ঈশ্বর সকল গুণের অধিকারী। তার মধ্যে কোন ত্রুটি নেই! কিন্তু ভিক্টর স্ট্যাংগার তার “God the Failed Hypotheses” গ্রন্থে লিখেছেন “An all-Virtuous Being Cannot Exist তথা সর্বগুণের অধিকারী কোন ঈশ্বর অস্তিত্বশীল হতে পারেনা! কিন্তু কিভাবে? আসুন, আমরা আজ ঈশ্বরের অস্তিত্বের সাপেক্ষের যুক্তিগুলো খন্ডন করব।
- ঈশ্বরের ডেফিনিশন অনুসারে, ঈশ্বর এমন একটি সত্তা যার থেকে মহান আর কোনোকিছুই আমাদের চিন্তা চিন্তা করতে পারে না।
- আমরা জানি যে, মহানুভবতা নির্ভর করে তার গুণের মহিমার উপর।
- অতএব ঈশ্বর এমন একটি সত্তা যার থেকে মহান আর কোনোকিছুই হতে পারে না।
- আমরা ঈশ্বরকে তখনই ভার্চু বা গুণসম্পন্ন বলতে পারি যদি তিনি দুঃখ ও বিপদকে অতিক্রম করতে পারেন।
- এর মানে হলো একজন ব্যক্তির পক্ষে তখনই পূন্যবান হওয়া সম্ভব যদি সে দুঃখ ও যন্ত্রণা অনুভব করেন।
- একজন ঈশ্বর যিনি দুঃখ, কষ্ট, যন্ত্রণা অথবা ধবংস অনুভব করেন তিনি কখনোই আমাদের চিন্তায় শ্রেষ্ঠত্ব অর্জন করতে পারেন না!
- আপনি মহান বলতে এমন এক মহান সত্ত্বাকে চিন্তা করেছেন যে দুঃখ ও ধবংস অনুভব করেন না!
- অতএব ঈশ্বরের কোন অস্তিত্ব নেই।
- যদি ঈশ্বর থেকে থাকেন তবে তিনি মহাবিশ্বের কোন অবজেক্ট থেকে দূরে নন।
- আর এ জন্য কোনো অবজেক্টের পক্ষেই উপাসনার উপকরণ হওয়া সম্ভব নয়। ঈশ্বর ছাড়া এ অসীমে আর কিছু নেই, অতএব কোনো অবজেক্টই অটোনোমাস বা স্বৈরাতান্ত্রিক আচরণ করতে পারবে না।
- অতএব এমন কোন সত্তা অস্তিত্বশীল থাকতে পারেন না যিনি ঈশ্বর।
১. ঈশ্বর যদি থেকে থাকেন তবে ঈশ্বরের গুণাবলি অবশ্যই শয়তানের গুণাবলির সাথে
সামঞ্জস্যপূর্ণ হবে। কারণ ঈশ্বর ছাড়া এ অসীমে একটি অতি- পারমাণবিক কণাও নেই।
২. ঈশ্বরের গুণাবলি কখনোই শয়তানের গুণাবলির সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ নয়।
৩. এ জন্য ঈশ্বর কখনো ও কোনোভাবে অস্তিত্বশীল হতে পারেন না।
১. ঈশ্বর যদি থেকে থাকে তবে তিনি পরিপূর্ণ নন।
২. ঈশ্বর যদি অস্তিত্বশীল হয় তবে, অবশ্যই তিনি মহাবিশ্বের স্রষ্টা।
৩. ঈশ্বর যদি পরিপূর্ণ হয় তবে তিনি যে মহাবিশ্ব তৈরি করেছেন সেটিকেও পরিপূর্ণ হতে হয়।
৪. কিন্তু মহাবিশ্ব পরিপূর্ণ নয়।
৫. এজন্য একজন পরিপূর্ণ ঈশ্বরের পক্ষে মহাবিশ্বের নির্মাতা হওয়া সম্ভব নয়।
৬. অতএব ঈশ্বরের অস্তিত্ব অসম্ভব।
১. ঈশ্বর যদি থেকে থাকেন তবে তিনি স্থান ও কালের বাহিরে(Transcended) ।
