Can't find our books? Click here!
মেয়রা কী গোপনে রেইপড হতে চায়?

মেয়েরা কী গোপনে রেইপড হতে চায়?

মনে করুন, বিশ্বের সবচেয়ে সুন্দরী একজন নারীর সাথে আপনাকে পারমাণবিক বোমার একটি সিক্রেট চ্যাম্বারে লক করে রাখা হলো। ৫ ঘন্টা পর বোমা বিস্ফোরিত হবে, এই মুহূর্তে আপনি কী করবেন? আপনার কেমন অনুভূতি হবে? এই প্রশ্নের উত্তর আপনি সেক্স ফিল করবেন। ইয়েস। বিজ্ঞানীরা এক্সপেরিমেন্টালি প্রমাণ করেছেন যে, প্রচণ্ড আতঙ্ক ও ঝুঁকিপূর্ণ পরিস্থিতিকে মানুষের মস্তিষ্ক অনেক সময় মিসইন্টারপ্রিট করে এবং সে আতঙ্কের পরিবর্তে সেক্সচুয়াল এক্সিলারেশন সিস্টেম অ্যাকটিভেট করে। এই সময়, একজন ব্যক্তির সামনে যদি কোনো সুন্দরী নারী পাঠানো হয়, তবে সে খোলামেলা তার সাথে সেক্সচুয়াল আচরণ শুরু করতে পারে। এই এক্সপেরিমেন্ট থেকে প্রমাণিত হয়, মাঝে মাঝে মানুষ শরীর দেখে নয়, রিস্ক ও থ্রিল দ্বারাই টার্ন অন হয়ে যায়। ঐ মুহূর্তে তার কাছে ব্রেস্ট, বুটস ও পেনিস থেকেও অ্যাডভেন্সার গুরুত্বপূর্ণ হয়ে ওঠে। ব্যাপারটা বোঝানোর জন্য আসুন কিছু ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতা শেয়ার করি।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের দর্শনের এক ছাত্রীর সাথে এক মাস আগে আমার কথা হয়েছিল। সে খুবই দুর্লভ একটি কেস নিয়ে আমার সাথে কথা বলে। তার বিশাল গল্পের অ্যাটম কথা হলো, তার খুব ইচ্ছা তার হাত পা বেঁধে তাকে কঠিনভাবে ধর্ষণ করা হোক। সে সবসময় কল্পনা করে, রাস্তায় কয়েকজন পুরুষ তাকে জোরপূর্বক ধর্ষণ করছে, তার নিষিদ্ধ ও ট্যাবু জোনগুলো এক্সপ্লোর করছে।  স্বাভাবিক সেক্সচুয়াল আচরণ তাকে টার্ন অন করে না। সে আমাকে সুস্পষ্টভাবে বলেছিল, রোম্যান্টিকতা তাকে এক বিন্দু পরিমাণও আকর্ষণ করে না। ফোরপ্লের পরিবর্তে তার মুখে জোরসে চড় মারা হোক, তার দেহের ট্যাবু জোনগুলোর উপর অ্যাপ্রোচ করা হোক। তার মতে, পেনিট্রেশনের চেয়েও আমাকে “ব্যাশ্যা” বলা গালি দিলে আমি ক্রেইজি হয়ে উঠি।

তার ডোমিন্যান্ট পুরুষ পছন্দের। আফরান নিশো এবং সাকিব আল হাসানের মতো আগ্রাসী টাইপের ছেলেদের প্রতি সে সুস্পষ্ট ফ্যান্টাসি প্রকাশ করে। একটা সময় তার সাথে আমি দেখা করি, সরাসরি কথাও হয় কিন্তু সে তার সেক্সচুয়াল ফ্যান্টাসির ব্যাপারে অপরিবর্তনীয় এবং অটুট। আমি তাকে প্রশ্ন করি, আমার দ্বারা সে টার্ন অন হচ্ছে কি না! তার উত্তর ছিল, আমি এভাবে টার্ন অন হই না, যেদিন আপনি আমাকে হাত পা বেঁধে  আমার উপর নির্যাতন করবেন, সেদিন হয়তো টার্ন অন হবো (আমি বুঝেছিলাম সে এক্সট্রিম বিডিএসএম চায় )।

