একবার অত্যন্ত স্লো মোশনে যখন আমার সামনে একটি কার অ্যাক্সিডেন্ট করেছিল, আমি আতঙ্কিত মুখে হা হয়ে সে মুহূর্তটির দিকে তাকিয়ে ছিলাম। ঠিক তেমনি প্রথম যখন আমার অ্যানাসে পেনিস স্লাইড করে আমি একইভাবে আতঙ্ক প্রকাশ করি। এডভার্ড মুঞ্চের দ্যা স্ক্রিম পেইন্টিংটি কেউ দেখেছেন কী?
হ্যাঁ একবার চিন্তা করে দেখুন। এটি আমার জন্য খুব সুখকর সময় ছিল না। সেক্সের প্রিফারেশন অনেক দীর্ঘস্থায়ী একটি প্রক্রিয়া এবং খুবই ক্লান্তিকর সবকিছু ঠিকঠাকভাবে রিজোন্যাট করা। আমি মনে করি তখন আমার চেহারার এক্সপ্রেসন ততবেশি সেক্সি ছিল না।
যাইহোক , আমার প্রথম অ্যানাল সেক্সের অভিজ্ঞতা খুবই দুঃখজনক। আমি খুবই পেইন ফিল করেছিলাম। আমার মনে হয়েছিল আমার চামড়া খোসা ছাড়ানোর মতো করে ছিঁড়ে ফেলা হচ্ছিল। কিন্তু দ্রুত এ অনুভূতি প্রশমিত হয় এবং আমি তার অর্ধ ইঞ্চি গ্রহণ করে বেশ স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করেছিলাম।।
আমি একটি পালঙ্কের উপর এক পা রেখেছিলাম আর অন্যটি ছিল কার্পেটের উপর এবং পরবর্তীতে কী হয় তার জন্য আমি অপেক্ষা করছিলাম। আমি জানি আপনি মনে করছেন, ওয়াও! কী রোম্যান্টিক।
সে আমার হাতটি তার হাতে নিয়ে যায় এবং তার নিতম্বে স্থাপন করে, আমি তাকে বুঝিয়ে দেই ঠিক কোথায় তাকে এন্ট্রি করতে হবে। না আমি দক্ষ কোনো পর্নস্টার ছিলাম না যে সকল ট্রিক্স ভেঙে ফেলব। আমি ছিলাম অনভিজ্ঞ, আমার উত্তেজিত মন শুধু নিজেকে মারাত্মক ক্ষতি থেকে রক্ষা করতে চাইছিল।
উফফ, আমার অসহায় ব্যাক ডোর! আমি মনে মনে চিন্তা করছিলাম। তবে আমি দৃঢ় প্রতিজ্ঞ ছিলাম। যদি কোনো ভুল হয় আমি তাকে নিষেধ করব। ঠিক যেমনি রেগুলার সেক্সের সময় করে থাকি। সৌভাগ্যবশত আমার জন্য কোনোকিছুই ডেস্ট্রাক্টিভ ছিল না।
আমি আমার কুনুই বাঁকা করি, আমি নিজেই আমার পেছনের দিকে হাত দেই যেন সে সহজে করতে পারে। আকস্মিক আমি পেইনের পরিবর্তে প্রচণ্ড প্রেসার অনুভব করি। আমার এমন একটা উপলব্ধি হয়েছিল যে আমি বলে বোঝাতে পারব না। আমার পেট মনে হয়েছিল ফুলে যাবে। আমার ফুসফুস থেকে বাতাস বের হচ্ছিল কারণ আমি জোরে জোরে নি:শ্বাস নিচ্ছিলাম।
আপনার স্নায়ুতন্ত্র আপনার মস্তিষ্কে সংকেত পাঠায় একটা কিছু খুবই ভুল হচ্ছে। কিন্তু আপনি যেই প্রচণ্ড ব্যাথা প্রত্যাশা করেছেন, সেরকম কোনো ব্যাথা না। আমি কিছুটা কনফিউজড হলাম। এটাই কী তবে অ্যানাল সেক্স? তার চেয়ে তো বরং আমি ফিমেইল পর্নই অনেক বেশি এনজয় করতাম!
