Helix University, The Hyperspace
তৃতীয় বিশ্বের মানুষের অশান্তির কারণ দারিদ্রতা, দূর্ণীতি, রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতা অথবা রোগবালাই নয় তাদের আরও একটি অশান্তির কারণ কনসেপ্ট! তৃতীয় বিশ্বের মানুষ আয়নায় নিজের চেহারা দেখেনা! তারা মিরর ব্লাইন্ড! তারা যখন আয়নার দিকে তাকায় তখন তারা দেখে উন্নত বিশ্বের কনসেপ্ট! যে কনসেপ্ট গুলো সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের ভেতর দিয়ে তাদের মস্তিষ্কে ইনপুট করা হয়েছে! তারা আয়নায় বিশ্বসেরা সেলিব্রেটিদের দেখে, তাদের মস্তিষ্কের প্রতিটি নিউরন সেলই যেনো আজ সেলিব্রেটি! দ্বিতীয় রামাসেস বা কিওপেট্রার যুগের চেয়ে হোসনে মোবারকের মিশরে একজন মানুষের না খেয়ে, রোগে ভুগে অথবা সন্ত্রাসী হামলায় মৃত্যুর সম্ভাবনা ছিলো খুব কম। ২০১১ সালে এ জন্য মিশরের নাগরিকদের ঈশ্বরকে ধন্যবাদ জানিয়ে রাস্তায় নাচানাচি করার কথা ছিলো কিন্তু তারা সেটা করেনি তারা হোসনে মোবারককে গদি থেকে নামানোর জন্য রাস্তায় নেমে আন্দোলন করেছে। এর কারণ তারা এখন নিজেদেরকে ফারাওদের মিশরের সাথে তুলনা করছেনা তারা নিজেদেরকে তুলনা করছে সমসাময়িক ওবামার আমেরিকার সঙ্গে! মিডিয়া ম্যানিপুলেশনের কারণে আমাদের মাঝে আজ শান্তি নেই, আগে আমরা নিজেদেরকে তুলনা করতাম আমাদের চারপাশের প্রতিবেশি ও বন্ধুদের সাথে আর এখন আমরা নিজেদের তুলনা করি বিশ্বের অন্যতম সুন্দরী ও প্রভাবশালী ব্যক্তি ত্বের সাথে। মিডিয়া খুঁজে খুঁজে আমাদের সামনে পৃথিবীর আট বিলিয়ন মানুষের মধ্যে সবচেয়ে সুন্দর মুখগুলোকে তুলে ধরছে, কাজেই আয়নায় নিজের চেহারা দেখে আমাদের হতাশ হওয়া ছাড়া আর কোনো উপায় থাকেনা কারণ আমরা আমাদের মস্তিষ্কের ইনসেপ্টেড সৌন্দর্যের কনসেপ্টের সাথে নিজেদের চেহারার কোন মিল খুঁজে পাইনা! আজ এদেশের প্রতিটি ঘরে ঘরে এ হতাশা, এখানে সবাই সেলিব্রেটি হতে চায়, যোগ্যতা থাকুক বা না থাকুক, কোনোকিছু জানুক বা না জানুক, এরা অদ্ভুত ও অবান্তর বিভিন্ন সোশ্যাল কন্টেন্ট তৈরি করে?
নেমাটোমর্ফ হেয়ারওয়ার্ম নামক এক ধরণের ফিতাকৃমি আছে। এরা ঘাসফড়িং এর মস্তিষ্কে প্রবেশ করে তার ব্রেনকে নিজের দখলে নিয়ে নেয় এবং একপ্রকার রাসায়নিক পদার্থের মাধ্যমে ফড়িংটির ব্রেনকে পানিতে ঝাপ দেয়ার ঞ্জন্য নির্দেশ দেয়, সে পানিতে ঝাপ দিয়ে সুইসাইড করে আর অন্যদিকে কৃমিটি নির্বিঘ্নে পানিতে বংশবিস্তার করে যায়।।। পূঁজিবাদী ভাইরাসগুলিও আমাদের মস্তিষ্ককে আজ তাদের স্বার্থপর উদ্দেশ্য ব্যবহারকরছে, ফড়িং এর মতোই আমাদের সাব-কনসাস মাইন্ড আজ তাদের দখলে, তারাই ঠিক করে দিচ্ছে আমাদের ঞ্জন্য কী ভালো বা মন্দ, তারাই আমাদের ঠিক করে দিচ্ছে কোন পদ্ধতিতে চিন্তা করা উচিত, কেমন পোশাক পরিধান করা উচিত, আমাদের মন খারাপ হলে কোথায় বেড়াতে যাওয়া উচিত; দুবাই অথবা প্যারিসে? এমনকি তারাই আমাদের বলে দিচ্ছে কীভাবে গার্লফ্রেন্ডকে কিস করা উচিত!
