বহুগামিতা করা গেলে ইনসেস্ট করা যাবে? ইনসেস্ট ও তো একপ্রকার বহুগামিতা! বহুগামিতার সমর্থনে কয়েকটি আর্টিকেল লেখার পর বেশ কয়েকজন আমাকে মেসেজ করে প্রশ্ন করেছে, আপনি আপনার ক্রোমোজম কমরেডদের (বোন ও মা) সাথে সেক্স করতে পারবেন? তারা ভেবেছিল, ক্রোমোজম কমরেডদের কথা বলেল আমি ভয় পাব। কেউ কেউ এক ধাপ এগিয়ে গিয়ে বলল, আপনার ক্রোমোজম কমরেডদের সাথে আপনার সামনেই যদি কেউ সেক্স করে কেমন লাগবে? এ দুটি প্রশ্নের সরল উত্তর হলো, আসলে আমি আমার ক্রোমোজম কমরেডদের সাথে সেক্স করতে পারব এবং আমি তাদের সেক্সচুয়াল ইন্টারকোর্সের দৃশ্য দেখলে সুখী হব। যাইহোক, আমি তাদের সাথে সেক্স করতে পারব, এটা এজন্য নয় যে আমি নাস্তিক অথবা অনৈতিক। আমি তাদের সাথে সেক্স করতে পারব কারণ আমি তাদের ক্রোমোজমেরই অংশ। তাদের ভ্যাজাইনাল ইকোসিস্টেমে এমন কোনো ফ্লোরা ব্যাক্টেরিয়া নেই, যেগুলো আমাকে ইনফেক্ট করবে অথবা আমার দেহে টক্সিন ছড়াবে। তাদের ভ্যাজাইনাল ইকোসিস্টেম আমার জন্য ওপেন, নিট ও ক্লিন। আনন্দ নেয়ার জন্য আমি তাদের সাথে সেক্স করতেই পারি। এছাড়া ক্রোমোজম যদি তার প্যারেন্টস ক্রোমোজমের সাথে কেমেস্ট্রি আদান-প্রদান করে, এতে লজিক্যালি কোনো ক্ষতি হয় না, এখানে কোনো অনৈতিকতা ও খারাপ কিছু নেই, আমি প্যারেন্টস জিনোমের ভেতরেই তো ছিলাম। ক্রোমোজম কমরেডের ভ্যাজাইনা দিয়ে আমি পৃথিবীতে বের হয়েছিলাম । যদি একটি দেহ থেকে আর একটি দেহ পৃথিবীতে বের হয়, তবে কেন একই দেহের সামান্য একটি মাংস পুনরায় ডোপামিন রিলিজের জন্য প্যারেন্টস বডি ছেদ করতে পারবে না, এটা আমার কাছে অযৌক্তিক মনে হয়। কিন্তু যুক্তি আর বাস্তবতা সবসময় একই ইকুয়েশন ফলো করে না। আমার কাছে লজিক্যালি ইনসেস্ট যৌক্তিক হলেও, আমি প্যারেন্টস বডির সাথে এই কাজ কখনোই করব না। কিন্তু কেন?
এর কারণ হলো এখানে বাগ আছে। উদাহরণস্বরূপ, জিন হলো একটি কম্পিউটার প্রোগ্রামের মতো, যেখানে নতুন জিন তৈরির ইনস্ট্র্যাকশন থাকে। কিন্তু আপনি যদি ক্রোমোজম কমরেডদের সাথে সেক্স করেন, আপনার সিস্টেম বাগ ( ভুল প্রোগ্রাম) আক্রান্ত হবে। ১৯৯০ সালে ফ্লোরিডা প্যান্থার নামক চিতাবাঘের একটি উপপ্রজাতি বিবর্তিত হয়েছিল, যারা সংখ্যায় ছিল মাত্র ২০ জন। সংখ্যায় কম হওয়ায় তাদের সবার জেনেটিক উপাদান প্রায় একই ছিল। কারণ এরা মাত্র ২০ জনই বিবর্তিত হয়েছিল, এদের জিনের মধ্যে কোনো ভ্যারিয়েশন ছিল না। তাই এই ২০ টি বাঘ ছিল ক্রোমোজম কমরেড। এরা যখন সেক্স করত, তখন তাদের জিনের মধ্যে ভ্যারিয়েশন তৈরি হতো না। মনে করুন, যদি ক্রোমোজমের মধ্যে এমন কোনো জিন উপস্থিত থাকে, যেটি হার্ট ডিফেক্ট তৈরি করতে সক্ষম, তবে ক্রোমোজম কমরেড হওয়ায় সবার জিনে একই জিনের কপি পাওয়া যেত। তাই তারা সেক্স করলে, নিশ্চিত সন্তান এই ত্রুটিযুক্ত জিন পেত। এদের ক্রোমোজমে জিনের ভিন্নতা না থাকায়, এরা কোনো ব্যাকআপ জিন পেত না। এছাড়া মনে করুন, ক্রোমোজম কমরেডদের একটি জিন রিসেসিভ বা অবদমিত, যেটি তাদের উর্বরতা কমিয়ে দিতে পারে। তারা যখন সেক্স করত, সবার কাছ থেকে একই রিসেসিভ জিন স্থানান্তর হতো এবং তাদের উর্বরতা হ্রাস পেত! আসলে সকল জিন একই হওয়ায়, তাদের কোনো ব্যাকআপ ফাইল ছিল না, এজন্য চিতাবাঘের এ উপপ্রজাতি বিলুপ্ত হয়ে গিয়েছিল! তাই ক্রোমোজম কমরেডদের সাথে সেক্স করার মানেই হলো, জেনেটিক প্রোগ্রামে বাগ সংক্রমিত করা!
