Can't find our books? Click here!

ম্যাট সোয়াপিং স্পার্ম কোয়ালিটি বুস্ট করে?

Last updated:

ন্যাচার জার্নালে ২০০৫ সালে খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি আর্টিক্যাল প্রকাশিত হয়েছিল। আর্টিক্যালটি ছিল থ্রিসাম পর্নোভিডিও, ম্যাট সোয়াপিং ও স্পার্ম বুস্টিং সম্পর্কিত । গবেষকরা বিস্ময়ে হতবাক হয়ে দেখেছিল, পুরুষ যখন একজন উলঙ্গ নারীকে দুজন পুরুষের সাথে ইন্টারকোর্স করতে দেখে, তখন তার স্পার্মের কোয়ালিটি বৃদ্ধি পায়। অন্যদিকে , একজন পুরুষ যখন প্রাইভেটলি কোনো একজন নগ্ন নারীর পর্নোগ্রাফিক ফিচার দেখে তার স্পার্মের কোয়ালিটি হ্রাস পায়। ব্যাপারটা ছিল খুবই অদ্ভুত।

ন্যাচারে বলা হয়, যদিও এ ঘটনাটি পুরুষের প্রথাগত সেক্সচুয়াল প্রিফারেন্সের বাহিরে কাজ করছে কিন্তু ইউনিভার্সিটি অব ওয়েস্টার্ন অস্ট্রেলিয়ার লে সিমনের ‘স্পার্ম কম্পিটিশন থিওরির’ সাথে এটি পুরোপুরিভাবে সঙ্গতিপূর্ণ। এ তত্ত্ব অনুসারে, পৃথিবীর প্রায় সকল প্রজাতির পুরুষের মধ্যেই এ বৈশিষ্ট্যটি কাজ করে এবং মানুষের মধ্যেও। পুরুষ যখন এমন কোনো নারীর মুখোমুখি হয় যে নারীটি অন্য এক দল পুরুষের সাথে সঙ্গমে লিপ্ত, তখন তার স্পার্মের কোয়ালিটি বৃদ্ধি পায়, কারণ এটি তার মধ্যে চাঞ্চ অব প্রোক্রিয়েশন বা প্রজননের সম্ভাবনা বৃদ্ধি করে দেয়। তার ডিএনএ’তেই এই প্রতিযোগিতামূলক আচরণ খোদাই করা আছে। অন্য পুরুষের স্পার্মের সাথে পাল্লা দিয়ে যেন তার স্পার্ম টিকে থাকতে পারে সেজন্যই সাব-কনসাসলি তার মধ্যে এ ধরণের একটি সেলফ জিন প্রটেকশন স্ট্র্যাটেজি কাজ করে।

এ ব্যাপারটি চিকিৎসকদের উন্নত মানের মেল স্পার্ম সংগ্রহ করতে সাহায্য করতে পারে বলে অনেকে ধারণা করছেন। সিমনের মতে, পুরুষ যখন নারীর সাথে একাধিক পুরুষ দেখে তার সিমেন্সের মান স্বতস্ফূর্তভাবে উন্নত হয়ে যায়।

এ গবেষণাটি বায়োলজি ল্যাটার নামক একটি জার্নালে প্রকাশিত হয়েছিল। আর্টিক্যালে বলা হয়, যে সকল পুরুষ সিগারেটে আসক্ত ও যারা তাদের পকেট বা বেল্টের কাছাকাছি মোবাইল ফোন রাখে তাদের স্পার্ম কোয়ালিটি ( সজীবতা) হ্রাস পায়। আর তাই এই ফ্যাক্টরটিকেও গণনায় নিতে হয়েছিল।

স্পার্ম কম্পিটিশনের এ ব্যাপারটি এর পূর্বে স্টিকলব্যাক নামক এক প্রকার মাছের উপর এক্সপেরিমেন্টালি প্রমাণিত হয়েছিল। যখন সঙ্গী পুরুষ কোনো নারীর সাথে সঙ্গম করতো তখন তার স্পার্ম কোয়ালিটি বৃদ্ধি পেতো।

নৈতিক কারণে মানুষের উপর এই এক্সপেরিমেন্ট পরিচালনা করাটা ছিল কঠিন। কিন্তু তিনি ও তার সহকারী সারাহকিলগালন ৭২ জন হেট্রোসেক্সচুয়াল পুরুষের উপর এই পরীক্ষা চালিয়েছিলেন। তাদেরকে দুজন পুরুষ ও একজন নগ্ন নারী ও শুধু তিনজন নগ্ন নারীর পর্নোগ্রাফিক ফিচার দেখানো হয়েছিল। তাদের বলা হয়েছিল, এই ভিডিয়োগুলো প্রাইভেটলি দেখার জন্য এবং স্পার্ম সংগ্রহ করার জন্য।

তারা স্পার্ম পিকচারের মধ্যে আলাদা আলাদাভাবে পরিমাণগত কোনো তারতম্য দেখেননি। কিন্তু স্পার্মের কোয়ালিটির মধ্যে গুণগত তারতম্য দেখা দিয়েছিল। স্মোকিং ও ড্রিংকিং-এর মতো ফ্যাক্টরগুলো গণনা করার পর তারা দেখেছিলেন যে, স্পার্ম মটিলিটি বা সজীবতার উভয়ের মধ্যে ৯০ শতাংশ তারতম্য রয়েছে।

কিছু তাত্ত্বিক যেমন, রবিন বেকার তার বইতে যুক্তি দেখিয়েছিলেন যে, স্পার্মের কোয়ালিটি বৃদ্ধির কারণ হলো , একজন দর্শক এনকাউন্টার সেক্সচুয়াল কম্পিটিশন পছন্দ করে। যুক্তরাষ্ট্রের শেফিল বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষক টিম বার্কহেড বলেছিলেন, এটি খুবই ভয়ানক একটি ব্যাপার তবে আরও বিস্তৃত স্পার্ম স্যাম্পল টেস্ট করা উচিত।

সিমন বলেন, এ পরীক্ষা সিমেন্স কাউন্টের সাথে স্পার্ম কাউন্টের যোগসূত্র স্থাপন করে। যে সকল পুরুষ অতিরিক্ত মোবাইল ফোন ইউজ করে তাদের স্পার্মের উপর এর একটি প্রভাব থাকতে পারে যা গবেষণাটিকে আরও জটিল করে তুলতে পারে। এই এক্সপেরিমেন্ট থেকে কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ ব্যাপার ব্যাখ্যা করা যায়:

১) কেন কয়েকজন নারী  ও পুরুষ একত্রে আড্ডা দেয়ার সময় কোন একজন পুরুষ নিজেকে কৌশলে স্পেশাল প্রমাণ করার চেষ্টা করে।

২) কলেজে একজন নারীর কাছে নিজেকে স্পেশাল প্রমাণ করার জন্য বিশেষ বিশেষ গুণের চর্চা।

৩) বন্ধুর প্রেমিকার কাছে নিজেকে মহান প্রমাণ করার প্রচেষ্টা।

৪) গ্রুপ ডিসকাশনের সময় কারো মস্তিষ্কের মনে রাখার ক্যাপাসিটি বৃদ্ধি পাওয়া।

৫) থ্রিসামের প্রতি অতিরিক্ত উত্তেজনা।

৬) ম্যাট সোয়াপিং-এর প্রতি আসক্তি।

তথ্যসূত্র:

পর্নোগ্রাফি স্পার্ম কোয়ালিটি বুস্ট করে? পর্নোগ্রাফি স্পার্ম কোয়ালিটি বুস্ট করে?