এক সময় সোশ্যাল মিডিয়াতে শুক্রাণুর প্রতিযোগীতার উপর ভিত্তি করে একটি ভিডিয়ো ব্যাপকভাবে ভাইরাল হয়েছিল। সেখানে দেখানো হয়েছিল মিলিয়ন মিলিয়ন শুক্রাণু ডিম্বাণুর সাথে মিলিত হওয়ার জন্য ক্রমাগত প্রতিযোগিতা করছে, একে অন্যের সাথে যুদ্ধ করছে! যেন তারা মিলিয়ন শুক্রাণুকে পরাজিত করে নিজেদের ভবিষ্যৎ নিশ্চিত করতে পারে। এটার উপর ভিত্তি করে একটা দর্শনও তৈরি হয়। আর তা হলো Do or Die!
কিন্তু প্রকৃতি সবসময় আপনার কর্মকে মূল্যায়ন করেনা, আপনি যত যাই করেন না কেন! আপনি যত লক্ষ মানুষকেই পরাজিত করেন না কেন সেটা অনেক সময় আপনার ভবিষ্যৎ নিশ্চিত করার আদর্শ মানদণ্ড হতে পারে না। এ বিষয়টি সম্পর্কে আমি সর্বপ্রথম জেনেছিলাম রিচার্ড ডকিন্সের সেলফিশ জিন পড়তে গিয়ে। আমার মতে সেলফিশ জিন কোনো বই নয় এটি একটি ফিউচার সিমুলেটর কম্পিউটার। কীভাবে আমি প্রথম বুঝেছিলাম যে শুক্রাণুর প্রতিযোগিতার যুদ্ধ আসলে সঠিক নয়?

- আমি দেখেছিলাম যৌন প্রজনন বিবর্তিত হয়েছে লং টার্ম রিলেশনশিপের পূর্বে সেক্স করার মাধ্যমে সঙ্গীর শারীরিক ও মানসিক সামর্থ্য যাচাই করার জন্য। সেক্সের মাধ্যমে নারী ও পুরুষের মধ্যে কেমিক্যাল আন্ডারেস্টেন্ডিং তৈরি হয়। তারা একে অন্যের দূর্বলতা ও সবলতা বুঝতে পারে৷ চুম্বনের মাধ্যমে একজনের অক্সিটোসিন অন্যের মুখে প্রবেশ করে। এজন্য অক্সিটোসিনকে মাইন্ড রিডিং মলিকিউলও বলা হয়। চুম্বনের মাধ্যমেই একজন সঙ্গী বুঝতে পারে কে তার জন্য উপযোগী আর কে তার জন্য উপযোগী নয়। এ থেকে প্রমাণিত হয় যে মানসিক পর্যায় থেকেই মানুষ খারাপ জিনকে এভোয়েড করে আর ভালো জিনকে গ্রহণ করে। [১]
- আদিম পুরুষরা বহুগামী ছিল৷ তারা অজস্র নারীর সাথে প্রজনন করতো। একজনকে ছেড়ে তারা অন্য আর একজনের কাছে চলে যেত। এটা একজন নারীর জন্য মোটেও উপযোগী ছিল না। নারী সন্তান গর্ভধারণ করবে, সেই সন্তান গর্ভে থাকাকালীন পুরুষ তাকে একা করে দিয়ে অন্য কোনো নারীর নিয়ে ব্যস্ত থাকবে। এটা কিন্তু নারীর জন্য মোটেও কল্যাণকর নয়। এজন্য নারী লজ্জা ও অভিমানের মাধ্যমে পুরুষের সাথে সেক্স করা থেকে বিরত থাকতে চায়। কেবল যারা বছরের পর বছর তাদের পেছনে ঘুরাঘুরি করে তাদের সাথেই তারা প্রজনন করে। [২]