এজন্যই আমার ক্রোমোজম কমরেডদের প্রতি সেক্স কাজ করা প্রাকৃতিকভাবে স্বাভাবিক নয়। তাই ন্যাচারাল সিলেকশন এই বাগ প্রোগ্রাম কন্ট্রোল করার জন্য একটি পদক্ষেপ নেয়। এটি বনবোর মতো চূড়ান্ত বহুগামী জীবের মধ্যেও ইনচেস্টের প্রতি বিরূপ কেমেস্ট্রি সৃষ্টি করে দেয়। বনবো দলের সবার সাথে সেক্স করে কিন্তু ক্রোমোজম কমরেডদের এড়িয়ে যায়। তার অর্থ হলো, বনবোর মস্তিষ্ক মেকানিক্যালি বাগ প্রোগ্রাম চেনে! কিন্তু মানুষও কী বাগ প্রোগ্রাম চেনে? উত্তর হলো, হ্যাঁ চেনে! একটা উদাহরণ দেই। মনে করুন, দুজন ভাই ও বোনকে আপনি ছোটকালে আলাদা করে ফেলেলন। একজন বড় হয়েছে সুইডেন আর অন্যজন ঢাকা। তাদের দুজনের কেউই জানে না, তারা ক্রোমোজম কমরেড। তারা কোনো একভাবে একে অন্যের প্রেমে পড়ে কিন্তু সেক্সের সময় আকর্ষণ কাজ করে না। তাদের লিভ টুগেদার হয় কিন্তু লিভ টুগেদার সুখের হয় না। তারা দুজনই দুজনকে রেখে পরকীয়া করে! তার মানে দেখা যাচ্ছে, ক্রোমোজম কমরেডদের যদি বিয়ে হয়, তবে তাদের মধ্যে বহুগামিতা দেখা দেবে, তাদের অবচেতন মন কোনো একভাবে জানে যে, তারা ক্রোমোজম কমরেড! এখান থেকে কী বুঝলেন? বহুগামিতা আর ইনসেস্ট এক ব্যাপার না। যদি ইনসেস্ট আর বহুগামিতা এক ব্যাপার হতো তবে, ভাই ও বোন একসাথে নিয়মিত সেক্স করত, তারা একে অন্যকে ছেড়ে বহুগামিতা করত না! এ বিষয়টি সুইটি টি-শার্ট এক্সপেরিমেন্ট নামক একটি এক্সপেরিমেন্টে প্রমাণিত হয়েছে। একজন ক্রোমোজম কমরেডকে যখন অন্যজন ক্রোমোজম কমরেডের শার্টের ঘ্রাণ শুকতে দেয়া হয়, তখন সে তাকে অপছন্দ ও রিজেক্ট করে। তার ব্রেন আনকনসাস্লি ঘামের ঘ্রাণ থেকে জেনেটিক্যাল অবস্থা বুঝে ফেলতে পারে। গবেষকরা দেখেছেন, যে সকল মানুষের ইমিউন সিস্টেমের MHC জিন একইরকম, তারা একে অন্যের ঘামের ঘ্রাণ পছন্দ করে না। এ থেকে বোঝা যায়, আমাদের মস্তিষ্ক অবচেতন মনেই বুঝতে পারবে, কোনটি বাগ প্রোগ্রাম আর কোনটি গুড প্রোগ্রাম।
ইনসেস্ট করলে আপনার জিনের ভ্যারিয়েশন কমে যায়, রিসেসিভ জিন স্থানান্তর হওয়ার ঝুঁকি বৃদ্ধি পায় এবং ডিলেটারিয়াস বা ক্ষতিকর মিউটেশন পরিমাণ জমতে থাকে। আর অন্যদিকে ক্রোমোজম কমরেড ব্যতিত অন্যদের সাথে বহুগামিতা করলে জিনের ভ্যারিয়েশন বাড়ে, রিসেসিভ জিন হ্রাস পায় এবং ডিলেটারিয়াস মিউটেশন কমতে থাকে। যদি ক্রোমোজম কমরেড বা সেইম জিনের সাথে সেক্স এতটাই উপকারী হতো, তবে আমরা এক কোষী জীবই থেকে যেতাম কারণ তারা বাইনারী ফিশন পদ্ধতিতে দু-ভাগে ভাগ হয়ে যায়, যেখানে তাদের জিন প্যারেন্টস জিনের ফটোকপি, প্যারেন্টস জিনে ক্ষতিকর কোনো মিউটেশন ঘটলে, তাদের মধ্যেও সেটি ইনফেক্ট হতো, সমুদ্রের বিভিন্ন টক্সিন তারা মোকাবিলা করতে পারত না, জেনেটিক বৈচিত্র্যতার অভাবে!
