যায়। এখন চলুন আমরা এ যুক্তির বিপক্ষে কয়েকটি প্রতিযুক্তি উপস্থাপন করি:

  • গণিত বিমূর্ত: গণিত অনেক সময় বিমূর্ত ধারণা ও প্রতিক নিয়ে কাজ করে যা মানুষ সৃষ্টি করেছে, মহাবিশ্বকে বোঝা ও আলোচনা করার জন্য। এ কনসেপ্টের মধ্যে আছে, শূন্য ও অসীম। এগুলো মানব সৃষ্ট, আর এখানে কোনো ভৌত বাস্তবতার অপরিহার্য সম্পর্ক নেই যেমন গোল্ডব্যাচ অনুমান, টুইন প্রাইম অনুমান, কোলাটজ অনুমান। এ সকল অনুমানের সাপেক্ষে আমাদের কাছে সুস্পষ্ট কোনো প্রমাণ নেই। টুইন প্রাইম অনুমান দাবি করেছে, অসীম সংখ্যক প্রাইম নাম্বারের জোড় আছে, যেগুলোকে ২ দিয়ে আলাদা করা যায় যেমন (৩, ৫), (১১, ১৩), (১৭, ১৯) এবং সো অন। যদিও আমরা অসংখ্য টুইন প্রাইম নাম্বারের অস্তিত্ব খুঁজে পেয়েছি, কিন্তু  এটি তাদের অসীম অস্তিত্ব সম্পর্কে কোনো নিশ্চয়ইতা দেয় না। বিজ্ঞানে এমন অনেক ধারণা আছে, যা গাণিতিকভাবে খুবই ভালো, কিন্তু  এগুলোর বাস্তব কোনো প্রমাণ পাওয়া যায় না। [iv]
  • গাণিতিক অসম্পূর্ণতা: গণিত নিজেই সীমাবদ্ধ ও অসম্পূর্ণ। গোডেল ইনকমপ্লিটনেস থিওরেম গঠন করেছিলেন গণিতবিদ কার্ট গোডেল, যা দেখিয়েছে, যে কোনো স্বতঃস্বিদ্ধ পদ্ধতির সহজাত অসম্পূর্ণতা। অন্যকথায়, যে কোনো সংগতিপূর্ণ গাণিতিক কাঠামোয়, সবসময় এমন কোনো সত্য থেকে যাবে, যা সে পদ্ধতির মাধ্যমে প্রমাণ করা যাবে না। এ-অসম্পূর্ণতা এই ধারণা নিশ্চিত করে যে, গণিত একা কোনো উচ্চতর ক্ষমতার সুস্পষ্ট প্রমাণ নয়।
  • একাধিক গাণিতিক মডেল: একই প্রপঞ্চ ব্যাখ্যা করার জন্য গণিত ভিন্ন ভিন্ন গাণিতিক মডেল প্রদান করে। উদাহরণস্বরূপ, ক্লাসিক্যাল পদার্থবিজ্ঞান ও কোয়ান্টাম মেকানিক্সের পৃথক পৃথক গাণিতিক মডেল প্রদান করে, যা কণিকার আচরণ পদ্ধতি ব্যাখ্যা করে। একাধিক গাণিতিক মডেলের উপস্থিতি নির্দেশনা দেয় যে, এখানে কোনো স্বতন্ত্র গাণিতিক মডেল নেই, যা মহাবিশ্ব সম্পর্কে সঠিক ব্যাখ্যা প্রদান করতে পারবে। আর তাই গণিতকে উচ্চতর কোনো ক্ষমতার প্রমাণ হিসেবে ব্যবহার করা খুবই কঠিন।
  • বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যা: বিজ্ঞান পরীক্ষামূলক প্রমাণের ওপর প্রতিষ্ঠিত এবং বৈজ্ঞানিক পদ্ধতি অজস্র প্রাকৃতিক প্রপঞ্চের ব্যাখ্যা প্রদান করে কোনোপ্রকার উচ্চতর ক্ষমতা জাগ্রত করা ছাড়াই। অজস্র ঘটনা যা একসময় সুপারন্যাচারাল দাবি করা হয়েছিল, বৈজ্ঞানিক অনুসন্ধান আজ তার সঠিক ব্যাখ্যা দিয়েছে। নক্ষত্রের গঠন থেকে জীবনের বিবর্তন পর্যন্ত বৈজ্ঞানিক থিওরি আমাদের বিকল্প দৃষ্টিকোণ উপহার দিয়েছে, যার জন্য কোনো উচ্চতর ক্ষমতার প্রয়োজন হয়নি।


Reference Book:

