Can't find our books? Click here!

আমার নতুন বই নিউ এম্পেরর অব সেপিয়েন্সিস

মানব মস্তিষ্ক অদ্ভুত একটি অবজেক্ট। আমাদের ব্রেনের আকার তুলনামূলক বড়। একটি তত্ত্ব অনুসারে, ক্যালিফোর্নিয়ার রেডউড বৃক্ষ যেমন সূর্যের আলোর জন্য একে অন্যের সাথে প্রতিযোগিতা করে নিজের উচ্চতা বৃদ্ধি করে ঠিক তেমনি আফ্রিকার হোমো সেপিয়েন্সদের আদিম ব্রেন ফরেস্টে আমরা টেরিটরি ও প্রজনন সঙ্গীর জন্য প্রতিযোগিতা করেছি যেজন্য আমাদের ব্রেন বড় হয়ে উঠে। আর এজন্য আমরা হয়তো বুদ্ধিমান। একটি খোলা মাঠে বিশাল এক রেডউড বৃক্ষ দেখলে আপনি অবাক হতেন। ভাবতেন এত ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র গাছের মাঝখানে এই বিরাট দৈত্য কোথা থেকে এলো! আপনার কাছে মনে হতো বৃক্ষটি নির্ঘাত এলিয়েন অথবা সাইকো। নইলে কোনো প্রতিযোগী না থাকা সত্ত্বেও সে এভাবে নিজের উচ্চতা বৃদ্ধি করতো না। কিন্তু আপনি যদি একটু বুদ্ধিমান হোন তবে আপনি বুঝতে পারবেন, বৃক্ষটি আসলে স্থানীয় নয়, বৃক্ষটি এমন এক এলাকায় বিবর্তিত হয়েছে যেখানে তার মতো আরও অজস্র বৃক্ষ আছে, সে যদি নিজের উচ্চতা বৃদ্ধি না করতো তবে অন্য কোনো বৃক্ষের ছায়ায় পড়ে সূর্যের আলোর অভাবে তার মৃত্যু ঘটতো যার জেনেটিক স্মৃতি তার মেমরিতে এখনো রয়ে গেছে। নিউ এম্পেরর অব হোমো ডিউস

ঠিক তেমনি বাস্তুসংস্থানে মানুষের দৈত্যাকার বুদ্ধিমত্তাকেও যে কারো নিকট এলিয়েন মনে হতে পারে, আমরা ভাবতে পারি আমরা একা ঈশ্বরের সৃষ্টি, কোনো এক ভিন্ন গ্রহের এলিয়েন ।

মনে রাখবেন, তেলাপোকা কোনো বুদ্ধি ছাড়াই মিলিয়ন মিলিয়ন বছর টিকে আছে। তার টাইম মেশিন তৈরির মত বুদ্ধির প্রয়োজন হয়নি। উন্নত বুদ্ধিমত্তা ছাড়াই ডেনিসোভানরা লাখ লাখ বছর টিকে ছিল কিন্তু আজ পৃথিবীতে মানুষের পাশে আর কোনো প্রতিযোগীই নেই অথচ তারা অদ্ভুত বিস্ময়কর ভয়ানক বুদ্ধিমত্তা লালন করছে।

আপনি যদি সচেতন হয়ে থাকেন নিশ্চয় আপনি বুঝতে পেরেছেন মানব মস্তিষ্ক খোলা মাঠে বিবর্তিত হয়নি, রেডউড বৃক্ষের মতোই আমরা আফ্রিকার জঙ্গলে অন্য মানুষের বিপক্ষে প্রতিযোগিতা করেছি যে জন্য আমাদের বুদ্ধি অন্য যে কোনো প্রাণীর চেয়ে এক্সট্রা- টেরিস্টিয়াল!