- 10 Signs She Faked Her Orgasm একটি আর্টিকেলে বলা হয়, নারীর অর্গাজম দুইপ্রকার: ফেইক অর্গাজম ও রিয়েল অর্গাজম। বিশ্বস্ত ও যোগ্য কোনো পুরুষের সাথে যদি সে সঙ্গম করে তবে সে রিয়েল অর্গাজম তৈরি করে আর অবিশ্বস্ত পুরুষের সাথে যখন তার সেক্স হয় তখন সে ফেইক অর্গাজম তৈরি করে। নারীকে যখন পুরুষ পর্যাপ্তভাবে অর্গাজম দিতে পারে, তখন তার জরায়ু ছন্দোবদ্ধভাবে সংকুচিত ও প্রসারিত হয় যা ঐ পুরুষের স্পার্মকে গর্ভাশয়ে প্রবেশ করার অনুমোদন প্রদান করে বা নারীর যৌনি ভালো পুরুষের স্পার্ম চুষে নেয়। কিন্তু নির্বাচন প্রক্রিয়া এখানেই শেষ নয়। [৩]
- আমি এবার ঝিনুকদের পর্যবেক্ষণ করলাম। কীভাবে ঝিনুকের ডিম্বাণু ও শুক্রাণু একে অন্যকে নিষিক্ত করে। ঝিনুকরা মূলত insemination এর সময় উপস্থিত থাকেনা । আর তাই তারা বুঝতে পারেনা কে তাদের জন্য ভালো আর কে তাদের জন্য মন্দ। তারা তাদের সঙ্গীর ভালোমন্দের ব্যাপারে পূর্ব থেকে কোনোপ্রকার প্রেডিকশন করতে পারেনা। তারা কেবল সমুদ্রে তাদের স্পার্ম ছেড়ে দেয়। নারীদের ডিম্বানু আর পুরুষের শুক্রাণু মুক্তভাবে সমুদ্রে সাঁতার কাটে। ডিম্বাণু তার জন্য উপযুক্ত শুক্রাণুর কাছে একপ্রকার রাসায়নিক সিগনাল প্রেরণ করে। আর শুক্রাণু তাকে জবাব দেয়। আর এভাবে নারীর ডিম্বাণুই নির্বাচন করে কোন শুক্রাণু ভবিষ্যৎ প্রজন্মে যেতে পারবে আর কোন শুক্রাণু ভবিষ্যৎ প্রজন্মে যেতে পারবেনা। অতএব আপনি বুঝতেই পারছেন, শুক্রাণু যতই প্রতিযোগিতা করুক। আল্টিমেটলি সে কাকে সিলেক্ট করা হবে সেটি র্যান্ডম প্রবাবিলিটির উপর নির্ভর করছে। আপনি যতই প্রতিযোগিতা করেন না কেন ভাগ্য যদি আপনাকে ফেভার না করে তবে আপনার পক্ষে সম্ভব নয় টিকে থাকা। [৪]
- এবার আমি চিন্তা করলাম একই ঘটনা কী মানুষের ক্ষেত্রেও ঘটা সম্ভব? এমন কী সম্ভব যে, নারীর ডিম্বাণু নিজেই কেমিক্যাল সিগনালের মাধ্যমে ভালো শুক্রাণুর কাছে মেসেজ সেন্ড করবে? তাকে রাসায়নিক প্রেমপত্র লিখবে কাছে আসার জন্য? মিলিয়ন মিলিয়ন শুক্রাণুর মধ্যে ঠিক কোন শুক্রাণু ভবিষ্যৎ প্রজন্মে যাবে তার সম্পূর্ণটাই কী নারীর জিম্বাণুর উপর নির্ভর করতে পারে?
