Can't find our books? Click here!

আপনি কী জানেন, একজন মেয়ে যখন নীরব ও নিস্তব্ধ পায়ে রাস্তায় হেঁটে যায়, তখন সে বিশ্বের সামগ্রিক জিডিপিতে ট্রিলিয়ন ট্রিলিয়ন ডলার যোগ করে? একজন মেয়ের হাসিতে ডলার, একজন মেয়ের কান্নায় ডলার, একজন মেয়ের অভিমান, লজ্জা আর রাগান্বিত টববগে চেহারায় বকুল ফুলের মতো ঝরে পড়ে অজস্র ডলার এবং একজন মেয়ের পীনোন্নত বুক থেকে যখন কাল বৈশাখীর তীব্র ঝড়ো হাওয়ায় গোলাপী রঙের ওড়নাটা এক ঝাপটায় উড়ে যায়, তখন বিশ্বের অর্থনীতিতে মিলিয়ন মিলিয়ন জিডিপি কাউন্ট হয়? আপনি কী জানেন, একজন নারীর প্যান্টির আড়ালে লুকিয়ে আছে জগতের সকল কবি, সাহিত্যিক, বিজ্ঞানী এবং ঈশ্বর সমীকরণ?  একজন নারীর মুখ থেকে শব্দ বা কবিতা নয়, মিলিয়ন মিলিয়ন ডলার নিঃস্বরণ হয়? তার প্রতিটি অর্গ্যাজম বিশ্বের অর্থনীতি বুস্ট করে।

পৃথিবীর অর্থনীতি এবং এর সামগ্রিক অর্থনৈতিক ইতিহাস একটা ফুয়েল বা জ্বালানী দ্বারাই চালিত হয় এবং সেটা হলো – সেক্স। বিশেষ করে একজন পুরুষ একজন তরুণী এবং আকর্ষণীয় নারীর সাথে সেক্স করতে চায়। সৌন্দর্য হলো একটি নারীর হেলথ সার্টিফিকেট। এটি তার উর্বরতার সংকেত। একসময় সমাজবিজ্ঞানীরা মনে করেছিল, সৌন্দর্য স্কিনে নয়, সৌন্দর্য থাকে ডিপ স্কিনে, সৌন্দর্য মানুষের মনে কিন্তু এই ধারণা ভুল। নারীর চামড়াই পুরুষের মস্তিষ্ককে তার উর্বরতার সিগন্যাল দিয়েছে। আর নারীর তারুণ্য এবং সৌন্দর্যের এই সিগন্যাল বিশ্বের অর্থনীতিকে সময়ের শুরু থেকেই জ্বালানি দিয়ে এসেছে। পুরুষ হলো এই বিশ্বের অর্থনীতির ইকোনোমিক ইঞ্জিন, যারা এটিকে মিলিয়ন মিলিয়ন বছর ধরে চালিয়ে যাচ্ছে।

একজন নারী যখন পুরুষকে প্রত্যাখ্যান করেছিল, একজন নারী যখন পুরুষের প্রেমকে তার মুখের ওপর “না” করে দিয়েছিল, তখন পুরুষ কেবল বিশ্বের জিডিপিতে একটি একটি করে পেনিই অ্যাড করেনি, বিশ্বের সকল প্রযুক্তিগত বিপ্লব সে প্রায় একাই ঘটিয়েছিল, সে রেডিও, টেলিভিশন, কম্পিউটার, রকেট, বিমান , সেলফোন, স্পেসশিপ ও কোয়ান্টাম কম্পিউটার আবিষ্কার করেছিল।

এক্স-ইউনিভার্স: ফেমিনিন ফিউশন

তারা নারীর মুখ থেকে শুধু একটি বারের জন্য “হ্যাঁ” শোনার জন্য গড়ে তুলেছিল সমস্ত সিভিলাইজেশন। তারা নারীর মন জয় করার জন্য ভাইরাস ও ব্যাক্টেরিয়ার বিপক্ষে প্রতিষেধক আবিষ্কার করেছিল, তারা মিলিয়ন মিলিয়ন মানুষের জীবন রক্ষা করেছিল ভয়াবহ সব রোগ থেকে, তারা পৃথিবীতে মিলিয়ন মিলিয়ন মেডিসিন ও মেডিক্যাল ডিভাইস নিয়ে এসেছিল কেবল একবার, কেবল একটিবার নারীর পক্ষ থেকে একটি পজেটিভ রিভিউ পাওয়ার জন্য, তার মুখ থেকে “না” শব্দটি অনন্তকালের জন্য না শোনার জন্য।

