একদিন যে ছাড়া এ মহাবিশ্বে একটি অতি–পারমাণবিক কণিকাকেও চিন্তা করতে পারতাম না, যার জন্য প্রি–ফ্রন্টাল কর্টেক্স লক হয়ে যেতো, থেমে যেতো সময় !আজ নিজের অজান্তেই তার পরিবর্তে অন্য কোনো নারী মস্তিষ্কের নিউরনে জেগে উঠে। কিছুতেই যেনো নতুনত্বের প্রতি নেশা কাটতে চায়না, অন্য জগত, এক্সট্রা-টেরিস্টিয়াল ফিলিংস, অপ্রতিরোধ্য আকর্ষণ, মনে হয় যেনো নতুন নতুন শরীর, দুর্দান্ত উরু, হৃদপিন্ডে বিদ্রোহ জাগা হাসি, ঐ চোখের গভীরতা আর তার কন্ঠস্বর ছাড়া মস্তিষ্কের রিওয়ার্ড সিস্টেম কাজই করতে চায়না, নারীর কন্ঠস্বর ছাড়া সব অর্থহীন লাগে, মহাবিশ্ব সম্পর্কে জানতে ইচ্ছে করেনা, যেনো এ অসীম মহাকাশের কোনো অর্থই নেই। নতুন কোনো নারীর সাথে নিজেকে প্রকাশ করার মধ্যে মস্তিষ্ক চরম উন্মাদনা অনুভব করে, নেমে আসে ক্রিয়েটিভিটি ।
আমার ব্রেন কর্টেক্সের ভেতর এইভাবে অজস্র প্যারালাল জগত জন্ম হয়, এক একটি জগতে আমি মহাবিশ্বের এক একটি নারীকে স্বপ্ন দেখি। কেউ যদি আমাকে প্রশ্ন করে তোমার মনে কী আছে , আমি বলবো আমি এক নারীতে সন্তুষ্ট নয়। অযথা মিথ্যা বলে কী লাভ! আমার এত মহানুভবতার দরকার নেই! আমি অনেকের প্রতি সেক্স ফিল করি! নারীর শরীর ছাড়া আমার জিনের নিকট এ জগত মিনিংলেস! আমার প্রতিটি ব্রেন সেল যেমন নক্ষত্রের আলোর সাথে সম্পৃক্ত , ঠিক তেমনি তারা জড়িয়ে রয়েছে এডালট্রিতে! এ সত্য স্বীকার করতে গিয়ে যদি আমাকে অনন্তকালও একা থাকতে হয় তবুও আমার কোন দু;খ্য নেই। এ জন্য কাজী নজরুল বলেছিলেন,
প্রেম সত্য, প্রেম–পাত্র বহু–আগণন,
তাই–চাই, বুকে পাই, তবু কেন কেঁদে
ওঠে মন।
মদ সত্য, পাত্র সত্য নয়!
যে–পাত্রে ঢালিয়া খাও সেই নেশা
হয়!
চির–সহচরী!
এতদিনে পরিচয় পেনু, মরি মরি!
আমারি প্রেমের মাঝে রয়েছ গোপন,
বৃথা আমি খুঁজে মরি’ জন্মে জন্মে করিনু
রোদন।
শুধু নজরুল কেনো? এমনকি ৩৫৪ থেকে ৪৩০ খ্রিষ্ঠাব্দে জন্ম নেয়া সেন্ট অগাস্টিনও জীবনের শেষদিন অবধি তার মিস্ট্রেসের প্রতি আকর্ষণ কাটিয়ে উঠতে পারেননি। খ্রিষ্ঠিয়ান মিস্টিজমের উপর লেখা তার ক্লাসিক গ্রন্থ কনফেশনে তিনি লিখেছিলেন, He prayed Regularly to God, Saying, Give me Chastity and Contingency, but do not Give it yet। এমনকি বিশ্ব বিখ্যাত পদার্থবিজ্ঞানী আইনস্টাইন, যিনি তার যুগান্তকারী চিন্তা দিয়ে বৈজ্ঞানিক বিশ্বকে নতুন করে লিখে গেছেন তার প্রতিও স্ত্রী মেলিভা বিশ্বস্ত ছিলেন না। জুন ১৯৫৩ সালে, আইনস্টাইন তার প্রেমিকাকে শান্তনা দিয়ে একটি চিঠি লিখেছিলেন, যিনি আবিষ্কার করেছিলেন, আইনস্টাইন তার অজান্তে অন্য একটি নারীর সাথে এডাল্ট্রিতে জড়িত, আইনস্টাইন তাকে পরামর্শ দিয়েছিলেন, তিনি যেনো ব্যাপারটি স্বাভাবিক ভাবে নেন। আইনস্টাইন লিখেন, I am Sure you know that most men ( as well as quite a number of woman) are not Monogamously By nature।
আইনস্টাইন মেলিভার সাথে সেকচুয়াল বিশ্বাসঘাতকতা করেন, তাদের ডিভোর্স হয়ে যায়। এবং অবশেষে তিনি এলসা আইনস্টাইনকে বিয়ে করেন যিনি ছিলেন তার কাজিন। মেলিভাকে ডিভোর্স করে, তিনি এলসাকে বিয়ে করার পরও অজস্র নারীর সাথে তার ব্রেন সার্কিট বহু প্রাচীন সেই জিন ও হর্মোনের খেলায় মত্ত হয়ে উঠে। ন্যাশনাল জিওগ্রাফিতে Genius albert Einstein’s Theory of Infidelity শিরোনামে প্রকাশিত একটি আর্টিকেলে এভাবেই পরিচিত করা হয়েছিলো, বিশ্ব বিখ্যাত বিজ্ঞানী আইনস্টাইনের বিবর্তনীয় মনস্তত্বকে। Newyork Post এবং Cosmos ম্যাগাজিন থেকেও জানা যায়, দুজন স্ত্রী ছাড়াও আইনস্টাইনের ছিলো প্রায় দশজন Girl Friend। আইনস্টাইন উন্মোক্তভাবে তার প্রেম নিয়ে আলোচনা করতেন, তার সেকেন্ড ওয়াইফকে একটি চিঠিতে তিনি বলেন, প্রেমে সাইকো হয়ে যাওয়া কিছু মহিলার প্ররোচনায় পড়েই তিনি এমন করেছেন, এমনকি তার সৎ কন্যাকেও। তিনি তার সৎ কন্যাকে ১৯৩১ সালে লেখেন, it is true that M. Followed me and her chasing after me is getting out of control। এমনকি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরেরও আর্জেন্টিনার ভিক্টোরিয়া ওকাম্পের প্রতি রোম্যান্টিক ভালোবাসার কথা জানা যায়।রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর তাঁকে ডাকতেন ‘বিজয়া’ নামে। কিন্তু বিজয়া তাঁর আসল নাম ছিল না। নাম ছিল তাঁর ভিক্টোরিয়া । ভিক্টোরিয়া ওকাম্পো। অভিজিত রায় লিখেন-
১৯২৪ সালে পেরুর স্বাধীনতা সংগ্রামের শত বছরের বার্ষিকীর অনুষ্ঠানে যাবার জন্য জাহাজে উঠলেও মাঝপথে অসুস্থ হয়ে আর্জেন্টিনায় অবস্থান করতে হয় তাঁকে। সেখানেই পরিচয় হয় ওকাম্পোর সাথে রবি ঠাকুরের। রবি ঠাকুর আর্জেন্টিনার বুয়েনোস আইরেসের এক হোটেলে (প্লাসা হোটেল) ছিলেন তাঁর সহযাত্রী এবং কাজের সার্বক্ষণিক সঙ্গী লেনার্ড এলমহার্স্টের সাথে। সেখানেই একদিন হাজির হন ওকাম্পো। অবশ্য এমনি এমনি রবাহূত হয়ে রবীন্দ্রনাথের হোটেলে হানা দেননি তিনি। তাঁর রবীন্দ্র-দর্শনের ইচ্ছার পেছনে একটা ছোট্ট ইতিহাস আছে। আসলে প্রথম থেকেই রবীন্দ্র সাহিত্যের গুণমুগ্ধ পাঠিকা ছিলেন ওকাম্পো। রবীন্দ্রনাথ ততদিনে নোবেল পুরস্কার পেয়ে গেছেন। তাঁর ‘গীতাঞ্জলি’ কাব্যগ্রন্থ বিভিন্ন ভাষায় অনুদিত হয়েছে। একাধিক ভাষায় লিখন এবং পঠনে পারদর্শী ওকাম্পো ইতোমধ্যেই গীতাঞ্জলি পড়ে ফেলেছেন ইংরেজি, স্প্যানিশ এবং ফরাসি ভাষায়। তার মধ্যে আঁদ্রে জিদের ফরাসি ভাষায় করা গীতাঞ্জলির অনুবাদটিই ছিল তাঁর প্রিয়। গীতাঞ্জলি পড়ে শিহরিত হন ওকাম্পো। তাঁর নিজের ভাষ্যে –
‘[তখন] আমার গান শেখার সময়। মাদাম ‘র’ তখনো এসে পৌঁছাননি। ধূসর রেশমে আস্তীর্ণ স্বপ্নালোকিত একটি ঘরে পিয়ানোর গায়ে হেলান দিয়ে কবিতাগুলো পড়ছি। শীতকাল। বুয়েনোস আইরেসের রাস্তাঘাটের হট্টগোল আমাকে অনুসরণ করে এসেছে, আপাতত চাপা পড়ে গেছে বদ্ধ জানালা আর পর্দার আবরণে। পিয়ানোর পাশে দাঁড়িয়ে থর থর করে কাঁপছে আমার যৌবনও:
আমার ঘরেতে আর নাই সে যে নাই-
যাই আর ফিরে আসি, খুঁজিয়া না পাই।
আমার ঘরেতে নাথ, এইটুকু স্থান-
সেথা হতে যা হারায় মেলে না সন্ধান।
অনন্ত তোমার গৃহ, বিশ্বময় ধাম,
হে নাথ, খুঁজিতে তারে সেথা আসিলাম।
দাঁড়ালেম তব সন্ধ্যা-গগনের তলে,
চাহিলাম তোমা-পানে নয়নের জলে।
কোনো মুখ, কোনো সুখ, আশাতৃষা কোনো
যেথা হতে হারাইতে পারে না কখনো,
সেথায় এনেছি মোর পীড়িত এ হিয়া-
দাও তারে, দাও তারে, দাও ডুবাইয়া।
ঘরে মোর নাহি আর যে অমৃতরস
বিশ্ব-মাঝে পাই সেই হারানো পরশ।
কাঁদতে লাগলাম। পড়তে লাগলাম। মাদাম ‘র’ এলেন এবং বিচলিত হয়ে শুধালেন: “কী হয়েছে?” কী করে বোঝাই, হয়নি যে কিছুই … অথচ …”
আপনারা নিশ্চয় জানেন, শ্রডিঙ্গারের বেড়ালের কথা যেটি একই সাথে জীবিত ও মৃত। শ্রডিঙ্গারের বেড়ালের মতোই তারও ছিলো অজস্র প্রেমিকা। যাদের মধ্যে ছিলো হিলডে মার্চ যিনি ছিলেন তার সহকর্মী আর্থার মার্চের স্ত্রী। যদিও তখনও শ্রডিঙ্গারের স্ত্রী অ্যানি নিয়মিত তার সাথে একই বিছানায় শুতেন।
এডাল্ট্রির এনাটমি