আমার এক শিক্ষার্থীর মধ্যেও আমি একই আচরণ দেখতে পেয়েছিলাম। বিবর্তনীয় মনোবিজ্ঞানের উপর আমার একটি কোর্সের পার্টিশিপেটর ছিল সে। তার ইচ্ছা ছিল, পাবলিক প্লেসে সেক্স। সে আমাকে একদিন বলেছিল, আমার খুব ইচ্ছা আমি আপনার সাথে একদিন বোটানিক্যাল গার্ডেনের দিকে যাব। সেখানে মানুষের কোলাহল কম কিন্তু অশ্লীল আচরণ নিষেধ কিন্তু বোটানিক্যাল গার্ডেনে ইরোটিক আচরণ করার জন্য যথেষ্ট স্পেস আছে। আমি চাই এ ধরনের ট্যাবু প্লেসে সেক্স করতে, থ্রিল ও আতঙ্ক না থাকলে আমি টার্ন অন হই না। আবার আমার একজন ছেলে বন্ধু ছিল, সে প্রতিদিন তার আন্টির রুমে গিয়ে মাস্টারবেট করত, মহিলাটি যখন ঘুমিয়ে থাকত, তখন সে মাস্টারবেট করে, তার চুলে স্পার্ম আউট করে চলে আসত। স্বাভাবিক পরিস্থিতিতে সে টার্ন অন হয় না।

এই পর্যন্ত কমপক্ষে ২০ জন নারীর সাথে আমার কথা হয়েছিল, যারা আমাকে বলেছিল, আমাকে ডিপ পেনিট্রেশন করা হোক, আমি প্রস্টিটিউট হতে চাই, আমি ধর্ষিত হতে চাই, আমি পানিশমেন্ট চাই, আমি রিস্ক টেকিং আচরণ চাই এবং আমি আগ্রাসী পুরুষ চাই। তারা আমাকে বার বার বলেছিল, আমাকে একটা ডোমিন্যান্ট ও আগ্রাসী পুরুষের খোঁজ দিন, আমি মরে যেতে চাই। কিন্তু আমি অনেস্টলি বলছি, এ ধরনের আগ্রহ আমার কাছে যারা প্রকাশ করেছেন, তাদের বেশিরভাগই ছিলেন বিবাহিত এবং এক বা একাধিক সন্তানের মা।

এই পর্যন্ত কোনো টিএনএজ আমার কাছে রেইপড হওয়ার ইচ্ছা প্রকাশ করেনি, তবে ২২-২৩ বছর বয়সী বিবাহিত নারীদের মধ্যে আমি এ ধরনের টেন্ডেন্সি দেখেছি। আমি এতদিন ভেবেছিলাম, মেয়েরা সম্ভবত থ্রিসামের ব্যাপারে আতঙ্কিত কিন্তু বিগত এক মাসে আমার এই ধারণা ভেঙে যায়। একজন বিসিএস ক্যাডার কবির সাথে কথা বলার পর তিনি বলেলন, আমি থ্রিসাম পছন্দ করি, তবে দুজনই পুরুষ হতে হবে। দুজনই পুরুষ হতে হবে- এই কথাটি আমি যখন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সবচেয়ে ইনোসেন্ট ফিজিক্সের শিক্ষার্থীটির মুখে শুনেছিলাম, আমার পাগল পাগল লাগছিল কারণ সে এতটাই ইনোসেন্ট যে কল্পনাই করা যায় না । একজন লেখিকা বলেছিল, আমি চাই আপনি আমাকে খুব শক্ত করে বেঁধে টর্চার করেন। আমি আপনার প্রস্টিটিউট হতে চাই। সে আমাকে এক মাসে প্রায় ১২০টা হর্নি পিকচার পাঠিয়েছিল। পরে অবশ্য আমি তাকে ব্লক করে দেই ( স্ক্রিনশট আছে)।

