“একা ও একাকীত্ব” কাব্যগ্রন্থটি গ্যালাক্টিক কবি মাহবুব সাঈদ মামুনের লেখা একটি অনবদ্য বই। এই কবিতার বইটি পড়ার পর থেকে আমি নিজেই তাকে মহাজাগতিক বা কসমিক কবি বলে ডাকতে শুরু করেছিলাম। মাহবুব সাঈদ মামুনের একা ও একাকীত্ব কবিতার বইটি এতটাই মাইন্ডব্লোয়িং যে আমি একসময় নিজেই এ বইটি ইংরেজী ভাষায় অনুবাদ করার দায়িত্ব গ্রহণ করি। কিন্তু কি ছিল তার কবিতায় যা আমাকে এত বেশি আলোড়িত ও সম্মোহিত করেছিল? আসুন প্রথমেই তার কবিতা অবিনশ্বর অথবা ইটারনালের দিকে চোখ রাখি:
লিখি, শব্দের পর শব্দ
লিখে কী হয় জানি না।
শব্দের রাজ্য মাথায়
দিক-বিদিক উড়ে বেড়ায়
যেন আকাশের সাদা-কালো মেঘ,
শ্রাবণের বৃষ্টি
ক্ষণকাল পর তার রেশ থাকে না।
কিছু মনে থাকে না
কারো নাম, সাল, তারিখ
খ্যাত বা অখ্যাত।
কোথায় আছি? কেন আছি?
কী জন্য আছি?
কুলকিনারা নেই
আমি অসময়ের যাত্রী।
কিছু কী শব্দ লেখার কথা?
ভাবি আমি
ভাবতে ভাবতে হই দিশেহারা
ভাবের জগতে
শঙ্কিত করে কালো ভয়।
যে শব্দ খুঁজে পাই বেলা-অবেলায়
এ ভাবের শব্দখেলা কেন হয় আমার?
স্মৃতিভ্রম হয়েছে কি?
মস্তিষ্কের নিউরনে কে থাকে বসে?
মানস-তরঙ্গে ভেসে ভেসে
কীসব শব্দ আসে মনে!
আলোর প্রতিবিম্ব হয়ে থাকি আমি
যেন বাস্তবতার প্রতিচ্ছায়া।
কী যেন হারিয়েছে,
শুধু খুঁজে খুঁজে ফিরি?
চিন্তার মহাসাগরে
আমি কি এক স্মৃতিহারা পথিক
সবই ভুলে যাই
সবই হারিয়ে ফেলি
মস্তিস্কের বিলিয়ন বিলিয়ন কোষ
তবুও আমাকে চালায়
হেঁটে যাই ভ্রান্তির মেঠোপথে।
মস্তিষ্ক-কেন এতো নিঠুর প্রেমের
বেরসিক আধার?
কী সুখ পায় সে আমাকে নিয়ে?
নাকি এগুলো নিছক
জিন-হরমোনের খেলা?
নাকি কেউ খেলে
ওই সুদূর নীহারিকায় বসে
নিরন্তর অর্থহীন।
আমার তাহলে কিছুই করার নেই।
যেন আমি উতাল স্রোতের ভাসমান কচুরিপানা,
অথবা সদ্য জন্ম নেওয়া বালিহাঁসের ছানা
আমি শুধু ভাসি আর ভাসি।
ভাসতে ভাসতে নদী পার হয়ে
সাগরে-মহাসাগরে এসে পড়ি।
যেখানে আমি বিলীন হই
আরো জলে, মিশে যাই অন্তরালে।
যেখান থেকে একদিন আমি এসেছিলাম
সেখানেই লীন হই,
আবার হই না।
আমি মহাকালের অন্ধকারে ভেসে বেড়াই
যার কোনো শুরু নেই, আবার শেষও নেই।
সময়ের স্রোতে আমি তাই অবিনশ্বর।
কবিতাটি পড়ে আমার রিভিউ:
মহাজাগতিক কবি মাহবুব সাঈদ মামুনের প্রথম কবিতা অবিনশ্বর-এর প্রতিটি শব্দই আমার উপলব্ধির জগতে সাড়া সৃষ্টি করেছে। এ কবিতাটি নিজেই একজন ফিলসফার। যে কথাগুলো আমি পদার্থবিজ্ঞান, জীববিজ্ঞান ও নিউরোসায়েন্স দিয়ে বোঝাতে চেয়েছি, অবিনশ্বর একাই সেটা স্বার্থক করেছে। “আমি কি এক স্মৃতিহারা পথিক, সবই ভুলে যাই, সবই হারিয়ে ফেলি, মস্তিষ্কের বিলিয়ন বিলিয়ন কোষ আমাকে চালায়!” আসলে আমাদের অস্তিত্বের প্রায় কিছুই আমরা জানি না, বিলিয়ন বিলিয়ন বছর আমরা বিশ্বপ্রকৃতিতে ছিলাম, আমাদের জেনেটিক্যাল কোডে তার ছাপ পড়েছে, এটি আমার শরীর গঠন করে, আমার মস্তিষ্কে সংযোগ তৈরি হয় ও বিচ্ছিন্ন হয়। ঘুম থেকে জেগে মাঝেমাঝে দিশেহারা হয়ে যাই, আমি আছি? আমি কেন আছি? আমি এতক্ষণ কোথায় ছিলাম?
