Can't find our books? Click here!
কেন গাণিতিকভাবেই ঈশ্বরের অস্তিত্ব অসম্ভব?

ডিল্যুশন অব গ্র্যান্ড ডিজাইন

একদিন ঘুম থেকে জেগে দেখি, আমি বাইবেলের পৃষ্ঠায় বসে আছি। আমি যখন স্পেস-টাইমে চোখ রাখি, আমি বুঝতে পারি, মহাবিশ্ব নিজেই বাইবেল, পৃথিবীর সকল গ্রন্থের আদি গ্রন্থ। আর তাই আমি গভীর মনে একে পড়তে থাকি। আমি আমার দেহের প্রতিটি পরমাণু দেখতে পাচ্ছি। শুনেছি মানুষের দেহে গড়ে ৭ অক্টিলিওন পরমাণু আছে, প্রতি সেকেন্ডে যদি আমি একটি করে পরমাণু গণনা করি, তবে শেষ পরমাণুর কাছে পৌঁছাতে ২২১ ট্রিলিয়ন বছর কেটে যাবে। প্রতিটি পরমাণু পদার্থবিদ্যার আইন মেনে চলে। আমার কাছে মনে হচ্ছে পদার্থবিদ্যার প্রতিটি আইন বাইবেলের এক একটি সূত্র বা পবিত্র বানী। আমি এখানে শক্তির নিত্যতার সূত্রের দেখা পেলাম, দেখা পেলাম মাধ্যাকর্ষের সর্বজনীন আইন, থার্মো ডায়নামিক্স ও কোয়ান্টাম মেকানিক্সের। এ কসমিক বাইবেলের ভেতর এটা ছিল খুবই অদ্ভুত ও বিস্ময়কর উপলব্ধি। ফিজিক্সের আইনগুলো আমার সাথে এমনভাবে আচরণ করছিল, যেন এগুলো আমার প্রতিদিনের সজ্ঞা নির্ধারণ করেছে।


আমি অবাক হয়ে দেখি, বাইবেলে দুটি কণা একইসাথে ও একইসময় একাধিক স্থানে থাকতে পারে। আমি দেখছি দুটি এনট্যাঙ্গল পার্টিকেল বিলিয়ন বিলিয়ন লাইট ইয়ার্স দ্বারা বিচ্ছিন্ন হয়েও একে অন্যকে প্রতিক্রিয়া করছে, যেন তাদের মাঝখানে কোনো স্পেস-টাইম নেই। আর এসবকিছু হচ্ছে বাইবেলের কিছু ইকুয়েশন মেনে, কোয়ান্টাম আনসার্টেইনটি ও সুপারপজিশন।


আমি খুবই অবাক হলাম এখানে সময়ের ধারণা খুবই ভয়ানক। এই কসমিক বাইবেলের এক এক পাতায় সময় এক একভাবে বিট করে। আমি বাইবেলের একটি পাতা ফুটো করে অন্য পাতায় চলে যাই, আমি আবিষ্কার করি, আমি সময়ের যে বিন্দু থেকে ভ্রমণ শুরু করেছিলাম, সে সময়েই ফিরে এসেছি, আমি অতীত ভ্রমণ করেছি।


আমি বুঝতে পারি আমার সাথে অদ্ভুত কিছু হচ্ছে, এটি ছিল একটি মাল্টিপ্লাই কানেক্টেড স্পেস অথবা ওয়ার্মহোল। আমি গভীরভাবে দেখেছি, পরমাণুর বেশিরভাগই শূন্যস্থান, আমার দেহের ৯৯ ভাগ আক্ষরিকার্থে শূন্যস্থানের তৈরি। কিন্তু আমি বারবার দেয়ালে ধাক্কা খাই, আমি মাতালের মতো এদিক ওদিক পড়ে ব্যাথা পাই। অবশেষে আমি বুঝতে পেরেছি, শূন্যস্থান শূন্য নয়, এখানে আছে ওয়েভ ফাংশন। আমার ওয়েভ ফাংশন যখন বস্তুর ওয়েভ ফাংশন দখল করতে চায়, তখন সেখান থেকে বিকর্ষণ শক্তি তৈরি হয়। আর তাই আমার কাছে বাইবেলের সবকিছু সলিড লাগে। এটাকে পাউলির এক্সক্লুশন প্রিন্সিপল বলে, যেটি বাইবেলের আর একটি নীতি।