অক্সফোর্ড ডিকশনারীতে এডাল্ট্রি বলতে বোঝানো হয়েছে, Sex Between a Married Person and Someone who is not Their husband or wife। মনোবিজ্ঞানীরা মনে করেন, এডাল্ট্রির পেছনে মানসিক, সামাজিক ও অর্থনৈতিক কারণ জড়িত। আপনার যখন মনে হবে আপনার প্রয়োজনীয়তা পূরণ হচ্ছেনা, আপনি আপনার গার্লফ্রেন্ডের প্রতি কোনো ভালোবাসা অনুভব করছেন না, আপনার সেকচুয়াল জীবন সম্পূর্ণ নয়, তখনই আপনি এডাল্ট্রিতে সম্পৃক্ত হোন। এডাল্ট্রির একটি কারণ একগুয়েমি। দুজন নর নারীর মধ্যে কমিউনিকেশন গ্যাপিং ও নেতিবাচক ইন্টারেকশনের আধিক্যতাও এর পেছনে জড়িত থাকতে পারে। আত্মসম্প্রসারণের প্রবণতা থেকেও অনেকে এডাল্ট্রিতে সম্পৃক্ত হয়। আমার পরিচিত কয়েকজন নারী ছিলেন যারা এক্সট্রামেরিটাল রিলেশনকে দার্শনিক দৃষ্টিকোণ থেকে এক্সপ্লেইন করতেন এবং অজস্র পুরুষের মনস্তত্ব লুন্ঠন করে তাদের মনে স্থায়ী হওয়ার প্রবণতা থেকে তারা অজস্র পুরুষের সাথে সহবাস করতেন।।
যে সকল স্পাউজ ছোটকাল থেকে একে অন্যের সাথে পরিচিত, তাদের মধ্যে গভীর বন্ধন কাজ করে কিন্তু পারিবারিক চাপে অপছন্দের পাত্রকে বিয়ে করতে বাধ্য হলেও এডাল্ট্রির প্রতি তার প্রবণতা তৈরি হতে পারে।
হেলেন ফিশার বলেন, যে সকল মানুষ নতুন অভিজ্ঞতা নেয়ার জন্য উন্মাদ, যাদের মধ্যে মেনে নেয়ার প্রবণতা কম এবং যারা নিউরোটিক তারা অনেক বেশি পরকীয়ার মানসিকতা রাখে। কিন্তু যে সকল পার্টনার অনেক বেশি উন্মোক্ত, বিবেকবান, অমায়িক ও নিউরোটিক তাদের মধ্যে বিশ্বস্ততা অনেক বেশি। এই সম্পর্কযুক্ততা পাওয়া গেছে আমেরিকা, ওয়েস্টার্ন, ইস্টার্ন, সাউথার্ন ইউরোপ ও মিডল ইস্ট, ওসেনিয়া, সাউথ এশিয়া ও ইস্ট এশিয়ার মানুষদের মধ্যে।
যারা এলকোহল সেবন করে এবং ক্লিনিক্যালি ডিপ্রেসড তাদের মধ্যেও এডাল্ট্রির প্রবণতা দেখা যায়। কিছু নারী ও পুরুষ আছে নারিকাসিস্টিক বা আত্মমুগ্ধ। এরা অন্যদের কাছে নিজেকে প্রদর্শন করে মুগ্ধতা প্রচার করতে চায়। আমেরিকান নারীদের মধ্যে যারা তার স্বামীর তুলনায় বেশি শিক্ষিত তারা বিশ্বাসঘাতক হয়। যে সকল ব্যক্তি অনেক বেশি উপার্জন করে তারা অনেক বেশি সম্পর্কে জড়ায়। আর যারা অর্থনৈতিকভাবে নির্ভরশীল তাদের মধ্যে পরকীয়ার প্রবণতা কমে যায়৷।
যে সকল চাকরিতে ফিজিক্যালি স্পর্শ করার ব্যাপার থাকে, যেখানে ব্যক্তিগত উদ্বেগ প্রকাশ করা হয় এবং যারা সহকর্মীর সাথে একসাথে কাজ করে তাদের মধ্যে এডাল্ট্রি বেশি দেখা যায়। স্ত্রীর দীর্ঘ অসুস্থ্যতা, উদাসীনতা এবং একজন নির্দিষ্ট সঙ্গীর সাথে নিরবিচ্ছিন্ন ভাবে থাকার কারণেও এডাল্ট্রির সম্ভাবনা অনেকাংশে বেড়ে যায়। নারীর প্রেগন্যান্সি ও সন্তান জন্মের পরের সময়গুলো একজন পুরুষ খুবই গুরুতরভাবে পরকীয়া করতে পারে। হেলেন ফিশার এটিকে High Risk Time মনে করতেন। তিনি বলেন, ধর্মীয় বিশ্বাস এডাল্ট্রিকে দূর করতে পারেনা। ৪০-৫০ বছর বয়সী মেয়েরা অনেক বেশি ছিনাল প্রকৃতির হয়। ৫৫-৬৫ বয়সী পুরুষরাও হয় দুর্দান্ত লুচ্ছা। এ সময়গুলো পরকিয়ার জন্য খুবই সংবেদনশীল।
নারীরা ছিনালির মাধ্যমে তাদের এক্সট্রা লাভারের কাছ থেকে ইমোশনাল কানেকশন পেতে চায় এবং অত্যাধিক অন্তরঙ্গতা ও আত্মসম্মান। এছাড়া পত্নীর প্রতি অসন্তোষ থেকেও পরকীয়ার ইনটেনসিটি ও ফ্রিকোয়েন্সী প্রভাবিত হতে পারে। পুরুষের ক্ষেত্রে পরকীয়া অন্তরঙ্গতার সাথে কম সম্পৃক্ত।
কিন্তু বিস্ময়কর ব্যাপার হলো ১৯৮৫ সালে গ্লাস ও রিটের পরিচালিত একটি পরিসংখ্যানে দেখা যায়, যে সব নারী ও পুরুষ পরকীয়ায় জড়িত তাদের বৈবাহিক জীবন “সুখী” ও অত্যন্ত “সুখী” হয়ে থাকে। যদি পরকীয়া প্রেমিকরা তাদের প্রাইমারী পার্টনার নিয়ে সুখীই হয়, তবে তারা কেনো এটি করছে? এর পেছনে অনেকগুলো ফ্যাক্টর কাজ করছে, বিয়ে, বাচ্ছা, সামাজিক অবস্থান, অর্থনৈতিক কল্যাণ, স্বাস্থ্য। কিন্তু এ প্রতারণার পেছনে কী বায়োলজিক্যাল কোনো কারণ থাকতে পারে? (ফিশার, এনাটমি অব লাভ)
এডাল্ট্রির বায়োলজি
আমরা জেনেটিক্স ও নিউরোসায়েন্স থেকে প্রাপ্ত ডেটা দিয়ে এখন পরকীয়ার বায়োলজিক্যাল ম্যাকানিজম ব্যাখ্যা করতে পারি যা ওয়ার্ল্ডওয়াইড পরকীয়ার ফ্রিকোয়েন্সী ও দৃঢ়তাকে সমুন্নত রাখতে অবদান রেখে যাচ্ছে। একবার প্রিরি ভোলের কথা ভাবুন। এটি একপ্রকার ইঁদুর। এরা তারুণ্যের পর থেকে আজীবন গভীর ভালোবাসার জুটি বেধে বসবাস করে। আর তাদের এই ভালোবসার গভীর বন্ধনের পাছনে সরাসরি মস্তিষ্কের নিউরোকেমিক্যাল একটিভিটি জড়িত। যখন প্রিরি ভোল প্রথন সেক্স করে, সহবাসের ফলে, তাদের নারীদের মস্তিষ্কের অক্সিটোসিন রিসেপ্টর ট্রিগার হয় (In Nucleus Accumbens) এবং ভ্যাসোপ্রেসিন (In ventral Pallidun) ট্রিগার হয় পুরুষদের মস্তিষ্কে। এটি মস্তিষ্কের কয়েকটি অংশে ডোপামিন রিলিজ করে যা আকাঙ্খা, অনুসন্ধান, মনোযোগ, শক্তি, আনন্দ, অনুপ্রেরণা তৈরি করে এবং এর ফলে তারা নির্দিষ্ট করে একজন সঙ্গীর প্রতি আকৃষ্ট হয়, পেয়ার-বন্ড তৈরি করে এবং তারা দীর্ঘস্থায়ী গ্রেভিটেশনাল পুলে আটকে যায়। (ফিশার, এনাটমি অব লাভ)
কিন্তু বিস্ময়কর ব্যাপার হলো ভ্যাসোপ্রেসিন সিস্টেমের সাথে জড়িত নির্দিষ্ট কিছু জিনের ভেরিয়েশন প্রিরি ভোলের পেয়ার-বন্ডিং এর উপর একপ্রকার বৈচিত্রতা প্রদান করে। এই জিন নির্ধারণ করে দেয় তারা তাদের সঙ্গীকে কেমন ভালোবাসবে এবং তার গভীরতা ঠিক কেমন। প্রশ্ন হলো, এ ধরণের কোনো জিন কী এডাল্টরি বা পরকিয়ার সাথে জড়িত? Genetic Variation in the Vasopressin Receptor 1A gene (AVPRA1A) Associate with pair-bonding Behaviour শিরোনামে ওয়ালামের একটি গবেষণাপত্র প্রকাশিত হয় ২০০৮ সালে, সেখানে বলা হয়, AVPRA1A জিনটি ৫৫২ জন সুইডিশ ব্যক্তির ভালোবাসার সম্পর্কে এফেক্ট করেছে। যারা ছিলো বিবাহিত এবং এ জিনটির কারণে তাদের মধ্যে প্রায় ৫ বছর সুন্দর রোম্যান্টিক সম্পর্ক বিদ্যমান ছিলো।
কিন্তু গবেষণা থেকে একটি অত্যাশ্চর্য বিষয় বেরিয়ে আসে, যে সকল ব্যক্তির মধ্যে এ জিনটির দুটো কপি আছে তাদের মধ্যে প্রেমময় বন্ধন খুবই দূর্বল, যারা এ জিনের একটি কপি বহন করে তারা একে অপরের প্রতি অনেক বেশি আকর্ষণ প্রকাশ করে। আর যাদের মধ্যে এ জিনটির কোনো কপিই নেই, তারা প্রেমিকার প্রতি সম্পূর্ণ সমর্পিত। যে সকল ব্যক্তিদের মধ্যে ভ্যাসোপ্রেসিন জিন থাকে তাদের মধ্যে অনেক বৈবাহিক জটিলতা দেখা যায় এবং সবসময় ডিভোর্সের থ্রেট কাজ করে। যে সকল ব্যক্তির মধ্যে এ জিনের এক বা দুটি কপি থাকে তাদের ম্যারিটাল স্যাটিসফেকশন নেই বললেই চলে। এ গবেষণা বিশ্বাসঘাতকতাকে প্রত্যক্ষভাবে পরিমাপ করেনি কিন্তু এটি আমাদের বলছে যে, আমাদের বায়োলজিক্যাল সিস্টেন প্রতারণার ক্ষেত্রে অবদান রাখতে পারে।