আমাদের বুদ্ধিমত্তার ভিত্তি জেনেটিক! কিন্তু এ জন্য কী বড় মস্তিষ্কই দায়ী? মনে রাখবেন, নিয়ান্ডারথালদের ব্রেনও অনেক বড় ছিল কিন্ত তারা আমাদের মতো বুদ্ধিমান নয়। আসলে একটি কম্পিউটার যতই বড় হোক তাকে মাঝখান দিয়ে দুই ভাগ করে ফেললে সেটি আর কাজ করবেনা। কিন্তু মানুষের মস্তিষ্কের গোটা একটা হেমিস্ফিয়ার আলাদা করে ফেললেও সেটি কাজ করে! আসলে বড় মস্তিষ্কই শেষ কথা নয়। মানব মস্তিষ্কের রহস্য লুকিয়ে আছে তার নিউরো-প্লাস্টিসিটির ভেতর, কেবলমাত্র আকারে নয়। কিন্তু কেন আমাদের মস্তিষ্কের আকার এখন যেমন ঠিক তেমনই ? কেন আমাদের ব্রেনকে ন্যাচারাল সিলেকশন আর বড় করেনি, আমাদের ব্রেন চাইলে পৃথিবী আকারেরও হতে পারতো, আমাদের বুদ্ধিমত্তার বৃদ্ধির জন্য বিবর্তন নিউরনের সংখ্যা ও সংযোগ বৃদ্ধি করতে পারতো ? কিন্তু কেন ন্যাচারাল সিলেকশন এর চেয়ে বড় মস্তিষ্ক তৈরি করতে পারেনি। পদার্থ বিদ্যার সূত্র কী মস্তিষ্কের বিবর্তনের পথ পরিক্রমায় হস্তক্ষেপ করেছিল? কী ঘটতো যদি আমাদের মস্তিষ্কের আকার এখনকার চেয়ে অনেক বড় হতো?___

১) মানুষের মস্তিষ্ক যদি আকারে অনেক বড় হতো তবে মস্তিষ্কের নিউরনের আকারও বৃদ্ধি পেত। দুটি নিউরনের মধ্যবর্তী যোগাযোগ পথ দীর্ঘতর হয়ে যেতো। নিউরনের মধ্যকার ইলেক্ট্রিক্যাল সিগনাল স্লো হয়ে যেতো । কারণ এত বড় মস্তিষ্কের নিউরাল পথে সিগনাল আদানপ্রদান করতে প্রচুর পরিমাণ শক্তির প্রয়োজন। আমাদের মস্তিষ্ক যদি বর্তমানের চেয়ে বড় হতো তবে আমাদের চিন্তা, স্বপ্ন ও কল্পনাও স্লো হয়ে যেতো। একবার আফ্রিকার জঙ্গলের কথা চিন্তা করুন। যেখানে ভয়ানক সব সিংহ প্রস্তুত হয়ে আছে আমাদের পূর্বসূরীদের শিকার করার জন্য। তাদের নিউরাল যোগাযোগের গতি যদি অত্যন্ত ধীর গতির হয় তবে তারা জরুরী মুহূর্তে কোনো সিদ্ধান্ত নিতে পারত না। তারা প্রয়োজনীয় মুহূর্তে খুব দ্রুত অতীতের মেমরি স্মরণ করতে পারতো না। তাদের পরিকল্পনাগুলো হতো আশংকাজনকভাবে অনেক ধীর গতির। আফ্রিকার জঙ্গলের মত এত হিংস্র একটি পরিবেশে এর চেয়ে বড় ব্রেন তৈরি হওয়াটা প্রজাতির জন্য প্লানেটারি সুইসাইডের প্রতিশব্দ ছিল। আর তাছাড়া স্বয়ং পদার্থবিদ্যার সূত্রই আমাদের মস্তিষ্কের উপর এ সীমারেখা আরোপ করেছে। ভর ও শক্তির নিত্যতার সূত্র মেনেই আমাদের মস্তিষ্ক অভিযোজিত হয়েছে। বড় মস্তিষ্কের জন্য অতিরিক্ত শক্তি প্রয়োজন। আর অতিরিক্ত শক্তি পোড়ালে থার্মোডায়নামিক্সের সেকেন্ড আইন অনুসারে মস্তিষ্কের এন্ট্রপির পরিমাণ বেড়ে যাবে। প্রশ্ন হলো কীভাবে এ সমস্যা মোকাবিলা করা সম্ভব?

২) একটি বিশেষ উপায়ে মস্তিষ্ক ছোট রেখেও আমাদের বুদ্ধি বাড়ানো যেতে পারে। এজন্য আপনি নিউরনের থিকনেস কমিয়ে একই জায়গায় অসংখ্য নিউরন রাখতে পারেন। নিউরন সেলগুলোকে থিক বা চিকন করে অনেক গুলো সেলকে একই স্পেসে রাখা যায়। কিন্তু নিউরন যদি অনেক বেশি চিকন হয় তবে ব্রেন এক্সনের মধ্যে কেমিক্যাল ও ইলেক্ট্রিক্যাল রি-অ্যাকশন ব্যর্থ হবে। ডগলাস ফক্স, সায়েন্টিফিক আমেরিকাতে লিখেছিলেন, এটি সকল সমস্যর জন্মদাতা। আমাদের মস্তিষ্কের ইলেক্ট্রিসিটির জন্ম যে প্রোটিন মলিকিউল থেকে যাকে বলা হয় আয়ন সেগুলিও অস্থিতিশীল হয়ে উঠবে!