আর তাই ইনসেস্ট অনেকটা এক কোষী জীবের সাইকোলজি! বহুগামী সেক্সের বিবর্তনই ঘটেছে ক্রোমোজম কমরেড থেকে আলাদা জিনোম তৈরি করার জন্য, যেন তারা চ্যালেঞ্জিং পরিবেশে সার্ভাইভ করতে পারে। এখন প্রশ্ন হলো মজা নেয়ার জন্য ক্রোমোজম কমরেডদের সাথে সেক্স করা যায় না? আমি মনে করি, এটাও ঠিক নয়, মজা নেয়ার জন্য পৃথিবীতে মিলিয়ন মিলিয়ন মানুষ আছে। আপনি যদি ক্রোমোজম কমরেডদের সাথে মজা নেন, আপনার মস্তিষ্ক হয়তো সাইকোলজিক্যাল বাগের শিকার হবে যেমন তার অপরাধবোধ, অনুশোচনা ও অনুতাপবোধ হবে। আপনার অবচেতন মন আপনাকে বলবে, তুমি ভুল করছ আর এজন্য তোমাকে আমি শাস্তি দেব, আপনি সেক্সের পর মানসিক অশান্তি ও পরিতাপবোধ করবেন। এর কারণ আপনার অবচেতন মন মিলিয়ন মিলিয়ন বছরের বিবর্তন থেকে শিখেছে, আপনি আপনার জিনের ক্ষতি করছেন। তাই আপনি কন্ডম ইউজ করার পরও ব্রেন সেই আদিম কালের অনুশোচনার সার্কিট সক্রিয় করে আপনাকে অযথা অনুশোচনা ও অস্বস্তিবোধ দেবে, কারণ আপনি বাগ প্রোগ্রাম গ্রহণ করে ফেলেছেন আর এটি মস্তিষ্কের জন্য রাইট টাইম আপনার সেরেটোনিন কমিয়ে দিয়ে, আপনার আত্মবিশ্বাস দুর্বল করে দেয়া ও অনুশোচনা তৈরি করা।
এছাড়া মায়ের সাথে সন্তানের সেক্স ক্ষমতার ভারসাম্যহীনতা তৈরি করে। মা সন্তানের ওপর আধিপত্য বিস্তার করতে পারে! কিন্তু সবকিছুর পরও, আধুনিক যুগে অনেকে ক্রোমোজোম কমরেডদের ট্রাই করে। এমনও হতে পারে ক্রোমোজম কমরেডদের মাঝে সেক্সকে সমাজ আদিম আতঙ্ক ও ভয় থেকে এতটাই ট্যাবু করে ফেলেছে যে, এটা আমাদের মস্তিষ্কের কানেকশনে পরিণত হয়েছে। এখন চিকিৎসা ব্যবস্থা উন্নত ও সেক্স করার পূর্বে পর্যাপ্ত প্রোটেকশন ব্যবস্থা আছে। আর তাই ক্রোমোজম কমরেডরা যৌন সুখ পেতে একে অন্যকে হেল্প করছে। কিন্তু এটা নির্ভর করছে, আপনার মন আপনাকে সাপোর্ট করছে কিনা। যদি দেখেন আপনার ব্রেন আপনাকে আঘাত করছে, তাহলে আমার মত হলো, আপনার এটা থেকে সরে আসা উচিত। আমি এটা সাপোর্ট করছি না, আপনি?
You might want to explore these areas to find studies that align with the points I’ve raised:
- Evolutionary Biology and Incest Avoidance: Research on the evolution of incest avoidance mechanisms in various species can provide insights into the biological and genetic factors that contribute to this phenomenon.
- Genetic Diversity and Incest: Studies exploring the genetic consequences of incestuous relationships in animal populations can shed light on the potential risks of reduced genetic diversity.
- Human Genetics and Inbreeding: Genetic studies that investigate the effects of inbreeding on human populations can offer insights into the potential health risks associated with close familial relationships.
- Pheromones and Attraction: Research on pheromones and scent communication might support your points about subconscious cues and attraction between individuals.
- Psychology of Attraction: Psychological studies on attraction, mate selection, and partner preferences can help explain human behaviors and preferences in the context of relationships.
- Ethics and Social Norms: Research on the ethical considerations and societal norms surrounding polygamy and incest can provide insights into the broader context in which these topics are discussed.
- Societal Views on Relationships: Studies on cultural differences in attitudes toward polygamy and incest can offer perspectives on how these relationships are perceived across different societies.
Read More: Incest: the psychological problem and the biological contradiction
Read Our Books: হাইপারস্পেস প্রকাশনীর বই