নারীর পক্ষ থেকে প্রত্যাখ্যাত হওয়ার ভয়ে অথবা কোনো একজন তরুণী নারীর মুখ থেকে “না” নামক পারমাণবিক বোমার আঘাতে হিরোশিমা ও নাগাসাকির মতো ক্ষতবিক্ষত হওয়ার তীব্র আতঙ্কে পুরুষ মাল্টি ট্রিলিয়ন ডলারের ট্র্যান্সপোর্টেশন এবং কমিউনিকেশন ইনফ্রাস্ট্র্যাকচার তৈরি করেছিল। নারীর মুখ থেকে “না” শব্দটি না শোনার জন্য আইনস্টাইন স্পেশাল থিওরি অব রিলেটিভিটি ও জেনারেল থিওরি অব রিলেটিভিটি লিখেছিল, তার ইকুয়েশন থেকে ব্ল্যাকহোল, ওয়ার্মহোল, গ্র্যাভিটেশনাল লেন্সিং, কোয়ান্টাম গ্র্যাভিটি, প্যারালাল ইউনিভার্স এবং টাইম ট্রাভেল বেরিয়ে এসেছিল, কেবল মাত্র একজন তরুণী নারীর পক্ষ থেকে প্রত্যাখ্যাত হওয়ার আতঙ্কে অথবা কোনো একজন সুন্দরী নারীর মন জয় করার তীব্র নেশায়!

আপনার কাছে কী এটাকে একবারের জন্যেও মহান মনে হয়নি? আপনার কাছে কী একবারের জন্যেও এটাকে হার্কুলিয়ান অর্জন মনে হয়নি? যদি মনে না হয়ে থাকে, তবে শুনুন, দিনের প্রতিটি ঘন্টা, প্রতিটি মিনিট, প্রতিটি সেকেন্ড, প্রতিটি পিকোসেকেন্ড বিলিয়ন বিলিয়ন পুরুষ অতীত থেকে বর্তমান পর্যন্ত কেবল তার প্রেমিকা ও পরিবারকে সমর্থন করার জন্য কাজ করে যাচ্ছে।

সকালে ঘুম থেকে উঠার পর থেকে, স্কুলে গমন, কমিউটের সাথে যুদ্ধ, ওভারটাইম, জিমে ঘন্টার পর ঘন্টা কঠিন শারীরীক হিট, STEM ফিল্ডে আধিপত্য, যুদ্ধে ঝাপিয়ে পড়া এবং এমনকি একদম তুচ্ছ পর্যায় থেকে যদি বলি, একটি ছেলের টি-শার্ট, একটি ছেলের শখের গাড়ী, প্রায় সকল পুরুষের বয়সন্ধীকাল প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে একজন নারীর উদ্দেশ্যে পরিচালিত।  

যদি পৃথিবীতে কোনো নারী না থাকত, যদি নারীর বুকে ও পেছনে গাইনোয়েড ও অ্যান্ড্রোয়েড ফ্যাট জমাট বেঁধে লোভনীয়  বিগ ব্রেস্ট ও পীনোন্নত বুটস তৈরি না হতো, যদি নারী টাইট জিন্স ও প্যান্টি পরে রাস্তায় না বের হতো, যদি নারীর বুটস ও বুবস তার জামা ভেদ করে পাবলিক প্লেসে আন্দোলিত না হতো। যদি নারী নিচে জিন্স এবং উপরে হিজাব না পরে নিজেকে সম্পূর্ণ আড়াল করে ফেলত, যদি নারীর বোরখা তার দেহের অভয়ব প্রকাশ করতে ব্যর্থ হতো,  যদি নাইট ক্লাব ও বারে নারী ওয়েট  ড্যান্স না করত, যদি জিম সেন্টারগুলোতে নারী ট্রিডমিলে না দৌড়াত, যদি তার ব্রেস্ট ও বুটস মাতালের মতো পুরুষের সামনে নাচানাচি না করত, যদি নারী স্কুল, কলেজ ও ইউনিভার্সিটিতে পুরুষের কাছে তার রক্তাত্ব গোলাপি সিমেট্রিক্যাল চেহারাটি উন্মুক্ত না করত, তবে পৃথিবীতে শিল্প, সাহিত্য, সংস্কৃতি, বিজ্ঞান ও দর্শন কোনোকিছুই সৃষ্টি হতো না, সবকিছু চোখের পলকে মহান ডায়নোসরের মতো বিলুপ্ত হয়ে যেত।