আমি আবিষ্কার করলাম, এখানে আছে চারটি ফান্ডামেন্টাল ফোর্স। প্রতিটি ফোর্সের এক একটি বাহক কণা আছে। ইলেক্ট্রোম্যাগনেটিক ফোর্সের বাহক ফোটন এবং স্ট্রং ফোর্সের বাহন গ্লুওন, গ্র্যাভেটির বাহক গ্র্যাভিটন এবং উইক ফোর্সের বাহক W এবং Z বোসন। আমি অবাক হয়ে দেখি, এ চারটি ফোর্স একে অন্য থেকে মহাবিস্ফোরণের পর থেকে বিচ্ছিন্ন। সৃষ্টির শুরুতে ফোর্সগুলো একে অন্যের সাথে তারতম্যহীন ছিল। এ চারটি ফোর্স একীভূত ছিল একটি উচ্চমাত্রিক বাবলের ভেতর (মহাপ্রতিসাম্য), বাবলটি ছিল এগারমাত্রিক। এগারমাত্রিক বাবলের ভেতর বাস করেছিল গড ইকুয়েশন। কিন্তু সোপ বাবলের মতোই এটি কম্পন করেছিল, এটি ছিল অস্থিতিশীল, একটা সময় বাবলটি কোয়ান্টাম টানেলিং-এর মাধ্যমে ভেঙে যায়, আর এতে করে দুটি বাবল তৈরি হয়: ছয়মাত্রিক ও চারমাত্রিক। আমাদের চারমাত্রিক জগত সম্প্রসারিত হয় এবং ছয়মাত্রিক জগত সংকুচিত হয়ে প্ল্যাংক লেংথ থেকেও ক্ষুদ্র মাত্রায় কুচকে যায়, এ প্রক্রিয়াকে বলে ফিশনিং, মহাবিস্ফোরণের পর প্রথমে আলাদা হয়েছিল মাধ্যাকর্ষ, তারপর স্ট্রং ফোর্স এবং তাদের অনুসরণ করেছিল ইলেক্ট্রোম্যাগনেটিক ফোর্স ও নিউক্লিয়ার ফোর্স।


আমি এক সময় আবিষ্কার করি, বাইবেলে কোনো কণা ও ফোর্স নেই। সবকিছু একমাত্রিক স্ট্রিং-এর ভাইব্রেশন, শূন্যস্থান বলতে কোনোকিছু নেই, শূন্যস্থানে একমাত্রিক স্ট্রিং কম্পন করছে। একটি সূক্ষ্ম সূতার ভেতর একটি পিঁপড়া যেমন ডানে ও বামে যেতে পারে না, কেবল সামনে ও পেছনে মুভ করে, স্ট্রিংগুলোও একমাত্রিক জগতে সঠিকভাবে ভাইব্রেশন ও ইন্টারেকশন করতে পারে না।

ডিল্যুশন অব গ্র্যান্ড ডিজাইন
ডিল্যুশন অব গ্র্যান্ড ডিজাইন


আপনি একটি সরল রেখার ওপর শুধু সামনে ও পেছনে যেতে পারবেন কারণ তার মাত্রা একটি, আপনি একটি দ্বিমাত্রিক কাগজে ডানে-বামে-সামনে ও পেছনে যেদিকে খুশি সেদিকে যেতে পারবেন কারণ এটি দ্বিমাত্রিক। আর আপনি থার্ড ডায়মেনশনে আরও স্বাধীনভাবে চলাচল করতে পারবেন, আপনি একইসাথে ও একইসময় উপরে ও নিচে অবস্থান করতে পারবেন। ঠিক তেমনি স্ট্রিং যদি তার সর্বোচ্চ সম্ভাবনায় নিজেকে এক্সপ্রেস করতে চায়, তার এগারমাত্রিক স্থান-কাল প্রয়োজন। স্ট্রিং যখন এগারমাত্রিক স্থান-কালে ভাইব্রেট ও ইন্টারেক্ট করে, তখনই পার্টিকেল ও ফোর্স তৈরি হয়। আর এজন্যই একটি কণা একইসাথে ও একইসময় একাধিক স্থানে থাকতে পারে। কিন্তু এগারমাত্রিক স্থান-কালে স্ট্রিং এত জটিল উপায়ে ইন্টারেক্ট ও ভাইব্রেট করে, এখান থেকে ভিন্ন ভিন্ন পার্টিকেল, ফোর্স ও ফিজিক্স তৈরি হয়, জন্ম নেয় মাল্টিভার্স। আমি বুঝতে পারি, এ কসমিক বাইবেলের এমন অনেক পৃষ্ঠা আছে, যাদের স্থান-কাল, পার্টিকেল, ফোর্স ও পদার্থবিদ্যার নিয়ম সম্পূর্ণ পৃথক, আমি কখনোই সে সকল মহাবিশ্বে প্রবেশ করতে পারব না।