পারকীয়ার সাথে আরো কিছু জিনের সম্পর্ক আছে বলে বিজ্ঞানীরা আবিষ্কার করেন। PLOS ONE জার্নালে ৩০ শে নভেম্বর ২০১০ সালে Association Between Dopamine D4 Receptor Gene Variation with both Infidelity and Sexual promiscuityশিরোনামে জাস্টিন আর. গার্সিয়া, জেমস ম্যাককিলোর, এলার ও ডেভিড স্লোয়ান একটি আর্টিকেল প্রকাশ করেন, যেখানে তারা বলেন, ডোপামিন সিস্টেমের D4 রিসেপ্টর জিন অপ্রতিজ্ঞাবদ্ধ সেকচুয়াল ইন্টারকোর্সে জড়ানোর ক্ষেত্রে অনেক বড় একটি ফ্রিকোয়েন্সী এবং এ জিনের বাহক সেকচুয়াল ক্ষেত্রে অত্যন্ত বিশ্বাসঘাতক হয়।
সুইটি টি–শার্ট এক্সপেরিমেন্ট
আরো একটি বায়োলজিক্যাল সিস্টেম পিল্যান্ডারিং বা লুচ্ছামির পেছনে ভূমিকা পালন করে। এটাকে এখন ক্লাসিক “Sweaty T-shirt এক্সপেরিমেন্ট বলা হয়। এ এক্সপেরিমেন্টে একজন নারী বিভিন্ন অচেনা পুরুষের টি-শার্টের ঘ্রাণ নেয় এবং যে টি-শার্টের ঘ্রাণ তার কাছে সবচেয়ে বেশি সেক্সি মনে হয় সেটিকে তার জন্য নির্বাচন করে।
কিন্তু মজার ব্যাপার হলো, একজন নারী এখানে তারই টি-শার্ট নির্বাচন করে যে পুরুষের জিন তার ইমিউন সিস্টেমের নির্দিষ্ট একটি এলাকার জিন থেকে সম্পূর্ণ আলাদা, এটি মূখ্য হিস্টোকম্প্যাবিলিটি কমপ্লেক্স। এই গবেষণাপত্রটি ১৯৯৫ সালে IB BLOA জার্নালে প্রকাশিত হয়। (Wedekind et al. (1995) – MHC-Dependent Mate Preferences in Humans_ )
প্রসিডিউরঃ
১.এ এক্সপেরিমেন্ট দেখিয়েছিলো যে নারীরা সে সকল পুরুষকে নির্বাচন করতে পারে কিনা যাদের সাথে তাদের জিন সমন্বিত হতে পারে এবং সম্ভাব্য সন্তানের ইমিউন সিস্টেম উন্নত করতে পারে। এই গবেষণা বিশেষ করে একটি নির্দিষ্ট কমপ্লেক্স জিনের উপর গুরুত্ব দিয়েছিলো যেটিকে বলে MHC জিন। এই জিনটি একটি শরীরকে প্যাথোজেন থেকে প্রোটেক্ট করে।
২. ৯৪ জন নারী ও পুরুষের উপর এই এক্সপেরিমেন্ট করা হয়। একজন পুরুষকে বলা হয় একটি টি–শার্ট পরে দুদিন ঘুমোতে এবং সেটি পলিব্যাগে রেখে দিতে।
৩. দুদিন পর নারীদেরকে জিজ্ঞেস করা হয় কোন টি–শার্ট ফ্র্যাগন্যান্স তাদের ভালোলেগেছে।
৪. একজন নারী সাতটি টি–শার্টের ঘ্রাণ নিয়েছিলো। সেখানে এমন পুরুষের টি–শার্ট ছিলো যাদের ইমিউন সিস্টেম তাদের মতো এবং যাদের ইমিউন সিস্টেম সম্পূর্ণ আলাদা__ আর এটিই জিনের সাথে সমন্বয় হওয়া উচিত ছিলো।
রেজাল্টঃ
১. একজন নারী সে সকল পুরুষকেই পছন্দ করে যাদের ইমিউন সিস্টেম তার থেকে আলাদা।
২. আর এটি মেট সিলেকশনের ইভোলুশনারি ব্যাখ্যাকে সাপোর্ট করে।
এই এক্সপেরিমেন্ট থেকে জানা যায় নারীরা সে সকল পুরুষকে পছন্দ করে যাদের জিন তার নিজের থেকে আলাদা কারণ ইমিউন সিস্টেমের একই অংশের জিন যদি সিমিলার হয় তবে উর্বরতায় জটিলতা তৈরি হবে এবং প্রেগন্যান্সিতে এর একটি প্রভাব কাজ করবে।
কিন্তু এর সাথে এডাল্টরির সম্পর্ক কী? ওয়েট… কোন কারণে যদি একজন নারীর এমন কোনো পুরুষের সাথে বিয়ে হয়ে যায় যাদের ইমিউন সিস্টেমের জিন একই তবে তারা অনেক বেশি এডাল্ট্রিয়াস হয়, তাদের পরকীয়ার মাত্রা বেড়ে যায়। এবং এ জিনটি তারা একে অপরের সাথে যত বেশি শেয়ার করে, তারা ততবেশি এক্সট্রা-পার্টনার বা পরকীয়া প্রেমিকের সাথে সেকচুয়াল সম্পর্কে জড়িত হয়।
নারী ও পুরুষের অবিশ্বস্ততার পেছনে ব্রেন স্ট্রাকচার জড়িত?
হেলেন ফিশার তার The anatomy of Love গ্রন্থে বলেন, ব্রেন আর্কিটেকচারও রোম্যান্টিক ভালোবাসায় কন্ট্রিবিউট করে। তিনি হিউম্যান ব্রেন সিস্টেমকে তিনটি প্রাথমিক ভাগে ভাগ করেছেন যা ম্যাটিং ও রিপ্রোডাকশনকে পরিচালনা করেঃ Sex Drive, Romantic Love; and The feeling of deep attachment। এ তিনটি ব্যাসিক নিউরাল সিস্টেম একে অন্যের সাথে ইন্টারেক্ট করে( এমন অজস্র ব্রেন সিস্টেমের সাথে) অজস্র ফ্লেক্সিবল কম্বিনেশনে যা আমাদেরকে রেঞ্জ অব মোটিভেশন, ইমোশন ও বিহেভিয়র প্রদান করে যা জটিল মানবীয় প্রজনন প্রক্রিয়াকে পরিচালিত করার জন্য দায়ী।
যাইহোক, এ তিনটি ব্রেন সিস্টেম একে অপরের সাথে পুরোপুরিভাবে কানেক্টেড নয়! এ ব্যাপারটা কতটা ভয়ানক হতে পারে আপনি একবার ভেবে দেখতে পারেন? মস্তিষ্কের এ তিনটি অংশ একে অপরের সাথে সঠিকভাবে Connected না হওয়ার কারণে আপনার ব্রেনের তিনটি অংশ আলাদা আলাদা ভাবে রেসপন্স করতে পারে। আমি আপনাদের সুবিধার্থে মস্তিষ্কের এ তিনটি অংশের নাম আবারও বলছি, Sex Drive, Romantic Love; and The feeling of deep attachment। এ তিনটি অংশ পারস্পরিক সমন্বয়হীন হওয়ার কারণে আপনি যদি আপনার প্রেমিকার প্রতি ডিপ এটাচম্যান্ট অনুভব করেন, তবে ডাগর চোখ ও উজ্জ্বল শ্যামবর্ণের গম্ভীর ও অমায়িক অফিস সহকারী মেয়েটির প্রতি কাজ করবে দুর্দান্ত রোম্যান্টিক ভালোবাসা আর অন্যদিকে সম্পূর্ণ অপ্রাসঙ্গিকভাবে এলোমেলো চুল ও বিক্ষিপ্ত শাড়ী পরিহিত কাজের মেয়েটির প্রতি অনুভব করবেন পাষণ্ড যৌন তাড়না।যদিও আপনি বুঝতে পারবেননা আসলে এসব কেনো ঘটছে। মূলত, ন্যাচারাল সিলেকশনই ব্রেনের এ তিনটি অংশকে অসমন্বিত রেখেছে।
ফিশারের এ আর্টিকেলটি Defining The brain system of lust, Romantic Attraction and Attachment শিরোনামে ১৩’ ই মে ২০০২ সালে প্রকাশিত হয়। ফিশার এ গবেষণাপত্রে বলেন, আপনি যদি আপনার স্ত্রীর প্রতি ডিপ এটাচম্যান্ট অনুভবও করেন তবুও আরো অজস্র নারীর প্রতি আপনার মস্তিষ্কে অকারণেই সেক্স কাজ করবে।
আমার বেশ কয়েকজন বন্ধু আমাকে দুঃখের সাথে জানিয়েছিলো, তারা যখন তার প্রেমিকার সাথে ইন্টারকোর্সে যায় এবং গভীর সঙ্গমে লিপ্ত হয়, তখন তারা যদিও ফিজিক্যালি নিজের গার্লফ্রেন্ডকে কিস করে বা স্লাইডিং করে কিন্তু চোখ বন্ধ করে তারা মনে মনে অন্য কোনো নারীর চেহারা কল্পনা করে। তাদের প্রতি তাদের প্রেমিকা ১০০ ভাগ ডেডিকেটেড হওয়া সত্ত্বেও তারা এই গুরুত্বপূর্ণ সময়টিতেও প্রেমিকার শরীরকে অন্য কোনো নারীর শরীর হিসেবে ইমাজিন করলে আনন্দ পায়, মানে মস্তিষ্কের আর্কিটেকচারগত কারণে তাদের ব্রেন একজন নারীর জন্য একইসাথে সেক্স, রোম্যান্টিকতা ও ডিপ এটাচম্যান্ট অনুভব করেনা।
আমার একজন মেয়ে বন্ধু। যার নাম আমি অজ্ঞাত রাখতেই পছন্দ করছি। তিনি একবার অত্যন্ত দুঃখ্যের সাথে আমাকে একটি গল্প বলেছিলেন, তার সাথে তার বয়ফ্রেন্ড ইন্টারকোর্স চলাকালীন, একই মস্তিষ্কের মধ্যে একসাথে একাধিক চরিত্র দেখতে চেয়েছেন । কখনো বলেছে, তুমি আমার ইউনিভার্সিটির ম্যামের চরিত্রে অভিনয় করো, এবং সে শিক্ষিকার নাম ধরেই কম্পমান গলায় তাকে ডেকেছে, উত্তেজিত করার চেষ্টা করেছে। মেয়েটি প্রশ্রয় দেয়ার পর একে একে তার আত্মীয় স্বজন ও তার নিজের বান্ধবীদের নামে তাকে সম্বোধন করতে শুরু করে ; শুধু তাই নয় তাকে ঠিক ওদের চরিত্রে অভিনয় করতেও অনুরোধ করে তার বয়ফ্রেন্ড কারণ নয়তো তার মধ্যে পুরোপুরিভাবে উত্তেজনা কাজ করেনা। কিন্তু সবচেয়ে খারাপ ব্যাপার যা তা হলো, মেয়েটিকে সঙ্গমের চুড়ান্ত পর্যায়ে ছেলেটি তার সাথে অজাচারও করতে হয়েছে। এটা বিস্ময়কর যে, একজন পুরুষ একটি নির্দিষ্ট নারীর সাথে সেক্স করার সময় স্বাধীনভাবে সেই নারীর মুখে যদি অন্য কোনো মেয়ের কন্ঠস্বর পায় ও শারীরিক ভঙ্গি অথবা অন্তত যদি অভিনয়ও করে পুরুষটির ব্রেনের ডোপামিন সিস্টেম ট্রিগার হয়। কিন্তু এ মনস্তত্বকে আমরা কিভাবে এক্সপ্লেইন করতে পারি?