- রিচার্ড ডকিন্সের দ্যা সেলফিশ জিন পড়ে আমি জানতে পারি কিছু প্রাণী এমনও থাকতে পারে যাদের ডিম্বাণু স্পেসিফিক্যালি কেবল পুরুষ সন্তান জন্ম দেয়ার জন্য ওয়াই ক্রোমোজম নির্বাচন করতে পারে যেন সেই স্পেসিফিক ভৌগোলিক পরিবেশে পুরুষের অভাব পুরণ করা যায় অধিক সংখ্যক নারীদের প্রেগন্যান্ট করার জন্য। সেই ভৌগোলিক পরিবেশে নারীকে প্র্যাগনেন্ট করার পুরুষের বড্ড অভাব কারণ অধিকাংশ পুরুষ যুদ্ধ বিগ্রহ করতে করতেই মারা যায় যে জন্য সেখানে প্রজনন করার জন্য কোনো পেনিস থাকেনা। পেনিসের অভাব পুরুণ করার জন্যই নারীর ভ্যাজাইনা স্পেসিফিক ক্রোমোজোমকে অনুমোদন দেবে। কারণ সে সমাজকে প্রিজার্ভ করার জন্য পুরুষ প্রয়োজন। আর এজন্য ভিন্ন ভিন্ন ভৌগোলিক পরিবেশে নারী ও পুরুষের কার্ভ ফ্ল্যাকচুয়েট করবে! কোথাও তরঙ্গ শীর্ষ কখনো তরঙ্গপাদ। নারী ও পুরুষের হারে বিভিন্নতার ঢেউ দেখা দেবে। আর এভাবে নারীর ডিম্বাণু সুনির্দিষ্ট সন্তানের প্রতি পক্ষপাত করবে। অন্য কিছু প্রাণীর ক্ষেত্রে সন্তান মেয়ে হবে নাকি ছেলে হবে পরিবেশের বিশেষ চাপে এ ব্যাপারে নারীর অচেতন নিয়ন্ত্রণ থাকে। [৫]
- আমি হেলেন ফিশারের কয়েকটি গবেষণাপত্র পড়লাম।। সেখান থেকে আমি জানতে পারি, গুড জিন যদি গুড জিনের সাথে সমন্বিত হয় তবে যে প্রকরণ তৈরি হবে সেটি হবে শক্তিশালী। আর এজন্যই নারী ও পুরুষের মধ্যে জটিল সব মানসিক পরিস্থিতি কাজ করে যার মাধ্যমে তারা খারাপ জিন উপেক্ষা করে ভালো জিন বাছাই করতে পারে। কারণ রাসায়নিক সিগনালের মাধ্যমে পটেনশিয়াল জিন যত সহজে সিলেক্ট করা যায় তত সহজে শরীর ও মন পাঠ করে উল্লেখিত অন্যান্য পদ্ধতির মাধ্যমে গুড জিন সিলেক্ট করা যায়না। ম্যাক্রোস্কোপিক সিলেকশনে প্রতারিত হওয়ার একটি সমূহ সম্ভাবনা থাকে। আর পুরুষ যেহেতু অবিশ্বস্ত এজন্য নারীর ডিম্বাণুর উচিত এমন সব শুক্রাণু নির্বাচন করা যেটি ভবিষ্যৎ সময়ের অনির্ধারিত পরিবেশে সার্ভাইভ করার জন্য অপটিম্যাল হতে পারে, যে জিন পরবর্তী প্রজন্মের জন্য উপযোগী। আর এজন্য নারীর শরীরে এমন কোনো মেকানিজম বিবর্তিত হওয়া উচিত যার মাধ্যমে সে অপেক্ষাকৃত ভালো জিনগুলোকে নির্বাচন করবে অন্যান্য খারাপ জিনদের তুলনায়! অন্য কথায় নারীর ভ্যাজাইনা হবে পুরুষের মাইক্রোস্কোপিক জেনেটিক কোড রিডার! আরও পড়ুন: এখানে
- যেহেতু বাহিরের আচার আচরণ দ্বারা একজন নারী সবসময় পুরুষের জেনেটিক্স বুঝতে পারেনা। তাই আমি ভেবেছিলাম, বিশ্বস্ত ও অবিশ্বস্ত নির্বিশেষে যেকোনো পুরুষের স্পার্ম ল্যাবরেটরিতে যদি নারীর ডিম্বাণুর সাথে ফলিকুলার ফ্লুয়েডে রাখা হয় তবে নারীর ডিম্বাণু রাসায়নিক সিগনালের মাধ্যমে উপযুক্ত জিনকে মেটিং সিগনাল প্রেরণ করবে। সে জিন তার সঙ্গীর হোক অথবা অন্য কারো, বিশ্বস্ত কারো হোক অথবা অবিশ্বস্ত। এখানে শরীর বা মন গুরুত্বপূর্ণ নয়। রাসায়নিক সিগনালের মাধ্যমে যদি সরাসরি গুড জিন সিলেক্ট করা যায় তবে একজন নারীর ডিম্বাণু র্যান্ডমলি যে কারো শুক্রাণুর সাথে সম্পর্ক তৈরি করতে পারে! এটি একটি ভাগ্যের ব্যাপার!