২. ঈশ্বর যদি থেকে থাকেন তবে তিনি অবশ্যই সর্বব্যাপী (omnipresent) ।
৩. যিনি সর্বব্যাপী, তিনি অবশ্যই স্পেসের সর্বত্র উপস্থিত।
৪. সর্বব্যাপী ঈশ্বরের পক্ষে স্পেস-টাইমের উর্ধ্বে যাওয়া সম্ভব না।
৫. অতএব ঈশ্বরের পক্ষে অস্তিত্বশীল হওয়া অসম্ভব।
১. যদি ঈশ্বর থেকে থাকেন তবে তিনি নন-ফিজিক্যাল।
২. যদি ঈশ্বর সত্যিই থাকেন তবে তিনি একজন ব্যক্তি।
৩. আর একজন ব্যক্তির জন্য স্থান অপরিহার্য।
৪. অতএব ঈশ্বরের পক্ষে অস্তিত্বশীল হওয়া অসম্ভব।
১. ঈশ্বর যদি সর্বশক্তিমান হয় তবে তাকে এমন একটি পাথর তৈরি করতে বলুন যার ভার সে নিজেই বহন করতে পারবে না।
২. যদি ঈশ্বর পাথরটি তৈরি করতে পারেন তবে তিনি এর ভার অবশ্যই সহ্য করতে পারবেন না। তারমানে তিনি সর্বশক্তিমান নন।
৩. ঈশ্বর যদি পাথরটি তৈরি করতে না পারেন যার ভার তিনি বহন করতে পারবেন না তাহলেও তিনি সর্বশক্তিমান হতে পারেন না ।
৪. আপনি যদি বলেন, ঈশ্বরের বাহিরে অসীমে আর কোনোকিছুই নেই আর তাই তার থেকে বিরাট কোনো পাথর তৈরি করার কোন প্রশ্নই আসে না তবে আপনার এ যুক্তি Logic-E দ্বারা বাতিল হয়ে যাবে।
৫. আর এভাবে, সর্বশক্তিমান কোন ঈশ্বরের অস্তিত্ব নেই।
১. ঈশ্বর মহাবিশ্বের ক্রিয়েটর ও প্রিজার্ভার।
২.ঈশ্বর মহাবিশ্বের স্ট্রাকচারের স্থপতি ও তিনি পদার্থবিদ্যার সূত্রের রাইটার।
৩. ঈশ্বর যখনই চান তখনই তিনি ঘটনার প্রবাহ পরিবর্তন করতে পারেন, যা তার নিজস্ব আইনকে লঙ্গন করে, বিশেষ করে যখন তিনি মানুষের ডাকে সাড়া দেন।
৪.ঈশ্বর হিউম্যানিটির ক্রিয়েটর এবং প্রিজার্ভার ( প্রতিপালক) , যেখানে মানব সভ্যতা বিশ্বের অন্য সকল প্রাণী থেকে বিশেষ।
৫. ঈশ্বর মানুষের ভেতর অনন্ত আত্মা স্থাপন করেছেন যা দেহ থেকে মুক্ত, যা ব্যক্তির চরিত্র ও নিজস্বতা বহন করে।
৬. ঈশ্বর নৈতিকতার উৎস এবং অন্যান্য মানবীয় গুণের বিশেষ করে স্বাধীনতা, বিচার ও গণতন্ত্র।
৭. ঈশ্বর তার লিখিত উক্তিগুলো ধর্মগ্রন্থ আকারে প্রকাশ করেছেন এবং তিনি সরাসরি নির্বাচিত ব্যক্তিদের সাথে যোগাযোগ করেন।
৮. ঈশ্বর মানব সভ্যতাকে এ মহাবিশ্বে রেখে পালিয়ে যায়নি, যে কোনো ব্যক্তি যিনি মুক্তমনা অবশ্যই তিনি ঈশ্বরের দেখা পাবেন।