এ প্রশ্নটির উত্তর দেয়ার জন্যই সম্ভবত জাস্টিন আর গার্সিয়া, জেমস ম্যাককিলপ, এডওয়ার্ড অ্যালার, এন এম মেরিওয়েথার, ডেভিড স্লোয়ান উইলসন ও জে কোজি ২০১০ সালের ৩০ শে নভেম্বর Plos one জার্নালে Association Between Dopamine D4 Receptors.. নামক আর্টিকেলটি প্রকাশ করেছিলো সেখানে বলা হয়, The Relative Biological independence of this three neural System enable us to engage in Social Monogamy and Clandestine infidelity Simultaneously!
মূলত আমাদের নিউরাল সিস্টেমের যে তুলনামূলক স্বাতন্ত্রতা, সে স্বাতন্ত্রতার কারণেই আমাদের মনের মধ্যে তিনটি স্বতন্ত্র নারী জগত কাজ করে বা তিনটি আলাদা আলাদা সাইকোলজিক্যাল প্যারালাল ওয়ার্ল্ড তৈরি হয়, এক একটি মানসিক জগতে আমি এক এক ধরণের নারীকে ভালোবাসি, কারো প্রতি সেক্স অনুভব করি তো আবার কারো প্রতি অনুভব করি গভীর আকর্ষণ। আর যখন আমরা কোন একজন নির্দিষ্ট নারীর সাথে সেক্স করতে যাই, তখনও আমরা মূলত মনে মনে তিনটি পৃথক জগতের উপলব্ধিকেই মাঝেমধ্যে এক শরীরের মধ্যে পেতে চাই। আবার ঠিক এ জন্যই আমরা বহুগামীতা দ্বারা আকৃষ্ট হই, গ্রুপ সেক্সের প্রতি আকর্ষণ হয়তো আমাদের মস্তিষ্কের স্ট্রাকচার থেকেই আসে। হেলেন ফিশার বলেন, Our Brain Architecture Easily accommodate infidelity.
হেলেন ফিশার বলেন, লুচ্ছামি সমস্ত জগতেই অবস্থান করে, কারণ এর সাথে সুবিস্তীর্ণ সাইকোলজিক্যাল, সোশিওলজিক্যাল ও ইকোনোমিক্যাল ফ্যাক্টর কাজ করে এবং একইসাথে এটি আমাদের মস্তিষ্কের বায়োলজিক্যাল সিস্টেমের সাথে সম্পৃক্ত। ফিশার বলেন, It is Likly that our Human Predisposition toward infidelity evolved during our Long Prehistory. আমরা কেনো এডাল্ট্রিতে জড়িত হই? ডারউইনের দৃষ্টিকোণ থেকে, এটি ব্যাখ্যা করা সহয কেনো পুরুষরা সেকচুয়াল ভ্যারাইটি পছন্দ করে। যদি আপনি একজন নারীর সাথে সম্পৃক্ত হোন ও একটি সন্তান জন্ম দেন, তবে এটাকে জেনেটিক্যালি বলা হবে আপনি নিজেকে Reproduced করেছেন। কিন্তু আপনি যদি আর একজন নারীর সাথে সেক্স করেন এবং কোন ভাবে আর একটি সন্তান জন্ম দিতে সক্ষম হোন তবে এটাকে বলা হয় Contribution to the Next Generation! কিন্তু একজন নারী কেনো এডাল্ট্রিতে জড়িত হয়? জিনের উদ্দেশ্য নিজের অনুলিপি। আর একজন নারীও তাই করছে! সে তার DNA প্রমোট করছে। কিন্তু এটাও সত্য যে একজন নারী যখন কোন এক এক্সট্রা-লাভারের সাথে সহবাস করে তখন সে তার ঋতুচক্রের একটি নির্দিষ্ট পিরিয়ডেই প্রেগন্যান্ট হয়। এবং একজন নারীর প্রায় নয়বাস সময় প্রয়োজন হয় একটি সন্তান জন্ম দিতে। আর কয়েক মাস বা বছর পর সে আবার গর্ভধারণ করে। আর এ জন্য নৃতত্ববিদরা মনে করছেন, আমাদের পূর্বসূরি নারীরা সেকচুয়ালি বিশ্বস্ত ছিলো__ যা আধুনিক নারীদের মধ্যে বিশ্বাস করার প্রবণতা দিয়েছে।
বিবর্তনীয় মনোবিজ্ঞানে অনুসারে, পরুষ হলো ন্যাচারাল Playboy! কিন্তু হেলেন ফিশার বলেন, I suspect that Evolution has bred woman to be just as adulterous as men___ albeit for different reason. i can think of Four.
এ ব্যাপারে সবচেয়ে নমনীয় উত্তর যিনি দিয়েছিলেন তার নাম নিশা, A। একজন কুং নারী যিনি কালাহারি ডিজার্টে বাস করেন। মার্জুরি শোস্টক৷ ১৯৭০ সালে নিসার সাথে সাউথ আফ্রিকায় দেখা করেছিলেন। নিশা এখনো শিকারী সংগ্রাহক জীবনে বাস করছে, তার পঞ্চম স্বামীর সাথে। নিশা প্রচুর পরিমাণ ভালোবাসার সম্পর্কে আবদ্ধ। শোস্টক যখন প্রশ্ন করে, কেনো নিশা এতগুলো অবৈধ সম্পর্কে জড়িয়েছে। নিশা উত্তর দিয়েছিলো, মহিলাদের অনেককিছু করার আছে, এবং তার উচিত যেখানেই যাক প্রম করা। সে যদি কোথাও ভ্রমণ করতে যায় ও একা, তবে কেউ তাকে রুটি দেবে, কেউ দেবে মাংস আর কেউ কেউ তাকে অন্যান্য খাদ্য প্রদান করবে। যখন সে তার গ্রামে ফিরে আসবে, তখনও তাকে সবাই যত্ম করবে। মার্জুরি শোস্টক Return To Nisa নামক একটি বই লিখেছিলেন পরে যেটি Harvard University প্রেসে প্রকাশিত হয়।
হেলেন ফিশার বলেন, Nisa Summed Five Sentence a fine Adaptive explanation for Female interest in Sexual Variety __Supplementary Subsistence, Ultimately enabling her young to disproportionately Survive.
দ্বিতীয়ত, এডাল্ট্রি এনসেস্ট্রার নারীদের ইনসিউরেন্স পলিসির মতো কাজ করতো। যদি কোনো কারণে স্বামী মারা যেতো অথবা তাকে ছেড়ে দিতো, তবে তার হাতে ভিন্ন একটি অপশন থাকতো। তৃতীয়ত, যদি এনসেস্ট্রাল নারীরা দারিদ্র কোনো শিকারীকে বিয়ে করতো, খারাপ দৃষ্টিশক্তি সম্পন্ন ও রাগান্বিত, অথবা আনসাপোর্টিভ, তবে নিশ্চয় সে আরো স্বাস্থ্যবান ও আকর্ষণীয় বাচ্ছা তৈরি করতে পারতো __ Mr. Good gene। চতুর্থত, একজন নারী যদি বিভিন্ন রকম পুরুষের সাথে মিলিত হতো, তবে Genetic Variability বৃদ্ধি পেতো আর এতে করে তার কিছু সন্তান পরিবেশের Unprecedented Fluctuations এর ভেতরও টিকে থাকতো। মূলত, আমাদের প্রাগৈতিহাসিক নারীরা তাদের এক্সট্রা-ম্যারিটাল এফেয়ার্স সম্পর্কে খুবই গোপনীয় ছিলো, এর মাধ্যমে তারা এক্সট্রা-রিসোর্স সংগ্রহ করতে পারতো, এছাড়া এটা ছিলো এটা তাদের Life Insurance, তারা ভালো জিন পেতো, এবং তাদের ভবিষ্যত উত্তরসূরীদের জন্য বৈচিত্র্যময় DNA। আর এভাবে যে সকল নারী কয়েকজন সদস্যের সাথে সেক্স করতো তাদের জিন হাজার হাজার বছর ভবিষ্যতে চলে যেতো __ শতাব্দীকে অতিক্রম করে, আর এ জন্যই আজকের নারীদের মস্তিষ্ক এভাবেই বিকশিত হয়েছে, বিবর্তনীয় মনোবিজ্ঞানের আলোকে, এরা হলো প্রাগৈতিহাসিক ছিনাল।
কেনো বোদ্ধধর্ম নারীর প্রতি এত কঠোর? বিবর্তনীয় মনোবিজ্ঞানের আলোকে কী এটি ব্যাখ্যা করা সম্ভব? ধর্মগুলো এত নারী বিদ্বেষী কেনো?