- আমি দুশ্চিন্তাগ্রস্ত ছিলাম আমার সংশয়ের ব্যাপারে। এত শত বছরের প্রিজুডিস কোনো প্রমাণ ছাড়া ভাঙার উপায় আমার ছিলনা আর এটা অত্যন্ত সংবেদনশীল একটি প্রস্তাপ যার সাপেক্ষে আমার হাতে কোনো ল্যাবরেটরি প্রুভ নেই! কিন্তু আশার কথা হলো, ২০২০ সালে একদল গবেষক এটা পরীক্ষামূলকভাবে প্রমাণ করেন যা ৩০০ বছর বিজ্ঞানের অজানা ছিল। গবেষণাটি রয়েল সোসাইটিতে Chemical Signals from Eggs facilitate cryptic Choice in Human শিরোনামে প্রকাশিত হয়। [৬] সেখানে বলা হয় মানুষের ডিম্ব শুক্রাণুর কাছে সংকেত প্রেরণ করে। মেনচেস্টার বিশ্ববিদ্যালয়ের NHS ফাউন্ডেশন ট্রাস্ট এবং ইউনিভার্সিটি অব মেনচেস্টর দেখিয়েছে যে এ কেমিক্যাল সিগনাল স্পার্ম চয়েজ করে। ভিন্ন ভিন্ন নারীর ডিম ভিন্ন ভিন্ন পুরুষ পছন্দ করে, তবে সেই পুরুষ যে তার প্রেমিক হতে হবে এমন কোনো বাধ্যবাধকতা নেই। আমরা আগেই আলোচনা করেছি মানুষ তার সঙ্গী নির্বাচন করার জন্য অজস্র সময় ও শক্তি অপচয় করে। স্টোকহোম ইউনিভার্সিটি এবং মেনচেস্টটরের NHS ফাউন্ডেশনের নতুন এক গবেষকদল বলছেন,
সেক্সের পরেও সঙ্গী নির্বাচন প্রক্রিয়া চলতে থাকে৷ একজন নারীর মস্তিষ্ক প্রাথমিকভাবে যে পুরুষকে পছন্দ করে তার ডিম্বাণু সেক্সের পর সে পুরুষের স্পার্ম পছন্দ করবে এমন কোনো বাধ্যবাধকতা নেই। তার মানে দেখা যাচ্ছে, নারীর মস্তিষ্ক একজন পুরুষকে নির্বাচন করলেও তার ডিম্বাণু সে পুরুষকে পছন্দ করবে কী করবেনা সেটি নির্ভর করছে র্যন্ডম প্রবাবিলিটির উপর!
