ᴍɪʟʟɪᴏɴꜱ ᴏꜰ ᴛɪᴍᴇꜱ ʙɪɢɢᴇʀ ᴀᴛᴏᴍꜱ ᴛʜᴀɴ ᴛʜᴇ ᴜɴɪᴠᴇʀꜱᴇᴍᴀʀᴋ ɪɴ ᴛʜᴇ ᴍᴇᴛᴀᴠᴇʀꜱᴇ
মিঃ প্যারালাল ইউনিভার্স (কাকু) তার Parallel World গ্রন্থের The End Of Everything- নামক একটি অধ্যায়ে মহাবিশ্ব থেকেও মিলিয়ন মিলিয়ন গুণ বড় একটা এটমের কথা লিখেছেন যে এটমটি মহাবিশ্বের পঞ্চম স্টেজ বা অন্ধকার যুগে তৈরি হবে। আর এ এটমটির নাম পজিট্রিয়াম, যার আকার ১০^১২ ম্যাগাপার্সেক । এখন প্রশ্ন করতে পারেন, মহাবিশ্ব থেকেও বিরাট এই এটম কিভাবে মহাবিশ্বের ভেতর নিজের স্থান নিশ্চিত করতে পারে? এ প্রশ্নের উত্তর হলো, ডার্ক যুগে মহাবিশ্ব এত বিশাল দূরত্বে সম্প্রসারিত হবে যে এ এটমগুলোর জন্য জায়গার কোনো অভাবই হবে না!

মূলত, ডার্ক যুগে, ব্লাকহোলগুলো বাস্পীভূত হয়ে যাবে, মহাবিশ্ব প্রায় বিশুদ্ধ শূন্যতায় পরিণত হবে( সম্ভবত ফলস ভ্যাকুয়ামে পরিপূর্ণ) । মহাবিশ্বের সম্প্রসারণ এটিকে একেবারে শীতল করে তুলবে এবং তাপমাত্রা চলে যাবে পরম শূন্যের কাছাকাছি যেটাকে বলা হয় “Death of Heat” আমরা বর্তমানে এটাকে বিগ ফ্রিজ বা বিগ চিল বলে জানি । ডার্ক এনার্জির শাসনে গ্যালাক্সিগুলোর মধ্যবর্তী সম্প্রসারণ আরো বৃদ্ধি পাবে, এমনকি এটি সম্প্রসারিত হতে আর কোন শক্তিই প্রয়োজন হবেনা, গ্যালাক্সির ক্লাস্টারের মধ্যবর্তী স্পেস বাড়তেই থাকবে, সে ফোটন নির্গত হবে তার ওয়েভ ল্যাংথ হবে অত্যন্ত দীর্ঘতর এবং কম শক্তি সম্পর্ন। একটি নক্ষত্র সাধারণত ১-১০০ ট্রিলিয়ন বছরের জন্য গঠিত হবে বলে প্রত্যাশা করা হয় কিন্তু নক্ষত্র গঠনের জন্য গ্যাসের যোগানই তখন শেষ হয়ে যাবে। বিদ্যমান নক্ষত্রের জ্বালানি শেষ হয়ে যাবে এবং মহাবিশ্ব অপরিহার্যভাবে অন্ধকারে নিমজ্জিত হবে।

এটম নিজেরাই এখানে থেমে যায়। প্রোটন ক্ষয় হয়ে যায়, পরিত্যাগ করে ফোটন ও Weak Intersection- এর নিউট্রন, ইলেক্ট্রন এবং এন্টি-ইলেক্ট্রন বা পজিট্রনের স্যুপ। এদের ইন্টারেকশন এতটাই ফ্লেক্সিবল যে এরা একে অপরের কাছাকাছি থাকতে পারেনা। যদিও এরা অস্থিতিশীল কিন্তু খুব দূর্বলভাবে একে অপরের সাথে ইন্টারেক্ট করে! ঠিক এ সময় পজিট্রিয়াম নামক এই রহস্যজনক পার্টিকেলটি দেখা যাবে যেটি ইলেক্ট্রন ও পজিট্রনের তৈরি, এই ইলেক্ট্রন ও পজিট্রন একে অপরকে কেন্দ্র করে ঘুরতে থাকবে। কিছুকিছু পদার্থবিজ্ঞানী কল্পনা করেন, ইলেক্ট্রন ও এন্টি-ইলেক্ট্রন মিলে তখন নতুন এক প্রকার জীবন তৈরি করবে! এটা কল্পনা করা আসলে আমাদের বুদ্ধির পক্ষে অত্যন্ত কঠিন! প্রচন্ড দ্রুত গতিতে সম্প্রসারিত একটি মহাবিশ্বে 10 to the power 12 মেগাপার্সেক আয়তনের এটম দ্বারা তৈরি হবে বুদ্ধিমাণ প্রাণ, যারা আবার আমাদের মহাবিশ্ব থেকেও মিলিয়ন মিলিয়ন গুণ বিশাল! মহাকাশ সমান প্রাণী বিবর্তিত হবে ডার্ক যুগে, ভাবা যায়? যাদের চেতনার বিস্তৃতি হবে আমাদের পর্যবেক্ষণযোগ্য মহাবিশ্ব থেকেও অনেক অনেক বিরাট, হয়তোবা ৯৮ বিলিয়ন লাইট ইয়ার্স পর্যন্ত বিস্তৃত ? কাকু বলেন, মহাবিশ্ব থেকে বিরাট এ সকল এটমের ক্যামিস্ট্রি কেমন হবে সেটা আমরা ধারণা করতে পারি না!
প্যারালাল ওয়ার্ল্ড- মিচিও কাকু
তাদের চিন্তাভাবনার পদ্ধতি কেমন হবে? তারাও কী সেলফিশ জিন দ্বারা চালিত হবে? তাদের মধ্যেও কী রোম্যান্টিক ভালোবাসার সম্পর্ক তৈরি হবে অথবা যুদ্ধ? আমাদের উত্তরসূরীরা হয়তোবা তাদের মস্তিষ্ককে রিভার্স ইঞ্জিনিয়ারের মাধ্যমে রোবটিক মস্তিষ্কে স্থানান্তর করতে পারবে, হয়তোবা তারা দেহহীন শক্তির তৈরি কনশাসনেস হয়ে সেই অন্ধকার যুগেও টিকে থাকবে? হয়তো সিভাইলেজশন-১০ এ ভয়াভহ প্রাণীদের দেখা পাবে! যোগাযোগও হবে! যাইহোক, এটি একটি হাইপোথিসিস!
কিন্তু আপনার কী মনে হয় এমন জীবনের অস্তিত্ব সত্যি সত্যিই তৈরি হবে?যাইহোক, বিশ্বতত্ববিদ টনি রোথম্যান বলেছেন, ” finally, after 10^117 years, the cosmos will consist of a few electrons and positrons locked in their ponderous orbits, neutrinos and photons left over from baryon decay, and stray protons remaining from positronium an-nihilation and black holes. For this too is written in the Book of Destiny!

বিঃ দ্র- এ ব্যাপারে সকল বিজ্ঞানী একমত নয়! এবং আমি মিচিও কাকুর গ্রন্থ ছাড়া অন্য কোথাও এ সম্পর্কে কোন গবেষণাপত্র বা আর্টিকেল খুঁজে পাইনি। আপনাদের কারো কাছে যদি তেমন কোন আর্টিকেলের সন্ধান থাকে তবে আমাকে বাধিত করবেন। আমি যে কয়েকটি তুলনামূলক রেফারেন্স পেয়েছি তা প্রদান করা হলো।
তথ্যসুত্রঃ