এক্স-ইউনিভার্স: ফেমিনিন ফিউশন

যদি নারী গণতান্ত্রিকভাবে সকল পুরুষকে “হ্যাঁ” বলে দিত, যদি নারী পৃথিবীর কোনো পুরুষকেই “না” বলতে না পারত, তবে গ্লোবাল জিডিপির ৯০ ট্রিলিয়ন ডলার এবং আমাদের এই গ্রহের ৩৬০ ট্রিলিয়ন সম্পদ মুহূর্তেই উধাও হয়ে যেত। পৃথিবীর ৫০ বিলিয়ন পুরুষ আছে বর্তমানে যারা সৈনিক, তারা পৃথিবীর জিডিপিতে ঐতিহাসিকভাবে ৩ কোয়াড্রিলিয়ন ডলার অ্যাড করেছে। নারী যদি সকল পুরুষকে “হ্যাঁ” বলে দিত, তবে ৫০ বিলিয়ন সৈনিকের ৩ কোয়াড্রিলিয়ন ডলার নিঃশেষ হয়ে যেত নিমিষেই। নারীর তারুণ্য এবং নারীর চামড়ার সৌন্দর্য যদি না থাকত, খুব সরলভাবে মানব সভ্যতার কোনো অস্তিত্বই থাকত না।

কিন্তু বিশ্বের এই সামগ্রিক জিডিপির একটি অপজিট সাইড আছে। পৃথিবীর প্রায় সকল মানুষ এই সম্পত্তির জন্য লড়াই করে, রক্তারক্তি ও খুন করে। তারা বলে, নারীর তুলনায় পুরুষের আয়ের পরিমাণ বেশি। কিন্তু একজন মানুষও যে প্রশ্নটি করতে চায় না, সেটা হলো, কোথায় থেকে আয়ের এই অসমতার জন্ম? পুরুষ চোর, পুরুষ বাটপার, পুরুষ ক্রিমিনাল, পুরুষ খুনি, পৃথিবীতে প্রায় ১০.৮ মিলিয়ন প্রিজনার আছে, যার মধ্যে ৯.৮ মিলিয়ন প্রিজনারই পুরুষ___ কিন্তু কেন? কেউই প্রশ্ন করেনি। বিবর্তনীয় মনোবিজ্ঞানী সাতোশি কানাজাওয়া আবিষ্কার করেছেন, পৃথিবীতে প্রতিটি ধর্ম টিকে থাকার পেছনে নারীর অবদান সবচেয়ে বেশি, নারীরাই সবচেয়ে বেশি ঈশ্বর, ধর্ম, স্পিরিচুয়ালিটিতে বিশ্বাস করে, নারীরাই সবচেয়ে বেশি সামাজিক প্রথার প্রতি সংবেদনশীল। নারীরাই সবচেয়ে বেশি ফলস পজেটিভ প্যাটার্ন দেখে।

এক্স-ইউনিভার্স: ফেমিনিন ফিউশন
বিজ্ঞান লেখক ও প্রকাশক এ এইচ লিহন

কিন্ত কেন? পৃথিবীর নারীরা এজন্যেই ধার্মিক কারণ পুরুষ তাদের জন্য যুদ্ধ করতে গিয়ে পরিণত হয়েছে এক একজন সন্ত্রাসী ও সিরিয়াল কিলার। পৃথিবীর সকল চোর, ডাকাত, খুনি এবং ফাঁসির আসামির ঈশ্বর হলো ধার্মিক নারীর পিনোন্নত বুবস ও বুটসের মোড। এতে কোনো সন্দেহ নেই যে, পুরুষ বৈশ্বিক সম্পদে একটি লায়ন বা সিংহ শেয়ার করে। আর এর একমাত্র কারণ হলো সে তার প্রতিটি রক্তবিন্দু দিয়ে এক একটি পেনি তৈরি করেছে। সকল প্রকার প্রযুক্তিগত উদ্ভাবনের জন্য পুরুষ সময়, পরিশ্রম, অধ্যাবসায় এবং মানসিক শক্তি পরিশোধ করেছে। আজকের পৃথিবীর ৯০ ট্রিলিয়ন গ্লোবাল জিডিপিকে আপনি হয়তো সাংকেতিকভাবে বলতে পারেন “টোটাল ইকোনোমিক প্রোডাকশন অব দ্য ওয়ার্ল্ড”, কিন্তু এটাকে আরও একভাবে দেখা যায়, আর তা হলো, নারীর মন জয় করার জন্য পৃথিবীর সকল পুরুষের সামগ্রিক পরিশোধিত মূল্য। কিন্তু নিজের সমস্ত রক্ত কণিকা লিখে দেয়ার পরও, পুরুষ কী নারীর মন পেয়েছে? উত্তর হলো, না!