মানুষের ডিম্বাণু এক ধরণের কেমিক্যাল রিলিস করে যার নাম ক্যামোঅ্যাট্রাকট্যান্ট ( Chemoattratants ) যেটি স্পার্মকে নিষিক্ত করে। স্টোকহোম বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যাসোসিয়েট প্রফেসর গবেষক জন ফিজপেট্রিক বলেন, আমরা অনুসন্ধান করেছিলাম ডিম্বগুলো কী এ রাসায়নিক সিগনালগুলো তারা যে স্পার্মের প্রতি আকৃষ্ট তার জন্য ব্যবহার করে কিনা। গবেষকরা পর্যবেক্ষণ করেছিলেন কীভাবে ফলিকুলার ফ্লুয়েডে স্পার্ম রেসপন্স করে। এই তরলের মধ্যে স্পার্ম ও স্পার্মের কেমোঅ্যাট্রাক্টর রাখা হয়। গবেষকরা দেখতে চেয়েছিলেন ভিন্ন ভিন্ন নারীর ফলিকুউলার ফ্লুয়েড কিছু কিছু পুরুষের স্পার্মকে অন্যান্য পুরুষের উপর অগ্রাধিকার দেয় কিনা। যেটাকে বলা হয় মাইক্রোস্কোপিক মেট চয়েজ! এ গবেষণায় দেখা যায় কিছু কিছু নারীর ফলিকুলার ফ্লুয়েড একজন পুরুষের স্পার্ম পছন্দ করলে অন্যান্য নারীর ফলিকুলার ফ্লুয়েড ভিন্ন কোনো পুরুষের স্পার্ম পছন্দ করে।

এটি আমাদের দেখায় যে, নারী ও পুরুষের স্পার্ম ও ডিম্ব একে অন্যের সাথে সুনির্দিষ্ট পরিচিতির উপর ভিত্তি করে মিথস্ক্রিয়া করে। এক এক জন নারীর ডিম এক এক রকম স্পার্ম পছন্দ করে বা পূর্ব থেকেই তাদের মধ্যে সেই স্পেসিফিক স্পার্মের প্রতি একপ্রকার পক্ষপাত ছিল যেটাকে পোস্ট মেট সিলেকশন বলা যায়। প্রফেসর ডেনিয়েল ব্যারিসন বলেন, ডিম যে স্পার্ম নির্বাচন করে এ ধারণাটি খুবই মহান!
তারমানে দেখতেই পাচ্ছেন একজন নারীর ব্রেন যে পুরুষটিকে পছন্দ করে তার ডিম্ব সে পুরুষটিকে পছন্দ করেনা। এমন কোনো বাধ্যবাধকতা নেই। গবেষকরা দেখিয়েছেন, অন্যান্য পুরুষ অপেক্ষা নিজের প্রেমিকের স্পার্মকে অধিক গুরুত্ব দেয়া হবে এমন কোনো প্রমাণ আমরা দেখিনি। নারীর ডিম্বাণু কেবল স্পার্ম বুঝে কিন্তু স্পার্মের হোস্টকে সে চেনেনা।
প্রশ্ন হলো শুক্রাণুর কী কোনো পছন্দ আছে? প্রফেসর ফিজপেট্রিক বলেন, স্পার্মের একটাই কাজ কেবল উর্বর করা; অতএব তাদের মধ্যে এ ধরণের নির্বাচন বেমানান। অন্যদিকে নারীর ডিম্বাণু যদি হাই কোয়ালিটি সম্পন্ন অথবা জেনেটিক্যালি উপযুক্ত স্পার্ম বাছাই করে এটা তার জন্য উপকারী।
আমার দিক থেকে এ গবেষণা দ্বারা আমি বুঝতে পেরেছি কেবল পিউর লজিক ও পর্যবেক্ষিত ডেটার মাধ্যমে আপনি বৈজ্ঞানিকভাবে গ্রহণযোগ্য সিদ্ধান্তে পৌঁছে যেতে পারেন। যে কারো পক্ষেই বিজ্ঞান নিয়ে সিদ্ধান্তে আসা সম্ভব। যদিও উপস্থিত প্রমাণ সে মুহূর্তে কাছে না থাকে।
তথ্যসূত্র:
- The First Kiss of Love … and Death
- The Selfish Gene
- 10 Signs She Faked Her Orgasm
- Female eggs are picky and can reject a partner’s sperm
- The Selfish Gene
- Anatomy of Love
- Chemical Signals from Eggs facilitate cryptic Choice in Human