এ মহাজাগতিক গল্পে, জীবন বিবর্তিত হয়েছিল বিলিয়ন বিলিয়ন বছর পর। পদার্থবিদ্যা, গণিত ও রসায়নের জটিল মিথস্ক্রিয়া জীববিজ্ঞানের জটিল সিম্ফোনি জন্ম দেয়। মহাবিস্ফোরনের ১৩.৮ বিলিয়ন বছর পর, জীবন ও চেতনার প্রকাশ ঘটে, যেটি ছিল প্রাকৃতিক বিশ্বের সৌন্দর্য ও জটিলতার সাক্ষী। কিন্তু আমি ফিজিক্স ও ম্যাথের ক্ষমতা ব্যবহার করে, এ কসমিক স্ক্রিপচারের বিভিন্ন পৃষ্ঠা ঘুরে দেখেছি, আমি এর কোনো লেখক খুঁজে পাইনি। আমি মহাবিশ্বের কোনো ঘটনায় কোনো স্বর্গীয় ঈশ্বরের গাইডিং হ্যান্ড খুঁজে পাইনি, তার কোনো শব্দ নেই। তার পরিবর্তে, আমি দেখেছি এগারমাত্রিক স্থান-কালে স্ট্রিং-এর গাণিতিক কম্পন থেকে এ বাইবেল লেখা হয়েছে, ফিজিক্সের আইন নিজেই গ্রহ-নক্ষত্র ও ছায়াপথের লেখক, তারা লিখেছে আমার ডিএনএ কোড, যা কোনো গ্র্যান্ড ডিজাইনারের জটিল নকশার চেয়েও বিস্ময়কর। আমি নাস্তিক হয়ে ওঠি। আমার সাথে আরও অনেকে ছিল যারা আস্তিক ও সংশয়বাদী। তারা গোডেল থিওরেমের কথা স্মরণ করে। তারা আমায় বলে, চিন্তা কর একটি ব্ল্যাকবেরির কথা। যার মধ্যে আছে অসংখ্য লেয়ার। তুমি একটি লেয়ার থেকে অন্য লেয়ারের সাথে কমিউনিকেশন করতে পারবে না, যদিও সে লেয়ারগুলো তোমার সাথে সহাবস্থান করছে, তোমার নাকের ঢগায়। তুমি ব্ল্যাকবেরির মধ্যে উপস্থিত আরও ট্রিলিয়ন ট্রিলিয়ন মহাবিশ্ব সম্পর্কে জান না, কারণ তাদের স্থান-কালের গঠন তোমার মহাবিশ্ব থেকে আলাদা। তোমার মহাবিশ্বের ফর্মাল সিস্টেমের সাথে তাদের ফর্মাল সিস্টেমের ভিন্নতা আছে। তোমার মহাবিশ্বের পার্টিকেল, ফোর্স ও ফিজিক্সের আইন দিয়ে তুমি সে সকল অজানা মহাবিশ্বের সত্যতা প্রমাণ করতে পারবে না, যদিও সে সকল সত্য তোমার সাথেই আছে।