এ সকল যুক্তিগুলো সাধারণত মুসলিম ও খ্রিস্টানরা প্রদর্শন করেন। তার বিভিন্ন প্রাচীন গুণাবলির মধ্যে আমরা সর্বব্যাপীতা, সর্বজ্ঞতা এবং সর্বজনীনতার রুপগুলোকে ভিত্তিহীন প্রমাণ করেছি। ঈশ্বরের ৩০ টি গুণ সম্পৃক্ত জুডো-খ্রিষ্ঠান ও মুসলিমদের সাথে। এ ধরণের ঈশ্বর ইতোমধ্যেই যৌক্তিক অসঙ্গতি প্রদর্শন করেছে।
ইশ্বরের অস্তিত্বের বিপক্ষে বৈজ্ঞানিক যুক্তিগুলোকে এ যুক্তি প্রক্রিয়ায় বলা হয়ে থাকে “The lack of Evidence argument:
১. এমন একজন ঈশ্বরকে হাইপোথিসাইজ করুন যিনি মহাবিশ্বে গুরুত্বপূর্ণ রুলস পালন করেন।
২. কল্পনা করুন, ঈশ্বরের রয়েছে সুনির্দিষ্ট কিছু গুণাবলি যা তার অস্তিত্বের সাপেক্ষে বস্তুগত প্রমাণ উপস্থাপন করে।।
৩. মুক্তমনে আপনি সে সকল প্রমাণ অনুসন্ধান করুন।
৪.যদি সে ধরণের কোন প্রমাণ থেকে থাকে তবে সিদ্ধান্তে উপনীত হোন যে ঈশ্বর আছে।
৫. যদি ঐ ধরণের অবজেক্টিভ প্রমাণ না পাওয়া যায় কোনপ্রকার Reasonable Doubt ছাড়া সিদ্ধান্তে উপনীত হোন যে এ ধরণের গুণাবলি সম্পর্ন কোন ঈশ্বর নেই। মিচিও কাকুর-প্যারালাল ওয়ার্ল্ড
১. ঈশ্বর সর্বজ্ঞ, কারণ তিনি মহাবিশ্বের শুরু থেকে শেষ পিকোসেকেন্ড পর্যন্ত জানেন। বিলিয়ন বছর ভবিষ্যৎ তার চোখে এই মুহূর্তেই বর্তমান।
২. একজন ঈশ্বর যার মনস্তত্বে মহাবিশ্বের প্রতিটি পিকোসেকেন্ড এই মুহূর্তেই অস্তিত্বশীল তিনি জানেন যে ২০২০- ২০২১ সালে পৃথিবীর কোটি কোটি মানুষ করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মারা যাবেন ( কারণ ঈশ্বরের চোখে ভবিষ্যত অতীতের মতোই স্পষ্ট)। আমরা অতীতকে স্মরণ করি কারণ আমরা অতীতকে অতিবাহিত করেছি কিন্তু ঈশ্বর ভবিষ্যতকেও জানেন সময়ের এক বিন্দু থেকে অন্য বিন্দুতে কোনরকম ভ্রমণ ছাড়াই।
৩. ঈশ্বর যদি সর্বজ্ঞ হন তবে তিনি মহাবিশ্ব সৃষ্টির ট্রিলিয়ন ট্রিলিয়ন বছর পূর্ব থেকেই জানতেন যে আমরা দুঃখ,দুর্দশায় আক্রান্ত হব। ভাইরাস ও পারমাণবিক বোমা আমাদের ধবংস করে দেবে।
৪. সবকিছু জেনেও তিনি ২০২১ সালে ভাইরাস প্রতিরোধ করেনি।
৫. যার অর্থ হলো একজন সর্বজ্ঞ ঈশ্বর কখনোই তার “Future mind” চেঞ্জ করার ক্ষমতা রাখেন না।
৬. অতএব সে সর্বশক্তিমান নন অথবা চূড়ান্ত নিষ্ঠুর।
৭. একজন চূড়ান্ত নিষ্ঠুর ঈশ্বর কখনোই পরম করুণাময় হতে পারেন না।
৮. যদি মনে করি যে, তিনি পরম করুণাময় তবে সে সর্বজ্ঞ নন।
৮. অতএব ঈশ্বরের কোন অস্তিত্ব নেই।
NOTES
Theodore M. Drange, Nonbeliefand Evil: Two Arguments for the
Nonexistence of God (Amherst, NY: Prometheus Books, 1998), p. 41.
