Can't find our books? Click here!

কম্পিউটারে মাইন্ড আপলোড

রিভার্স ইঞ্জিনিয়ারের মাধ্যমে মানুষের মনকে কম্পিউটার অথবা রোবটের মস্তিষ্কে কপিপেস্ট করা সম্ভব। IARPA’s ( The Intelligence Advanced Research Projects Activity) মেশিন ইন্টিলিজেন্স  ফ্রম কর্টিয়াল নেটওয়ার্ক (MICrONS) যে গবেষণা প্রকল্পটি US Brain এর অংশ । তারা ইতমধ্যে মানুষের মস্তিষ্ককে বুঝার জন্যে গুরুত্বপূর্ণ কিছু প্রকল্প হাতে নিয়েছে। Computer Science Department and the Center for the Neural Basis of Cognition (CNBC) এর এর প্রফেসর টাই সিং লিং মাইক্রনের নেতৃত্ব দিচ্ছেন।মাইক্রনের নকশা হিউম্যান জিনোম প্রজেক্টের মতোই, যে প্রজেক্ট সর্বপ্রথম মানুষের জিনের সিকোয়েন্স এবং ম্যাপিং করেছেন। জিন প্রজেক্টের সাথে মাইক্রনের পার্থক্য হলো এটি মানুষের মস্তিষ্কের নিউরাল ম্যাপিং এর সাথে বিজড়িত।

গবেষকরা মূলত মানুষের ভিজুয়াল অপারেটিং সিস্টেমের ইনফরমেশন প্রসেসিং প্রক্রিয়া বোঝার চেষ্টা করছেন। তারা মনে করেন, যদি তারা ভিজুয়াল সিস্টেমকে বুঝতে পারে তবে তারা সেটিকে এলগোরিদমের মাধ্যমে কম্পিউটারের মধ্যে স্থাপন করতে পারবে।মূলত তারা চাচ্ছে একটি আর্টিফিশিয়াল নিউরাল নেটওয়ার্ক তৈরি করতে যেটাকে বলে Computational Model for artificial intelligence। তারা এটা করছে প্রাণীদের সেন্ট্রাল নার্ভাস সিস্টেম দ্বারা প্রভাবিত হয়ে। এই প্রযুক্তিকে Self Driving Car, facial recognition technology এবং speech and handwriting বোঝার জন্যে ব্যবহার করা যাবে। গবেষকরা বলেছেন, এখনো পর্যন্ত আমরা যে সকল নিউরাল নেট ডেভেলপ করেছি সেগুলি ১৯৮০ সালের, সেটা এখনো মানুষের মস্তিষ্কের পর্যায়ে আসেনি যে আমরা সেটাকে মানুষের পরিবর্তে ব্যবহার করতে পারবো। কার্নিক মেলন ইউনভার্সিটি এবং CNBC বর্তমানে Two photon Calcium imagine Microscopy প্রযুক্তি ইদুরের মস্তিষ্কের একশটির মধ্যে দশটি নিউরন সেলের সিগনালিং রিড করার জন্যে ব্যবহার করছেন , তাদের ভিজুয়াল ইনফরমেশন প্রসেসিং বোঝার জন্যে।

এছাড়া CMU গবেষকরা মানুষের মস্তিষ্ককে আরো ভালোভাবে বোঝার জন্যে বিপুল পরিমাণ ডাটাবেস সংগ্রহ করেছেন। গবেষকরা মনে করেন আমরা এর মাধ্যমে মানুষের মতো মেশিন তৈরি করতে পারবো।

এখন মনে করুন, রিভার্স ইঞ্জিনিয়ারিং এর মাধ্যমে মানুষের মতো চিন্তা করতে সক্ষম একটি মানব কম্পিউটার অথবা রোবট তৈরি করা হলো। যদি কম্পিউটারের মধ্যে মানুষের সাইকোলজি কাজ করে তবে কম্পিউটারের সাইকোলজিক্যাল প্রবলেমও কাজ করার কথা যেমন ডিপ্রেসন এবং একাকীত্ব! কারণ কম্পিউটারটি জানে যে সে মানুষ থেকে রিভার্স ইঞ্জিনিয়ারের মাধ্যমে কম্পিউটার মানবে পরিণত হয়েছে এবং সে কম্পিউটারের ভেতর সম্পূর্ণ একা। Sensory Isolation যাকে বলে।

মিচিও কাকু তার Future of the Mind গ্রন্থে সেন্সরি আইসোলেশনের কারণে কম্পিউটারের সাইকো হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনার কথা উল্লেখ করেছেন, তথা রিভার্স ইঞ্জিনিয়ার্স ব্রেন সেন্সরি আইসোলেশনের কারণে মানসিক ভারসাম্য হারিয়ে ফেলবে। ২০০৮ সালে BBC TV তে একটি সায়েন্স প্রোগ্রাম আয়োজিত হয় যার নাম Total Isolation। সেখানে দেখানো হয় যদি কোন ব্যাক্তিকে আইসোলেশন চ্যাম্বারে রাখা হয় তবে তার মস্তিষ্ক হেলোচুনেশন অনুভব করে।

সেই অনুষ্ঠানে দেখানো হয় এমন ছয়জন স্বচ্ছাসেবককে যাদেরকে একটি নিউক্লিয়ার বাঙ্কারের ভেতরে সম্পূর্ণ অন্ধকারের ভেতর 48 ঘন্টা রাখা হয়। ৪৮ ঘন্টা পর যখন তাদেরকে বাঙ্কার থেকে বের করা হয় তখন শোনা যায় তাদের অনেকে সাপ,হরিণ,জিরাপ,বাঘ ইত্যাদি দেখেছে এমনকি তারা মানসিকভাবে চরম ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, একজন তার মস্তিষ্কের ৩০ পার্সেন্ট মেমরি হারিয়ে ফেলেছে। অতএব রিভার্স ইঞ্জিনিয়ার মানব কম্পিউটার সাইকো হয়ে যাবে আর এ জন্যে যেটা প্রয়োজন সেটা হলো কম্পিউটারকে এক্সটারনাল ইউনিভার্সের সাথে সেন্সরের মাধ্যমে কানেক্ট করে দেয়া যাতে তার পাগলামি দূর হয়!সে যেনো সাইকোলজিক্যালি সুস্থ্য হয়ে উঠে।

আরও পড়ুন- মস্তিষ্কের প্রযুক্তি