গৌতম বুদ্ধ ছিলেন, এক মহাশূন্যমানব, তিনি মহাবিশ্ব থেকে নিজেকে সরিয়ে নিয়েছিলেন এবং ত্যাগ করেছিলেন তার প্রেমিকাকেও। কিন্তু দুঃখ্যজনকভাবে বুদ্ধ সাংসারিক মোহ ও মায়ার একমাত্র প্রতিবন্ধকতা হিসেবে ইস্ট্রোজেন হরমোন চালিত নারীদেরকেই দায়ী করেছিলেন। বোদ্ধশাস্ত্রের ৫৩৬ নং কুণাল জাতকে কুণাল পুরুষদেরকে উপদেশ দিয়েছিলেন, বলদ( ষাড়), ধেনু( গাভী) যান (বাহন) ও রমনী কখনো অন্যের আশ্রয়ে রাখতে নেই। এদেরকে নিজের আশ্রয়ে রাখতে হয়। সুস্পষ্টভাবে কুণাল এখানে নারীদের এডাল্টরি য়াস মানসিতাকেই ইঙ্গিত করেছেন। কুণাল বলেন, সকল নারীই ব্যাশ্যা। এরা পঙ্গু দেখলেও ব্যাভিচারে( Sexual Intercourse) লিপ্ত হয়। কুনালের মতে যে সব কারণে নারীদের কলঙ্ক হয় তার মধ্যে রয়েছে-
- আরামে উদ্দ্যান ভ্রমণ করলে।
- জ্ঞাতী কুটুম্বের বাসায় বেড়াতে গেলে।
- মদ্য পান করলে।
- বিচিত্র জামাকাপড় পড়লে।
- বিনাকাজে ঘোরাঘুরি করলে।
- অন্য পুরুষের দিকে দৃষ্টিপাত করলে।
- দরজা বা জানলায় পাশে দাঁড়িয়ে বাহিরের দিকে চেয়ে থাকলে।
বৌদ্ধ শাস্ত্রের ৪৬৩ নম্বর জাতকে কুণাল আরও বলেনঃ
- গরুরা নতুন ঘাসের আশায় নিজের গোয়াল থেকে বের হয়, নারীও তেমনি নতুন নাগর লাভের আশা ছোটাছুটি করে।
- মানে, কুং সম্প্রদায়ের নিশির মতোই, বুদ্ধরা ভাবতো, নারী বহুগামী, এডাল্টরি য়াস, ছিনাল ও ব্যাশ্য
- নৌকা যেমন এপারে ওপারে, এখানে–সেখানে যথা প্রয়োজনে লাগে, নারীও তদ্রুপ প্রিয়–অপ্রিয় বিবেচনা না করেই সর্বপুরুষেই গমন করে।
- নারীরা কুং সম্প্রদায়ের নিশার মতোই ব্যাশ্যা, আদিম শিকারী সংগ্রাহকদের মতোই ব্যাশ্যা কারণ মাল্টিপল ফ্রেন্ড প্রতিকূল পরিবেশে টিকে থাকতে সাহায্য করতো, তাদের কিছু করার ছিলো না।
3.কোনো বুদ্ধিমান কখনো নারীর চরিত্রে বিশ্বাস করেনা। যারা করে তারা নির্বোধ।
- নারী পিল্যান্ডার, অবিশ্বস্ত।
- নারীকে যতই ধনে পূর্ণ করা হোক না কেনো, অসতিরা পুরুষের সম্মান নষ্ট করে!
- বিবর্তনের ভাষায় বললে, Good gene পাওয়ার জন্য, বিবর্তন এটি তাদের করতে ফোর্স করে
- নারীদের চোখের জলে গলে যাওয়া ঠিক না কারণ তাদের সত্য মিথ্যা সমান।
- এটি টিকে থাকার জন্য জরুরী, এডাল্টরি করার জন্য, তাদেরকে অভিনয় করতে হতো, সেলফিশ জিনই এটা তাদেরকে করতে বাধ্য করেছে।
- তীর্থে যেমন সবাই ভ্রমণ করতে পারে নারীরাও তীর্থসম।
- বারী ইন্ডিয়ান সম্প্রদায়ে এখনো গ্রুপ সেক্স অব্যাহত আছে, মাল্টিপল পুরুষের কাছে গেলে Gene Variability তৈরি হয়, হাজার হাজার বছর তার DNA টিকে থাকে।
- নারীরা সবসময় প্রেমালাপে পুরুষদের বশ করে রাখে, যদিও তাদের মনের মধ্যে খারাপ অভিলাশ।
- হ্যাঁ , সত্য। নারীরা পুরুষের চেয়ে বেশি হাসে, বিবর্তনীয় মনোবিজ্ঞানীরা বলছেন, নারীর হাসি একটি সামাজিক বিজ্ঞাপন, টিকে থাকার জন্য, সমাজকে স্থিতিশীল রাখার জন্য, শত্রুদের থেকে সন্তানকে রক্ষা করার জন্য, ছিনাল পুরুষদের খপ্পর থেকে সন্তান ও পরিবারকে রক্ষা করার জন্য, তাদেরকে লিপ সার্ভিস দিতে হতো, প্রেমময় আলাপ করতে হতো, ব্রেনের স্ট্রাকচারগত কারণে নারীরা সামাজিক যোগাযোগ ক্ষেত্রে পুরুষের চেয়ে পটু। দেখুন- হাসির মেটা এনালায়সিস
- টাকাহীন কুলীন ব্রাহ্মণ নারীর কাছে চন্ডালের মতো। তাইতো ধনবান চণ্ডালকে নারী আজীবন পূজিতে পারে শুধু ধনের আশায়।
- নারীরা বিবর্তনীয়ভাবেই আলফা মেল পছন্দ করে, জঙ্গলের প্রতিকূল পরিবেশ থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য একজন শক্ত-সামর্থ্য পুরুষ দরকার ছিলো, নয়তো তার DNA ভবিষ্যত প্রজন্মে টিকে থাকতে পারতোনা, আর ঠিক একই কারণে নারীরা ধনী ব্যক্তিদের পছন্দ করে, কারণ একজন সম্পদশালী ব্যক্তির সাথে সম্পর্ক তাকে সমাজে টিকে থাকতে সাহায্য করে। আর যেহেতু স্বামীটি শারীরিকভাবে তার পছন্দের নয়, অবশ্যই স্বার্থপর জিন তাকে পরকীয়া করতে ফোর্স করবে , যাদের জিন ভালো তাদের সাথে , আর বাস্তবে বেশিরভাগ এডাল্টরি য়াস নারীই টাকা বা প্রোপার্টির জন্য চন্ডাল ডায়মেনশনের মানুষদেরই পছন্দ করে। দেখবেন অনেক রূপবতী মেয়ের স্বামীর মাথা টাক, স্থুল ও দেখতে অস্বাভাবিক, অশিক্ষিত, সাইকো, কেতাদুরস্ত। ( দেখুন- অভিজিত রায়ের , বিবর্তনীয় মনোবিজ্ঞান) আবার প্রেমের ক্ষেত্রে ইউনিভার্সিটির সবচেয়ে ফালতু ছেলেরাই সুন্দরী মেয়েদের বন্ধু হওয়ার সুযোগ পায়, চার্লি চ্যাপলিন টাইপের ছেলেদেরকেই মেয়েরা বেশি ভালোবাসে, যারা তাদের কৌতুকপূর্ণ কথা বলতে পারে ও হাসাতে পারে, বিবর্তনীয়ভাবে মনোবিজ্ঞান অনুসারে, নারীরা পুরুষের মুখ থেকে কৌতুক শুনতে পছন্দ করে, যেনো তাদের জোরে জোরে হাসি পায়, ঝাকুনি দিয়ে হাসলে হৃদপিন্ডে পর্যাপ্ত বাতাস সরবরাহ হয়, মস্তিষ্ক পরিমিত অক্সিজেন পায়, স্বাস্থ্য ভালো থাকে, মস্তিষ্কের ডোপামিন সিস্টেম ট্রিগার হওয়ার কারণে একটা সময় সে চ্যাপলিন টাইপ ছেলেটির প্রেমে পড়ে যায়, বারবার ছুটে আসে। ( হাসির মেটা এনালায়সিস )
বৌদ্ধশাস্ত্রের ৫৩৬ নং কুণাল জাতকে নারীদের সম্পর্কে দুর্দান্ত কিছু কথা বলা হয়েছে, যেমন–
১. ব্রাহ্মণ, সাগর, নরপতি এ তিন জনকে যেমন সন্তুষ্ট করা যায়না ঠিক তেমনি নারীকেও সন্তুষ্ট করা সম্ভব নয়।
২. একজন নারীর যদি আটজন সেক্সি স্বামীও থাকে তবে সে নবম জনার প্রত্যাশা করে।
- মানে, তারা বলতে চাইছে, নারীদের যৌন ক্ষমতা পুরুষের চেয়ে বেশি, তাছাড়া নিশির মতো আদিম শিকারী সংগ্রাহক নারীরা অজস্র পুরুষের কাছেই যেতো ।
৩. জলন্ত আগ্নেয়গিরির মতো নারীর যৌনি সবসময় দাউ দাউ করে জ্বলতে থাকে।
- হেলেন ফিশার বলেন, নারীদের যৌনি বিবর্তনীয়ভাবে অভিযোজিত, তাই তাদের সেকচুয়াল স্থিতিস্থাপকতা পুরুষের চেয়ে বেশি। বিবর্তনীয় মনোবিজ্ঞানীরা মনে করেন, নারীর যৌনিতে সত্যি সত্যি একপ্রকার অতৃপ্তি থাকে, একজন নারী একই সময় কয়েকজন পুরুষের সাথে মিলিত হওয়ার ক্ষমতা রাখে, তবে তাদের যৌনি আগ্নেয়গিরি কিনা সেটা এখনো পরিমাপ করার সুযোগ হয়নি ।
৪. নারী নদীর মতো সবদিকে প্রবাহিত হয়।
- একদম ঠিক। ব্রেন স্ট্রাকচারগত কারণে নারীদের যোগাযোগের দক্ষতা অপরিসীম ছিলো। ( Man and Woman brain Wired Differently BBC)
৫. নারী সবসময় পুরুষের দুঃখ্যের কারণ হয়।।
- সত্য । একজন পুরুষ তার প্রেমিকাকে অন্য কারো সাথে শেয়ার করতে পারেনা, কারণ নারী এডাল্টরি য়াস, যদি পুরুষের অজান্তে অন্য কোনো পুরুষের সিমেন তার যৌনিতে প্রবেশ করে তবে তাকে অন্যের সন্তানকে নিজের সন্তান মনে করতে হবে। আদিম শিকারী সংগ্রাহক জীবনে এমনটাই ঘটেছিলো। কিন্তু আমরা জানি যে জিন স্বার্থপর, আপনার স্ত্রীকে যদি অন্য কেউ প্রেগন্যান্ট করে তবে তার জিন ভবিষ্যতে ট্রান্সপোর্ট হবে, আপনার জিন নয়। আর এজন্য সেলফিশ জিন চাইবেনা তার নিজেকে বিলুপ্ত করে দিতে। এখনো আমরা আমাদের প্রেমিকাকে অন্য কারো সাথে কথা বলতে দেখলে ভয় পাই __ খুবই মর্মান্তিক ব্যাথা অনুভব করি এবং অনেকে সুইসাইডও করে। নারীরাই পুরুষের জিনগত দুঃখ্যের কারণ। মূলত, এ জন্যই বিবর্তন পুরুষের মস্তিষ্কে জেলাসি তৈরি করেছে। Fucker, Fucking Hole ও Fuck Me! এ শব্দগুলোরও জন্ম হয় জেলাস থেকে। একজন পুরুষ যখন তার স্ত্রীর যৌনিতে স্লাইডিং বা প্রচন্ড জোরে পেনিস দিয়ে স্ট্রোক করে তখন সেটাকে বলে Fucking! এ জন্য পর্ণ ভিডিওগুলোতে পর্ণস্টারদের দেখা যায়, পুরুষরা যখন তাদের যৌনিতে পেনিস দিয়ে নিঙড়াতে থাকে, ক্রমশ ৪০ থেকে ৬০ মিনিট তখন নারীটিও ক্রমাগত ও নিরবিচ্ছিন্নভাবে শিৎকার করে Fuck Me! Fuck my pussy ইত্যাদি! কিন্তু কেউ কী প্রশ্ন করেছে এ কাজটা পুরুষ আসলে কেনো করতেছে? শুধুই স্নায়ুবিক উত্তেজনা তৈরির জন্য? ব্রেন রিওয়ার্ড সিস্টেমকে ট্রিগার করার জন্য? নাকি তাদের মনের সংশয় দূর করার জন্য? যেটাকে বলা হয় Genetical Uncertainty? মূলত, আদিম পুরুষরা জানতো যে তার প্রেমিকা বিশ্বজনীন, সে উন্মোক্তভাবে অনেকের সাথেই সেক্স করে, আর সে সকল পুরুষের সিমেন যদি নারীর যৌনির তলতেদেশে আটকে থাকে, তবে সে তার Future DNA নিশ্চিত করতে পারবেনা, আর এই সংশয় ও জেলাস থেকেই পুরুষরা ঘন্টার পর ঘন্টা নারীকে Fuck করতে চায়, এগ্রেসিভনেস কাজ করে, যেনো নিঙড়ে সে উপাদানগুলোকে যৌনি থেকে বের করে আনতে পারে, নিজের স্পার্মকে গভীরে গেঁথে দিতে পারে। ঠিক এ জন্যই পুরুষরা সবসময় পেনিসের ব্যাপারে আতঙ্কিত, সেক্সের ডিউরেশন নিয়ে আতঙ্কিত। তাদের কাছে অনর্থকই মনে হয় তাদের পেনিস অন্যদের থেকে আকারে ছোট। আর ঠিক এ কারণে নারীরা বড় পেনিস সম্পর্ন ছেলেদের প্রতি মানসিকভাবে দূর্বল, কারণ এটি জিনের Certain Future উপহার দিতে পারে। আর এ সম্পূর্ণ প্রক্রিয়াটাই ঘটে পুরুষের মনের বিবর্তনীয় কষ্ট থেকে। বিবর্তনীয় ভাবেই পুরুষরা নারীর মস্তিষ্কের উপর মানসিকভাবে অসন্তুষ্ট। নারীরা, পুরুষের এভোলিউশনাল জেলাস মাইন্ডের বিপক্ষে একটি ইউনিভার্সাল এসিড, এ এসিড স্বয়ং শ্রেষ্ঠতম এক মহামানব বুদ্ধকেও পুড়িয়েছে !
