সাতোশি কানাজাওয়ার দাবি করেছেন, একজন কন্যা সন্তানের চেহারা দেখলে পুরুষের মস্তিষ্কের বহুগামিতার সার্কিট অ্যাকটিভেট হয়। তার মস্তিষ্ক থেকে প্রেমিকার প্রতি অক্সিটোসিন ও ভেসোপ্রেসিন হ্রাস পায় এবং নতুন নতুন সঙ্গী অনুসন্ধানের মনোভাবের সাথে জড়িত ডোপামিনের অ্যাকটিভিটি বেড়ে যায়, এক কথায় সে সাইকোলজিক্যালি বহুগামিতার জন্য ট্রিগার হয়। কন্যা সন্তানের চেহারা পিতার মস্তিষ্ককে অন্য কোনো নারীর সাথে সেক্স করার জন্য ট্রিগার করে।
কিন্ত প্রশ্ন হলো কেন? কেন কন্যা সন্তান জন্ম হলে পুরুষের মধ্যে লুচ্চামির প্রবণতা বেড়ে যায়? সমাজবিজ্ঞানী ও জনসংখ্যাবিদদের একটি সরল টার্ম অনুসারে, যে সকল কাপলের অন্তত একটি ছেলে সন্তান আছে, তাদের মধ্যে কন্যা সন্তান আছে, এমন কাপলদের তুলনায় ডিভোর্সের পরিমাণ কম। বিষয়টি প্রথম দৃষ্টিতে যে কারও কাছে বিভ্রান্তিকর মনে হতে পারে। কিন্তু আমরা যদি স্মরণ করি যে পুরুষের মূল্য তার সম্পদ, সামাজিক মর্যাদা ও ক্ষমতার ওপর নির্ভরশীল এবং নারীর মূল্য তার তারুণ্য ও শারীরীক আকর্ষণের ওপর নির্ভরশীল, তবে এটি আমাদের কাছে সেন্স তৈরি করে।1
একজন পিতার কাছে তার পুত্রের ভবিষ্যৎ প্রজনন সফলতা নিশ্চিত করার জন্য তাকে উত্তারাধিকারসূত্রে সম্পদশালী এবং সামাজিক মর্যাদাসম্পন্ন করে গড়ে তোলা গুরুত্বপূর্ণ। কিন্তু একজন কন্যা সন্তানের জন্মের পর পিতার পক্ষ থেকে তার প্রজনন সফলতা নিশ্চিত করার জন্য কোনো ইনভেস্টমেন্ট প্রয়োজন ছিল না। বিবর্তনীয় মনোবিজ্ঞানীরা নির্দেশনা দিচ্ছেন যে, একজন পুত্রের জীবনে পিতার গুরুত্ব খুবই তাৎপর্যপূর্ণ। এজন্য পুত্র সন্তানের চেহারা দেখলে পুরুষের মস্তিষ্কে ভালোবাসা ও বন্ধনের হর্মোন অক্সিটোসিন ও ভেসোপ্রেসিন ট্রিগার হয় এবং ডিভোর্সের সম্ভাবনা কমে যায়।2
পুত্র সন্তানের চেহারা পুরুষের মস্তিষ্কের একগামিতার সার্কিট ট্রিগার করে। এখান থেকে আমরা পরিস্কার হয়ে যাই যে, পুত্র সন্তানের প্রতি পিতার কগনিটিভ বায়াসড কোনো ধর্ম অথবা সংস্কৃতির সৃষ্টি নয়। লাখ লাখ বছর পূর্ব থেকেই পিতার মস্তিষ্ক পুত্রের প্রতি পক্ষপাত করছে। এজন্যই পিতা পুত্রের জন্য বেশি ইনভেস্ট করে, এটি প্রজনন সফলতার একটি মৌলিক বিবর্তনীয় যুক্তি।
তবে সকল গবেষণা সাতোশি কানাজাওয়ার সাথে একমত নয়। কিছু গবেষক মনে করেন, কন্যা সন্তান জন্ম হলে পুরুষের মস্তিষ্ক সহানুভূতিশীল, যত্মশীল ও সহযোগিতামূলক হয়ে ওঠে।34 আবার কিছু গবেষক মনে করেন, কন্যা সন্তান জন্ম হলে পিতার মস্তিষ্কে সাম্যবাদী, নারীবাদী এবং সহযোগিতামূলক মনোভাব ট্রিগার হয়। এই সকল গবেষক মনে করেন, যে সকল পুরুষ অধিক সংখ্যক কন্যা সন্তানের অধিকারী, তাদের নারীবাদী বা ফেমিনিস্ট হওয়ার সম্ভাবনা বেশি।5
Reference:
- According to evolutionary psychology, the father’s brain may become more polygynous when a daughter is born because of the different reproductive strategies of males and females. Males can increase their fitness by mating with multiple females and producing more offspring, while females can increase their fitness by choosing high-quality mates and investing in their offspring1
- Fathers may have less incentive to stay monogamous and faithful to their partners when they have daughters, as they do not need to invest much in their daughters’ reproductive success. On the other hand, fathers may have more incentive to stay monogamous and faithful when they have sons, as they need to ensure their sons’ inheritance of wealth, status, and power, which are important factors for attracting mates2
- This evolutionary explanation is not universally accepted, and there are many other factors that may influence the father’s brain and behavior when a daughter is born. For example, some studies have found that fathers who have daughters tend to be more empathetic, nurturing, and protective than fathers who have sons34
- Some researchers have suggested that this is because daughters elicit more oxytocin and vasopressin in the father’s brain, which are hormones that promote bonding and attachment5 Other studies have found that fathers who have daughters tend to be more egalitarian, feminist, and supportive of women’s rights than fathers who have sons67
আরও পড়ুন: নারীর মধ্যে পুরুষ কেন ফলস নেগেটিভ দেখে?
কেন কন্যা সন্তান জন্ম হলে পিতার মস্তিষ্ক বহুগামী হয়ে ওঠে?/ কেন কন্যা সন্তান জন্ম হলে পিতার মস্তিষ্ক বহুগামী হয়ে ওঠে?