এই সবগুলো স্ক্রিনশট ও ডেটা আমার কাছে আছে কিন্তু প্রাইভেসির স্বার্থে এগুলো পাবলিক করা যাচ্ছে না। আমার এক পাঠিকার বক্তব্য শুনুন, আমি হুবহু তুলে ধরেছি, “আচ্ছা, আমি একসময় প্রস্টিটিউশন পেশায় যাইতে চাইতাম। এখনো যে ইচ্ছা টা চইলা গেসে এমন না। জীবনে অনেক কিছু এক্সপ্লোর করার ইচ্ছা থেকে এটার ইচ্ছাও জাগে। এখন কথা হচ্ছে, কেউ যদি স্বেচ্ছায় পতিতা হয়, হইতে চায় আমাদের কি আসলেই বাঁধা দেয়া উচিত?”

ইডেন ও ফেনী গার্ল  ক্যাডেড কলেজের কয়েকজন শিক্ষার্থীর সাথে আমার কথা হয়েছিল, তাদের পছন্দ থ্রিসাম, বিডিএসএম, রাফ সেক্স এবং ধর্ষণ। জীবনে এই প্রথম আমি নারীদের এক্সপেরিমেন্টালি পর্যবেক্ষণ করার সুযোগ পাই। ডিপ পেনিট্রেশন শব্দটি শুনতে শুনতে আমি পাগল হয়ে গেছি। বেশিরভাগ নারীর কমপ্লেইন হলো, তাদের পুরুষ ডিপ পেনিট্রেশন করতে পারে না, তারা ডিপ চায়। যাই হোক, অনেকগুলো কেস এখানে আমি তুলে ধরেছি। তার মধ্যে একটি কেসের সায়েন্টিফিক এক্সপ্লেইনেশন আমি এখন দেব আর তা হলো, কেন একজন নারী ধর্ষিত হতে চায়, কেন একজন নারী ফোরপ্লের চেয়েও প্রস্টিটিউট শব্দটিতেই বেশি টার্ন অন হয়, কেন সে আনসেন্সর আচরণ প্রত্যাশা করে, কেন সে পেনিট্রেশনের চেয়েও সীমালঙ্গন ও আতঙ্কের প্রতি বেশি টার্ন অন হয়?