যদি এটাকে নিয়ন্ত্রণ করতে চান, তবে আপনাকে নিজে থেকে এর গভীরতা ও স্পিড নিয়ন্ত্রণ করতে হবে। যাইহোক, আমিও আমার প্রথম অ্যানালের অভিজ্ঞতা এভাবেই অনুভব করি। আমি কয়েক মিনিট এটি আমার পেছনে রেখেছিলাম। তারপর আমি অ্যানালের বদল তার পেনিস মুখে নেই। সে দীর্ঘক্ষণ সহ্য করতে পারেনি।
নারীদের জন্য পরামর্শ হলো, আপনার যদি অ্যানাল সেক্স না ভালো লাগে, তবে সেটা আপনার সঙ্গীকে জানান। আর অবশ্যই এ সেন্সকে সম্মান জানানো উচিত। আমরা যত কথাই বলি না কেন অ্যানাল সেক্স এত সহজ না। প্রথমবার সবার কাছেই এটা কষ্টকর মনে হবে। কিন্তু মনে রাখবেন ভ্যাজাইনাল সেক্সও প্রথম প্রথম অনেক যন্ত্রণাদায়ক মনে হয়। আর তাই অ্যানাল সেক্সকে অস্বাভাবিক মনে করার কোনো কারণ নেই।
অনেকে বলেন, আমাদের অ্যানাসে কোনো সেক্স নার্ভ নেই। তাই পেছনের দিকে সেক্স করা অনুচিত। আসলে কথাটি সঠিক নয়। অ্যানাসের উপরের দিকে নার্ভ না থাকলেও ভেতরের দিকে আমাদের ভ্যাজাইনা, ক্লাইটোরিস, সার্ভিক্স ও অ্যানাস নার্ভের আভ্যন্তরীণ একটা কানেকশন আছে। এজন্য সেদিক দিয়ে পেনিস প্রবেশ করাটা চাপমূলক হলেও পরবর্তীবার কিন্তু অনেক উত্তেজনা ও আগ্রহ কাজ করে। আর পূর্বের তুলনায় অনেক সহজ হয়ে যায়। মস্তিষ্কও পরিস্থিতি মানিয়ে নেয়।
পরের বার আমার যে ছেলেটির সাথে সেক্স হয় সে শুধু থুথু ব্যবহার করেছিল। যা আমাকে অনেক বেশি এক্সাইটেড করে তোলে। আগের বার যে ছেলেটির সাথে সেক্স হয়েছিল তার পেনিসের পরিধি ছিল বড়। কিন্তু এবার আমি অনেক বেশি আনন্দ অনুভব করি। আমার শিরায় অ্যাড্রেনালিন এসে পূর্ণ হয়ে যায়, আমার মনে হচ্ছে আমি দুষ্টু কোনো পথ নির্বাচন করেছি। কিন্তু এবারও আমার কোনো অর্গাজম হয়নি। তবুও আমি অনেক ভালো বোধ করেছিলাম।। কিন্তু একদম শেষের দিকে আমি একজন ছেলের সাথে অ্যানাল অর্গাজম অর্জন করি।
কিন্তু অ্যানাল অর্গাজম আসলেই সম্ভব?