  • Physics and God
  1. “A Brief History of Time” by Stephen Hawking
  2. “The Grand Design” by Stephen Hawking and Leonard Mlodinow
  3. “The Fabric of the Cosmos” by Brian Greene
  4. “The Elegant Universe” by Brian Greene
  5. “The Hidden Reality” by Brian Greene
  6. “Cosmos” by Carl Sagan
  7. “Pale Blue Dot” by Carl Sagan
  8. “The First Three Minutes” by Steven Weinberg
  9. “Big Bang” by Simon Singh
  10. “The Black Hole War” by Leonard Susskind
  11. “The Inflationary Universe” by Alan Guth
  12. “The Edge of Physics” by Anil Ananthaswamy
  13. “The Particle at the End of the Universe” by Sean Carroll
  14. “The Trouble with Physics” by Lee Smolin
  15. “The Quantum Universe” by Brian Cox and Jeff Forshaw
  16. “The Trouble with God” by Chris Matheson
  17. “God and the New Physics” by Paul Davies
  18. “The Language of God” by Francis S. Collins
  19. “The Case for a Creator” by Lee Strobel
  20. “The Believing Brain” by Michael Shermer
  • “The God Delusion” by Richard Dawkins
  • “The Blind Watchmaker” by Richard Dawkins
  • “God: The Failed Hypothesis” by Victor J. Stenger
  • “Why There Is No God” by Armin Navabi
  • “The End of Faith” by Sam Harris
  • “The Moral Landscape” by Sam Harris
  • “Breaking the Spell” by Daniel C. Dennett
  • “The Magic of Reality” by Richard Dawkins
  • “The Quantum and the Lotus” by Matthieu Ricard and Trinh Xuan Thuan
  • “The Tao of Physics” by Fritjof Capra
  • “Quantum Physics and Theology” by John Polkinghorne
  • “The Language of Science and Faith” by Karl W. Giberson and Francis S. Collins
  • “The Big Questions in Science and Religion” by Keith Ward
  • “The Science of God” by Gerald L. Schroeder
  • “The Hidden Face of God” by Gerald L. Schroeder
  • “The Physics of Christianity” by Frank J. Tipler
  • “The Universe in a Nutshell” by Stephen Hawking
  • “Climbing Mount Improbable” by Richard Dawkins
  • “Faith vs. Fact” by Jerry A. Coyne
  • “The Cosmic Landscape” by Leonard Susskind
  • “The God Particle” by Leon M. Lederman and Dick Teresi
  • “The Endless Universe” by Paul J. Steinhardt and Neil Turok
  • “The Selfish Gene” by Richard Dawkins
  • “The Varieties of Scientific Experience” by Carl Sagan
  • “The Accidental Universe” by Alan Lightman
  • “The Science of Interstellar” by Kip Thorne
  • “The Quantum World” by Kenneth W. Ford
  • “A Universe from Nothing” by Lawrence M. Krauss
  • “The Big Picture” by Sean Carroll
  • “The Order of Time” by Carlo Rovelli
  • “The Hidden Reality” by Bernard Carr
  • “The God Problem” by Howard Bloom
  • “Why Science Does Not Disprove God” by Amir D. Aczel
  • “The God Argument” by A.C. Grayling
  • “The Belief Instinct” by Jesse Bering
  • “The Soul of Science” by Nancy Pearcey and Charles B. Thaxton
  • “Einstein’s God” by Krista Tippett
  • “The Universe Story” by Brian Swimme and Thomas Berry
  • “The Sacred Depths of Nature” by Ursula Goodenough
  • “The Physics of God” by Joseph Selbie and Paramahansa Yogananda
  • “The Emperor’s New Mind” by Roger Penrose
  • “Shadows of the Mind” by Roger Penrose
  • “The Conscious Mind” by David Chalmers
  • “The Feeling of What Happens” by Antonio Damasio
  • “Self Comes to Mind” by Antonio Damasio
  • “Consciousness Explained” by Daniel C. Dennett
  • “The Astonishing Hypothesis” by Francis Crick
  • “The Ego Tunnel” by Thomas Metzinger
  • “The Quantum Brain” by Jeffrey Satinover
  • “The Physics of Angels” by Rupert Sheldrake and Matthew Fox
  • “Biophysics of Consciousness” by Fritz-Albert Popp and Ulrich Warnke
  • “Consciousness: Confessions of a Romantic Reductionist” by Christof Koch
  • “The Hidden Spring” by Mark Solms
  • “Consciousness and the Brain” by Stanislas Dehaene