প্রায় অণু পরিমাণ তথ্য সম্পর্কে সচেতনতার পরও আমাদের মেকানিক্যাল বডি আমাদের চালায়, আমাদের বায়োলজিক্যাল সিস্টেম চলমান থাকে। আমরা অধিকাংশ সময় আনকনসাস থাকি কিন্তু আমরা আবার আনকনসাস নয়, আমরা জিরো কিন্তু জিরো নই। যে কথাগুলো লেখার জন্য হাজার হাজার শব্দ ও অশ্রু প্রয়োজন, সে কথাগুলো কী অবলীলায় বলে গেলেন আপনি! আমি সম্ভবত এরকম একটি কবিতাই সারাজীবন অনুসন্ধান করেছি। আমি বিজ্ঞানের ভাষা ব্যতীত ভাব প্রকাশ করতে পারি না, আমার শব্দের দারিদ্র্যতা আছে, কিন্তু আপনার এই কবিতা বিলগেটস অথবা ইলনমাস্ক , এটি অনুভূতির গড। “যেখান থেকে আমি এসেছিলাম, সেখানেই আমি লীন হই, আবার লীন হই না” ! কী সূক্ষ্ম পর্যবেক্ষণ ও সচেতনতা! কী গভীর জীবনবোধ! মনে হলো, মহাবিশ্ব নিজেই নিজের আত্মজীবনী প্রকাশ করছে কবিতার প্রতিটি চরণে।
১৫০ মিলিয়ন আলোকবর্ষ দূরের একটি নক্ষত্রের পরমাণু যদি বিলিয়ন বছর পর একবার সচেতন হয়, সে নিশ্চয়ই আপনার এই কবিতা পড়ে বলবে, তুমি আমার মনের কথাগুলো কীভাবে জানলে? আমি তো এমন কিছুই বলতে চেয়েছিলাম অনন্তকাল! এখানেই একজন কবির স্বার্থকতা, সে একটি নক্ষত্রের ফিউশন থেকে সৃষ্ট একটি কার্বন ও নাইট্রোজেনের মনকেও পড়তে পারে। অনন্তকালের সত্যকে, এক মুহূর্তেই অনুভব করে। তার কাছে মিলিয়ন বছর আর এক সেকেন্ড সমান দূরত্বে অবস্থিত। এই যে আমি একের পর এক কথা বলে যাচ্ছি, এটাই একটি শক্তিমান কবিতার বৈশিষ্ট্য, একটি কবিতাকে এমন হতে হয় যে, পাঠক তার কবিতা ব্যাখ্যা করতে করতে শত শত পৃষ্ঠা শেষ করে ফেলে এবং একটা সময় সে অনুভব করে তার সময় থেমে গেছে।
আটলান্টিকের ঢেউ থেকে ভেসে আসে শীতল হাওয়া, রিমঝিম বৃষ্টি পড়ে, সকালের সূর্য তার বিকিরণে ভাসিয়ে দেয় হোম প্ল্যানেট, আর আমার বেলকনিতে একটি পেটুনিয়াস ফুল ফোটে। ফুল শব্দহীন হেসে উঠেছিল তার বৈশ্বিক অস্তিত্বে কিন্তু তাকে প্রকাশ করার জন্য আমাকে হাজার হাজার বছর লিখতে হয়। একটি স্বার্থক কবিতা হলো সকালের রোদে প্রস্ফুটিত একটি ফুলের মতো, সে নীরবে ও নিঃশ্বব্দে প্রকাশ হয়। আমি আসলে কারও কবিতা পড়িনি তেমন, আর আমি বিশ্বের তেমন কোনো কবি বা সাহিত্যিকের সাথেও পরিচিত নয়।: ) আমি কবিদের ঘৃণা করি তাদের অদ্ভুত দুর্বোধ্যতার কারণে। জীবনানন্দ অথবা রবীন্দ্রনাথ কেউই আল্টিমেটলি আমার প্রিয় হয়ে ওঠেনি অনর্থক জটিলতা ও সময় নষ্টের অনুভূতি সৃষ্টির অপবাদে। কবিতা, উপন্যাস ও সাহিত্যের প্রতি আমার কোনো কালেই টান ছিল না। কিন্তু আমি অবচেতনে একজন কবি ও কবিতা অনুসন্ধান করেছি যাকে পড়লে অনন্তকালের কবি মনে হবে। অবিনশ্বর সেইরকম এক কবিতা। কবি মাহবুব সাঈদ মামুন যে কতটা জিনিয়াস এবং ডিপলি ফিলসফিক্যাল তা বোঝার জন্য আপনার মঙ্গল অথবা বৃহস্পতি যাওয়ার প্রয়োজন নেই। এক্ষেত্রে তার “সময়হীন” কবিতাটি পড়া যেতে পারে-