See also John L. Schellenberg, Divine Hiddenness and Human Reason
(Ithaca, NY: Cornell University Press, 1993).
For a good example of data mining, see my discussion of the experiment by
Elisabeth Targ and collaborators in Victor J. Stenger, Has Science Found God?
The Latest Results in the Search for Purpose in the Universe (Amherst, NY:
Prometheus Books, 2003), pp. 250-53.
Karl Popper, The Logic of Scientific Discovery, English ed.
(London: Hutchinson; New York: Basic Books, 1959). Originally published in
German (Vienna: Springer Verlag, 1934).
Rudolf Carnap, “Testability and Meaning,” Philosophy of Science B 3
(1936): 19-21; B 4 (1937): 1-40.
Philip J. Kitcher, Abusing Science: The Case Against Creationism
(Cambridge, MA: MIT Press, 1982). Note that the author was refuting the
common creationist claim that evolution is not science because it is not
falsifiable. Kitcher need not have bothered. Evolution is eminently falsifiable, as
we show in chapter 3.
I discuss several examples in Victor J. Stenger, Physics and Psychics: The
Search for a World beyond the Senses (Amherst, NY: Prometheus Books, 1990).
Karl Popper, “Metaphysics and Criticizability,” in Popper Selections, ed.
David Miller (Princeton, NJ: Princeton University Press, 1985), p. 214.
Originally published in 1958.
Ibid.
National Academy of Sciences, Teaching About Evolution and the Nature
of Science (Washington, DC: National Academy of Sciences, 1998), p. 58.
Online at http://www.nap.edu/catalog/5787.html (accessed March 5, 2006).
Phillip E. Johnson, Evolution as Dogma: The Establishment of Naturalism
(Dallas, TX: Haughton Publishing Co., 1990); Darwin on Trial (Downers Grove,
IL: InterVarsity Press, 1991); Reason in the Balance: The Case Against
Naturalism in Science, Law, and Education (Downers Grove, IL: InterVarsity
Press, 1995); Defeating Darwinism by Opening Minds (Downers Grove, IL:
InterVarsity Press, 1997); The Wedge of Truth: Splitting the Foundations of
Naturalism (Downers Grove, IL: InterVarsity Press, 2001).
Nicholas Everitt, The NonExistence of God (London, New York:
Routledge, 2004).
Michael Martin and Ricki Monnier, eds., The Impossibility of God
(Amherst, NY: Prometheus Books, 2003).
Ibid.
Douglas Walton, “Can an Ancient Argument of Carneades on Cardinal
Virtues and Divine Attributes Be Used to Disprove the Existence of God?” Philo
2, no. 2 (1999): 5-13; reprinted in Martin and Monnier, The Impossibility of God,
pp. 35-44.
James Rachels, “God and Moral Autonomy,” in Can Ethics Provide
Answers? And Other Essays in Moral Philosophy (New York: Rowman
& Littlefield, 1997), pp. 109-23; reprinted in Martin and Monnier, The
Impossibility of God, pp. 45-58.
Martin and Monnier, The Impossibility of God, p. 59.
Theodore M. Drange, “Incompatible-Properties Arguments—A Survey,”
Philo 1, no. 2 (1998): 49-60; in Martin and Monnier, The Impossibility of God,
pp. 185-97.
Ibid.
Ibid.
J. L. Cowen, “The Paradox of Omnipotence Revisited,” Canadian Journal
of Philosophy 3, no. 3 (March 1974): 43 5-45; reprinted in Martin and Monnier,
The Impossibility of God, p. 337.