ডাটন এবং অ্যারন নামক দুজন বিজ্ঞানী একবার একটি এক্সপেরিমেন্ট করেছিলেন। এই এক্সপেরিমেন্টটির নাম ছিল “The Suspension Bridge Experiment”। এই এক্সপেরিমেন্টে বিজ্ঞানীরা একদল পুরুষকে একটা উঁচু, সরু ও ঝুঁকিপূর্ণ ব্রিজে প্রেরণ করেন, যেটা প্রতিনিয়ত টলমল করছে। যে কোনো মুহূর্তে এই ব্রিজটি থেকে তারা ছিটকে পড়ে যাবে, এমন একটি পরিস্থিতি। ব্রিজটি ছিল ২৩০ ফুট উঁচু। অংশগ্রহণকারীরা যদি কোনো কারণে নিচে পড়ে যায়, তারা সরাসরি পাথরের উপর গিয়ে পড়বে। এ ধরনের একটি ঝুঁকিপূর্ণ কন্ডিশনে পরীক্ষকরা তাদের কাছে একজন আকর্ষণীয় সুন্দরী কনফেডারেট নারী পাঠায়। সে তাদের হাতে একটি কাগজ দিয়ে বলে, একজন অল্পবয়সী তরুণীর উপর ড্র্যামাটিক গল্প লিখতে এবং তাদের বাড়তি কিছু বলার থাকলে ফোন করতে। এরপর বিজ্ঞানীরা ১৩ ফুট উচ্চতাসম্পন্ন নরমাল একটি ব্রিজে একদল পুরুষ পাঠায়। তাদের কাছেও একজন সুন্দরী নারী পাঠানো হয়। গবেষকরা অবাক হয়ে দেখলেন, ঝুঁকিপূর্ণ ব্রিজের পুরুষরা বিভিন্ন ইরোটিক কথাবার্তা লিখেছে এবং তাদের ১৮ জনের মধ্যে ৯ জনই কনফেডারেট নারীটির কাছে কল করেছে। আর অন্যদিকে নরমাল ব্রিজের পুরুষদের মধ্যে এই ঘটনা ঘটিয়েছিল ১৬ জনের মধ্যে ১ জন। কিন্তু কেন এমনটি হয়েছিল? বিজ্ঞানীরা বলেন, চাপমূলক পরিস্থিতিতে আমাদের দেহে স্ট্রেস হর্মোন কর্টিসল তৈরি হয়। কর্টিসল আমাদের দেহকে সচেতন ও জাগ্রত করে তোলে। আমার হৃদস্পন্দন বেড়ে যায়, আমাদের হাতের তালুতে বিন্দু বিন্দু ঘাম জমে। আমাদের দেহে ফাইট অর ফ্লাইট রেসপন্স অ্যাকটিভ হয় কিন্তু আমাদের মস্তুষ্ক সবসময় এই জাগরণকে সঠিকভাবে অনুবাদ করতে পারে না। বাঘের আতঙ্ক থেকে সৃষ্ট জাগরণকেও আমাদের ব্রেন মাঝেমাঝে সেক্সচুয়াল জাগরণ হিসেবে অনুবাদ করে (Misattributed)। বিজ্ঞানীরা নারীদের উপরও একই এক্সপেরিমেন্ট করেছিলেন।

মেয়রা কী গোপনে রেইপড হতে চায়?
এ ধরনের অসংখ্য কনসেপ্ট আলোচনা করা হয়েছে আমার লেখা এ বইতে।

এই পরীক্ষায় দুজন কানাডিয়ান মনোবিজ্ঞানী, নারী সাবজেক্টদের দুটি ভিন্ন ভিন্ন কন্ডিশনে ভাগ করেছিল। একটি এক্সপেরিমেন্টাল কন্ডিশনে, একজন নারীকে সাধারণ ভ্রমণের একটি মুভি দেখানো হয়, তারপর হেট্রোসেক্সচুয়াল ফোরপ্লে এবং ইন্টারকোর্স। আর একটি কন্ডিশনে অংশগ্রহণকারীদের অঙ্গচ্ছেদের সাথে সম্পৃক্ত হুমকিকর ও ভয়ানক মুভি দেখানো হয়েছিল এবং তারপর ইরোটিক মুভি দেখানো হয়।  গবেষকরা  নারীর যোনিতে প্লেথ্যস্মগ্রাফ নামক একটি মেশিন বসিয়ে তার শারীরীক জাগরণ পরিমাপ করার চেষ্টা করে এবং বিভিন্ন প্রশ্নের মাধ্যমে তার সাইকোলজিক্যাল জাগরণ মূল্যায়ন করে। অঙ্গচ্ছেদের সাথে সম্পৃক্ত মুভি দেখার পর, নারীর যোনিতে রক্তপ্রবাহ বেড়ে যায়__ যেটি ইন্ডিকেট করছে যে তার দেহ প্রতিক্রিয়া প্রকাশ করছে। কিন্ত নারীর ক্ষেত্রে তারা একটি টুইস্ট দেখতে পায় আর তা হলো, নারীর দেহ আতঙ্কজনক পরিস্থিতিতে সেক্সচুয়ালি টার্ন হলেও, তার মন টার্ন অন হয় না বা তার মানসিক জাগরণ হ্রাস পায়। সহজ কথায়, তাদের দেহ উত্তেজিত হয়েছে কিন্তু মন উত্তেজিত হয়নি। এখান থেকে আমরা বুঝতে পারি, আমাদের শারীরীক রেসপন্স যদিও সিম্পেথেটিক নার্ভাস সিস্টেম দ্বারা প্রভাবিত হয়, আমাদের সাইকোলজিক্যাল দিক প্রভাবিত হয় খুব ভিন্নভাবে।

