একবার আমার বাসায় দূর সম্পর্কের এক দিদি তার বয়ফ্রেন্ডের সাথে সেক্স করেছিল। সেক্সের সময় সে এত লাউড এবং শার্পলি শীৎকার করেছিল, আমার আজও তার সাউন্ড ইফেক্ট মনে পড়লে মানসম্মান জলাঞ্জলি দিয়ে বলতে ইচ্ছে করে, দিদি, আমি তোমাকে ধর্ষণ (তীব্রতা) করতে চাই! এক বছরে তাকে আমি মনে মনে কয়েক হাজার বার ধর্ষণ করেছি। আমি এখনো কনফিউজড, তিনি কেন এত জোরে জোরে শীৎকার করেছিলেন? তিনি কী জানতেন না, পাশের রুমের ছেলেটি তার শীৎকার শুনে টার্ন অন হয়ে যেতে পারে! তার পেনিস টর্চার্ড হতে পারে!
কিন্তু প্রশ্ন হলো, সেক্সের সময় নারী কেন সাউন্ড ইফেক্ট তৈরি করে? মজা পায় বলে? নাকি সাউন্ড ইফেক্ট তৈরির মাধ্যমে নারী অন্যান্য পুরুষদের তার সাথে সেক্স করার জন্য ইনভাইট করে! ইয়েস! সুনির্দিষ্ট কিছু গবেষণা বলছে, নারী শীৎকার করে সমাজের অন্যান্য পুরুষের মধ্যে সেক্সচুয়াল প্রতিযোগিতা বৃদ্ধি করতে চায়। অর্থাৎ দিদি সাবকনসাসলি সেদিন আমাকেও মেসেজ করেছিল, আসো, তুমিও আমার সাথে পার্টিশিপেট কর! যদিও কনসাস লেভেলে আমার জন্য ছেঁড়া জুতা ছাড়া আর কিছুই ছিল না!
মাঝেমাঝে আমরা পুরুষকে বলতে শুনি,প্রেমিকা শীৎকার করলে আমি আর আমার স্পার্ম আটকে রাখতে পারি না! সাউন্ড ইফেক্ট হলো নারীর একটি ট্রিকস, সাউন্ড ইফেক্টের মাধ্যমে নারী দ্রুত পুরুষের স্পার্ম আউট করে, অন্যান্য পুরুষের স্পার্ম পেতে চায়। নারীর এই সাউন্ড ইফেক্টকে বলা হয় “copulatory vocalizations”।
শিম্পাঞ্জি, বনোবো এবং রিসাস মেকাকের মধ্যেও আমরা সেক্সের সময় এক্সট্রিম সাউন্ড ইফেক্ট দেখতে পাই! যে নারী সেক্সের সময় যত লাউড এবং ক্লিয়ার শব্দ করে, তার সাথে সেক্স করার জন্য পুরুষের মধ্যে প্রতিযোগিতা আরও বহুগুণে বেড়ে যায়। এখান থেকে আমরা হাইপোথিসাইস করতে পারি, যে সব নারী সেক্সের সময় এক্সট্রিম সাউন্ড ইফেক্ট বা কান্না করে, তারা ন্যাচারালি বহুগামী! তারা নিজের অবচেতন মনে একাধিক পুরুষের পেনিস চায়। “A cry for help: female distress calling during copulation is context dependent” নামক একটি পেপারে বলা হয়, নারী সেক্সের সময় কান্না করে, সামাজিক অনুক্রমের শ্রেষ্ঠ পুরুষের দৃষ্টি আকর্ষণ করতে চায়, যেন সামাজিকভাবে নিচুস্তরের মানুষটির হাত থেকে সে তাকে রক্ষা করে, নিজের সেক্সপার্টনার হিসেবে গ্রহণ করে নেয়, যেন সে সামাজিকভাবে প্রভাবশালী পুরুষের জেনেটিক ম্যাটারিয়াল জয় করতে পারে!
নারী যে একটি বহুগামী জীব তার সাপেক্ষে আরও একটি প্রমাণ হলো তার ভ্যাজাইনার হিট বা উত্তাপ। যে সকল নারীর যোনি যতবেশি উত্তপ্ত, তাদের সাথে একজন পুরুষের পক্ষে দীর্ঘসময় সেক্স করা খুবই কঠিন। একজন পুরুষকে অনেক সময় নিয়ে তার ভ্যাজাইনাল ইকোসিস্টেমের সাথে নিজেকে অ্যাডজাস্ট করতে হয় কিন্তু অধিকাংশ নারীই পুরুষকে এ সময়টি দিতে চায় না! তারা বলে আমাকে খুব ডিপলি রাইড কর!