চিন্তা কর, সকল মহাবিশ্বকে সংযুক্তকারী একটি সুপারফোর্স আছে, এই ফোর্স বাইবেলের প্রতিটি পৃষ্ঠা একসাথে সংযুক্ত করে, ঠিক যেমনি একটি কণা একইসাথে ও একইসময় একাধিক স্থানে থাকে। তারা বলে, এ সত্যকে তুমি তোমার ফিজিক্স ও ম্যাথম্যাটিক্যাল পদ্ধতি দিয়ে প্রমাণ অথবা অপ্রমাণ করতে পারবে না। তারা আমাকে সতর্ক করে দিল, আর এটা কখনোই সম্ভব না। তাই তারা ক্রিপ্টিক আজ্ঞেয়বাদীতে পরিণত হয়, একদল বাইবেলের বিস্ময়ে হতবাক হয়ে সে সুপারফোর্সকে বিশ্বাস করতে শুরু করে, তারা মানব জ্ঞানের শূন্যস্থান পূরণ করার জন্য এ সুপারফোর্স ব্যবহার করে, তারা কসমিক বাইবেলকে ভুলে যায়, তারা কাগজের তৈরি বাইবেল তৈরি করে, সৃষ্টি হয় ধর্ম ও ধর্মীয় অনুশাসন। এদের কেউই জানা ও অজানার মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকতে প্রস্তুত নয়।


আমি ভিন্ন পথ অবলম্বন করলাম, আমি খুব সরলভাবে স্বীকার করে নিলাম যে, কসমিক বাইবেলের যা কিছু আমি জানি, তার প্রতি আমি কৃতজ্ঞ এবং আমি সুবিশাল অজানা বিস্ময়ের প্রতি ভীতসন্ত্রস্ত। কিন্তু আমি কোনো সুপারফোর্স বিশ্বাস করি না। কারণ আমি যদি মেনে নেই, যে সেরকম একটি সুপারফোর্স অস্তিত্বশীল তারপরও প্রশ্ন জাগে, সেই সুপারফোর্স কোথা থেকে এলো? আর সুপারফোর্সের থাকা ও না থাকা দ্বারা আমার বিশ্বের ফিজিক্স ও ম্যাথ প্রভাবিত নয়। হ্যাঁ, তুমি বলতে পার, আমি আমার বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির জ্ঞানের মধ্যে সীমাবদ্ধ, আমি বাইবেলের একটি পাতার মধ্যে বন্দী। আমি স্বীকার করে নিয়েছি, যে আমি একটি পৃষ্ঠার মধ্যে বন্দী, আমাকে একসাথে ধরে রেখেছে ফোর্স, পার্টিকেল ও ফিজিক্স। আমি স্বীকার করি, যা আমি জানি ও জানি না।


কিন্তু যার সাপেক্ষে আমি কোনো প্রমাণ পাইনি তাকে নিয়ে উদ্ভট কোনো চিন্তা করতে চাই না। সে থাকুক অথবা না থাকুক, তা এ মুহূর্তে আমার চেতনাকে অস্বীকার করে না। আমি যে মহাবিশ্বকে অনুভব করছি, আমার এ মহাবিশ্ববোধ নষ্ট হয় না। আর তাই আমি আমার উপস্থিতিকেই এ মুহূর্তে গুরুত্বপূর্ণ মনে করি। বাইবেলের লেখকের অনুপস্থিতি আমার কাছে এ মহাজাগতিক পবিত্র গ্রন্থের জাঁকজমক ও বিস্ময় একদমই ঝাপসা করেনি, এটি আরও সম্প্রসারিত হয়েছে। আমি আমার একাকীত্ব অনুভব করতে পেরেছি, আমি আমার অস্তিত্বের ম্যাজিক অনুভব করতে পেরেছি, আমি অনুভব করতে পেরেছি যে আমি খুবই বিস্ময়কর ও দূর্লভ। এটি আমার কাছে প্রকাশ করেছে মহাবিশ্ব জটিল ও রহস্যজনক, এটি নির্গত হয়েছে মৌলিক পদার্থবিদ্যার আইন মেনে। এটি আমাকে দেখিয়েছে, একজন সচেতন সত্তা হিসেবে আমি মহাবিশ্বের একটি অংশ, আমি মহাবিশ্বের গভীর ফ্যাব্রিকের সাথে জড়িত।