Time flies by,
2016, the end of time?
Lost in the womb yesterday,
Called “Time and Wave,”
Does not sit for anyone.
What is time, actually?
Is there anything?
No.
People, in the urge of their own lives,
Made day and night to count.
When the Earth, heliocentric on its axis,
Moves at instantaneous and annual speeds,
Light and shadow are created on its surface.
That is what is called day or night.
What people call the sun rising and setting—
The sun neither rises nor sets.
Time is counted from birth to death,
Days, months, and years.
Counting one day in the timeless universe,
Lost in the dark eternal womb.
কী অসাধারণ এবং মর্মান্তিক একটি অনুভূতি তিনি এক কবিতায় প্রকাশ করেছেন তা ভাবা যায়? কবি কী অপরূপ সরলতায় আমাদের কাছে সময়হীন মহাবিশ্বকে উপস্থাপন করেছেন তা ভাবলেই মস্তিষ্কের ১০০ বিলিয়ন কোষ কেঁপে ওঠে। জগত, জীবন ও মহাবিশ্ব সম্পর্কে তার অনুভূতির তীব্রতা ফুটে উঠেছে তার প্রতিটি কবিতায়। তার এক একটি কবিতার চরণ আমাদের সাক্ষী দেয় যে, কী গভীরভাবে তিনি এ নিষ্কাম ও নিরপেক্ষ মহাবিশ্বের পদার্থবিদ্যা ধারণ করেছেন এবং অনুভব করেছেন শূন্য থেকে সৃষ্ট এই মহাবিশ্ব ও জীবনের চূড়ান্ত অর্থহীনতা। যেমন কবি তার “Enmity and Hatred” কবিতায় বলেছিলেন,
I am my own enemy,
In constant battle with myself.
My thoughts are rootless,
My experiences fuel my enmity.
Friends become foes,
As life fails to match my thoughts.
No one can reconcile my accounts,
For I am at enmity with all around me.
From family to society,
State to world,
Enmity spreads its tentacles.
From Asia to Europe,
Africa to North America,
Australia to South America,
All are enemies of all.
Hatred flows endlessly,
From one caste to another,
One religion to another,
One culture to another.
তিনি দেখেছিলেন, প্রতিটি মানুষ, জাতি, ধর্ম, গোষ্ঠীর অস্তিত্বের গভীরে সেলফিশ জিনের শয়াতানী হাসি। তিনি গভীরভাবে অনুভব করেছিলেন, কেবল নক্ষত্রের বুকেই থার্মোডায়নামিক্সের এন্ট্রপি বাস করে তা নয়, কেবল নক্ষত্রের বুকেই মহাজাগতিক অণু-পরমাণুর সংঘর্ষ চলে তা নয়। মহাবিশ্বের প্রতিটি অণু-পরমাণুর মতো পৃথিবীর আট বিলিয়ন মানুষের মনে চলছে অবিরাম সংঘর্ষ ও স্ববিরোধ। আমাদের প্রতিটি বন্ধুত্বের আড়ালে লুকিয়ে আছে সেলফিশ জিনের অবিনাশী হাসি যেমন কবি বলেছিলেন-
Enmity and hatred are our destiny,
Hidden beneath the pretence of friendship.
