Can't find our books? Click here!

ডোপামিন-মলিকিউল অভ মোর

ডেনিয়েল জেড লিভারম্যান

আমার নতুন অনূদিত বই “ডোপামিন: দ্যা মলিকিউল অভ মোর”। এটি তিনজন প্রখ্যাত বিজ্ঞানীর যৌথভাবে লেখা। সময়ের শ্রেষ্ঠতম নিউরোসায়েন্টিস্টরা এই বইটির প্রশংসা করেছেন। নিউরোসায়েন্টিস্ট ডেভিড ইগলম্যান তো বলেই দিয়েছেন, এই বইয়ের একটি স্বতন্ত্র পাতা থেকেও তিনি চোখ সরাতে পারেননি, তিনি একপ্রকার চ্যালেঞ্জই ছুঁড়ে দিয়েছিলেন। সত্যি বলতে প্রথমে কথাটি শুনে অবিশ্বাস করলেও আমি কিন্তু এক সেকেন্ডের জন্যেও চোখ সরাতে পারিনি! আমি তোমাদের ভাষায়, তোমাদের উপযোগী করে এই বইটি খুব সহজ করে অনুবাদ করেছি। কোনো জটিলতা নেই, পরিস্কার। পুরো বইটি আমার মুখস্ত বলতে পারো। আমি এতটাই প্রভাবিত। দু- মাস পর উপলব্ধ হবে এটি আমাদের হাইপারস্পেস প্রকাশনী থেকে।

আমি তোমাদেরকে তার আগে এই বইটি সম্পর্কে কিছু কথা বলে রাখতে চাই। এই বইটি মূলত বিজ্ঞানীদের উদ্দেশ্য করে লেখা। কিন্ত যদি তুমি মিলিয়নস-এর উর্ধ্বে গিয়ে হ্যারি পটার মুভির স্ন্যাপ অথবা প্রফেসর এক্স-এর মতো মাইন্ড রিডার হতে চাও তবে এই বই তোমার। ফিকশন নয়, বাস্তবতা।

এই বইটি তোমাকে মস্তিষ্কের দুই গ্রুপ নিউরোকেমিক্যালের সাথে পরিচয় করিয়ে দেবে। একটি গ্রুপে প্লেয়ার শুধু একজন আর তার নাম ডোপামিন। তোমার মস্তিষ্কের সুপারম্যান সে। ডোপামিন যে সার্কিটে কাজ করে তার নাম ফিউচার অ্যান্টিপেসন সার্কিট। আর অন্য গ্রুপটিতে কাজ করে সেরেটোনিন, অক্সিটোসিন, এন্ডোরপিন ও এন্ডোক্যানাবিনোয়েড ( গাঁজার নেশা)। এদেরকে তুমি ব্যাটসম্যান, স্পাইডারম্যান ব্লা ব্লা ভাবতে পারো। এই গ্রুপ যে সার্কিটে বাস করে তার নাম হেয়ার অ্যান্ড নাউ সার্কিট।

ডোপামিন: দ্যা মলিকিউল অভ মোর

কিন্তু মজার ব্যাপার হল এদের প্রত্যেকে একত্রে যুদ্ধ করেও তোমার মস্তিষ্কের ডোপামিন অণুর সাথে টিকে উঠতে পারে না। তোমার মস্তিষ্কের ৮৬ বিলিয়ন সেলের মধ্যে মাত্র ০.০০০৫% সেলই ডোপামিন তৈরি করতে পারে। প্রতি দুই মিলিয়নের মধ্যে একটি! কিন্তু তুমি শুনলে অবাক হবে প্রতি দুই মিলিয়নের মধ্যে এই একটা সেলই তোমার স্মৃতি, কল্পনা, আশা, পরিকল্পনা, লজিক, রোম্যান্টিক ভালোবাসা, সেক্স,অর্গ্যাজম, বিরহ, বিচ্ছেদ, সৃষ্টিশীলতা, ইন্টারস্টেলার ট্র্যাভেল, ঈশ্বর বিশ্বাস, মাল্টিভার্স, থিওরী অভ এভরিথিং এবং সম্পূর্ণ মানব সভ্যতার ভাগ্য নির্ধারণ করে দেয়। তোমার মস্তিষ্কের স্পাইডারম্যান অথবা ব্যাটসম্যান কেউই এই দুরন্ত, দুর্দান্ত আনফিলিং ডোপামিনের সাথে পাল্লা দিতে পারে না!

