এ এইচ লিহনের ‘X-ইউনিভার্স: ফেমিনিন ফিউশন’ গতানুগতিক বিজ্ঞান গ্রন্থের সীমানা পেরিয়ে এক জোরালো ইশতেহার হিসেবে প্রকাশিত হয়েছে। এটি কেবল একটি বই নয়, এটি বিবর্তন, লিঙ্গ এবং মানব যৌনতা নিয়ে প্রতিষ্ঠিত বৈজ্ঞানিক ও সামাজিক ধারণার বিরুদ্ধে এক তীব্র ও প্রয়োজনীয় বিদ্রোহ। হাইপারস্পেস থেকে প্রকাশিত এই গ্রন্থটি পাঠকের কম্ফোর্ট জোনকে চ্যালেঞ্জ করে, তাকে বাধ্য করে গভীরে গিয়ে নিজস্ব বিশ্বাস এবং বৈজ্ঞানিক পক্ষপাতিত্ব নিয়ে ভাবতে।
বইটির মূল শক্তি এর প্রশ্নগুলিতে। সূচিপত্র দেখলেই বোঝা যায় লেখক কতটা সাহসী পথ নিয়েছেন। ‘ডিল্যুশন অব জেন্ডার’ শিরোনামের অধ্যায় দিয়ে শুরু করে, লেখক সরাসরি লিঙ্গ পরিচয়ের সামাজিক নির্মাণ এবং বিবর্তনীয় ভিত্তিকে প্রশ্ন করেন। এর পরপরই আসে বিস্ফোরক প্রশ্ন—’বিজ্ঞান কেন নারীকে একগামী প্রমাণ করতে চেয়েছিল?’ এই অধ্যায়ে লেখক ঐতিহাসিক বিজ্ঞান এবং পুরুষতান্ত্রিক সামাজিক চাপের একটি সূক্ষ্ম বিশ্লেষণ তুলে ধরেন, দেখান কীভাবে গবেষণা একসময় নারীর যৌনতাকে সংজ্ঞায়িত ও নিয়ন্ত্রণ করার হাতিয়ার হয়েছিল।
‘X-ইউনিভার্স’ কোনো সরল পাঠ নয়। এটি মনস্তত্ত্ব, শারীরবিদ্যা এবং বিবর্তনবাদের জটিল সংযোগগুলিকে অত্যন্ত তীক্ষ্ণভাবে বিশ্লেষণ করে। কিছু অধ্যায়ের শিরোনাম, যেমন ‘নারীর পুসিতে একটি পেনিস ক্যামেরা’ বা ‘ফোর-ডি আল্ট্রাসাউন্ড ও সেক্সচুয়াল ইন্টারকোর্সের পর মৃত একজন নারীর যোনি পর্যবেক্ষণ’, হয়তো প্রথমদিকে অস্বস্তি বা বিতর্কের জন্ম দিতে পারে; কিন্তু লেখকের বৈজ্ঞানিক উদ্দেশ্য স্পষ্ট: অনুসন্ধান এবং সত্য উদঘাটন। তিনি সংবেদনশীল বিষয়গুলিকে সস্তা চাঞ্চল্যের ঊর্ধ্বে রেখে সম্পূর্ণ বৈজ্ঞানিক দৃষ্টিকোণ থেকে পর্যবেক্ষণ করেছেন।
পুরুষ এবং নারীর মনস্তত্ত্বের গহীনে প্রবেশ করে লেখক ‘ডিকোডিং দ্য মাইন্ড অব ফিমেইল’ এবং ‘পুরুষের পর্নোগ্রাফিক মনের সমীকরণ’-এর মতো অধ্যায়ে জটিল মনস্তাত্ত্বিক প্যাটার্নগুলির ব্যবচ্ছেদ করেন। এই বিশ্লেষণগুলি পাঠককে তার নিজস্ব পক্ষপাতিত্ব এবং সামাজিক কন্ডিশনিং নিয়ে ভাবতে বাধ্য করে।
বইটির ডাউনলোড লিংক নিচে দেয়া হলো-
বইটি পড়ে কেউ যদি আমাদের ডোনেশন দিতে চান তবে বিকাশ করুন। বিকাশ পারসোনাল: 01996729282
বইটি ডাউনলোড করুন এখানে-
বিকল্প লিংক: এখান থেকে ডাউনলোড করুন।