একদিকে নারী চায় পুরুষ তাকে দীর্ঘসময় রাইড করুক, আবার অন্যদিকে নারী চায়, তার যোনি যত উত্তপ্তই হোক পুরুষ তাকে প্রচণ্ড জোরে স্ট্রোক করুক! এর পেছনে একটাই সাইকোলজি আর তা হলো, নারী সাবকনসাসলি পুরুষকে দ্রুত ইজ্যাকুলেট করতে চায়, যেন সে গ্রুপের অন্যান্য সদস্যের সাথে সেক্স করে আরও আপডেট লেভেলের জেনেটিক ম্যাটারিয়াল পেতে পারে! যে নারীর যোনি যত উত্তপ্ত, তার মধ্যে বহুগামিতার টেন্ডেন্সি তত বেশি! যদিও সচেতন পর্যায়ে সে এটা কখনো স্বীকার করে না! আমি অসংখ্য পুরুষকে বলতে শুনেছি, মেয়েটির ভেতরের আবহাওয়া এতটাই উত্তপ্ত যে, আমি নিজেকে কন্ট্রোলই করতে পারছিলাম না!
নারীর বহুগামিতার সাপেক্ষে আর একটি প্রমাণ হলো “Hidden ovulation”! অন্যান্য প্রাইমেটদের যখন ডিম রিলিজ হয়, তখন তাদের ভ্যাজাইনার কালার ও বডি সেন্ট পরিবর্তন হয়ে যায়। কিন্তু মানব নারীর কখন ডিম রিলিজ হয় সেটা আমরা ডিটারমাইন করতে পারি না। এ পদ্ধতি নারীকে অধিক সংখ্যক পুরুষের সাথে সেক্স করার সুযোগ তৈরি করে দেয়!
” Multiple orgasm” সম্পর্কে আপনারা অনেকেই শুনে থাকবেন! পৃথিবীতে খুব কম সংখ্যক পুরুষ আছে, যাদের মাল্টিপল অর্গ্যাজম হয়! কিন্তু পৃথিবীতে অসংখ্য নারী আছে, যাদের সহবাসের সময় একইসাথে মাল্টিপল অর্গাজম হয়ে থাকে! নারী যদি এক পুরুষের সাথে সেক্স করার জন্যই বিবর্তিত হয়ে থাকে, তবে কেন তার মধ্যে মাল্টিপল অর্গ্যাজম বিবর্তিত হবে? অতিরিক্ত অর্গাজম সে ঠিক কাকে দিতে চায়?
এক পুরুষের সাথে সেক্স করার জন্য নারীর একটা অর্গ্যাজমই যথেষ্ট ছিল! মাল্টিপল অর্গ্যাজমের উপস্থিতি আমাদের কাছে প্রমাণ করে যে, মিলিয়ন মিলিয়ন বছর পূর্বে আমাদের পূর্বসূরি আর্ডি গ্রুপ সেক্স করেছিল! মাল্টিপল অর্গ্যাজম হলো নারীর প্রাগৈতিহাসিক বহুগামিতার একটি বায়োলজিক্যাল ফসিল রেকর্ড!
মানব নারী সেক্সচুয়ালি চূড়ান্তভাবে রিসেপ্টিভ। একমাত্র মানব নারীর পক্ষেই সারামাস লাগাতার সেক্স করা সম্ভব! পৃথিবীর আর কোনো প্রাইমেট সারামাস এভাবে সেক্স করতে পারে না! তারা কেবল ডিম রিলিজের সময় সেক্স করে। ডিম রিলিজের সময় নারীর শরীর নিয়ে পুরুষে পুরুষে যুদ্ধ ও রক্তপাত হয়! কারণ প্রতিটি পুরুষ মাসের একটা নির্দিষ্ট সময়ই কেবল নারীর যোনির উপর অ্যাকসেস পায়। এক সময় মানব নারী “Extended Female Sexual Receptivity” অর্জন করে! এখন সে গোপনে সবার সাথে সেক্স করে সামাজিক শৃঙ্খলা ও ভারসাম্য রক্ষা করতে পারে।
নারী যে বহুগামী তার সাপেক্ষে অন্যতম একটি প্রমাণ পুরুষের জেলাসি! নারী যদি বহুগামী না হতো পুরুষের মস্তিষ্কে জেলাসি বিবর্তিত হতো না! আমরা পুরুষরা সবসময় আমাদের প্রেমিকার বডিগার্ড হিসেবে থাকতে চাই, আমরা তাকে অন্যান্য পুরুষ থেকে প্রোটেক্ট করার চেষ্টা করি, এটাকে বলা হয় “Female Mate Guarding”! নারী যদি একগামী হতো, তবে আমাদের মধ্যে কোনো প্রকার প্রোটেক্টিভ মেন্টালিটি কাজ করতো না! নারী যে একজন বিশ্বাসঘাতক তার সবচেয়ে বড় ফসিল রেকর্ড পুরুষের ইর্ষাকাতর মন!