  • “The Quantum Enigma” by Bruce Rosenblum and Fred Kuttner
  • “How to Create a Mind” by Ray Kurzweil
  • “Mind and Cosmos” by Thomas Nagel
  • “The Quantum Handshake” by John G. Cramer
  • “Consciousness and the Universe” by Roger S. Jones
  • “The Neural Basis of Free Will” by Peter Tse
  • “The Mind’s I” edited by Douglas R. Hofstadter and Daniel C. Dennett
  • “The Quest for Consciousness” by Christof Koch
  • “The Conscious Universe” by Menas Kafatos and Robert Nadeau
  • “The Quantum Self” by Danah Zohar
  • “The End of Materialism” by Charles T. Tart
  • “Biocentrism” by Robert Lanza and Bob Berman
  • “Mind and the Double Brain” by William R. Klemm
  • “The Conscious Brain” by Jesse J. Prinz
  • “Consciousness and the Existence of God” by J.P. Moreland
  • “The Quantum Mind and Healing” by Arnold Mindell
  • “The Neurology of Consciousness” by Steven Laureys and Olivia Gosseries
  • “Consciousness: Confessions of a Romantic Reductionist” by Christof Koch
  • “The Feeling of What Happens” by Antonio Damasio
  • “Self Comes to Mind” by Antonio Damasio
  • “The Tell-Tale Brain” by V.S. Ramachandran
  • “The Conscious Brain” by Jesse J. Prinz
  • “The Quest for Consciousness” by Christof Koch
  • “The Tell-Tale Brain” by V.S. Ramachandran
  • “The Neurology of Consciousness” edited by Calvin D. Fuller and Almut Engelhardt
  • Consciousness and Evolution:
  1. “The Ego Tunnel” by Thomas Metzinger
  2. “The Ravenous Brain” by Daniel Bor
  3. “The Noisy Brain” by Edmund T. Rolls
  4. “The Neural Basis of Free Will” by Peter Tse
  5. “Out of Our Heads” by Alva Noë
  6. “Neuroscience of Consciousness” edited by Anil Seth
  7. “The Origin of Consciousness in the Breakdown of the Bicameral Mind” by Julian Jaynes
  8. “The Feeling Brain” by Gioia P. Panzarella
  9. “Zen and the Brain” by James H. Austin
  10. “How Emotions Are Made” by Lisa Feldman Barrett
  11. “Being You: A New Science of Consciousness.”
  1. “On the Origin of Species” by Charles Darwin
  2. “The Selfish Gene” by Richard Dawkins
  3. “The Blind Watchmaker” by Richard Dawkins
  4. “The Greatest Show on Earth” by Richard Dawkins
  5. “Why Evolution Is True” by Jerry A. Coyne
  6. “The Extended Phenotype” by Richard Dawkins
  7. “The Ancestor’s Tale” by Richard Dawkins
  8. “Darwin’s Dangerous Idea” by Daniel C. Dennett
  9. “Your Inner Fish” by Neil Shubin
  10. “The Third Chimpanzee” by Jared Diamond
  11. “The Making of the Fittest” by Sean B. Carroll
  12. “The Beak of the Finch” by Jonathan Weiner
  13. “Endless Forms Most Beautiful” by Sean B. Carroll
  14. “The Red Queen” by Matt Ridley
  15. “Wonderful Life” by Stephen Jay Gould
  16. “The Tangled Bank” by Carl Zimmer
  17. “The Structure of Evolutionary Theory” by Stephen Jay Gould
  18. “The Language of God” by Francis S. Collins
  19. “The Evolution of Everything” by Matt Ridley
  20. “The Song of the Dodo” by David Quammen
  21. “The Origin and Evolution of Birds” by Alan Feduccia
  22. “Improbable Destinies” by Jonathan B. Losos
  23. “The Beak of the Finch” by Jonathan Weiner
  24. “Evolution: What the Fossils Say and Why It Matters” by Donald R. Prothero
  25. “Evolutionary Psychology: The New Science of the Mind” by David M. Buss
  26. “Evolutionary Biology” by Douglas J. Futuyma
  27. “Evolution: The Triumph of an Idea” by Carl Zimmer
  28. “Evolution: A View from the 21st Century” by James A. Shapiro
  29. “The Theory That Changed Everything” by Philip Lieberman
  30. “Evolution and Belief” by Robert J. Asher

আরও পড়ুন:

১) কেন ঈশ্বরের প্রয়োজন নেই?

২) কেন ঈশ্বরের অস্তিত্ব প্যারাডক্সিক্যাল?

৩) কেন মহাবিশ্ব সৃষ্টিতে প্রথম কারণের দরকার নেই?