সেগুলো ভাইরাল করার মাধ্যমে নিজেকে বিশ্বের মডেল হিসেবে দাঁড় করাতে চায় যার জন্য তৈরি হচ্ছে অজস্র বুদ্ধি প্রতিবন্ধী ও সাইকো! আর আমরা এসব করছি আমাদের মস্তিষ্কের সুখের জন্য। জীববিজ্ঞান আমাদের বলছে, আমাদের মন মানসিকতা ও আবেগগত ব্যাপার গুলো নিয়ন্ত্রণ করে কিছু জৈব রাসায়নিক পদার্থ, আর এ জৈব রসায়ন কোটি কোটি বছরের বিবর্তনে তৈরি হয়েছে, অন্যান্য সব মানসিক অনুভূতির মতো আমাদের সুখ বা ভালোলাগার অনুভূতিও বাহ্যিক কোনোকিছু দ্বারা প্রভাবিত হয়না!
গ্যালাক্সিকে আলোকিত করে এক মিলিয়ন নক্ষত্র উদিত হোক, প্রিয় ফুটবল টিম ব্রাজিল জয়ী হোক অথবা টাইম ট্রাভেল প্রযুক্তি উদ্ভাবন করে আমি ভবিষ্যত মহাবিশ্বে চলে যাই এসবের কোনোটার সাথেই আমাদের মস্তিষ্কের সুখের কোনো সম্পর্ক নেই, কোনোটাই আমাকে সুখী করতে পারেনা, সুখ তৈরি হয় আমাদের মস্তিষ্কের স্নায়ুতন্ত্র, সাইনাপটিক নেটওয়ার্ক এবং ডোপামিন, সেরোটোনিন ও অক্সিটোসিনের সমন্বয়ে! আইনস্টাইন E=MC^ আবিষ্কার করেও সুখী হবে না যদি ট্যাকনোলজিক্যালি তার মস্তিষ্কের সেরেটোনিন উতপাদনকে কোনোভাবে কমিয়ে দেয়া সম্ভব হয়। আমরা বিজ্ঞান, দর্শন, সাহিত্য যা কিছুই চর্চা করি না কেনো, আমাদের মস্তিষ্কে যে ধরণের কনসেপ্টই কাজ করুক না কেনো আমাদের সুখের সাথে এদের কোনো সম্পর্কই নেই যদি জিনগতভাবেই আমার মস্তিষ্কের এসব নিউরোট্রান্সমিটারকে সুক্ষ্মভাবে নিয়ন্ত্রণ করা হয়!বিজ্ঞানীরা গবেষণা করে দেখেছেন বাস্তবিকই তাই হচ্ছে কারণ জিনগতভাবে যদি আমাদের মস্তিষ্কের নিউরোট্রান্সমিটার গুলো কারো মধ্যে বেশি ও কারো মধ্যে কম কাজ না করতো তবে আমাদের বন্ধুদের মধ্যে সবচেয়ে মন খারাপ বন্ধুটিকে হয়তো খুঁজে পাওয়া সম্ভব হতো না যে কি না নোবেল প্রাইজ পাওয়ার পরও গম্ভীর মুখে দাঁড়িয়ে থাকে! কেউই নিরবিচ্ছিন্ন ভাবে সুখী হতে পারেনা কারণ সুখের জন্য ডোপামিন ও সেরেটোনিন প্রয়োজন আর যদি মস্তিষ্কে ডোপামিন অতিরিক্ত পরিমাণে তৈরি হয় তবে আপনার মস্তিষ্কের হিপ্পোক্যাম্পাস যা স্মৃতি সংরক্ষণের সাথে জড়িত সেটি ক্রমশ ডেমেজ হয়ে যেতে পারে আর যা হয়তো আপনার জন্য আরও ভয়াভহ দুঃখ ডেকে নিয়ে আসবে! এ জন্য আমাদের মস্তিষ্ক এমন ভাবে বিবর্তিত হয়েছে যেনো নিউরোট্রান্সমিটার গুলোকে অধিকহারে বাড়তে না দেয়, আপনার মস্তিষ্ককে সুরক্ষা করার জন্যেই আপনার জিন আপনার ব্রেনে ডোপামিন ও সেরেটোনিন সীমিত রাখে যা আপনার জন্য মাঝেমাঝেই মন খারাপের কারণ হয়, ধুম করে মন খারাপ হয়ে যাওয়া অথবা নিজেকে মহাবিশ্বের কাছে অসহায় মনে হওয়ার বিবর্তনীয় ব্যাখ্যা সম্ভবত এটাই!
তবে ব্যাখ্যা জানলেই যে আমার মন খারাপ হবে না তা একদম ঠিক নয়, সেরেটোনিন আমার মন খারাপের কারণ এটা আমি জানলেই বা সেরেটোনিনের কী যায় আসে! এসব ব্যাখ্যা আমাদের সাময়িক শান্তনা দেয় ঠিকই কিন্ত একাকীত্ব ও হতাশাকে বরং আরও গভীর করে তোলে! তবে সবচেয়ে মজার ব্যাপার হলো সুখের উপর প্রাকৃতিক নির্বাচন কাজ করে না, দেখা যায় দুশ্চিন্তাহীন সন্ন্যাসীর জিন বিলুপ্ত হয়ে গেছে আর দুশ্চিন্তাগ্রস্ত বাবা-মায়ের জিন ঠিকই টিকে আছে!
আপনি যদি আগামীকাল সমস্ত গ্যালাক্সিও জয় করে ফেলেন আপনার মস্তিষ্কে সেরেটোনিনের হার তার চেয়ে বেশি তৈরি হবেনা যে হারে সেরেটোনিন ৩০ হাজার বছর পূর্বের কোনো এক শিকারী সংগ্রাহকের মস্তিষ্কে তৈরি হতো যে কি না অনেক কষ্টে একটি মামেল শিকার করতে সক্ষম হয়েছিলো! রজার পেনরোজ ব্লাকহোলের গাণিতিক মডেল তৈরি করে তার মস্তিষ্কে যতটুকু সেরেটোনিন তৈরি করেছে আমি একটা অসমাপ্ত কবিতা লিখে ঠিক একই পরিমাণ সেরেটোনিন তৈরি করতে পারি! তাহলে দেখা যাচ্ছে সেলিব্রেটি হওয়া আর না হওয়ার মাঝে জৈবরাসয়নিক কোনো তারতম্য নেই! এমনকি যদি আপনি আগামীকাল বিশ্বের সবচেয়ে প্রভাবশালী ব্যক্তিত্বেও পরিণত হয়ে যান আপনার মস্তিষ্কের রাসায়নিক প্রক্রিয়া একটুও পরিবর্তিত হবেনা! নোবেল প্রাইজ পেয়ে আমরা সেরেটোনিন হ্রাস বা বৃদ্ধি করতে পারিনা আমরা শুধু সেরেটোনিন তৈরি করতে পারি! সুখ বাড়েনা এবং সুখ পুরোপুরিভাবে কমেও যায়না আমরা শুধু সুখী(VICE VERSUS) হতে পারি! সুক্ষ্মভাবে দেখলে মিডিয়া ম্যানিপুলেশনের মাধ্যমে পূঁজিবাদীরা আমাদের মস্তিষ্কের রাসায়নিক পদার্থ গুলো নিয়েই খেলছে, তারা আমাদের জৈব রাসায়নিক প্রক্রিয়াকে ধোকা দিচ্ছে, আমাদের চিন্তাকে করছে প্রতারিত!
হেলিক্স ইউনিভার্সিটির কাজ মানুষকে তার মস্তিষ্কের তৈরি এ নিরর্থকতাগুলোকে বুঝিয়ে দেয়া, একজন মানুষকে এটা বুঝিয়ে দেয়া যে আসলে বড় বা ছোট হওয়ার মধ্যে সত্যিকার অর্থে রাসায়নিক কোনো কৃতিত্ব নেই। আমরা মানুষকে তার জীবনের বিবর্তন ও মনস্তত্ব সম্পর্কে জ্ঞানদান করছি এবং একটি সভ্য ও সহনশীল বিজ্ঞানমনস্ক সমাজ গঠনের জন্য অনুপ্রাণিত করছি। আমাদের কাছে ছোট বা বড় সমান গুরুত্বপূর্ণ, আমাদের কাছে পূর্ণতা ও অপূর্ণতা সমান গুরুত্বপূর্ণ, আমাদের কাছে জ্ঞান ও অজ্ঞানতা দুটোই গুরুত্ব রাখে! আমরা চাই একজন মানুষ বুঝুক যে অপরকে ছোট করার মাঝে বিশেষ কোন কল্যাণ নেই আর কাউকে অসম্মান, অপমান করার মাঝে তার জৈব রাসায়নিক প্রক্রিয়া পরিবর্তিত হয়না, সে যদি এসব নাও করে, সে যদি ইতিবাচক আচরণ করে, সে যদি মানুষের চিন্তা, চেতনা, অজ্ঞতা, জ্ঞান ও অনুভূতিগুলোকে ইতিবাচক বৈজ্ঞানিক বুদ্ধির সাথে পরিচর্চা করে তবে আমরা সৃজনশীল একটি রাষ্ট্র পাবো, পাবো একতা ও সাম্য!