কিন্তু কেন? এই প্রশ্নের উত্তর হলো, নারীর মস্তিষ্ক কম্পিউটারের And Gate কে অনুসরণ করে। আর পুরুষের মস্তিষ্ক কাজ অনুসরণ করে কম্পিউটারের OR Gate। একজন নারীর মনকে তুলনা করা যায়, একটি সুপার কম্পিউটারের সিকিউরিটি লকের সাথে। একটি স্পেসশিপের সিকিউরিটি লক খুলতে হলে, আপনাকে বিশাল একটি ডিজিট জানতে হবে। আপনি যদি একটি পাসওয়ার্ডের সকল ডিজিট ইনপুট না করেন, এই স্পেসশিপ আপনাকে মহাকাশে উড়তে দেবে না। নারীর মন একটি ১০০১ ডিজিটের পাসওয়ার্ডের মতো। একজন পুরুষের সাথে সম্পর্ক করার পূর্বে একজন নারী প্রায় ১০০১টি প্রশ্ন করে। আর পুরুষের মন হলো একটি মোবাইলের পাওয়ার বাটনের মতো। এক ক্লিকেই অফ ও অন হয়ে যায়। কোনো বিশাল ডিজিটের সিকিউরিটি লক দরকার হয় না। একজন পুরুষ নারীর কাছে কেবল তার তারুণ্য আর স্কিনের সৌন্দর্য চায়, একটাই ইনপুট। কিন্তু একজন নারীকে ৩০ সেকেন্ডের একটি পর্ণোগ্রাফি দেখিয়ে জাগানো সম্ভব না। কারণ একজন নারী পুরুষের দেহ চায় না, পুরুষের দেহকে সে ভয় পায়, একজন নারী পুরুষের কাছে দেহ থেকে আরও বেশিকিছু চায়, এজন্য তাকে জাগাতে ১৮০ পাতার রোম্যান্টিক উপন্যাস লাগে। আর নারীর মনের And গেট থেকেই আজকের বিশ্বের ৯০ ট্রিলিয়ন গ্লোবাল জিডিপি যুক্ত হয়েছে কিন্তু তারপরও পুরুষ মাঝেমাঝে পাসওয়ার্ডের বিভিন্ন ডিজিট ভুলে যায়, নারীর মনের কম্পিউটার স্ক্রিন  কখনো ওপেন হয় তো, কখনো ক্লোজ হয়ে যায়, সে বারবার নারীর মনের ওয়েব ব্রাউজারে স্ক্রল করতে ব্যর্থ হয়। নারীর নীরবতা, নারীর অভিমান, নারীর একটি জাজমেন্টাল ও টক্সিক মন্তব্য পুরুষটিকে জ্বালিয়ে পুড়িয়ে চারখার করে দেয়, তার মস্তিষ্ক এলোমেলো হয়ে যায়, টেস্টোস্টেরন আর ডোপামিনের তীব্র উন্মাদনায় সে কখনো ছুটে যায় ল্যাবরেটরিতে, কখনো জিমনেস্টিক সেন্টার আবার কখনো তার অভিমানী রক্তাত্ব কলম  চলতে থাকে নন-ফিকশন, সায়েন্স ফিকশন, ইন্টারস্টেলার, পিকাসোর দ্য থ্রি মিউজিশিয়ান অথবা ইলিয়াম-অডিসির পাতায় পাতায়। অথবা তার দেহের কোষগুলো ১০০ ট্রিলিয়ন ভাগে ভেঙে চুরমার হয়ে যায়, সে প্যারানয়েড ও সিজোফ্রাইড হয়ে যায়, মিশে যায় অনন্ত  মহাবিশ্বের অসীমতায়, তার দুঃখিত মস্তিষ্ক থেকে বেরিয়ে আসে ফিজিক্সের ইকুয়েশন, সৃষ্টি হয় শ্রডিঙ্গার এবং আলবার্ট আইনস্টাইন। এই বিশ্বের অর্থনীতিতে অবদান রাখার জন্য, নারীর একটা শব্দ অপচয় করারও প্রয়োজন নেই, সে কেবল এক সেকেন্ডের জন্য একজন আলফা পুরুষের চোখে তার নীরব দুটি চোখ স্থির রাখবে আর তারপর পরম উপেক্ষা আর অবহেলার সাথে তার সকল আবেগ, অনুভূতি ও ভালোবাসাকে একটি হিংস্র পশুর মতো প্রত্যাখ্যান করবে!