৬. নারী নিজের স্বামীকে সেবা না দিয়ে পরপুরুষকে সেবা করে!
- বিবর্তনীয়ভাবে বলতে গেলে, এ বাক্যের কোনো সমস্যা নেই, আদিম পূর্বসূরী নারীরা খাদ্য ও নিরাপত্তার জন্য এক্সট্রা-ভালোবাসার মানুষ রাখতো, অনেক সময় ভবিষ্যত ইনসিউরেন্স হিসেবে। অতএব তারা সেবা দিতে বাধ্য। আর এখনো ফিল্ম ইন্ডস্ট্রিজ, ফেসবুক অথবা ব্যাবসা, সোশ্যাল মিডিয়াতে বিভিন্ন জায়গায় নারীরই জয়জয়কার কারণ পুরুষও নারীর সেবা পেতে ভালোবাসে, আর সেবা না করলে তার সন্তান ও পরিবারের উপর বিরুপ প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হওয়ারও একটা সম্ভাব্যনা থাকে। যদিও শিক্ষা সংস্কৃতির উন্নতির সাথে সাথে তারা এখন মাস্ক পরিধান করে রেখেছে।
৭. নারী যেহেতু অধঃগামী, তাই সে নরকেই থাকে।
- সামাজিকভাবে অত্যন্ত সত্য একটি কথা, দিনশেষে একজন নারীর উপরই সব দোষ এসে বর্তায়, পুরুষ তার আপন বহুগামিতার কথা নিমিষেই ভুলে যায়
মহাপন্ডিত বিদূর যিনি যৌনবিজ্ঞানের গুরু একবার বলেন– অত্যাধিক নারীর সহিত মিলন বীর্যক্ষয় করে। বীর্যবান পুরুষের কাছে বীর্য যেহেতু মূল্যবান, তাই যে কোনো ভাবে এ মহামূল্যবান বীর্যকে সংরক্ষণ করতে হবে। আর পুরুষের সবসময় মনে রাখা উচিত, বীর্য সংরক্ষণের একমাত্র প্রতিবন্ধকতা নারী।
এটা ঠিক যে , অতিরিক্ত পরিমাণ সেক্স করলে আমরা শারীরিকভাবে দূর্বল হয়ে উঠি, মস্তিষ্ক ক্ষয়ও হতে পারে। কিন্তু তাই বলে বীর্য সংরক্ষণ করার মাঝে জিনের কোনো কৃতিত্ব আছে কি না জানা নেই! নারী কী এতটাই শক্তিশালী যে পুরুষ নারীর জন্য তার মস্তিষ্ক ও স্পার্মকেও নিজের শরীরে আটকে রাখতে পারছেনা? যদি তাই হয় তবে এটাই ঘটা স্বাভাবিক কারণ বিবর্তন আমাদেরকে এভাবেই প্রোগ্রাম করেছে। এদিকে আবার বোধিসত্ত্বে একজন ভালো নারীর বৈশিষ্ট্য সম্পর্কে বলা হয়েছে-
১. নারী সবসময় পতির যত্ম করবে।
২. স্ত্রী তার পতির সেবা করবে।
৩. স্বামীকে সব সময় সম্মান করবে।
৪. স্ত্রী সব সময় পতির বশবর্তী হবে।
৫.লজ্জায় মুখ থেকে কথা বের হবে না।
৬. নির্যাতনে কখনোই অসন্তোষ প্রকাশ করবেনা।
৭. স্বামীর ভয়ে সবসময় কম্পমান থাকবে।
জিনগতভাবেই পুরুষ সে সকল নারীকেই পছন্দ করে যারা একগামী, যাদের মধ্যে লজ্জা ও অভিমানের মাত্রা অনেক বেশি। কারণ একজন নারী যদি পুরুষের উপস্থিতিতে লজ্জা পায় তবে সে পুরুষটি বুঝতে পারে, উক্ত নারী ভার্জিন। তার গালে কেউ চুমু খায়নি, কানের লতিতে কেউ কামড় দেয়নি, তার ঠোটে কোনো ধর্ষকের বিষাক্ত জিভের স্পর্শ লাগেনি অথবা তার যৌনিতে প্রতিযোগি কোনো পুরুষ প্রবিষ্ট করেনি কোনো বীর্য। তার পরিবর্তে, যদি ঐ নারী নির্লজ্জ হয় তবে তার মধ্যে অবাধ্য ও পিল্যান্ডার হওয়ার একটি সম্ভাবনা থাকে। ঐ নির্লজ্জ নারীর শরীরে হয়তো অন্য কোনো পুরুষের জিন প্রোটিন সংশ্লেষণ শুরুও করে দিয়েছেও ইতিমধ্যে । অতএব নির্লজ্জ নারী সেলফিশ জিনের দৃষ্টি থেকেই Individual Gene এর বিকাশের জন্য ক্ষতিকর। হয়তো পুরুষটিকে নিজের অজান্তেই সারাজীবন একটি পরজীবি শিশু লালন পালন করতে হবে যার শরীরে তার জিন অ্যাবসেন্ট। আর এ ধরণের নারীর প্রতি মুগ্ধতায় পুরুষটির জিন অসুবিধাপ্রাপ্ত হবে। একজন অবাধ্য নারী সন্তানের প্রতি একদম মনোযোগী নয়, তার পক্ষে সফলতার সাথে ফিউচার জেনারেশনকে ধরে রাখার ক্ষমতা নেই। আমাদের পূর্বসূরিরা লাখ লাখ বছর পূর্ব থেকেই ভদ্র, নম্র, কোমল, সহনশীল নারীদের প্রতিই বেশি আকৃষ্ট কারণ এরা জিনকে ভবিষ্যত প্রজন্মে নিয়ে যাওয়ার জন্য দুর্দান্ত সার্ভিস দিতে পারে আর এসব নারীকে রেখে একজন পুরুষ অজস্র নারীর শরীরগুলোতে একেবারে নিশ্চিন্তে তার DNA Exchange করতে পারে । এ জন্যই দেখা যায় যে, অনেক বড় মাপের প্লেবয়ও অল্পবয়সী, শিক্ষিত,মার্জিত ও ধার্মিক মেয়ে পছন্দ করে! কারণ স্বার্থপর জিনের উদ্দেশ্য পূরণ করার জন্য এসব নারীরা ভালো সার্ভাইভাল মেশিন বা রোবট হিসেবে দায়িত্ব পালন করে।
“আবার এদিকে উৎসঙ্গ জাতকে বলা হয়, স্বামীই হচ্ছে নারীর অলংকার, নারীর আচ্ছাদন। যে নারীর স্বামী নেই সে নগ্ন। “
বিবর্তনীয় মনোবিজ্ঞানের আলোকে আমরা এই সেন্টন্সগুলোর মধ্যে কোনো অসমঞ্জস্য দেখতে পাচ্ছিনা কারণ আদিম শিকারী সংগ্রাহক নারীরা সঙ্গী ছাড়া পথ চলতে পারতোনা, যেকোনো সময় হিংস্র প্রাণীদের ভয় ও আশঙ্কা ছিলো। আর ঠিক একইকারণে এখনও নারীরা স্বামীর উপরই নির্ভরশীল থাকতো । সঙ্গী ছাড়া সে আসলেই তখন অসহায় ও উলঙ্গ ছিলো। একজন পুরুষ তার স্ত্রীকে অন্য পুরুষের সাথে ভাগ করতে কতটা জিনগত প্রেসার অনুভব করে তার এক উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত কুণাল। কুনাল বলেছেন,
নারীকে ব্যাশ্যা, কুলটা বললে সব বলা হয়ে যায়না, নারী প্রকৃতপক্ষে তার থেকেও অধিককিছু ।
তার সবচেয়ে জঘন্যতম উক্তিগুলোর মধ্যে রয়েছে-
১. নারী উন্মোক্ত মলভান্ডারের মতো দুর্গন্ত যুক্ত।
২. বিষমিশ্রিত মদিরার মতো অনিষ্টকারী।
৩. কুটিলা সাপের মতো দুই– জিহবা বিশিষ্ট।
৪. পাতালের ন্যায় অতল গভীর।
৫. রাক্ষসীর ন্যায় সর্বগ্রাসীনী।
৬. অগ্নির ন্যায় সর্বগ্রাহীনী।
৭. নদীর ন্যায় সর্ববাহিনী।
৮. বায়ুর ন্যায় যথেচ্ছা গামিনী।
৯. বিষবৃক্ষের ন্যায় বিষফল প্রসবিনী!