In the name of love, in the name of war,
Enmity and hatred flow from person to person.
কবি জীবনের এই নিষ্কাম, নিরপেক্ষ ও নিষ্ঠুরতম সমীকরণের সামনে দাঁড়িয়ে হতবাক হয়ে যান। তিনি বুঝতে পারেন, মহাকাশের দুই ট্রিলিয়ন গ্যালাক্সির সাথে তিনিও একটি কসমিক সমীকরণে বন্দী। আর তাই তিনি নিজেকে সকল কিছু থেকে আইসোলেট করে ফেলেন।
তিনি একটি কসমিক আইসোলেশন চ্যাম্বারে আশ্রয় নেন, যেখানে কবি নিজেই প্রশ্ন এবং নিজেই নিজের উত্তর। কবি দেখেছিলেন মানব সভ্যতার অস্তিত্বের মর্মমূলে ক্রাইসিস বা সংকট বাস করে। মহাবিশ্বের প্রতিটি অণু-পরমাণুর মতো, প্রতিটি মানব মন ক্রাইসিসে আছে, তারা সবাই ডিএনএ, আরএনএ, জিন, হর্মোন, কেমেস্ট্রি আর পদার্থবিজ্ঞানের একটি নিষ্ঠুর ও ক্ষমহীন সমীকরণের কয়েদী। কবি তার “My Uncle Sun’s Hypocrisy” কবিতায় লিখেছিলেন-
Evolution, astronomy, RNA and DNA,
The endless chaos of molecules and atoms,
Matches the planets, satellites, sun, and stars.
In the body, the struggle for existence goes on,
To live urgently, urgently,
People consider each other enemies,
Because they don’t get, they don’t give.
Life is fleeting, dies quickly,
With the tone of sadness of inadequacy,
Greed, lust, cultural, economic inequality,
People-to-people differences.
Human genes, hormones, and intelligence,
In the mind, the crisis of existence is ever-present.
কবি বারবার বোঝাতে চেয়েছিলেন, মহাবিশ্বের দেহের পরমাণু দিয়ে তৈরি এই মানুষগুলো, যদিও নিজেকে সবচেয়ে বুদ্ধিমান প্রাণীগুলোর একটি মনে করে, আসলে তারা মহাবিশ্বের একটি ক্যান্সার। ঈশ্বর যদি একটি দেহ হয়, আমরা তার দেহের একটি কোষ কিন্তু আমরা তার ভালো কোনো কোষ নয়, আমরা ক্যান্সার কোষ। আমরা অনিয়ন্ত্রিত ও বিশৃঙ্ক্ষল। আমরা হোমো স্যাপিয়েন্স ভাষার মাধ্যমে এই পৃথিবীর ওপর আধিপত্য বিস্তার করেছি এবং আমরা সে ভাষার শক্তি দিয়ে নিয়ান্ডারথাল ও ডেনিসোভানদের পাশাপাশি পৃথিবীর আরও অসংখ্য জীবনের প্রদীপ নিভিয়ে দিয়েছি। কবি অত্যন্ত দুঃখের সাথে বলেছিলেন, পৃথিবীর ৮.৬ মিলিয়ন প্রজাতির অন্যান্য জীবদের ভাষা নেই। তাই তারা তাদের অস্তিত্বের দুঃখ নিয়ে কবিতা ও উপন্যাস লিখতে পারছে না, তারা মুখ ফুটে বলতে পারছে না যে, মানুষ কত অমানবিক, নির্বোধ ও ভয়ানক একটি সত্তা । তার “ডায়ভার্সিটি অব ন্যাচার” কবিতায় কবি আক্ষেপ করে বলেছিলেন,
Even within the species called humans,
Variations can be found with ease,
Some are white, some are black, and some are brown,
While other species have no oral language to speak.
The human species has conquered nature,
But destroys other species with great ire.
Mankind thinks it has conquered everything,
But has it truly won anything?