অনেকে মনে করেন ডোপামিন সুখের অণু! এটা একদম ভুল ধারণা! অনেকে ভাবেন ডোপামিন শুধু ফ্যান্টাসি তৈরি করে এটাও মিসলিডিং ইনফরমেশন! ডোপামিনের ফাংশন যে তার থেকেও অনেক সুদূরপ্রসারী তা নিশ্চয় তুমি এতক্ষণে বুঝতে পেরেছ? এজন্যই বইটির নাম মলিক্যুল অভ মোর। এই বইটি তোমাকে আস্তিক, নাস্তিক ও মুক্তমনা নির্বিশেষে কার মস্তিষ্কে কখন কোন মুহূর্তে কোন রাসায়নিক পরিস্থিতি কাজ করছে তা বলে দেবে। তুমি জাস্ট কিছু বডি ল্যাঙ্গুয়েজ ও আচরণের মুড পড়েই যে কারও মনের ভেতর ঢুকে যেতে পারবে। পিকের মতো তোমাকে কারও হাত স্পর্শ করতে হবে না। প্রয়োজন নেই টেলিপ্যাথি হেলমেট!

একটি রকেটের ভেতর ফুয়েলের ফাংশন কী? ফুয়েল কি শুধু রকেটকে উড়তে সাহায্য করে? এটা বুঝার জন্য তো তোমার রকেট সায়েন্স জানতে হবে না। যে ফুয়েল একটি রকেটকে উড়ায়, একই ফুয়েল মহাকাশে রকেটকে নিয়ন্ত্রণ করে, আবার একই ফুয়েল রকেটটিকে একটা পর্যায়ে থামিয়েও দিতে পারে। পার্থক্য হল, কেবল প্রতিটি ফাংশন সম্পাদনের জন্য পথ আলাদা আলাদা! তোমার মস্তিষ্কের ডোপামিন হল তোমার দেহ রকেটের ফুয়েল। এটি শুধু তোমার মধ্যে স্বপ্ন, আশা অথবা ফ্যান্টাসি তৈরি করে না, এটাই তোমার নৈতিকতা-লজিক-পরিকল্পনা-উদ্ভাবন ও তোমার মাল্টিভার্সে বিশ্বাসের কারণ! এটাই তোমার ঈশ্বর বিশ্বাস আর এই ডোপামিনই তোমার ইন্টারস্টেলার ট্র্যাভেলে নেতৃত্ব দেয় !

এই বইটি তোমাকে দেখাবে, এতদিন তুমি ডোপামিন সম্পর্কে যা কিছু জেনে এসেছ তা বিভ্রান্তিকর ও অসম্পূর্ণ। সাম্প্রতিক পাবলিকের মন ভোলানো যে সকল ডোপামিন ডিটক্স টাইপ বই পাওয়া যায় এই বইটি তার থেকে সম্পূর্ণ স্বতন্ত্র! কারণ এই বই বিজ্ঞানীদের উদ্দেশ্যে লেখা, এক্সপার্টদের উদ্দেশ্যে লেখা, এক্সপার্ট তৈরির উদ্দেশ্যে লেখা। এই বই যদি তুমি পড়ো তবে তুমি এরকম শত শত বই লিখতে পারবে। তুমি নিজেই তখন মনের ইঞ্জিনিয়ার!

এই বইটি শুধু ডোপামিন নিয়েই আলোচনা করবে না, এটি তোমার নিকট আলোচনা করবে মনের অন্য সকল অণু সম্পর্কেও। কীভাবে তারা একে অন্যের সাথে মিথস্ক্রিয়া করে আর বলে দেয় কোন মুহূর্তে তোমার কি করা উচিত। এ বইটি তোমার কাছে হার্ডলি প্রমাণ করে দেবে ব্যক্তি স্বাধীনতার অস্তিত্ব নেই।

তোমরা যদি বইটি অর্ডার করতে চাও দ্রুত করে ফেল। যোগাযোগ করো “হাইপারস্পেসে” অথবা আমাদের বুক স্টোরে ভিজিট করো “হাইপারস্পেস বুক স্টোর”

ডোপামিন-মলিকিউল অভ মোর//ডোপামিন-মলিকিউল অভ মোর/ ডোপামিন-মলিকিউল অভ মোর