৩. আবার আমরা নিউরাল কানেকশনের ঘনত্ব বৃদ্ধি করে সিগন্যালের স্পিড বাড়িয়ে তুলতে পারি। কিন্তু এতে করে শক্তির শোষণ বেড়ে যাবে। কারণ এত বিপুল স্পিডে সিগনাল আদান প্রদানের জন্য ব্রেনকে অধিক শক্তি সংরক্ষণ বা কনজার্ভ করতে হবে। দেহের অন্যান্য অঙ্গপ্রত্যঙ্গ দূর্বল হয়ে উঠবে পর্যাপ্ত শক্তির অভাবে। একবার চিন্তা করে দেখুন, আফ্রিকার জঙ্গলে এমন দূর্বল দেহের মানুষের পক্ষে সার্ভাইভ করা কতটা অসম্ভব। তাছাড়া অতিরিক্ত শক্তি ব্যবহার করার কারণে থার্মোডায়নামিক্সের সেকেন্ড আইন অনুসারেই, ব্রেন Hot বা উত্তেজিত হয়ে যাবে, এতে করে মস্তিষ্কের আকৃতি বৃদ্ধি পাবে। যা আমাদের ব্রেন সিগন্যালের নিকট তার ডেস্টিনেশনে যাওয়ার পথের সময় বাড়িয়ে তুলবে৷ অতএব এবারও আমরা স্লো মোশনে চিন্তা করতে বাধ্য হবো। আমাদের চিন্তা ও কল্পনা আবারও স্লো হয়ে যাবে। আমাদের ডিসিশনের গতি স্লো হয়ে যাবে। সিদ্ধান্ত নেয়ার পূর্বেই আমরা ভয়ানক কোনো শিকারীর কবলে পড়ে শেষ হয়ে যাবো।

তাহলে দেখতেই পাচ্ছেন স্বয়ং শক্তির নিত্যতা ও তাপগতিবিদ্যার দ্বিতীয় সূত্র আমাদের মস্তিষ্কের বিবর্তনে নাক গলায়! আমাদের মস্তিষ্কের বিবর্তনে এত সুক্ষ্মতর পর্যায়ে পদার্থবিদ্যার আইন কাজ করছে যে এটি লঙ্ঘন করলে আমরা আজকের এ রোবটিক্স সভ্যতা পেতাম না! তবে ফিজিক্সের সূত্রকে কৌশলে ফাঁকি দেয়ারও উপায় আছে। এক সময় মনে করা হতো বাতাসের চেয়ে ভারী কিছু আকাশে উড়তে পারেনা কিন্তু আজ হেলিকপ্টার, রকেট ও উড়োজাহাজ বিশাল সব সরঞ্জাম নিয়ে আকাশে উড়ে। তার মানে এই নয় যে তারা গ্রেভেটির আইনকে অমান্য করেছে। এটি কেবল গ্রেভিটির আইনকে পরিপূর্ণভাবে মেনে মুক্তিবেগ অর্জন করেছে! ঠিক তেমনি এ বইতে আমি দেখিয়েছি যদিও আমাদের ব্রেন কত বড় হবে তা ফিজিক্স দ্বারা নির্ধারিত তবে ফিজিক্সের সূত্র ঠিক রেখেই তার উলটো দিকে যাওয়া সম্ভব। আমি প্রস্তাব করেছি মহাবিশ্বে যদি আমাদের চেয়ে বড় মস্তিষ্কের কোনো প্রাণী থাকে তবে৷ তাদের ব্রেনের তাপমাত্রা সহনশীল রাখার জন্য মাথার পেছনে অবশ্যই একটি পাখা বা এয়ার পাম্প থাকবে! যার মাধ্যমে ব্রেন সার্কিটে পর্যাপ্ত পরিশোধিত বাতাস প্রবেশ করবে। অথবা তাদের মস্তিষ্কে এমন কোনো রাসায়নিক উপাদান থাকবে যা এয়ার কুলার হিসেবে কাজ করে।

তারমানে ভিন্ন গ্রহে যদি এ ধরণের ঘণ নিউরন সম্পন্ন উচ্চবুদ্ধিমত্ত্বার এলিয়েন থাকে তবে তাদের ব্রেন সিগন্যালের স্পিড ঠিক রাখার জন্য মাথার পেছনে অথবা খুলির উপরে একটি প্রাকৃতিক পাম্প মেশিন বিবর্তিত হবে। এতে করে তার মস্তিষ্ক শীতল ও স্থিতিশীল ভাবে তার কাজ করতে পারবে। মস্তিষ্কের আকারও যথাযথ থাকবে। এটা আমার একান্ত ব্যক্তিগত প্রস্তাব। আমি বিশ্বাস করি মহাবিশ্বে এ ধরণের হায়ার ইন্টেলেকচুয়াল থাকা সম্ভব। তাদের মাথার পেছনের অংশ ব্যাঙের গলার মত আওয়াজ করার সময় সংকোচিত ও প্রসারিত হবে, এ অংশটি অন্য অংশের চেয়ে স্ফিত হবে, অসংখ্য ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র ছিদ্র থাকতে পারে । তবে এক্ষেত্রে একটি টুইস্টও হতে পারে। যে সকল এলিয়েন ব্যাঙের মতো সেই পাখা বা পাম্প দিয়ে মিউজিক্যাল সাউন্ড তৈরি করতে পারবে কেবল তারাই যৌনসঙ্গীকে আকৃষ্ট করতে পারবে।

প্রাকৃতিকভাবে বিবর্তিত সেই পাখা ব্যবহার করে তারা যৌন সঙ্গীর কাছে ম্যাটিং সিগনাল প্রেরণ করবে। এমনও হতে পারে সে অংশটি মাইন্ড রিড করতে সক্ষম। বিক্ষিপ্ত ইলেক্ট্রোম্যাগনেটিক সিগনাল থেকে সুনির্দিষ্ট প্যাটার্ন বের করার মাধ্যমে। এ ধরণের অ্যালিয়েনদের দুই ধরণের যোগাযোগ ব্যবস্থা থাকবে। তারা আমাদের মত মৌখিক ভাষায় যেমন কথা বলতে পারবে ঠিক একইভাবে তারা মিউজিক্যাল ভাইব্রেশনের মাধ্যমে পরস্পর সিগনাল আদান প্রদান করতে পারবে। তাদের সামাজিক যোগাযোগ পদ্ধতি হবে অনেক উন্নতর। তারা পরস্পর পরস্পরের ইমোশন গভীরভাবে অনুভব করবে, একে অন্যের প্রতি অনেক বেশি আন্তরিক ও সহানুভূতিশীল হবে এবং তারা হবে কোমল ও নরম মনের অধিকারী! সমৃদ্ধ ভাষার উন্নতির কারণে তাদের সংস্কৃতি হবে আমাদের থেকেও আরও অনেক জটিল ও সভ্যতার দিক থেকে হাজার হাজার গুণ উন্নত। [ এ এইচ লিহন , ৬-১৬-২০২২ ]

ফিজিক্সের সূত্রই আমাদের ব্রেনের ইন্টিলিজেন্টকে ম্যাক্সিমাম করে দিয়েছে। একটি নির্দিষ্ট প্রাকৃতির সীমারেখার বাইরে শক্তির নিত্যতার সূত্র আমাদের ব্রেনকে যেতে দেবে না। তাই আমরা ব্রেনকে একটি নির্দিষ্ট সীমার বাইরে বড়ো বা ছোটো কোনোটাই করতে পারব না, আমাদের ইন্টিলিজেন্ট ন্যাচরাল লিমিটেই স্থির থাকবে। কিন্তু ফিজিক্স এ পদ্ধতিতে আমাদের বুদ্ধিমত্তার প্রাকৃতিক বিবর্তনকে সমর্থন না করলেও ড্রাগ, জিন থেরাপি অথবা TES প্রযুক্তির মাধ্যমে আমরা আমাদের ব্রেনের বুদ্ধিমত্তাকে আপডেট করতে পারি। এ বইতে টেকনোলজিক্যাল টেলিপ্যাথি, টেলিকেনেসিস সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে। কীভাবে একজন মানুষের ব্রেনকে অন্য আর একজন ব্যক্তির সাথে সংযুক্ত করা যায়। কীভাবে সমস্ত পৃথিবীর সকল মানুষের ব্রেনকে ইন্টারনেটের মাধ্যমে সংযুক্ত করে দেয়া সম্ভব। এখানে দেখানো হয়েছে কীভাবে মানব সভ্যতা তাদের চারপাশের পরিবেশে ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র চিপ ছড়িয়ে দিয়ে সাইকোলজিক্যালি এক্সটারনাল মহাবিশ্ব নিয়ন্ত্রণ করতে সক্ষম!

আমরা কী ভিন্ন কোনো গ্যালাক্সিতে চলে যেতে পারি? অন্তত আমরা আমাদের কনসাসনেসকে কোয়ান্টাম ট্রান্সজিশনের মধ্যমে ভিন্ন কোনো মহাবিশ্বে প্রেরণ করতে সক্ষম? মহাবিশ্ব ধবংস হয়ে যাওয়ার পরও আমাদের পক্ষে কী সম্ভব আমাদের কনসাসনেসকে প্রিজার্ভ করা? কিন্তু সেটা কোন পদ্ধতি মেনে? কীভাবে শক্তির মধ্যে চেতনাকে এনকোড করা যায়? আমাদের থেকে মিলিয়ন বছর পূর্বে মহাবিশ্বে এসেছে এমন কোনো প্রাণীর অস্তিত্ব আছে? তাদের চিন্তার পদ্ধতি কেমন? তারা কী আমাদের থেকে প্রযুক্তিগতভাবে মিলিয়ন গুণ এগিয়ে নয়? যদি তাই হয় তারা বর্তমানে কোথায়? ইন্টারগ্যালাক্টিক স্পেস জয়ের জন্য ছুটে বেড়াচ্ছে? পারমাণবিক যুদ্ধে ধ্বংস হয়ে গেছে নাকি তারা কম্পিউটারের ইন্টিগ্রেটেড সার্কিট হিসেবে বাস করছে এখন? এলিয়েনরা কী চেতনার দিক থেকেও এলিয়েন? ইম্মর্টালিটি অর্জনে বর্তমান বিজ্ঞান ঠিক কতদূর অগ্রসর হয়েছে?

আমরা জানি আমাদের মন বিবর্তনের ধারাবাহিকতায় তৈরি , আমাদের মনের বিলিয়ন বিলিয়ন তথ্য আমাদের অজান্তেই প্রসেস হয়। আমরা আমাদের অবচেতন মনের চিন্তাগুলো কন্ট্রোল করতে পারিনা। অবচেতনে আমরা প্রত্যেকেই মোটামুটি ক্রিমিনাল। প্লেটো বলেছিলেন, অদৃশ্য হওয়ার ক্ষমতা থাকলে আমরা সবাই ক্রাইম করতাম। এমনকি স্বপ্নের মধ্যেও আমাদের ব্রেন অনেক সময় যুদ্ধ বিগ্রহ করে।

ইন ফিউচার আমাদের মস্তিষ্ক যদি চিপের মাধ্যমে পরিবেশের সাথে কানেক্টেড হয় তবে আমাদের চিন্তাই পাওয়ার সোর্স ম্যানিপুলেট করে পরিবেশকে কন্ট্রোল করবে। আমরা যা চিন্তা করবো তাই বাস্তবায়িত হবে। আমরা জানি, ঘুমের ভেতর আমাদের মস্তিষ্ক তার অবচেতন মনকে নিয়ন্ত্রণ করতে পারেনা।! উত্তেজিত অবস্থায়ও আমাদের ব্রেন অবচেতন মনকে কন্ট্রোল করতে পারেনা। হাজার বছর পর যদি এক্সটারনাল মহাবিশ্ব আপনার ব্রেন সিগনাল দ্বারা চালিত হয় তবে আপনি কী পারবেন সে সময় আপনার মিলিয়ন মিলিয়ন বছর ধরে বিবর্তিত অবচেতন মনকে কন্ট্রোল করতে? ভবিষ্যৎ প্রযুক্তি আপনাকে সমস্ত মহাবিশ্বের উপর ডোমেইন দেবে! কিন্তু আপনার নিজের অবচেতন মনের উপর আপনার ডোমেইন কতটুকু?

বই: নিউ এম্পেরর অব সেপিয়েন্সিস
মূল্য: ৳৬০০
প্রচ্ছদ: সজল চৌধুরী
প্রকাশক:হাইপারস্পেস
বইটি সংগ্রহের জন্য যোগাযোগ করুন এখানেঃ https://www.facebook.com/HyperSpaceBD/

See less