ফিজিক্সের এ বাইবেল, লেখা হয়েছে গাণিতিক ভাষা দিয়ে, ঠিক যেমনি কম্পিউটার প্রোগ্রাম থেকে আর্টিফিশিয়াল ইন্টিলিজেন্স জন্ম হয়, আমি কী একটি এআই? এটি আমাকে ইনভাইট করে উদ্ভাবন করতে, প্রশ্ন করতে, উন্মোচন করতে গভীর রহস্য। এটি মানুষের কৌতুহল, যুক্তি ও বৈজ্ঞানিক অনুসন্ধানের একটি সাক্ষী। এখানে কোনো অন্ধবিশ্বাস ও মান্যতার চাহিদা নেই, বরং এটি আমাদের পর্যবেক্ষণ, পরীক্ষণ ও সূক্ষ্মচিন্তা করতে অনুপ্রাণিত করে। আমি বাইবেলের একটি চারমাত্রিক পাতায় চুপচাপ ধ্যান করার সময় আকস্মিক বুঝতে পেরেছি, এ কসমিক মহাগ্রন্থ কোনো বিশেষ গ্রুপ অথবা বিশ্বাসের পদ্ধতির জন্য নয়।


এটি ধর্মীয় সীমারেখা অতিক্রম করে, এটি সকলকে আলিঙ্গন করে, যারা তার গভীরতা খনন করার সাহস করে। এটি আমার কাছে নাস্তিকের বাইবেল, কোনো মতবাদ অথবা ধর্মমত নয়, এটি আতঙ্ক, অনুপ্রেরণা, আশা এবং বুদ্ধিবৃদ্ধিক আলোর উৎস। এই মহাজাগতিক উপখ্যানে প্রতিটি নাস্তিকই জেসাস, সে কোনো দেবতা নয় যে তাকে পূজা করতে হবে, জ্ঞান, বোধ ও সহানুভূতির প্রতি মানুষের অনাদী আকাঙ্খার একটি প্রতিক। আমাদের সকলের কসমিক গল্পে আমাদের রাজা হওয়ার সক্ষমতা আছে, প্রাকৃতিক বিশ্বের বিস্ময়কে আলিঙ্গন করার অধিকার, পৃথিবী এবং মহাবিশ্বের সকল জীবনের কল্যাণ নিশ্চিত করার দায়িত্ব।
এ নাস্তিক্যের বাইবেলে, পাথরে লেখা কোনো কমান্ডমেন্ট নেই, এখানে আপনাকে ডাকা হয়েছে যুক্তি, সহানুভূতি ও সত্যের অনুসন্ধানকে আলিঙ্গন করার জন্য। এটি মানুষের কল্পনা, সৃষ্টিশীলতা ও কৌতুহলের একটি সাক্ষ্য। আমি আপনাদের ডাকছি সশ্রদ্ধ বিস্ময় নিয়ে মহাবিশ্বের দিকে তাকান, সৌন্দর্য উন্মোচন করুন এবং বিনয়ের সাথে মহাবিশ্বে নিজের ক্ষুদ্রতর অবস্থান স্বীকার করে নিন।


আমি যখন চোখ বন্ধ করি, বাইবেলের প্রতিটি পৃষ্ঠা খণ্ড খণ্ড গাণিতিক নিয়মে ভেঙে যেতে থাকে, আমি গভীর কৃতজ্ঞতা অনুভব করি। আমি কৃতজ্ঞ প্রাকৃতিক বিশ্ব ও পদার্থবিদ্যার আইনের প্রতি যে আমার সম্পর্কে না জেনেই আমাকে অস্তিত্বশীল করেছে। আমি কৃতজ্ঞ মিলিয়ন মিলিয়ন বছর ভবিষ্যত পৃথিবীর প্রতি। আমার কোনো সন্তান নেই, কিন্তু আমরা একই পূর্বসূরি শেয়ার করেছি, আমি কৃতজ্ঞ তোমাদের প্রতি কারণ তোমরা একদিন মহাবিশ্বের গভীর রহস্য উন্মোচন করবে। আমি এ মহাজাগতিক গল্পের অংশ হতে পেরে কৃতজ্ঞ, যেখানে মহাবিশ্ব নিজেই বাইবেল এবং পদার্থবিদ্যার আইন পবিত্র স্ক্রিপচার।

বইটি সংগ্রহ করুন এখান থেকে: HYPERSPACE

ডিল্যুশন অব গ্র্যান্ড ডিজাইন/ ডিল্যুশন অব গ্র্যান্ড ডিজাইন/ ডিল্যুশন অব গ্র্যান্ড ডিজাইন/ ডিল্যুশন অব গ্র্যান্ড ডিজাইন