সহজভাবে বললে, অ্যানাল অর্গাজম হলো অ্যানাসের নার্ভ স্পোটে অত্যন্ত উচ্চমাপের স্টিমুলেশন অনুভব করা। প্রসূতি ও স্ত্রীরোগ বিশেষজ্ঞ শিলা লোনজন বলেন, অ্যানাল অর্গাজম হলো আকস্মিক সেক্সচুয়াল টেনশন রিলিজ হওয়া। আপনি অ্যানাল সেক্সের মাধ্যমে ভিন্ন ভিন্ন ভাবে অর্গাজমে পৌঁছাতে পারবেন। তিনি বলেন, রেক্টামের অ্যান্টারিয়র ওয়াল থেকে ভ্যাজাইনা পর্যন্ত নার্ভ আছে। আর এজন্য ভ্যাজাইনার মালিকের পক্ষে রেক্টামে স্টিমুলেশনের মাধ্যমেও সেক্সচুয়ালি জাগ্রত হওয়া সম্ভব।। এছাড়া ক্লাইটোরিসের লেগ আপনার পশ্চাদদেশের ছিদ্র পর্যন্ত বিস্তৃত। আর এর ফলে অ্যানাসে স্টিমুলেট করলে ক্লাইটোরিসেও অনুভূতি তৈরি হবে। কিম্বার্লি ল্যাংডন, এমডি, মেডজিনো একজন প্রসূতি ও স্ত্রীরোগ বিশেষজ্ঞ। তিনি বলেন, পুরুষের ক্ষেত্রে ইন্টারকোর্সের সময় অ্যানাল স্টিমুলেশন পি-স্পোট নামক একটি এলাকা প্রভাবিত করে এবং এতে করে তার অর্গাজম হয়। আর নারীর ক্ষেত্রে অ্যানাল ইন্টারকোর্স তার ভ্যাজাইনার এন্টারিয়র ওয়ালে চাপ দেয়( মূত্রাশয়ের ঠিক নিচে অবস্থিত), যেটি সার্ভিক্সের গভীরে ও নিকটে। এই এলাকাটি এন্টারিয়র ফোর্নিক্স। এটাকে বলে A-স্পোট। এটি এক ধরণের তরঙ্গায়িক সংকোচন তৈরি করে। তার মতে, নারী ও পুরুষ দুজনের ক্ষেত্রেই নিরবিচ্ছিন্ন থ্রাস্টিং অর্গাজম তৈরি করে।
নোয়ামি ওলফ তার ভ্যাজাইনা: এ নিউ বায়োগ্রাফি বইতে লিখেন, কিছুকিছু নারীর ক্লাইটোরিসের মধ্যে প্রচুর পরিমাণ নিউরাল নেটওয়ার্ক ।এইসব নারীর ভ্যাজাইনায় কম নার্ভ ইনার্ভেটেড হয়__ বা এদের ভ্যাজাইনায় নার্ভ পাতলা। এ গ্রুপের নারীরা ক্লাইটোরিসের স্টিমুলেশন পছন্দ করবে এবং পেনিট্রেশনে তেমন আনন্দ পাবে না। কিছু কিছু নারীর ভ্যাজাইনাতে অনেক বেশি ইনারভেশন( নেটওয়ার্ক অনেক বেশি), এবং তারা পেনিট্রেশনেই বেশি সুখ পায়। কিছুকিছু মহিলার নিউরাল পথ শেষ হয় পেরিনিয়াল অথবা মলদ্বারের এলাকায়: সে সম্ভবত অ্যানাল সেক্স পছন্দ করবে আর তার মলদ্বার দিয়েই অর্গাজম হবে। আবার যে সকল নারী ভিন্নভাবে নকশা করা তাদের মলদ্বার হবে শীতল, আর এজন্য সে ব্যাথা পাবে। কিছু কিছু মহিলার পেলভিক নিউরাল নকশা উপরিপৃষ্ঠের কাছাকাছি ঘণ, এদের খুব দ্রুত অর্গাজম হয়ে যায়। কিছু মহিলার নিউরাল নকশা তাদের শরীরে আরও নিমজ্জিত হতে পারে, যার ফলে তাদের সঙ্গীকে অনেক ধৈর্যশীল ও উদ্ভাবনী হতে হবে। তারা অধিক প্রবঞ্চনাময় ক্লাইম্যাক্স অনুসন্ধান করতে থাকে ।