এই আবিষ্কার বিবেচনা করলে, এটা পরিস্কার হয়ে যায় যে সীমালঙ্ঘনের সাথে সম্পৃক্ত যৌন জাগরণের পেছনে সিম্পেথেটিক নার্ভাস সিস্টেম ভূমিকা পালন করে। যদিও নারী ও পুরুষের শারীরীক এবং মানসিক প্রতিক্রিয়া ভিন্ন। এ বিষয়টিকে আরও বিশ্লেষণ করতে গিয়ে মনোবিজ্ঞানী ব্রেট কার তার “”Who’s Been Sleeping in Your Head?” বইতে একটি উল্লেখযোগ্য সেক্সচুয়াল ফ্যান্টাসি গল্প শেয়ার করেছিলেন। এই গল্পটি তাকে বলেছিল একজন বয়স্ক ইহুদি মহিলা।

তার পিতামাতা ভয়ানকভাবে নাৎসি গণহত্যায় মৃত্যুবরণ করেছিল। আর যে কেউ ভাবতেই পারে নাৎসিদের প্রতি তার রাগ ও আতঙ্ক অত্যন্ত প্রবল। যাই হোক, তার মস্তিষ্কে সবসময় একটি কল্পনা ভেসে বেড়াতো যে, একজন নাৎসি পোশাক পরিহিত এস.এস অফিসার তাকে জোরপূর্বক আনড্রেস করছে, তাকে ড. জোসেফ মেঙ্গেলের মেডিক্যাল এক্সামিনেশন টেবিলে দৃঢ়ভাবে বেঁধে রেখেছে এবং সবচেয়ে মারাত্মক অস্ত্রোপচারের উদ্দেশ্যে তার দেহকে তদন্ত করছে। বিস্ময়করভাবে, যে পুরুষটি তার পিতাকে হত্যা করেছিল, তার প্রতি সে সবচেয়ে অন্তরঙ্গ উত্তেজনা অনুভব করেছিল, তার প্রতি ছিল তার ডিপ সিক্রেট ফ্যান্টাসি এবং তার বর্ণনা অনুসারে এস এস অফিসার ছিল তার জন্য “the most explosive of orgasms”।

মাঝে মাঝে মেয়েয়া কোনো পুরুষের উপর রাগান্বিত হয়ে তাকে গালি দেয়, সালা তোকে চুদি। আমার কাছে মনে হয়, নারীরা ডোমিন্যান্ট পুরুষদের প্রতি অবচেতনে টার্ন অন হয় ও তাকে চুদতে চায়।  তার জিন থেকে শক্তিশালী ও আগ্রাসী সন্তান তৈরি করতে চায়।

Articles on the Suspension Bridge Experiment and its Applications:

Original Research:

General Articles:

Applications:

Additional Resources:

আমাদের বইসমূহ দেখুন: হাইপারস্পেস প্রকাশনীর বই

মেয়েরা কী গোপনে রেইপড হতে চায়?/মেয়েরা কী গোপনে রেইপড হতে চায়?/মেয়েরা কী গোপনে রেইপড হতে চায়?/মেয়েরা কী গোপনে রেইপড হতে চায়?/মেয়েরা কী গোপনে রেইপড হতে চায়?/মেয়েরা কী গোপনে রেইপড হতে চায়?