বিবর্তনীয় মনোবিজ্ঞানে অনুসারে, পুরুষ যেনো স্বাচ্ছন্দ্যের সাথে তার জিনকে ভবিষ্যত প্রজন্মে রেখে যেতে পারে সেজন্যই তারা নারীর এডাল্টরির মানসিকতার প্রতি এতটাই তীব্র জেলাস ও প্রতিহিংসার পরায়ণ হয়ে উঠেছিলো। যেনো তার যৌনির ভেতর অন্য কেউ তার DNA Exchange করতে না পারে। এই বিবর্তনীয় মনস্তত্ব আরো কমপ্লেক্স উপায়ে বিবর্তিত হয়ে বোদ্ধ ধর্ম নারী বিদ্বেষী হয়ে উঠেছিলো।
দূর থেকে দেখলে মনে হয়, বোদ্ধধর্মের তুলনায় ইসলাম ধর্ম কতোই না উন্নত। তারা নারীকে দিয়েছে সর্বোচ্চ সম্মান ও সুমহান মর্জাদা। কিন্তু ইসলাম ধর্ম বিশ্লেষণ করলেও আমরা বিবর্তনীয় মনস্তত্বেরই প্রতিফলন দেখতে পাই আমরা দেখতে পাইন সেলফিশ জিনেরই আধিপত্য।
মোহাম্মদ নারীকে জন্মগতভাবেই ব্যাশ্যা মনে করতেন, নারীর প্রতি তার মনোভাব ছিলো অত্যন্ত স্বার্থপর, আর এ জন্যই নারীকে সকাল থেকে সন্ধ্যা অবধি তিনি ঘরের মধ্যে আবদ্ধ থাকতে পরামর্শ প্রদান করেন। মুসলিমরা নারীকে সরাসরি ব্যাশ্যা না বললেও, তাদের ঈশ্বরের উক্তিগুলো বুঝিয়ে দেয় যে, নারী আসলে একটা পাবলিক প্রপার্টি, সে আসলে একটা কনফিউশনাল চরিত্র অথবা ব্যাশ্যা ছাড়া আর কিছুই নয়। যদি তা নাই হতো তবে পা থেকে মাথা অবধি নারীকে তার সমস্ত দেহ কোনো সুস্থ্য মস্তিষ্কের মানুষ ঢেকে রাখতে বলেনা। মোহাম্মদ নিজেই সেলফিশ জিন দ্বারা পরিচালিত ছিলেন, নারীর যৌনিকে প্রতিযোগি পুরুষ থেকে রক্ষা করার যে বিবর্তনীয় প্রবণতা সে প্রবণতা থেকেই তারা নারী সম্প্রদায়কে সবসময় অন্য পুরুষের চোখের আড়ালে রাখতে চেয়েছে। হিজাব ও জুব্বার মাধ্যমে তারা এটাই প্রমাণ করেছে যে, এরা অনেক ভয়াভহ প্রাণী, এরা এডাল্টরি য়াস, এরা পিল্যান্ডার্স, তাই এদের সতর্ক ও সাবধানতার সাথে রাখতে হয়, এদেরকে একা ছাড়তে নেই। যৌক্তিক ও আদর্শিক দৃষ্টিকোণ থেকে মোহাম্মদের এ আচরণগুলো সাইকোপ্যাথ হলেও জিনের দৃষ্টিতে তাদের নারী সংক্রান্ত মনস্তত্ব কতটা অপ্রাসঙ্গিক তা গবেষণার দাবি রাখে। মোহাম্মদ নারীর উপর কোটি কোটি বিধিনিষেধ আরোপ করে তাকে গৃহবন্দী করেছে অথচ নিজেই গ্রহণ করেছে প্রায় এগারজন নারী।
সেলফিশ জিন তত্ত্ব যেভাবে কাজ করে একেবারে হুবহু আমরা মোহাম্মদের মস্তিষ্কের আচরণেও একই স্বার্থপর প্রবণতা দেখতে পাই। জিন পুরুষদের বলে, অধিসংখ্যক শরীরে নিজেকে সংক্রমিত করতে আর নারী তার গর্ভাশয় ও নবাগত কোমল ও নাজুক প্রকৃতির শিশুটির ভবিষ্যতের চিন্তা করে ফেঁসে যায়। তার উপর আরোপ করা হয় আরো শত শত নীতি। আর এভাবেই জিন তার ভবিষ্যতকে পুরুষের মস্তিষ্কের ভেতর দিয়ে বাস্তবায়ন করে। যদি মোহাম্মদের মস্তিষ্কেও লাখ লাখ বছর অতীতের ডারউইনের বিবর্তনীয় মনস্তত্ব কাজ করে, তবে আমরা এটা নির্দ্বিধায় বলতে পারি যে,মোহাম্মদ নিজেও আদিম নর বানর সদৃশ্য একটি প্রাইমেট থেকে আসা , লক্ষ বছর পূর্বের আদিম শিকারী জীবন থেকে উঠে আসা, পনেরশত বছর পূর্বের একটি নরবানর! যার অতীত পুরুষরা মিলিয়ন বছর পূর্বে একসময় গাছে লাফালাফি করতো,পৃথিবীর ভূপৃষ্ঠে হেটে বেড়িয়েছিলো , আর যে হাত দিয়ে তারা শত শত প্রাণী ও মানুষ হত্যা করেছে, ধর্ষণ করেছে, গড়েছে সভ্যতা। যে হাত দিয়ে আমি এখন মাইক্রোসফট ওয়ার্ডে লিখছি।
ঈশ্বর বিশেষ বার্তার মাধ্যমে আজ থেকে ১৫০০ বছর পূর্বে মোহাম্মদের ব্রেনকে নারীদের সম্পর্কে বিভিন্ন আদেশ নিষেধ প্রদান করেছিলেন। অনেক বিশেষজ্ঞের ধারণা- মোহাম্মদ সিজোফ্রেনিয়া আক্রান্ত ছিলেন যার জন্য তার কাছে ঈশ্বরের ওহি আসতো কারণ তার মস্তিষ্কের প্রি-ফ্রন্টাল কর্টেক্স যেটি Sense of Self তৈরি করে সেটি সেল্ফ ও নন-সেল্ফের মধ্যে তারতম্য করার নিউরাল সার্কিট হারিয়ে ফেলেছিলো আর এ জন্য কোনটা তার নিজের ব্রেনের চিন্তা আর কোনটা এক্সট্রারনাল সোর্স থেকে আসছে সে সেটা বুঝতে পারতোনা, আর এখান থেকেই তার মনে হতে শুরু করেছিলো যে হয়তো তার ব্রেনের নিউরনের ভেতর ঈশ্বর বাস করে, হয়তো ঈশ্বরই তার চেতনার সাথে কথা বলে। সিজোফ্রেনিয়া প্রধানত প্রি-ফ্রন্টাল ও টেম্পোরাল লোবের সাথে জড়িত । অনেকে বলেন, তথাকথিত সিজোফ্রেনিয়া আক্রান্ত পরিস্থিতিতে তার কাছে ঈশ্বর কিছু বার্তা পাঠিয়েছিলেন –
“হে নবী! আপনি আপনার পত্নীগণকে,কন্যাগণকে এবং মুমিনদের স্ত্রীগণকে বলুন,তারা যেন তাদের চাদরের কিয়দাংশ নিজদের উপর টেনে দেয়,এতে তাদের চেনা সহজ হবে,ফলে তাদের উত্যক্ত করা হবে না,আল্লাহ ক্ষমাশীল পরম দয়ালু!”
(সূরা আহযাবঃ৫৯)
তারা যেন যা সাধারনত প্রকাশ্যমান তা ব্যতীত তাদের সৌন্দর্য প্রদর্শন না করে…”
(সূরা আন নূরঃ৩১)
‘তারা যেন তাদের গোপন সাজসজ্জা প্রকাশের জন্য জোরে পদচারণা না করে!’
(সূরা নূরঃ৩১)
‘তোমরা গৃহাভ্যন্তরে অবস্থান করবে,মূর্খতা যুগের অনুরূপ নিজেদেরকে প্রদর্শন করবেনা…..’
(সূরা আহযাবঃ৩৩)
এ পর্যন্ত আল্লাহ নারীদেরকে একজন পুরুষের মধ্যে আবদ্ধ করার জন্য সকল প্রকার নির্দেশনা প্রদান করেছেন। আবার তিনি পুরুষের বহুগামীতাকে প্রশ্রয় দিয়ে আদেশ করেছেন–
“বিবাহ কর নারীদের মধ্য হতে যাকে তোমাদের ভালো লাগে, দুই ,তিন আথবা চারটি। আর যদি আশঙ্কা কর যে (স্ত্রীদের মাঝে) সুবিচার করতে পারবে না, তাহলে (মাত্র) একটি (বিবাহ কর)….”
এখানে তিনি একসাথে ৪ টি বিয়ে করার জন্য বলেছেন আবার একইসাথে সুবিচার বা জুডিশিয়াল মেন্টালিটির থাকতে হবে এমন অনিবার্য একটি শর্ত জুড়ে দিয়েছেন। আল্লাহ পুরুষদেরকে লুচ্ছামির অনুমোদন দিয়েছেন ঠিকই কিন্তু সেটাকে অনুপ্রাণিত করেননি । সুরা নেসার আর একটি আয়াতে দেখা যায়-
“তোমরা যতই আগ্রহ রাখো না কেন, তোমাদের স্ত্রীদের প্রতি সমান ব্যবহার করতে কখনো সক্ষম হবে না……”
(সুরা নিসা ০৪:১২৭)
ঈশ্বরের মনস্তত্বেও একপ্রকার ডুয়ালিজম কাজ করেছিলো নারীর জন্য। নারীর প্রতি তিনি কোনো বিশ্বাস রাখতে পারেননি, তাদেরকে এডাল্টরি য়াস মনে করা হয়েছে ইসলাম ধর্মে, আর এ জন্য তাদেরকে ঘরের মধ্যে আবদ্ধ করার সকল প্রয়োজনীয় পদক্ষেপও গ্রহণ করা হয়েছে। পুরুষকে বহুগামীতার জন্য অনুমোদন দিয়েছিলেন ঈশ্বর, এক দুই , তিন , চার… । যেনো তিনি নিজেই রিচার্ড ডকিন্সের Selfish Gene , আবার তিনি নিজেই কৌশলে পুরুষদের বহুগামীতার প্রতি ভয় দেখিয়েছিলেন, যেনো তাদের সন্তান পিতার বহুগামীতার কারণে সম্পূর্ণ বিলুপ্ত না হয়ে যায়। মজার ব্যাপার হলো, নারীর ক্ষেত্রে ঈশ্বর মহাবিশ্বের বাহিরের কোনো সত্ত্বার চরিত্রে কথা বলেননি, কথা বলেছিলেন, স্বার্থপর জিনের নিজস্ব ভাষায়!