লিহন, প্রতিষ্ঠাতা, হাইপারস্পেস
সহ প্রতিষ্ঠাতা, হাইপারস্পেস, বিপ্লব রায়
চিত্রঃ হাইপারস্পেসের পথযাত্রা
আমাদের ওয়েভসাইট http://www.hyperspacebd.com এ উদ্দেশ্যেই কাজ করছে। আমাদের স্লোগান “Know the Way of thinking “! আমরা চিন্তার পদ্ধতি জানছি, মহাবিশ্বকে বুঝার চেষ্টা করছি এবং সে পদ্ধতিতে অন্যদেরকেও চিন্তা করতে অনুপ্রাণিত করছি। এটি একটি বিজ্ঞানমনস্ক সম্প্রদায় হলেও আমরা কারো নেগেটিভ সমালোচনা করিনা, আমাদের কাজ পর্যবেক্ষণ ও বর্ণনা। আমাদের বর্ণনায় যদি কোন অসঙ্গতি থাকে এবং পরমুহূর্তে যদি আমরা আমাদের অসঙ্গতি বুঝতে পারি তবে আমরাই সেটা সংকোচহীন চিত্তে সংশোধন করে নেই! জ্ঞানচর্চার পাশাপাশি আমরা, প্রতিনিয়ত নিজেদের জ্ঞানের সীমাবদ্ধতা গুলো আবিষ্কার করছি এবং সংশোধিত হচ্ছি!
ERIKA MIRZA, CEO, HELIX VIRTUL UNIVERSITY, THE HYPERSPACE
জিনের উদ্দেশ্য নিজের অনুলিপি তৈরি করা হলেও অনুলিপনকারী অনু গুলো তাদের স্বার্থপর উদ্দেশ্যে আমাদের ব্রেনকে তৈরি করেছে যেটি এক্সিডেন্সিয়ালি মহাবিশ্বকে বুঝতে পারে! যদিও জিন জানেই না যে তার তৈরি মস্তিষ্কের নিউরনেই আটাশ বিলিয়ন গিগাপার্সেক আয়তনের এ মহাবিশ্ব প্রকাশিত এবং এ মস্তিষ্কটি মহাবিশ্বের ফিজিক্স জানে! জিনের কাছে এসবের কোনো তথ্য নেই! এন্ড্রোমিডা গ্যালাক্সি থেকে পৃথিবীতে আলো আসতে ২.৫ মিলিয়ন বছর সময় লাগে, আর তাই আজ পৃথিবীতে যা ঘটছে তা পেতে এন্ড্রোমিডাকে ২.৫ মিলিয়ন বছর অপেক্ষা করতে হবে। জিনের সাথে আমাদের মস্তিষ্কের দূরত্বটাও অনেকটা এমন, এরা একে অপরের থেকে সময়ের বিশালত্ব দিয়ে বিচ্ছিন্ন। আর তাই আমাদের মস্তিষ্কের নিউরন যখন টেলিস্কোপে মহাকাশ দেখে তখন জিনের কাছে তার কোনো অর্থ বহন করেনা, জিন জানেও না যে এখানে মহাবিশ্ব বলতে কিছু একটা আছে, থ্রিডায়মেনশনাল স্পেসে আমরা বাস করি এবং জিন এটাও জানেনা তার তৈরি সার্ভাইভাল মেশিনটি রেডিও, টেলিভিশন ও কম্পিউটার আবিষ্কার করেছে, জিনের কাজ প্রোটিন সংশ্লেষণ নিয়ন্ত্রণ করা, মাসের পর মাস অপচয় করে ভ্রণ তৈরি করা, সে আমাদের মস্তিষ্কে প্রতি মুহূর্তে প্রকাশিত এ মিলিয়ন মাইল আকাশকে চেনেনা, আমাদের জ্ঞান প্রক্রিয়ার সাথে তার কোন সম্পর্ক নেই, যদিও জিনই এক্সটারনাল জগতের সাথে আমাদের পেশি সংকোচনের সময়কে সমন্বয় করার জন্য এ ব্রেনটি তৈরি করেছে যেনো আমরা শিকার, সংগ্রহ, প্রজনন ও বংশবিস্তার করি, জিন জানতোনা যে আমরা জেনেটিক্স নিয়ে গবেষণা করবো, আমরা মাল্টি ইউনিভার্সের রহস্য উন্মোচন করবো! একটা সময় ছিলো আমাদের মস্তিষ্কে Sense of tomorrow ছিলোনা, আমরা প্রথম ও দ্বিতীয় মাত্রার প্রাণীদের মতোই PRISONER OF PRESENT ছিলাম, ২.