জেনেটিক্সঃ জেনেটিক পর্যায়ে নারী ও পুরুষের ব্রেন মারাত্মকভাবে আলাদা। গবেষণায় দেখা গেছে, পুরুষের মস্তিষ্কের প্রতিটি সেলে Y ক্রোমোজোম থাকে। কিন্ত আশংকাজনকভাবে নারীদের মস্তিষ্কের কোনো সেলেই Y ক্রোমোজোম নেই। Y ক্রোমোজোমের অভাবে বিভিন্ন ফিজিক্যাল ইফেক্ট দেখা যায়। তবুও বেশিরভাগ নারী তাদের ব্রেন ডিএনএ তে এত স্পষ্ট ঘাটতি থাকার পরও স্বাভাবিক জীবনযাপন করেন। কিন্তু তারা এটা কীভাবে করে এ ব্যাপারে গবেষকরা বিস্তারিত জানেন না। [ ‘ব্রেন’ বইটিতে এর উত্তর পেতে পারেন]
লোকেশনঃ নারী ও পুরুষের মস্তিষ্কের একটি গুরুত্বপূর্ণ পার্থক্য হলো তাদের কোথায় পাওয়া যায়। পুরুষের ব্রেন সবসময় পুরুষের খুলিতে পাওয়া যায় আর নারীর ব্রেন নারীর খুলিতে। এ ধরণের দৃঢ় পক্ষপাত কো-ইনসিডেন্স নয়। নারী ও পুরুষের খুলি আলাদা কারণ তাদের ব্রেন সাইজ আলাদা।
আকারঃ পুরুষের ব্রেন নারীর থেকে বড়। ঠিক যেমনি পুরুষের পা, ধড় অথবা কঙ্কাল। মানব পুরুষ নারীদের চেয়ে বড়। অনেকে দাবি করেন , এজন্য পুরুষ বুদ্ধিমান। সে হিসেবে মানুষের চেয়ে হাতি অথবা তিমি মাছের বুদ্ধি বেশি হওয়া উচিত ছিল। কিন্তু আপনি এখনো কোনো হাতিকে ল্যাটেস্ট ভার্সনের আইফোন ব্যবহার করতে দেখেননি। তারমানে দেখা যাচ্ছে যে বড় মস্তিষ্কের মানেই অনেক ব্যাপক বুদ্ধিমত্তা নয়। স্পার্ম তিমি অথবা হাতি পাবলিক প্লেসে বিরোধীদলের রাজনৈতিক নেতার সমালোচনা করেনা। ( বিস্তারিতঃ ভালোবাসার ফসিল)
কানেকশনঃ নারী ও পুরুষের ব্রেন কানেকশনের দিক থেকে আলাদা। লক্ষ্যনীয়ভাবে, পুরুষের ব্রেন পেনিসের সাথে কানেক্টেড বিভিন্ন সংযোগ প্রক্রিয়ায়। আর নারীর ব্রেন তার ভেজাইনার সাথে কানেক্টেড অত্যন্ত জটিল সম্মিলিত সিস্টেম দ্বারা। নারীর ভেজাইনার কানেকশনের তুলনায়, পুরুষের ব্রেন ও পেনিসের সংযোগ একদম সোজাসাপটা। কিন্তু নারীর ভেজাইনা ও ব্রেন কানেকশন আসলেই জটিল। এর সম্ভাব্য কারণ কী হতে পারে এ নিয়ে পরবর্তীতে কোন এক সময়ে আলোচনা করবো।।
পেইন সেনসেশনঃ সাধারণত এটা ভাবা হয় যে পুরুষের ব্রেন নারীর তুলনায় অধিক পেইন সহ্য করতে পারে। কিন্ত সন্তান জন্ম দেয়ার সময় একজন নারী তার মস্তিষ্কে ব্যাথার সহনশীলতা অভাবনীয়ভাবে বাড়িয়ে তুলতে পারে। কোন পুরুষের মধ্যে এ ধরণের রেকর্ড আজও পাওয়া যায়িনি।
বিশেষায়ণঃ অবজার্ভেশনাল স্টাডি আমাদের দেখিয়েছে যে, পুরুষের ব্রেন অধিক ক্ষমতাবান দায়িত্ব পালন করতে চায়, তারা হায়ার পজিশন দখল করতে চায় এবং তারা বাছবিচারহীনভাবে খুন করতে পছন্দ করে। আর অন্যদিকে নারীর মস্তিষ্কের হার্ডওয়্যার কাজ করে অধিক অপমান ও নির্যাতন ভোগ করার জন্য, নিজেদের শারীরিক অবয়বের ব্যাপারে অবসেশনে থাকার জন্য এবং অন্য মানুষ ও তাদের বাচ্ছাদের যত্ম করার জন্য। যদিও এটি বিতর্কিত তবে, বিবেচনা করার মতো। কারণ মানুষের ব্রেন তার অভিজ্ঞতার পরিবর্তনের সাথে বদলে যায় যা তার ব্রেন কানেকশনের ভেতর দিয়ে প্রতিফলিত হয়।এটা প্রস্তাব করছে যে, পুরুষ ও নারীর মস্তিষ্কে কোনো চিহ্নিত পার্থক্য নেই।
যাইহোক। আপনার জন্য এটা ভাবা ঠিক হবেনা যে, নারীর ব্রেন কানেকশন নির্যাতন ভোগ করার জন্য ডেভেলপ হয়েছে বলে আপনি নারী নির্যাতন করবেন। এ ধরণের স্টেরিওটাইপ ও কুসংস্কারের কোনো সায়েন্টিফিক ভিত্তি নেই।
তথ্যসূত্রঃ