নারীদের ক্ল্যান্ডেস্টাইন এডাল্ট্রির বিবর্তনীয় ব্যাখ্যা
নারীরা কী আসলেই অনেক বেশি সেক্সি? আসলেই কী তাদের অনেক অনেক পুরুষ প্রয়োজন? তারা কী সত্যি বহুগামী? বিখ্যাত এনথ্রোপোলোজিস্ট হেলেন ফিশার যিনি নিজেও একজন নারী । তিনি তার The anatomy of love গ্রন্থে লিখেন, নারীরা আসলেই সেক্সি। অর্গাজমের সময়, পুরুষাঙ্গের ব্লাড বেসেল রক্ত ও অন্যান্য তরল নারীর গর্তে ঢুকিয়ে দেয়। এরপর পেনিস শান্ত হয়ে যায়। সেক্স শেষ। অধিকাংশ পুরুষই ত্রিশ সেকেন্ড থেকে তিন মিনিট পর এ কাজটি করে ফেলে। তারপর Sex is Over!
অনেক পুরুষ অর্গানিজম অর্জন করার জন্য পূনরায় আবার প্রথম থেকেই শুরু করে। নারীদের জন্য সেক্স সবে মাত্র শুরু__ হেলেন ফিশার বলেন। নারীর যৌনি সকল তরল একসাথে বহিস্কার করেনা। একজন নারী চাইলে, পূনরায় ক্লাইম্যাক্স ক্রিয়েট করতে পারে। এবং বারবার, যতবার তার ইচ্ছে হবে। মাঝেমাঝে অর্গাজম এতটা দ্রুততার সাথে পরম্পরা রক্ষা করে ঘটতে থাকে যে, একটি অর্গাজম থেকে অন্যটিকে পৃথকই করা যায় না__ অর্গাজম নিরবিচ্ছিন্ন ভাবে চলতে থাকে। আমার দুজন বন্ধু আবিসা ও এরিকা, ঘন্টার পর ঘন্টা এক টানা সেক্স করে যেতে পারে (তাদের অনমূতি নিয়েই বলা)।
হেলেন ফিশার বলেন, নারীদের এই উচ্চমাত্রিক যৌন ক্ষমতা অন্যান্য প্রাইমেটদের ডেটার সাথেও মিলে যায় যা এনথ্রোপোলোজিস্ট সারাহ হার্ডিকে একটি মহান হাইপোথেসিসের কাছে নিয়ে যায় যেটি নারীদের ছিনালী আচরণ বা পিল্যান্ডারিং ব্যাখ্যা করতে পারে। ১৯৮৬ সালে এ আর্টিকেলটি Empathy, Polyandry and Myth of the Coy Female শিরোনামে প্রকাশিত হয়। হার্ডি বলেন, নারী বানররা বিরাট মাত্রার নন-প্রোডক্টিভ সেকচুয়াল ইন্টারকোর্সে সম্পৃক্ত হতো। এস্ট্রাসের সময় ( একজন মহিলা ঋতুচক্রকালীন একটি সময় যখন তার মধ্যে যৌন গ্রহণযোগ্যতা ও উর্বরতা কাজ করে) একটি নারী শিম্পাঞ্জি প্রায় সকল পুরুষের সাথেই মিলিত হয় , শুধুমাত্র নিজের সন্তান ছাড়া। সন্তান তৈরির জন্য এত গুলো পুরুষের সাথে সেক্স করাটা আসলে নারী শিম্পাঞ্জির দরকার ছিলোনা।
হার্ডি প্রস্তাব করেন– তাহলে নারী শিম্পঞ্জিরা দুটি ডারউইনীয় প্রসেসে এই যৌন বৈচিত্র্যতা অর্জন করেছেঃ মেয়েটির বন্ধু হওয়ার জন্য মূলত একজন পুরুষ তার সন্তানকে হত্যা করার থ্রেট প্রদান করতো, এবং পিতৃত্বকে বিভ্রান্ত করার জন্য প্রতিটি পুরুষ প্যাটারনালি আগত সন্তানের প্রতি দায়িত্ব পালন করতো।হার্ডি বলেন, High Female Sexuality অর্জনের পেছনে এ ব্যাপারটিই দায়ী। মূলত, একজন নারীকে সন্তানের জীবন রক্ষা করার জন্য অজস্র পুরুষের সাথে সহবাস করতে হতো, আর তাদের এই Ancient Evolutionary Tactic এর কারণে তারা পুরুষদের কাছ থেকে Supplementary Patarnal Investment এবং Infanticide এর বিপক্ষে নিশ্চয়তা পেতো। মানে, দলের সকল পুরুষ যদি সে শিম্পাঞ্জিটির সাথে গ্রুপ সেক্স করে এবং তারা যৌথভাবে শিশুটিকে তাদের বলে মনে করে তবে, এডাল্টরির মাধ্যমে নারীটি খুব সহযে একটি শিশুর জীবনের সাথে কয়েকশত ক্ষমতাবান পুরুষের ব্রেনকে Connect করে দিতে পারতো।
সম্ভবত আমাদের প্রথম ফিমেল এনসেস্টর যারা বৃক্ষে বাস করতো, তারা বৈচিত্র্যময় পুরুষের সাথে সেক্সে জড়িত হতো, তাদের ছিলো শত শত বয়ফ্রেন্ড। তারপর আমাদের পূর্বপুরুষরা আজ থেকে ৪ মিলিয়ন বছর পূর্বে বৃক্ষ থেকে নেমে আসে ও তৃণভূমিতে ছড়াতে থাকে, আর ঠিক এ সময় তাদের মধ্যে যুগল ভালোবাসার সম্পর্ক (Romantic love, Fair Bond) বিকশিত হয়। গোপন সহবাসের প্রতিশ্রুতির মাধ্যমে তারা এক্সট্রা রিসোর্স এবং এক্সট্রা- লাভারের কাছ থেকে ভালো ও উন্নত মাপের বৈচিত্র্যময় জিন পেতো। মূলত অধিসংখ্যক পুরুষের সাথে সেক্স করতে গেলে, নারীকে সেকচুয়ালি ক্ষমতাবান হওয়া প্রয়োজন ছিলো। পুরুষের মতোই যদি নারীরা তাদের যৌনি থেকে সব তরল কয়েক মিনিটে বের করে ফেলতো তবে তারা অধিকসংখ্যক পুরুষের সাথে হয়তো সহবাস করতে পারতোনা।
আর এতে করে আদিম পূর্বসূরী নারীরা তাদের সন্তান ও জীবনের নিশ্চয়তা হারাতো। আপনি দেখবেন, একজন পুরুষ প্রথমবার সিমেন আউট হওয়ার পরই সম্পূর্ণ ভেঙে পড়ে, তার ব্রেন পূনরায় কাজ করতে চায়না। আর আপনি একজন নারীর সাথে সেক্স করার পর যদি অন্য একটি পুরুষও পূনরায় তার সাথে ইন্টারকোর্সে জড়ায় তবুও তার মধ্যে কোনো সেকচুয়াল সমস্যা কাজ করবেনা, সে তার অর্গাজমকে অজস্র খন্ডে ভাগ করে দিতে পারবে। একজন প্রস্টিটিউট নিয়মিত যে পরিমাণ পুরুষের শরীরকে রার যৌনিতে প্রবেশ করার অনুমোদন দেয়, একবার আপনি আপনাকে সে জায়গায় কল্পনা করে দেখুন।একজন পুরুষের পক্ষে কী সম্ভব একসাথে এতগুলো নারীর সাথে ধারাবাহিকভাবে সহবাস করা?
মূলত, আমাদের আদিম পূর্বসূরী নারীদের মধ্যে ঠিক এ জন্যই অর্গাজমে জটিলতা তৈরি হয়েছে, যেনো তার যৌনির দেয়াল বেয়ে সকল তরল একসাথে নিসৃত না হয়, যেনো সে অর্গাজমটাকে অসম্পূর্ণ রাখতে পারে, আর খন্ড খন্ড করে সে যেনো একটি অর্গাজমকে অন্যান্য পুরুষদের মাঝেও ভাগ করে দিতে পারে। আজকের দিনে একজন নারী শতাধিক পুরুষের কাছে যায়না কিন্তু মিলিয়ন বছর পূর্বের যৌন জীবনের দৈহিক স্মৃতি এখনো তার DNA প্রোফাইলে রয়ে গেছে! আর এ জন্যই নারীরা এডাল্টরি তে জড়ায়!
বুদ্ধধর্মে- নারীকে ব্যাশ্যা বলা হয়নি, বলা হয়েছে ব্যাশ্যা, কুলাঙ্গার এ সকল শব্দ থেকেও যদি মহাবিশ্বে আরও দুর্দান্ত কোনো শব্দ থাকে নারী সেটাই! বুদ্ধদের নারী বিদ্বেষের পেছনে কাজ করছে আজ থেকে মিলিয়ন বছর পূর্বের সে বিবর্তনীয় ইতিহাস, যে জন্য নারীরা মাল্টিপল পুরুষের সাথে মিলিত হতো, আর এতে করে তাদের অর্গাজম জটিল থেকে জটিলতর হয়ে উঠেছিলো, যার ফলে একজন পুরুষ চাইলেও তাদেরকে সন্তুষ্ট করতে পারতোনা, কারণ সমস্যাটা আসলে নারীর মনে নয়, স্বয়ং শরীরে, তাদের যৌনি বিবর্তনীয়ভাবে এ সিস্টেমেই ডিজাইন করেছে। কিন্তু আসলেই নারীরা অনেক বেশি সেক্সি বলে , অনেক বেশি এডাল্টরি তে সম্পৃক্ত? এরকম কয়টি ঘটনা শুনেছেন যে, একজন নারী কোনো অবলা পুরুষকে রাস্তায় ফেলে র্যাপ করেছে ? সবচেয়ে বড় প্রশ্ন, কে বেশি বিশ্বাসঘাতকতা করে? হেলেন ফিশার বলেন, সাম্প্রতিক বিভিন্ন গবেষণা থেকে দেখা গেছে, বিভিন্ন ক্ষণস্থায়ী ও দীর্ঘস্থায়ী সম্পর্কে পুরুষরাই সবচেয়ে বেশি জড়িত থাকে!
কুণালের কথাটিকে যদি আমরা ৯০ ডিগ্রি এঙ্গেলে ঘুরিয়ে বলি তবে যা দাঁড়ায় , নারীরা ব্যাশ্যা হতে পারে তবে পুরুষের চেয়ে বেশিকিছু নয়, নয় ব্যাশ্যা থেকে বেশি কিছু।