৩ মিলিয়ন বছর পূর্বে আকষ্মিক জেনেটিক্যাল মিউটেশন আমাদের চির বর্তমানের মনস্তাত্বিক কারাগার থেকে বের করে দেয়, আমরা ভবিষ্যতের অস্তিত্বহীন বাস্তবতাকেও মনস্তাত্বিকভাবে কল্পনা করতে শিখি, আর এখন আমাদের জ্ঞান ও বুদ্ধিমত্তা সম্পূর্ণভাবে মুক্ত ও স্বাধীন, আমাদের এ অলৌকিক চিন্তার জগতকে ব্যবহার করতে হবে! মিলিয়ন মিলিয়ন বছর ধরে প্রাণীরা শুধু শরীরকে ব্যবহার করে আসছে! মস্তিষ্ককে ব্যবহার করতে তারা কষ্ট পায়, তাদের জড়তা কাজ করে, এ জন্যেই আমরা জ্ঞানবিজ্ঞানের যৌক্তিকতায় আনন্দ বোধ করিনা, শারীরিক কামনা ও বাসনা মুক্ত হয়ে আমরা মহাবিশ্বকে ফিজিক্সের নিষ্কাম ও নিরপেক্ষ আইনের ভিত্তিতে জানতে চাইনা, আমরা সব স্থানে শরীরের স্বাদ খুঁজে ফিরি! বারবার ঘুরেফিরে নারী ও যৌনতা সংক্রান্ত বিষয়গুলিতে জড়িয়ে যাই, বিভিন্ন সংঘঠনের ভেতর মনস্তাত্ত্বিক দ্বন্দ্ব গুলো এখান থেকে তৈরি হয়! যেকোনো বুদ্ধিভিত্তিক সংঘঠন গুলো প্রথম পর্যায়ে নিরপেক্ষভাবে লাঞ্চিং করে , কিছুদিন তারা মোটামুটি ঠিক থাকে আর তারপরই শারীরিক বিষয় গুলো অবাঞ্চিত ভাবে এসে ভীড় করে, সেটা অর্থ হতে পারে, মর্জাদা হতে পারে, নেতৃত্বের হতে পারে। আমাদের বিবর্তনীয় স্নায়ুতন্ত্র আমাদের প্রতারিত করে আর তারপর আমরা আমাদের দূর্বলতাগুলোকে যুক্তিসঙ্গত ভাবে ব্যাখ্যা করে সংঘঠন ত্যাগ করে চলে যাই, ঠিক এ কারণে বুদ্ধিবৃত্তিক সংঘঠন গুলো এক সময় বন জঙ্গলের মতো সংসারে পরিণত হয়! হেলিক্স প্রসঙ্গ ( Helix University, The Hyperspace) হেলিক্স ইউনিভার্সিটির দশ বছরের জন্য আয়োজিত একটি কোর্স ” Blind watchmaker” যে কোর্সটিতে আমরা বিবর্তন ও বিবর্তনীয় মনোবিজ্ঞানের আলোকে সর্বসাধারণের মাঝে প্রাথমিক পর্যায় থেকেই সাধারণ শিক্ষা কর্মসূচি বাস্তবায়ন করছি। প্রচলিত ধ্যান, ধারণা ও কুসংস্কারকে চূর্ণ করে এক মহাজাগতিক সমাজ গঠনে আমরা প্রতিজ্ঞাবদ্ধ…
চিত্রঃ হেলিক্স ভার্চুয়াল ইউনিভার্সিটি, ফেসবুক গ্রুপ
চিত্রঃ হেলিক্স ইউনিভার্সিটির , ব্লাইন্ড ওয়াচমেকার কোর্সের পাঠ্যক্রম