প্রেম, মানবতা, মুক্তবুদ্ধি এবং মহাজাগতিক আইসোলেশনের কবি মাহবুব সাঈদ মামুন তাঁর “ My Uncle Sun’s Hypocrisy” কবিতায় বলেছিলেন, মানুষের ভাষাই সমাজিক সিস্টেম তৈরি করে, মানুষই ধর্ম ও গোষ্ঠীর নামে একে অন্যের সাথে সংঘাত আর যুদ্ধ করে। আবার এই মানুষই অর্থনৈতিক ও পলিটিক্যাল স্ট্র্যাকচার তৈরি করে। তিনি আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স সম্পর্কে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। তিনি তার কাব্যগ্রন্থে ভবিষ্যৎ পৃথিবীর ওপর আর্টিফিশিয়াল ইন্টিলিজেন্সের প্রভাব প্রতিফলিত করেছেন এবং তিনি সতর্ক করেছেন, একদিন হয়তো এআই নিষ্ঠুর হিউম্যানিটির কাছ থেকে সকল ক্ষমতা কেড়ে নিতে পারে। অন্তিমে কবি মাহবুব সাঈদ মামুন একটি বিয়োগান্তক স্যাটায়ারের মাধ্যমে তার কবিতা শেষ করেছিলেন। তিনি অস্তিত্বের সুগভীর অনিশ্চয়তা ও দৌদুলমানতা প্রকাশ করেছিলেন। তিনি এক অভিনব উপমার মাধ্যমে এই ক্ষণজীবী জীবনের ফ্ল্যাকচুয়েশন প্রদর্শন করেছেন। তিনি বলেছিলেন, জীবন হলো এলিফ্যান্ট এয়ার ট্রি বা কচুপাতার ওপর এক ফোটা পানি, যেটি থরথর করে কাঁপছে। আর অসীম মহাকাশের একটি কোণে জীবন নামক এই কম্পমান বিন্দুটির সাময়িক উপস্থিতি আমাদের সৌরজগতের সূর্যের আলো ও বিবর্তনের একটি উপহাস মাত্র। বুদ্ধ অথবা আব্রাহামিক ধর্মের তাণ্ডব লীলা। পারমাণবিক বোমা অথবা বিশ্বযুদ্ধের অবিনাশী হুংকার। ওলভ, ভাইপার, নেকড়ে থেকে শুরু করে এআই। সবকিছু অ্যালিফ্যান্ট এয়ার বৃক্ষের পাতায় কাঁপছে, এসবকিছু সূর্য আর বিবর্তনের ষড়যন্ত্র। সূর্য নিভে যাওয়ার ৮ মিনিট ২০ সেকেন্ড পর রাশিয়া আর ইউক্রেনের যুদ্ধ থেকে শুরু করে ব্যাক্টেরিয়ার জীবনচক্র__সবকিছু একটি ফানুসের মতো ভেঙে চুরমার হয়ে যাবে :
Life sways in uncertainty
On the leaves of the Elephant Ear tree.
New technology, all the games,
A conspiracy of my Uncle sun.
পৃথিবীর সমাজ ব্যবস্থা জন্ম দিয়েছে মানুষ
ধর্মের নামে, জাতপাতের নামে
বেঁচে থাকার জন্য, অস্তিত্ব টিকে রাখার জন্য
অর্থনৈতিক এবং রাজনৈতিক কাঠামোর জন্ম
অস্তিত্বের ওপর সবসময় হানাদার বাহিনী ‘নতুন প্রযুক্তি’
হানা দেয় সকল সময়ের দেবতা নামে।
ভূমিকম্প, লাভা-জাভা, সুনামি, টর্নেডো
লণ্ডভণ্ড করে দেয় পৃথিবীর সব সাজানো বাগান,
কচুপাতার জীবন অনিশ্চয়তায় টলটলে টলায়মান
নতুন প্রযুক্তি, সূর্যমামারই যত্তসব খেলা আর কারসাজি।
কবি মাহবুব সাঈদ মামুনের “একা ও একাকীত্ব” নামক বইটি ডাউনলোড করুন এখান থেকে:
আরও পড়ুন: রবীন্দ্র-বিদূষণ ও কিছু ফ্যালাসির বিশ্লেষণ
কবি মাহবুব সাঈদ মামুনের একা ও একাকীত্ব /কবি মাহবুব সাঈদ মামুনের একা ও একাকীত্ব /কবি মাহবুব সাঈদ মামুনের একা ও একাকীত্ব /কবি মাহবুব সাঈদ মামুনের একা ও একাকীত্ব /কবি মাহবুব সাঈদ মামুনের একা ও একাকীত্ব /কবি মাহবুব সাঈদ মামুনের একা ও একাকীত্ব /কবি মাহবুব সাঈদ মামুনের একা ও একাকীত্ব