এছাড়া আপনি দেখতে পাবেন, পুরুষের তুলনায় মেয়েরা অনেক পরার্থপর! তারা সমাজের মানুষের প্রতি খুবই সহানুভূতিশীল ও সহযোগিতাপূর্ণ। এটাকে বলা হয় ” “Altruistic Behavior”। নারীর এ পরার্থপর মানসিকতার আড়ালে তার অজান্তেই বাস করে বহুগামী মনোভাব। সে মূলত গ্রুপের অন্যান্য সদস্যের সাথে রাজনৈতিক ও সেক্সচুয়াল কানেকশন তৈরি করার জন্যই এ ধরনের পরার্থপর আচরণ করে!
১৯৪৭ সালে কিনসের এক পরিসংখ্যানে দেখা যায়, ৫০% বিবাহিত পুরুষ এবং ২৬% বিবাহিত নারী পরকিয়ার সম্পর্ক করে কিন্তু ২০১৮ সালে “Institute for Family Studies (IFS)” পরিচালিত একটি গবেষণায় দেখা যায়, প্রায় ৫০% বিবাহিত নারী এক্সট্রাম্যারিটাল সম্পর্কে লিপ্ত হয়, যে পরিমাণ পুরুষের চেয়ে কিছুটা বেশি!
আমার ফ্রেন্ডলিস্টে এমন কোনো নারী আছেন, যারা সত্যি একগামী? আসুন, আপনাদের মিথ্যাচারের কৌশল সম্পর্কে বিশদ জ্ঞান অর্জন করি।
Reference:
1) Female copulatory vocalizations ( https://en.m.wikipedia.org/…/Female_copulatory…)
2) A cry for help: female distress calling during copulation is context dependent ( https://liu.diva-portal.org/smash/record.jsf…)
3) Evidence to Suggest that Copulatory Vocalizations in Women Are Not a Reflexive Consequence of Orgasm ( https://www.researchgate.net/…/44609177_Evidence_to…)
4) Semple, S., McComb, K., Alberts, S., & Altmann, J. (2002). “Information content of female copulation calls in yellow baboons.”
5) Townsend, S. W., & Zuberbühler, K. (2009). “Female-led infanticide in wild chimpanzees.”
6) Lehmann, J., & Boesch, C. (2008). “Sexual swelling in female chimpanzees is not related to ovulation.
(Summary: This research challenges the assumption that sexual swellings in female chimpanzees are directly related to ovulation and suggests that vocalizations during mating may play a role in confusing paternity, thereby reducing the risk of infanticide and promoting sperm competition.)
7) Baker, R. R., & Bellis, M. A. (1993). “Human sperm competition: Ejaculate manipulation by females and a function for the female orgasm.”
(Summary: This paper examines the role of female orgasm and its potential function in sperm competition. It suggests that female vocalizations and other behaviors during sex might serve to enhance sperm competition by influencing the timing and quality of ejaculation.)
In humans, the function of sexual vocalizations is more complex and influenced by social and cultural factors. Some studies indicate that women’s vocalizations during sex may serve to boost their partner’s arousal and hasten ejaculation, which might indirectly support sperm competition. Additionally, these vocalizations can reinforce pair bonding and increase the male’s sexual satisfaction, which may help in retaining the mate and reducing the likelihood of infidelity (Wikipedia) (Center for BEC).
9) A study on genital temperature during sexual arousal found that both men and women experience increased genital blood flow, leading to a rise in temperature. This increased blood flow is a part of the physiological arousal process and can enhance sexual sensations (Center for BEC).
10) Conceptual developments in sperm competition: a very brief synopsis ( https://www.ncbi.nlm.nih.gov/pmc/articles/PMC7661437/)
11) Theory: Sperm competition theory suggests that various male and female behaviors and physiological traits have evolved to maximize reproductive success in contexts where females mate with multiple males. Quick ejaculation in response to vaginal warmth could be seen as a male adaptation to ensure sperm deposition before potential displacement by rival sperm (Center for BEC).
12) Hidden Ovulation:
Benshoof, L., & Thornhill, R. (1979). “The Evolution of Monogamy and Concealed Ovulation in Humans”
Summary: This paper argues that concealed ovulation in human females evolved to encourage long-term pair bonding and male investment in offspring by obscuring the timing of ovulation and thus reducing paternity certainty.
Reference: Journal of Social and Biological Structures, 2(2), 95-106)
13) Extended Female Sexual Receptivity
Birkhead, T. R. (2000). “Promiscuity: An Evolutionary History of Sperm Competition and Sexual Conflict.”
14)Pfaus, J. G., Kippin, T. E., & Centeno, S. (2001). “Conditioned Erotic Arousal, Partner Preference, and Libido in Humans.”
Summary: This study highlights the physiological basis of female sexual arousal and the capacity for multiple orgasms, suggesting that these traits may enhance reproductive success.
15) Fisher, H. (1992). “Anatomy of Love: A Natural History of Mating, Marriage, and Why We Stray.”
Summary: Fisher discusses how the ability of women to experience multiple orgasms might have evolved to increase the likelihood of conception and maintain male interest and investment.
Read more: